দুর্নীতি দমন
কমিশনের (দুদক) চাকরি থেকে অপসারণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন
সংস্থাটির আলোচিত উপ-সহকারী পরিচালক মো: শরীফ উদ্দিন। রোববার (১৩ মার্চ) হাইকোর্টের
সংশ্লিষ্ট শাখায় দুদক কর্মচারী চাকরি বিধিমালা ২০০৮ এর ৫৪(২) চ্যালেঞ্জ করে শরীফের
পক্ষে ব্যারিস্টার মিয়া মোহাম্মদ ইশতিয়াক এ রিট দায়ের করেন।
রিট করার বিষয়টি
নিশ্চিত করে মো: শরীফ উদ্দিন নয়া দিগন্তকে বলেন, যে বিধিতে আমাকে অপসারণ করা হয়েছে
ওই বিধি চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেছি। ওই বিধিতে সংবিধানে বর্ণিত মৌলিক অধিকার থেকে
বঞ্চিত করা হয়েছে। এটা একটা কালা কানুন। এছাড়া দুদকের চাকরি থেকে অপসারণ করার পর গত
২৭ ফেব্রুয়ারি একটি পুনর্বিবেচনার জন্য রিভিউ আবেদন করি। ওই রিভিউ আবেদনের বিষয়েও আমাকে
কিছুই জানানো হয়নি। এই কারণে আমি মৌলিক অধিকার পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি।
এদিকে শরীফ উদ্দিনকে
অপসারণের বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে ১০ আইনজীবীর রিটের আদেশের জন্য আগামী ১৫ মার্চ
দিন ধার্য রয়েছে। গত ১০ মার্চ বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার ও মো: মোস্তাফিজুর
রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে আদেশে জন্য রাখেন।
আদালতে রিট আবেদনের
পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী
মো: খুরশীদ আলম খান।
২৩ ফেব্রুয়ারি
এই ঘটনায় রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী। রিটে দুদক চেয়ারম্যান, সচিব, কমিশনার
(অনুসন্ধান), কমিশনার (তদন্ত), পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) এবং শরীফ উদ্দীনকে বিবাদি
করা হয়।
এর আগে, গত ২০
ফেব্রুয়ারি দুদক থেকে চাকরিচ্যুত শরীফ উদ্দিনের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টে চিঠি
পাঠান সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী। বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো:
মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার
জেনারেল মো: আলী আকবর বরাবর চিঠিটি প্রেরণ করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়,
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুদক কর্মচারী চাকরি বিধিমালা ২০০৮ এর ৫৪(২) বিধি অনুযায়ী উপ-সহকারী
পরিচালক শরিফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। শরীফ উদ্দিন দুদক
সমন্বিত জেলা কার্যালয় পটুয়াখালীতে উপ-সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার আগে,
সাড়ে তিন বছর তিনি ছিলেন চট্টগ্রামে। সেখানে থাকাকালে কক্সবাজারে ভূমি অধিগ্রহণের সাড়ে
তিন লাখ কোটি টাকা দুর্নীতির ঘটনায় ১৫৫ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়ার সুপারিশ
করেছিলেন।