আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া পারাপার হবে স্বস্তির, চলবে ২১ ফেরি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় এবারের ঈদযাত্রায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ভোগান্তি পোহাতে হবে না। বরং এই রুট ব্যবহারকারী যাত্রী ও যানবাহন চালকরা সহজেই ফেরিতে উঠতে পারবেন, সম্ভব হবে স্বস্তির পারাপার। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) বেলা ১১টায় গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ঘাট ব্যবস্থাপনায় প্রস্তুতি সভায় এমনটাই জানান সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, ঈদুল আজহায় অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সামাল দিতে এবার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে চলাচল করবে ২১টি ফেরি ও ২২ ছোট-বড় লঞ্চ চলাচল। প্রয়োজন আরও একটি ফেরি বাড়ানো হবে। তবে ঈদযাত্রায় যেন কোনও ভোগান্তি না হয় সে বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

তবে বিগত বছরগুলোতে ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে গত ২৫ জুন মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর পাল্টে গেছে দৌলতদিয়া ঘাটের চিত্র। অতীতে দৌলতদিয়ায় মহাসড়কে ফেরির অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতো যানবাহন। তবে এখন যানবাহনের কোনও সিরিয়াল ঘাট এলাকায় দেখা যায় না। ফলে এবারের ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি থাকবে না বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে অনুষ্ঠিত সভায় ইউএনও মো. জাকির হোসেন বলেন, আসন্ন ঈদে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে যাতায়াতকারীরা যাতে কোনও ভোগান্তির শিকার না হয়, সে জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নৌরুটে পর্যাপ্ত ফেরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাত্রীদের কাছ থেকে যাতে কেউ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে, সে লক্ষ্যে কঠোর নজরদারি থাকবে। এছাড়া মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন কোনও গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, ঈদে মানুষের যাতায়াতের পাশাপাশি কোরবানির পশুবাহী গাড়ি দৌলতদিয়া ঘাট হয়ে পারাপার হচ্ছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। বাস মালিকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে আপনারা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করবেন না। ভাড়ার তালিকা টানিয়ে দেবেন। এসময় করোনার সংক্রমণ বাড়ায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার  আহ্বান জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সী, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদারসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা, জেলা বাস মালিক সমিতির প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ঈদে ৯০ লাখ মানুষ সড়কপথে ঢাকা ছাড়বে

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার প্রায় দেড় কোটি মানুষ স্বজনদের কাছে যাবে। এসব মানুষ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনসহ ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বসবাস করে। এই বিপুলসংখ্যক ঈদযাত্রীর ৬০ শতাংশ যাবে সড়কপথে। এই হিসেবে সড়কপথের যাত্রীসংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ। অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ মানুষ নৌ ও রেলপথে ঢাকা ছাড়বে।

আজ সোমবার প্রকাশিত নাগরিক সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির ঈদপূর্ব পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো এবং সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে ঈদ যাতায়াতে জনদুর্ভোগ অনেক কমতে পারে বলে প্রতিবেদনে আশা প্রকাশ করা হয়।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে জানান, বিগত বছরগুলোর মতো এবারও সড়কপথে জনভোগান্তি ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তবে নির্বিঘ্ন ঈদ যাতায়াতের জন্য সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। আশা করছি এবারের ঈদ যাতায়াতে জনদুর্ভোগ অনেক কমতে পারে।

সর্বশেষ জনশুমারির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা বিভাগে ৪ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাস করে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার জনসংখ্যা যথাক্রমে ৫৯ লাখ ৭৯ হাজার ৫৩৭ ও ৪২ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪৫। দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ গার্মেন্টস শিল্প (পোশাক কারখানা) গাজীপুর অঞ্চলে হওয়ায় গাজীপুর মহানগরের জনসংখ্যা এখন প্রায় ৭০ লাখ। নারায়ণগঞ্জ মহানগরে বাস করে ২৫ লাখ মানুষ। তিন শহরের বাইরে এসব জেলায় আরো প্রায় ৫০ লাখ মানুষ বাস করে। এছাড়া নরসিংদী ও মানিকগঞ্জ জেলার জনসংখ্যা যথাক্রমে ২৬ ও ২০ লাখ।


আরও খবর



আগামীকাল থেকে ভারতের লোকসভা নির্বাচন শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতে ৭ দফার লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। এ দফায় উত্তরপ্রদেশে আটটি আসন, বিহারের চারটি আসন ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের তিন আসনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর ৩৯ আসনের সব কটিতে ভোট হয়ে যাচ্ছে প্রথম দফায়। এরপর রয়েছে বিজেপিশাসিত রাজস্থান, সেখানে ২৫ আসনের অর্ধেক অর্থাৎ ১২টি আসনে এদিন নির্বাচন হবে।

উত্তর প্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে ভোট হবে ৮টিতে এবং পূর্ব ভারতে প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই। পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গ। এ ছাড়া উত্তর-পূর্ব ভারতের সংঘাতবিধ্বস্ত মণিপুরের দুটি আসনেই ভোট হবে আগামীকাল।

