
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের
প্রায় প্রতিটি দোয়াই ক্ষমাঘেঁষা। প্রায় সব দোয়াতেই তিনি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
এর মাধ্যমে উম্মতকে সবসময় আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন নবীজি (সা.)। এ কারণে জীবনের প্রায় প্রতিটি বিষয়েই আমরা রাসুলের
(সা.) শেখানো দোয়া দেখতে পাই।
তেমনই নামাজে দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকেও
দোয়ার কথা বিভিন্ন হাদিসে পাওয়া যায়। এ দুটি দোয়ার মূল বিষয়-ক্ষমা।
দুটি দোয়াই একসঙ্গে পড়তে হবে, এমন নয়।
একসঙ্গেও পড়া যায়, সময় কম থাকলে, ছোটটা পড়া যায়। আবার এ দুটি দোয়া পড়তেই হবে এমনও নয়।
তবে, দোয়া দুটি পড়ার মাধ্যমে ক্ষমা পাওয়ার
আশা তো আছেই, পাশাপাশি নামাজেও ধীরস্থিরতা আসে। যাদের নামাজ তাড়াহুড়া হয়ে যায়, তারা
এ দুটি দোয়া পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে, ফল পাওয়া যাবে। তবে এসব মাসনুন দোয়া, নফল
বা সুন্নতেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে পড়া উচিত।
সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকের দোয়া
হজরত ইবনে আব্বার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুই সিজদার মাঝে বলতেন-
اَللّهُمَّ اغْفِرْلِيْ وَارْحَمْنِي وَاهْدِنِيْ وَعَافِنِيْ وَارْزُقْنِيْ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাগফিরলি, ওয়ারহামনি,
ওয়াহদিনি, ওয়া আফিনি, ওয়ারযুকনি। (মুসলিম, মিশকাত, আবূ দাউদ: ৮৫০)
অর্থ : হে আল্লাহ আপনি আমাকে মাফ করুন,
আমাকে রহম করুন, আমাকে হেদায়েত দান করুন, আমাকে শান্তি দান করুন এবং আমাকে রিজিক দান
করুন।
হজরত হুজায়ফা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকে এ দোয়াটি পড়তেন-
رَبِّ اغْفِرْ لِي، رَبِّ اغْفِرْ لِي
উচ্চারণ : রব্বিগফির লী, রব্বিগফির লী।
(ইবনু মাজাহ, আবূ দাউদ:৮৭৪)
অর্থ : হে আমার রব্ব! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। হে আমার রব্ব! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।
আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা, প্রত্যেক
নামাজে সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকে আল্লাহর তাসবিহ-তাহলিল করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহর
হুকুম আহকাম পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আজকের দর্পণের সঙ্গে থাকুন। কুরআন-হাদিস
মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।