দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা
আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ
সম্পাদক খান হাবিবুর রহমান ও পৌরসভার সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন
আদালত।
পৌর মেয়র ও সাবেক সচিব আজ বুধবার বাগেরহাটের
দায়রা ও সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে জামিন আবেদন করলে বিচারক মো. রবিউল ইসলাম শুনানি
শেষে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে, পৌর মেয়রের জামিন নামঞ্জুরের প্রতিবাদে
আজ দুপুরে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে এবং রাস্তায়
বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে অবরোধ ও বিক্ষোভ শুরু করেন। এর ফলে মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল
বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ মহাসড়কের ব্যারিকেড অপসারণের কাজ শুরু করলেও এখনও যান চলাচল বন্ধ
রয়েছে।
আদালত থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, বাগেরহাট
পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে প্রায় আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের
অভিযোগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর পৃথক দুটি মামলা করে দুদক। চাকরিতে লোক নিয়োগ এবং আবাহনী
ক্রীড়া কমপ্লেক্স ও ডায়াবেটিস হাসপাতাল নির্মাণ না করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের
সম্মিলিত খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
এ মামলা দায়েরের পর চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি
হাইকোর্টে পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান এবং সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিম জামিনের
আবেদন করলে শুনানি শেষে তাঁদের তিন সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
দেওয়া হয়।
পৌর মেয়র ও সাবেক সচিব আজ বুধবার বাগেরহাটের
দায়রা ও সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে জামিন আবেদন করলে বিচারক মো. রবিউল ইসলাম শুনানি
শেষে দুপুরে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে, দুনীতির মামলায় পৌর মেয়র আদালতে
জামিন নিতে এলে জেলা আওয়ামী লীগের কয়েক হাজার নেতাকর্মী আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হন। নিরাপত্তায়
আদালত প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। মেয়র খান হাবিবুর রহমানের জামিন নামঞ্জুর
হওয়ার পর বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও রাস্তায় বিদ্যুতের
খুঁটি ফেলে বিক্ষোভ শুরু করেন। এর ফলে বন্ধ হয়ে যায় বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে খুলনা-বরিশালসহ
দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে চলাচলকারী দূরপাল্লার সব ধরনের যান চলাচল।
এদিকে, পুলিশ মহাসড়কের ব্যারিকেড অপসারণের
কাজ শুরু করলেও এখনও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়কে ব্যারিকেড থাকায় এই প্রতিবেদন লেখা
পর্যন্ত মেয়রকে জেল-হাজতে নিতে পারেনি পুলিশ।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) কে এম আরিফুল
হক আদালতের সামনে থেকে মহাসড়কের ব্যারিকেড অপসারণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।