এদিকে ৫৪৩ আসনের লোকসভায় বিজেপি এবার দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছে। ক্ষমতাসীন এনডিএ জোটের নেতা ভারতীয় জনতা পার্টি এককভাবে এবার ৩৭০ আসনের টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছে। আর জোটগতভাবে তাদের লক্ষ্য ৪০০ আসন। গেলবার বিজেপি-এনডিএ জোট ৩০৩ আসন পেয়েছিল, যেখানে লক্ষ্য ছিল ৩০০ আসন। অর্থাৎ ২০১৯ সালের চেয়ে এবার ১০০টি আসন বেশি পেতে চাইছে জোট।

তবে জনমত জরিপগুলো বলছে, বিজেপি ও এর মিত্ররা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনে জয়ী হবে। জনমত জরিপে ন্যূনতম ৩৭৩টি আসনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের জয়ের আভাস দিয়েছে এবিপি নিউজ। আর পশ্চিমবঙ্গে ৪২টির মধ্যে ২১টি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের ইঙ্গিত দিয়েছে টিভি-নাইনের জনমত জরিপ।

ভারতজুড়ে বিভিন্ন স্থানে ৭ দফায় ভোট গ্রহণ চলবে। প্রথম দফায় ভোট শুরু হচ্ছে ১৯ এপ্রিল। এরপর ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে ও ১ জুন সর্বশেষ দফায় ভোট হবে। ফল ঘোষণা হবে ৪ জুন।


আরও খবর



প্লাস্টিক দূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী কোকা-কোলা ও পেপসিকো: গবেষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক দূষণের অর্ধেকের জন্য দায়ী মাত্র ৫৬টি কোম্পানি। এর মধ্যে কোকা-কোলা একাই মোট ১১ শতাংশ প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। কোকা-কোলা ছাড়াও ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে (শনাক্তকৃত) পেপসিকো, নেসলে এবং ড্যানোন।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) 'সায়েন্স অ্যাডভান্স' জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় ছয়টি মহাদেশের বেশ কিছু বড় কোম্পানি বা ব্র্যান্ড এর নাম উঠে এসেছে, যারা ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের সাথে জড়িত। গবেষকরা এক লাখের বেশী স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় ১ দশমিক ৮ মিলিয়নের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য তাদের গবেষণার জন্য আলাদা করেছেন।

প্রতি বছর বিভিন্ন কোম্পানি সাড়া পৃথিবীতে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মেট্রিক টন প্লাস্টিক উৎপাদন করে। এই প্লাস্টিকের কিছু নদী বা সমুদ্র সৈকতে জমা হয়ে পানির স্বাভাবিক স্রোতে বাধা সৃষ্টি করে। আবার কিছু প্লাস্টিক ভেঙ্গে অতিক্ষুদ্র মাইক্রোপ্লাস্টিক বা ন্যানোপ্লাস্টিকেও পরিণত হয়। এ ধরনের অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক বাতাসে ভাসতে পারে। এমনকি মানুষের ফুসফুস ও রক্তসহ অন্যান্য অঙ্গে প্রবেশ করতে পারে।

তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্লাস্টিক 'নিরীক্ষা' পরিচালনা করেছেন। তারা সতর্কতার সাথে সমুদ্র সৈকত, পার্ক, নদী এবং অন্যান্য এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে প্লাস্টিকের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করেছেন। তারা প্লাস্টিক বর্জ্যের প্রতিটি অংশ পরীক্ষা করে দৃশ্যমান ব্র্যান্ড বা ট্রেডমার্ক চিহ্নিত করেছে। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ব্রেক ফ্রি ফ্রম প্লাস্টিক নামের সংস্থাটি এক হাজার ৫৭৬টি নিরীক্ষা সমন্বয় করেছে।

পরীক্ষা চালানো ১ দশমিক ৮ মিলিয়নেরও বেশি প্লাস্টিকের মধ্যে প্রায় ৯ লাখ ১০ হাজার প্লাস্টিকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান চিহ্ন পাওয়া গেছে। [সূর্যালোক এবং আবহাওয়ার সংস্পর্শে আসার কারণে প্লাস্টিক তার ব্র্যান্ড মার্কারগুলো (চিহ্ন) হারাতে পারে।]  ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান চিহ্নের ওপর ভিত্তি করে ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী শীর্ষ কোম্পানিগুলো (শনাক্তকৃত) হলো কোকা-কোলা, পেপসিকো, নেসলে এবং ড্যানোন।

কোকা-কোলার একজন মুখপাত্র মেইলে কোম্পানিটির 'ওয়ার্ল্ড উইদাউট ওয়েস্ট' নামক কৌশলের কথা উল্লেখ করে জানান, কোকা-কোলা ২০২৫ সালের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী শতভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্যাকেজিং ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে কোম্পানিটি প্যাকেজিংয়ের জন্য ৫০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করতে চায়।

