দুধে হাজারো পুষ্টিগুণ থাকে। আয়রন, সেলেনিয়াম,
ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, নিয়াসিন, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ফোলেট, ক্যালসিয়াম,
পটাসিয়াম, প্রোটিনসহ বিভিন্ন উপাদান আছে।
দুধ একটি আদর্শ খাবার। আমাদের দেহে রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাছাড়া দুধ শরীরে শক্তিরও যোগান দেয়। শরীর সুস্থ রাখতে
সব খাবারের পাশাপাশি দুধেরও বিকল্প নেই।
তবে খাবার খাওয়ার সময় আমরা বেশিরভাগ সময় কিছু ভুল করে বসি। যেমন কোন খাবারের সঙ্গে কি খাওয়া উচিত তা বুঝতে উঠতে পারি না। যার ফলে পড়তে হয় মারাত্মক বিপদে। তেমনি দুধের সঙ্গেও এমন কিছু খাবার আছে যা ভুলে খাওয়া উচিত নয়। এতে বাড়তে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
কিছু খাবার আছে যা দুধ খাওয়ার পরপরই কিংবা আগ মুহূর্তে খাওয়া উচিত নয়। এতে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: ৬ টি ভিন্ন স্বাদের আলু ভর্তা রেসিপি
ডিম ও দুধ
ডিম ও দুধ কখনো একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়।
উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ পানীয়ের মধ্যে একটি হলো দুধ। ভুল করেও ডিম ও দুধ একসঙ্গে খাবেন
না।
দুধের সঙ্গে যে কোনো তেলে ভাজা খাবার খেলে
মারাত্মক প্রভাব পড়ে শরীরে। এ কারণেই ডিম আর দুধও একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়।
পাউরুটি-কলার সঙ্গে দুধ
সকালের নাস্তায় পাউরুটি, ডিম, কলা ও দুধ অনেকেই খান। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে শুরু করে পেটের যাবতীয় সমস্যা বাড়ে কলা ও দুধ খেলে। এমনকি হজমেরও সমস্যা হয়। দুধের সঙ্গে কলা কখনোই খাবেন না।
টকদই-দুধ
দুধ ও টকদইয়ের মেলবন্ধনেও ক্ষতি হয় শরীরের।
কারণ এই দুটি খাবার একসঙ্গে খেলে হজম হয় না। টকদইয়ের সঙ্গে কখনো গরম খাবার খাওয়া উচিত
নয়।
লেবু-দুধ
ভুল করেও দুধ বা দুগ্ধজাতীয় খাবার খাওয়ার
পরপরই লেবুর রস বা শরবত খাবেন না। দুধ পান করা ঘণ্টাখানেকের মধ্যে কখনো টকজাতীয় খাবার
খাবেন না। এতে এসিড হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এর থেকে পেটের সমস্যা বাড়ে।
আরও পড়ুন: শ্রবণশক্তি ভালো রাখতে যা করবেন!
মাছ-মাংস ও দুধ
মাছ বা মাংসের কোনো পদ খাওয়ার পর দুধ খাবেন
না। কারণ দুধ শরীর ঠান্ডা রাখে। মাছ-মাংস অর্থাৎ আমিষজাতীয় খাবারের সঙ্গে দুধ খেলে
শরীরে অ্যালার্জি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
লবণ ও দুধ
দুধের সঙ্গে লবণ ব্যবহার করলে এর প্রোটিনগুলো
কমে যায়। অনেকেই স্বাদ বাড়াতে দুধের সঙ্গে লবণ মেশান। তবে এই ভুল করলে দুধের প্রোটিন
শরীরে ঢুকবে না।
আরও পড়ুন: ছেলেদের ব্রন দূর করতে কিছু টিপস
ঝালজাতীয় খাবার ও দুধ
পেঁয়াজের সঙ্গেও দুধ একেবারেই খাবেন না।
এতে চুলকানি ও সংক্রমণের সমস্যা বাড়তে থাকে। মসলা ও ঝালজাতীয় খাবার একসঙ্গে খেলে সহজে
হজম হয় না। এতে পেট ব্যথা ও গ্যাস্ট্রিক এমনকি বমিও হতে পারে।
তরমুজ ও দুধ
তরমুজ খাওয়ার পরপরই কখনো দুধ পান করবেন
না। দুধ একটি রেচক হিসেবে কাজ করে ও তরমুজে মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্য আছে। এই দুই খাবার
একসঙ্গে খেলে চরম হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে।