আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

দরিদ্রদের প্রতি ইসলামের সম্মান

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,

و اصبر نفسك مع الذين يدعون ربهم بالغداة و العشي يريد وجهه و لا تعد عيناك عنهم

و اصبر نفسك مع الذين يدعون ربهم بالغداة و العشي يريد وجهه

و لا تعد عيناك عنهم تريد زينة الحيوة الدنيا

এ অয়াতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সম্বোধন করে বলা হচ্ছে, আপনি নিজেকে তাদের সঙ্গে রাখুন যারা সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহর সন্তুাষ্টির উদ্দেশ্যে তার উপাসনা করে। কখনো এমন যেন না হয়, আপনার দৃষ্টি তাদের থেকে সরে পার্থিব জীবনের চাকচিক্যের প্রতি নিবদ্ধ হয়, অর্থাৎ আপনি ভাবতে থাকেন-এরা দরিদ্র ও সাধারণ প্রকৃতির লোক। তাদের প্রতি দৃষ্টিপাতের কী প্রয়োজন? আপনি সম্পদশালীদের প্রতি মনোনিবেশ করতে থাকেন।

বন্ধুসুলভ ভর্ৎসনা: 

সমস্ত কোরআনে দুতিনটি স্থান এমন, যেখানে আল্লাহ তায়ালা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামান্য ভর্ৎসনা করে বলেন, আপনার এ কাজ আমার পছন্দ হয় না। তন্মোধ্যে একটি হলো, সূরা আবাসা। যার ঘটনাটি এমন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে মুশরিকদের কতিপয় সরদার এসেছিল।

তিনি ভাবলেন, যেহেতু তারা সরদার যদি তাদের সংশোধন হয়ে যায়, তাদের মাধ্যমে পুরো জাতির সংশোধনের পথ খুলে যাবে। এ কারণে তাদেরকে দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দেয়ার অধিক গুরুত্ব তার অন্তরে সৃষ্টি হয়ে যায় এবং তাদের প্রতি নিবিষ্ট হয়ে যান। ইতিমধ্যেই হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম যিনি অন্ধ সাহাবি ছিলেন, যাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববীর মুয়াজ্জিন নির্দিষ্ট করেছিলেন, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে এসে কোনো মাসআলা জিজ্ঞেস করেত  লাগলেন।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভাবলেন, এ তো আমার নিজের লোক প্রতিদিন সাক্ষাত হয়, এখন তাকে মাসআলা না বলে পরে বলে দেব। তাই তিনি তাকে বললেন, তুমি একটু অপেক্ষ করো, আমি মুশরিক নেতাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ব্যস্ত আছি, যেন তাদের ইসলাম গ্রহণের তাওফিক হয়ে যায়। কারণ যদি তারা মুসলমান হয়ে যায়, তাহরে পুরো সম্প্রদায়ের মুসলমান হওয়ার পথ খুলে যাবে।

ব্যস, ঘটনা এতটুকুই। তবে আল্লাহ তায়ালা এর ওরপর সতর্ক করেছেন এবং এই আয়াত নাজিল করেছেন,

عبس و تولى أن جاءه الأعمى

এ আয়াতে রাসূল (সা.)-কে অনুপস্থিত শব্দে সম্বোধন করেছেন। তিনি ভ্রুকুঞ্চিত করলেন এবং মুখ ফিরিয়ে নিলেন। কারণ তার কাছে অন্ধ লোকটি এসে পড়েছিল।  যেন এ কাজটি আল্লাহ তায়ালার পছন্দ হয়নি।

و ما يدريك لعله يزكى، أو يذكر فتنفعه الذكرى

তোমার কি জানা আছে? হয়ত সে শুধরে যেত। অথবা উপদেশ গ্রহণ করত এবং উপদেশ দান  তার উপকারে আসত

أما من استغنى، فأنت له تصدى

আর যে ব্যক্তি অগ্রাহ্য করছিল (আগ্রহ নিয়ে আপনার কাছে আসেনি, বরং দ্বীনের প্রতি অনাগ্রহ প্রকাশ করছে) আপনি তার প্রতি মনযোগ দিচ্ছেন আর চিন্তা করছেন,

و ما عليك ألا يزكى

অথচ সে নিজেকে না শোধরালে আপনার ওপর কোনো দায়িত্ব বর্তায় না। (যখন তার ভেতরে কোনো আগ্রহ নেই বরং অনাগ্রহ আছে, আপনাকে এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে না।)

و أما من جاءك يسعى و هو يخشى فأنت عنه تلهى

পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি দৌড়ে তোমার কাছে আসল এবং সে অন্তরে আল্লাহর ভয় পোষণ করে, তার প্রতি তুমি অবজ্ঞা প্রদর্শন করছ!

আগ্রহীকে প্রাধান্য দেয়া চাই:

এতে নবী করিম (সা)-কে বন্ধুসুলভ ভর্ৎসনা করা হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উদ্দেশ্য কখনোই এটা ছিল না-এ দুর্বল লোক আর ও শক্তিশালী। তাই একে উপেক্ষা করে ওর প্রতি মনোনিবেশ করবেন। বরং তার অন্তরে এ কল্যাণকামিতা ছিল, এ তো নিজের লোক, তার সঙ্গে পরেও কথা বলা যাবে, আর তারা দ্বিতীয়বার আসবে কি না জানা নেই।

তাই তাদের কাছে সত্যের বাণী পৌঁছে দেয়া উচিত। তবে আল্লাহ তায়ালা এটা পছন্দ করেননি। তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি আগ্রহ নিয়ে এসেছে সে অগ্রাধিকার পাবে ওই ব্যক্তির উপর যে আগ্রহ নিয়ে বসেনি এবং উপেক্ষা প্রকাশ করেছে। তার প্রতি মনোনিবেশ করার প্রয়োজন নেই।  বরং যে আগ্রহ নিয়ে এসেছে তার প্রতি মনোনিবেশ করা চাই।

এ আয়াতগুলোতে যদিও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সম্বোধন করা হয়েছে, তবে তার মাধ্যমে পুরো উম্মতকে এ শিক্ষা দেয়া হয়েছে, বাহ্যত সাধারণ কোনো ব্যক্তিকে বাস্তবেই সাধারণ মনে করো না। কারণ জানা নেই আল্লাহ তায়ালার কাছে সে মর্যাদায় কোনো স্তরে আছে। তাই তাকে সম্মান করা চাই।

বেহেশতি ও দোযখীদের আলোচনা: আল্লামা নববী (রহ.) এ প্রসঙ্গে প্রথম এ হাদিস বর্ণনা করেছেন-

عن حارثة وهب رضي الله عنه قال، سمعت رسول الله صلى الله عليه و سلم يقول : ألا أخبركم بأهل الجنة؟ كل ضعيف مستضعف لو أقسم على الله لأبره، ألا أخبركم بأهل النار؟ كل عتل جواظ مستكبر.

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কেরামকে সম্বোধন করে বলেন, তোমাদেরকে বলবো জান্নাতে কারা? এরপর বলেন, প্রত্যেক যে ব্যক্তি দুর্বল এবং মানুষ যাকে দুর্বল মনে করে, হয়ত সে শারীরিক বা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হবে অথবা মর্যাদা হিসেবে দুর্বল হবে, অর্থাৎ দুনিয়াদারদের কাছে তার মর্যাদা কম।

তবে সে আল্লাহ তায়ালার কাছে এত প্রিয় যে, যদি সে আল্লাহর নামে শপথ করে, আল্লাহ তার শপথ পূর্ণ করে দেন। যদি সে শপথ করে বলে, অমুক কাজ এভাবে হবে, আল্লাহ তায়ালা ওই কাজ ওইভাবে করে দেন। কারণ সে আল্লাহ তায়ালার প্রিয় ব্যক্তি। আল্লাহ তায়ালা তার ভালোবাসার কারণে এরূপই করে দেন।

আল্লাহওয়ালাদের মর্যাদা:

হাদিস শরিফে আছে, একদা দুই নারীর মাঝে ঝগড়া হয়ে গেছে। ঝগড়ায় এক নারী অন্য জনের দাঁত ভেঙ্গে দিয়েছে। ইসলামি আইন অনুযায়ী দাঁতের বদলা দাঁত। যখন এ শাস্তি শোনানো হলো, যে নারীর দাঁত ভাঙ্গার ফয়সালা হলো তার পৃষ্ঠপোষক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি শপথ করে বলছি, তার দাঁত ভাঙ্গবে না।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সিদ্ধান্তের ওপর আপত্তি করা তার উদ্দেশ্য ছিল না। শত্রুতাও না। বরং আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা বলে দিয়েছে অবস্থা এমন সৃষ্টি হয়ে যাবে, আল্লাহ চাহে তো তার দাঁত ভাঙ্গবে না। যেহেতু তার অনুভূতি শত্রুতামূলক ছিল না এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সিদ্ধান্তের ওপর আপত্তি করা উদ্দেশ্য ছিল না, এ জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কথাটি খারাপ মনে করেননি।

