বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে অনার্সে ভর্তির জন্য ডোপ টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট তৈরির অভিযোগ উঠেছে। র্যাব-১২ স্পেশাল ক্যাম্পের সদস্যরা বৃহস্পতিবার রাতে কামারগাড়ি এলাকার ফটোস্ট্যাট ও কম্পিউটার কম্পোজের দোকান থেকে রাসেল মাহমুদ (২৫) নামে এক শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছেন।
তার কাছে সরকারি হাসপাতালের সিল ও স্বাক্ষর ব্যবহার করা ডোপ টেস্টের ২৩টি জাল রিপোর্ট পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে সদর থানায় মামলা হয়েছে। থানায় সোপর্দের পর শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার র্যাব কার্যালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাব কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার সোহরাব হোসেন জানান, রাসেল মাহমুদ গাইবান্ধার সাপমারা গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে। তিনি আজিজুল হক কলেজে ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। রাসেল কলেজ গেট এলাকায় কামারগাড়িতে রাসেল কম্পিউটার অ্যান্ড ফটোস্ট্যাট নামে এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক।
গোপনে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি ডোপ টেস্টের ২২-২৩টি ভুয়া সনদ উদ্ধার ও প্রতিষ্ঠানের মালিক সরকারি আজিজুল হক কলেজে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রাসেল মাহমুদকে গ্রেফতার করা হয়।
সনদগুলো বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের চিকিৎসকের জাল স্বাক্ষর করা। পরে রাসেলকে সদর থানায় সোপর্দ ও তার বিরুদ্ধে র্যাবের পক্ষে মামলা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অন্য কলেজগুলো ডোপ টেস্ট রিপোর্ট না চাইলেও ওই কলেজে তা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে অভিভাবকদের ৯০০ থেকে আড়াই হাজার টাকা ব্যয় কতে হচ্ছে। এ সুযোগের কলেজের আশপাশে কম্পিউটার দোকানগুলো জাল সনদের ব্যবসা শুরু করে। দোকানগুলোতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় সনদ বিক্রি করা হয়।
দোকানী সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসকের সিল-স্বাক্ষর তৈরি করেন। এসব সিল-স্বাক্ষর দেওয়া জাল সনদপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই শিক্ষার্থীর শরীরে মাদকের উপস্থিতি নেই।