সময়টা খুব একটা বেশি নয়। মোটে দশ বছর। তাতেই ঘরকন্না কিংবা অভিনয়- দুই জায়গায়ই ভীষণ তৃপ্ত আলিয়া। না হলে ইনস্টাগ্রামে কেন এত ঝলমলে ছবি পোস্ট করেছেন ভাট কন্যা। কোনো মেকআপ নেই। পরনে সাদা সরু ফিতার টপ। চেহারায় মাতৃত্বের আভা। চেহারা চুইয়ে পড়ছে ঝলমলে রোদ। চোখেমুখে তার তৃপ্তি। যেন পরিপূর্ণ এক জীবন আলিয়া ভাটের। এই ছবির সঙ্গে গতকালের তারিখটির সম্পর্ক বেশ। ১৯ অক্টোবর। করণ জোহরের হাত ধরে বলিউডের ঝলমলে দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন। ২০১২ সাল, তখন আলিয়ার বয়স মোটে ১৯ বছর।
‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ দিয়ে যাত্রা শুরু। সঙ্গী সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও বরুণ ধাওয়ান। পরিচালক ও প্রযোজক মহেশ ভাটের মেয়ে তিনি। তাই স্বজনপ্রীতি (নেপোটিজম) তকম জুড়ে যেত অনায়াসেই। কিন্তু নিজের প্রতিভা আর পরিশ্রমে সবকিছুকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। একের পর এক দারুণ সব ছবিতে অভিনয় করে নিজের জায়গা পাকা করেছেন রুপালি জগতে। বলিউডে সহশিল্পী হলেও সম্পর্কে তিনি ননদ। কারিনা কাপুর তাই আলিয়াকে ঠিক কথাটিই বললেন। ইনস্টগ্রামের ওই ছবির মন্তব্য ঘরে লিখলেন, ‘সেরাটা দিয়েছ।’ ‘হাইওয’, ‘টু স্টেটস’, ‘ডিয়ার জিন্দেগি’, ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াবাড়ি’, ‘আরআরআর’, ‘রাজি’ দশ বছরে এক ঝুড়ি ভালো ছবি উপহার দিয়েছেন। সঙ্গে আছে মনমাতানো অভিনয়।
শুধু কী তাই। ব্যক্তিজীবনেও পেরিয়েছেন এক অধ্যায়। রণবীর কাপুরকে বিয়ে করে কাপুর পরিবারের বউ হিসেবে নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন। দিয়েছেন সুখবরও। মা হতে মাসখানেক বাকি। হয়েছেন প্রযোজকও। এসব কিছু মিলে জীবনের প্রতি ভীষণ কৃতজ্ঞ আলিয়া। তাই তো ক্যারিয়ারের ১০ বছরের মাথায় মুখে এটাই শোভা পায়। আজ ১০ বছর। আমি কৃতজ্ঞ। আরও ভালো কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আরও গভীর স্বপ্ন, আরও কঠোর পরিশ্রম করব। জাদুর (সূর্য ইমোজি) জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। ভালোবাসা, ভালোবাসা এবং শুধু ভালোবাসা।