২০২০ সালে জর্জিয়ায় নির্বাচনী ফলাফল উল্টে
দেওয়ার চেষ্টা মামলায় আত্মসমর্পণ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই তাকে গ্রেফতার দেখানো
হয়। তবে গ্রেফতারের কয়েক মিনিট পরেই মুক্তি দেওয়া হয় তাকে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুক্তি
পেতে দুই লাখ ডলার বন্ড হিসেবে দিতে হয়েছে সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টকে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প মামলাটিকে বিচারের নামে
প্রহসন বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ নিয়ে গত পাঁচ মাসে ফৌজদারি মামলায় চারবার গ্রেফতার হলেন
ট্রাম্প।
ট্রাম্প ও তার ১৮ সহযোগী ২০২০ সালে জর্জিয়ায়
নির্বাচনের ফল বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন, এমন অভিযোগ আনা হয় গত ১৪ আগস্ট। ওই দিন
৯৮ পৃষ্ঠার একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে ট্রাম্পসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে
৪১টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযুক্তদের সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র হিসেবে
আখ্যা দেওয়া হয়। জর্জিয়ার গ্র্যান্ড জুরি ট্রাম্পসহ তাদের বিরুদ্ধে র্যাকিটেরিং ইনফ্লুয়েন্সড
অ্যান্ড করাপ্ট অর্গানাইজেশন (আরআইসিও) আইন ভঙের অভিযোগ এনেছেন।
২০২৪ সালের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে পরবর্তী
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ট্রাম্প এরই মধ্যে সে নির্বাচনে লড়াইয়ের ঘোষণা
দিয়ে রেখেছেন। এছাড়া প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নের দৌড়ে থাকা রিপাবলিকান
পার্টির অন্য নেতাদের চেয়ে জনমত জরিপে অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। এমন পরিস্থিতিতে
সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার বিরুদ্ধে আনা জালিয়াতি চেষ্টার অভিযোগকে রাজনৈতিক
উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন।
২০২১ সালের ২ জানুয়ারি জর্জিয়ার প্রধান
নির্বাচনী কর্মকর্তা ব্র্যাড র্যাফেনসপারগারকে ফোন করে অঙ্গরাজ্যটিতে নিজের পরাজয়
ঠেকানোর ব্যবস্থা করতে বলেন ট্রাম্প। কিন্তু ব্র্যাড তার এ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন।
এর চারদিন পর ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের সমর্থকরা মার্কিন গণতন্ত্রের প্রতীক
ক্যাপিটল হিলে আক্রমণ করেন। ওইদিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে সিনেটের স্বীকৃতি
দেওয়ার কথা ছিল।