এ ছাড়া নেসলে জানিয়েছে, নতুন প্লাস্টিকের ব্যবহার এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনা এবং প্যাকেজিংয়ের জন্য আরো বেশি করে পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করা কোম্পানির মূল লক্ষ্য। আর পেপসিকো ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়েছে, কোম্পানিটি প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় একটি বৈশ্বিক নীতি কাঠামোর পক্ষে এবং এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তুলতে কাজ করছে যেখানে প্লাস্টিক পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব।

এদিকে বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক সমস্যা সমাধানে একটি চুক্তি করার ব্যাপারে আলোচনার জন্য এই সপ্তাহে অটোয়াতে বিশ্ব নেতারা এবং মধ্যস্ততাকারীরা একত্রিত হবেন। অনেক পরিবেশগত সংস্থা এবং দেশগুলো এমন একটি চুক্তি চায় যা প্লাস্টিক উৎপাদন হ্রাস করবে যা মার্কিন মধ্যস্ততাকারীরা প্রতিরোধ করে আসছে। শিল্প গোষ্ঠী এবং সংস্থাগুলো যুক্তি দিয়েছে, বারবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক উৎপাদন, উন্নত রিসাইকেল ব্যবস্থা এবং উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লাস্টিক উৎপাদন ব্যাহত না করেই এ সমস্যাটির সমাধান করতে পারে।

ওয়ার্ল্ড প্লাস্টিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বেনি মারম্যানস বলেন, "আমাদের সদস্যরা বারবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের সরবরাহ বাড়াতে বিভিন্ন অবকাঠামোতে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে যাতে ব্যবহৃত প্লাস্টিকগুলো বর্জ্য, ভূমি বা পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে পরিবেশে প্রবেশ করতে না পারে।" তবে প্লাস্টিক শিল্পের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টদের দাবি, প্লাস্টিক বিশ্ব অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। এর উৎপাদন কমালে তা নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

গবেষকরা শুধু পুনর্ব্যবহার বাড়ানো বা বৃত্তাকার অর্থনীতির গুরুত্বের উপর জোর না দিয়ে প্লাস্টিক উৎপাদন কমানোর বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন। তেল ও গ্যাস উৎপাদনকে লক্ষ্য করে জলবায়ু নীতি থাকা সত্ত্বেও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে তৈরি হওয়া প্লাস্টিক এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখছে। আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা ধারণা করছে, প্লাস্টিকের জন্য এ শতাব্দীর মাঝামাঝি তেলের চাহিদা অর্ধেক বৃদ্ধি পাবে। আর বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, প্লাস্টিক উৎপাদনে বিধিনিষেধ না থাকায় সেটি পরিবেশের ক্ষতি করার পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।


আরও খবর
বন্যায় কেনিয়াতে ৭০ জনের মৃত্যু

শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪




জামালপু‌রের সরিষাবাড়ীতে ১৩ গ্রামে ঈদ উদযাপন

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ১৩ গ্রামের মানুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। ব্যাপক উৎসাহ এবং উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদের নামাজ পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও অংশগ্রহণ করেন। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে পৌরসভার বলার দিয়ার মাস্টার বাড়ী জামে মসজিদ মাঠে এ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বুধবার (১০ এপ্রিল,) সকাল ৮টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। বলার দিয়ার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আজিম উদ্দিন মাস্টার ঈদুল ফিতরের নামাজে ইমাম হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়াও উপজেলার বলারদিয়ার, মুলবাড়ী, সাতপোয়া, সাঞ্চারপাড়, পঞ্চপীর, পাখাডুবি, বনগ্রাম, বালিয়া, বাউসী,  হোসনাবাদ, পাটাবুগা, পুটিয়ারপাড়, ও বগারপাড় গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক মানুষ এ নামাজে অংশগ্রহণ করেন।  নারীদের জামাতে নামাজ আদায় করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়। 

এ ব্যাপারে বলার দিয়ার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আজিম উদ্দিন মাস্টার বলেন, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রমজানের রোজা শুরু হয়। তাই তাদের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতরের নামাজ ও ঈদ আনন্দ উদযাপন করে থাকি আমরা।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ উপজেলায় একদিন আগে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।  তারই ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার সকালেও সুষ্ঠু এবং সুশৃঙ্খলভাবে এ উপজেলায় দুইটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদ পুনর্মিলনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদ পুনর্মিলনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে সকাল ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের শহীদ ডা. মিলন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ও কর্মচারীবৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান খান, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, বেসিক সাইন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, প্রিভেনটিভ এ্যান্ড স্যোশাল মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোঃ আতিকুল হক তুহিন, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ রেজাউর রহমান, পরিচালক (সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ আব্দুল্লাহ আল হারুন, বিএসএমএমইউ স্বাচিপের সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো প্রমুখসহ বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষক, চিকিৎসক, শিক্ষার্থীগণ, পরিচালকবৃন্দ, অফিস প্রধানগণ, কর্মকর্তাবৃন্দ, নার্স ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতাল স্বাভাবিক নিয়মে সম্পূর্ণরূপে খুলেছে।


আরও খবর