যেখানে ইসলামে এ আইন আছে-দাঁতের বদলা দাঁত, চোখের বদলা চোখ, সেখানে ইসলামে এটাও রয়েছে-আক্রান্ত ব্যক্তি বা তার ওয়ারিসগণ যদি ক্ষমা করে দেয় তাহলে কিসাস রহিত হয়ে যাবে। বদলা নেয়ার কোনো প্রয়োজন থাকবে না। আল্লাহ তায়ালার করুণা, যে মহিলার দাঁত ভেঙ্গেছিল সে বলল, আমি মাফ করে দিলাম। তার ক্ষমা করায় কিসাসের অবসান হলো। তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, কোনো কোনো লোক আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রিয় হয়ে থাকে। তাদের বাহ্যিক অবস্থা হলে,  এলামেলো চুল, দুর্বল, কারো দরজায় গেলে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। তবে আল্লাহ তায়ালার কাছে তার এতো সম্মান যে, যদি সে আল্লাহর নামে কোনো শপথ করে বসে, আল্লাহ তার শপথ পূর্ণ করে দেন। এই ব্যক্তিও এমন, সে শপথ করে বলেছিল তার দাঁত ভাঙ্গা হবে না। আল্লাহর তার শপথ পূর্ণ করে দিয়েছেন। ওয়ারিশরা ক্ষমা করে দিয়েছে।

এ হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এদিকে ইঙ্গিত করলেন, এমন ব্যক্তি যে দেখতে দুর্বল, মানুষ তাকে দুর্বল মনে করে, তবে খোদাভীতি, আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে সম্পর্ক ও আল্লাহর এবাদতের বিচারে সে আল্লাহ তায়ালার এত প্রিয় যদি সে আল্লাহর নামে শপথ করে, আল্লাহ তায়ালা তা পূর্ণ করে দেন। এরূপ লোকই জান্নাতি।

কঠোর স্বভাব ক্ষতিকারক:

এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি তোমাদেরকে বলবো জাহান্নামী কারা? তারপর বললেন,

كل عتل جواظ مستكبر

প্রত্যেক যে ব্যক্তি কঠোর স্বভাবের হয়

এর অর্থ কঠোর স্বভাবের, রুঢ় ব্যক্তি, যে নম্ররতার সঙ্গে কথা বলে না। কঠোরতা ও ক্রোধের সঙ্গে কথা বলে, অন্যকে তুচ্ছ মনে করে। جواظ অর্থ চড়া মেজাজ, যার ললাটে সর্বদা ভাঁজ পড়ে থাকে, সাধারণ প্রকৃতির মানুষের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত হয় না। দুর্বল ও নিম্ন শ্রেণির লোাকদের সঙ্গে কথা বলাতে অপমানবোধ করে। সর্বদা আত্মম্ভরী থাকে।

مستكبر অহংকারী, যে নিজেকে বড় মনে করে এবং অন্যকে ছোট মনে করে। এ সকল গুণাবলীর অধিকারীদের ব্যাপারে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন জাহান্নামী। কারণ তারাই عتل, جواظمستكبر এবং তারা নিজেকে বড় মনে করে।

দরিদ্র লোক:

একদা মক্কার কাফেররা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলল, আমরা তো আপনার কাছে আসতে ও আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত আছি, তবে সমস্যা হলো আপনার কাছে সর্বদা সাধারণ প্রকৃতির দরিদ্র লোক বসে থাকে। তাদের সঙ্গে বসা আমাদের মর্যাদারপরিপন্থী। তাই আপনি তাদের ও আমাদের আলাদা আলাদা বসার ব্যবস্থা করুন। তখন আমরা আপনার কাছে এসে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত আছি।

বাহ্যত এতে কোনো মন্দত্ব ছিল না। তাদের জন্য ভিন্ন সময় নির্দিষ্ট করা হতো, সে সময় তারা দ্বীনের কথাবার্তা শুনতো। হয়ত দ্বীনের কথা শুনলে তাদের সংশোধন হয়ে যাবে। আমরা হলে তো মেনে নিতাম। আল্লাহ তায়ালা তৎক্ষণাত আয়াত অবতীর্ণ করেছেন-

و لا تطرد الذين يدعون ربهم بالغداة و العشي يريدون وجه

তাদেরকে বিতারিত করো না যারা তাদের প্রতিপালককে ডাকে সকাল-সন্ধ্যা তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্য

এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোষণা করে দিলেন, সত্যের আগ্রহ নিয়ে আসতে চাইলে তাদের সঙ্গে বসতে হবে। আর যদি বসতে না চাও তাহলে আল্লাহ ও তার রাসূল তোমাদের থেকে অমুখাপেক্ষী। তোমাদের জন্য ভিন্ন মজলিসের আয়োজন করা হবে না।


আরও খবর



ভারতের কাছে হার দিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

গত বছর ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালোই প্রতিরোধ দেখিয়েছিল বাংলাদেশ নারী দল। তবে এবার প্রথম ম্যাচে হারমানপ্রীত কৌরদের সামনে কোনো পাত্তাই পেল না টাইগ্রেসরা। বড় ব্যবধানে হেরে সিরিজ শুরু করল নিগার সুলতানার দল।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ নারী দলকে ৪৫ রানে হারিয়েছে ভারতীয় নারী দল। ভারতের দেয়া ১৪৬ রান তাড়া করতে নেমে নির্দিষ্ট ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান করেছে টাইগ্রেসরা।    

লক্ষ্যতাড়ায় নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে চার মেরে গোড়াপত্তন করেন দিলারা আক্তার। তবে পরের বলেই তাকে এলবিডব্লিউ করে সাজঘরে ফেরান রেণুকা সিং ঠাকুর। শুরুতেই উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন সোবাহানা মোস্তারি এবং মুর্শিদা খাতুন। তবে সেই সুযোগ দেননি রেণুকা। পঞ্চম ওভারে সোবাহানাকে বোল্ড করেন তিনি।

১৮ বলে ১৩ রান করে দীপ্তি শর্মার বলে আউট হন মুর্শিদা। বিপর্যয় সামাল দিতে এসে ১ রান করে আউট হয়ে ফেরেন ফাহিমা। ৩০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর স্বর্ণা আক্তারকে নিয়ে ৩২ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক নিগার। তবে রান এগিয়েছে খুব ধীরগতিতে।

১১ রান করে রাধার বলে স্বর্ণা আউট হওয়ার পর লড়াই থেকে একদমই ছিটকে যায় বাংলাদেশ। উইকেটের একপ্রান্তে নিগার লড়াই করে গেলেও হারটা তখন সময়ের ব্যবধান হয়ে দাঁড়ায়।

৪৮ বলে ৫১ রান করে শেষ ওভারে আউট হন নিগার। তবে এই রান হার এড়ানো তো দূরের কথা, লড়াইটাকে কাছাকাছিও নিয়ে যেতে পারেনি। ১০০ রানে থামে বাংলাদেশ।

এর আগে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ওভারে সুলতানা খাতুনের বলে স্মৃতি মান্ধানার সহজ ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন ফারিহা তৃষ্ণা। তবে মান্ধানাকে বড় রান করতে দেননি তৃষ্ণা। পরের ওভারে নিজে বোলিংয়ে এসে তুলে নেন মান্ধানার উইকেট।

মান্ধানা না পারলেও ব্যাট হাতে ভালো শুরু পেয়েছিলেন আরেক ওপেনার শেফালী ভার্মা। ২২ বলে ৩১ রান করেন তিনি। তাকে মুর্শিদার ক্যাচ বানিয়ে ফেরান রাবেয়া খাতুন। তৃতীয় উইকেটে হারমানপ্রীত কৌরের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়েন ইয়াস্তিকা ভাটিয়া।

বড় সংগ্রহের দিকেই এগোচ্ছিল ভারত, এমন সময় এসে জুটি ভাঙেন ফাহিমা। ২২ বলে ৩০ রান করে ফিরেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। পরের ওভারে ইয়াস্তিকাকে ফেরান রাবেয়া। ২৯ বলে ৬ চারে ৩৬ রান করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

শেষদিকে ভারতীয় ব্যাটারদের হাত খুলে খেলতে দেননি বাংলাদেশি বোলাররা। রিচা ঘোষের ২৩ রানের ক্যামিও ইনিংসে ১৪৫ রানের সংগ্রহ পায় সফরকারীরা।


আরও খবর



আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে টানা তীব্রতাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৮ শতাংশ।

গতকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ ডিগ্রি ৭ সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আজ চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী তিন দিন আরও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। ৪৩-৪৪ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে তাপমাত্রা। সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি।

তীব্র গরমে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। এ ছাড়া গরমে জেলা সদর হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া ও শিশু রোগীর সংখ্যা। ফলে ওয়ার্ডের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। বহির্বিভাগেও রয়েছে রোগীদের চাপ। প্রতিদিন গড়ে গরমজনিত কারণে ৭০০-৮০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহা. আতাউর রহমান।

