আরব বাংলাদেশ ব্যাংক চৌমুহনী শাখার গ্রাহক মো. আবদুল মমিনের তিন কোটি আঠারো লাখ বিশ হাজার চারশ টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে লোনের জন্য জমা দেওয়া টাকা বেআইনিভাবে স্থানান্তর করে আত্মসাত করার অভিযোগ পাওয়া যায়
সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের ঘটনায় এক দম্পতির বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নোয়াখালী সমন্বতি জেলা কার্যালয় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মশিউর রহমানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৭ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে হাইকোর্টে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।
এর আগে তাকে তলব করার পরও আদালতে হাজির না হাওয়ায় দুদকের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে ক্ষোভও প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে এদিন দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন মো. খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি ও মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ। রিভিশন আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী একেএম নুরুল আলম।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, আরব বাংলাদেশ ব্যাংক চৌমুহনী শাখার গ্রাহক মো. আবদুল মমিনের তিন কোটি আঠারো লাখ বিশ হাজার চারশ টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে লোনের জন্য জমা দেওয়া টাকা বেআইনিভাবে স্থানান্তর করে আত্মসাত করার অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন মশিউর রহমান।
অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার পরও তিনি ব্যাংকের কর্মকর্তা শাখার ম্যানেজার নাসির উদ্দিন আহমেদ, ম্যানেজার তপনকান্তী পোদ্দার, সাবেক এসপিও মো. নাজিম উদ্দিন, সাবেক এসপিও মো. হানিফের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন।
এ বিষয়ে গ্রাহক আবদুল মমিন নোয়াখালীর বিশেষ জজ আদালতে মামলা করতে গেলে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা লিখিতভাবে আপত্তি দাখিল করেন। এই কারণে গ্রাহক হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন। ওই রিভিশন আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত এই আদেশ দেন।