এদিকে তীব্র গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। সব থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা। দিনে বাসায় থাকা দায় হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাতে মশার যন্ত্রণা। গরমের সঙ্গে ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ায় সারা রাত নির্ঘুম কাটাতে হচ্ছে।

মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চুয়াডাঙ্গা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আবু হাসান বলেন, জেলায় গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন এলাকায় প্রতিদিন প্রায় ১০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু সেখানে আমরা পাচ্ছি ৯০-৯২ মেগাওয়াট। তাই ঘাটতি পূরণ করতেই লোডশেডিং চলছে।

এদিকে তীব্র গরমে জেলাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে বৃষ্টি প্রার্থনা করলেও কৃষকরা এখনই বৃষ্টি চাচ্ছেন না। কয়েকজন কৃষক বলেন, তীব্র গরমে আমরাও অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। তবে এখন ধান কাটার মৌসুম চলছে। এ সময় বৃষ্টি হলে কৃষকরা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।


আরও খবর



মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু কখন জানালেন ঢাবি উপাচার্য

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নববর্ষ উদযাপনের ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান মঙ্গল শোভাযাত্রা। আগামীকাল সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে এ শোভাযাত্রা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড এ এস এম মাকসুদ কামাল।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

উপাচার্য বলেন, আমরা আগামীকাল বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে যাচ্ছি। আশা করছি, বিগত বছরের তুলনায় এ বছরও ভালো কাটবে। এবারের উপজীব্য বিষয় হলো অন্ধকারকে কাটিয়ে আলোর দিকে ধাবিত হওয়া। প্রতিবারের মতো এবারও চারুকলা অনুষদ দিবসটি উদযাপন করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, আগামীকাল সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হবে। যাত্রাটি চারুকলা থেকে শুরু হয়ে ঢাকা ক্লাব ও শিশু পার্ক ঘুরে টিএসসিতে এসে শেষ হবে। এছাড়া বিকেল ৫টা পর্যন্ত চারুকলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে।

উপাচার্য বলেন, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে ঢাবি ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো রকম ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো ও বিক্রি করা যাবে না। এছাড়া ইভটিজিং প্রতিরোধ পুলিশ প্রশাসন ও প্রক্টোরিয়াল টিম প্রস্তুত থাকবে। এ শোভাযাত্রায় কোনো বাণিজ্যিক প্রচারণা করা যাবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটি বন্ধ রাখা হবে। আগত দর্শনার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত পানি ও মোবাইল টয়লেটের সুবিধা রাখা হয়েছে।


আরও খবর



গুলশানে বারের সামনে চুলোচুলি, সেই ৩ নারী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের ক্যাফে সেলেব্রিটা বারের সামনে সম্প্রতি কয়েকজন নারীর চুলোচুলি ও মারামারির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

গ্রেপ্তার তরুণীরা হলেন- শারমিন আক্তার মিম, নুসরাত আফরিন বৈশাখী ও ফাহিমা ইসলাম।

হারুন অর রশীদ বলেন, বারের সামনে কয়েকজন নারীর মধ্যে হাতাহাতির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মামলা করেন। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্ত ৩ নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে, গত ১৪ এপ্রিল বারের সামনে সাদা পোশাক পরা নারী ও লাল শাড়ি পরা এক নারীর মধ্যে হাতাহাতির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

এতে দেখা যায়, হাতাহাতির সময় চিৎকার করছিল নারীরা। কয়েকজন পুরুষ তাদেরকে থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।


আরও খবর



পদ্মায় গোসলে নেমে তিন কিশোরের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীতে পদ্মায় গোসল করতে নেমে নিখোঁজ তিন কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজশাহীর শ্যামপুর বালুর ঘাটে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় ওই তিন কিশোর। পরে বিকেল ৩টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তারা হলো রাজশাহী মহিতার থানা এলাকার রেন্টুর ছেলে মো. যুবরাজ (১২), মতিহার এলাকার নুর ইসলামের ছেলে নুরুজ্জামান (১২) ও একই এলাকার লিটনের ছেলে আরিফ (১৩)।

রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু শামা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দুপুর ১টার দিকে রাজশাহীর শ্যামপুর বালুর ঘাটে পদ্মায় গোসল করতে যায় বেশকিছু কিশোর। তাদের মধ্যে তিনজন পানিতে ডুবে যায়। পরে খবর পেয়ে ডুবুরিরা উদ্ধার তৎপরতা চালান। পরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

রাজশাহী নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর