আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

দোহারে বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ পদকপ্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

ঢাকার দোহার উপজেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়েছে। রোববার উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা সভা কক্ষে এ আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাশ্বের আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন।

এসময় মো. আলমগীর হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন নির্যাতিত ও শোষিতের পক্ষে। বঙ্গবন্ধুর শান্তির বাণী ছড়িয়ে পড়ুক দেশ ও দেশের বাইরে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম মোস্তাফিজুর রহমান, পৌরসভার মেয়র মো. আলমাস উদ্দিন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জসিম উদ্দিন, দোহার থানার ওসি তদন্ত আজহারুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা রজ্জব আলী মোল্লা, ফজলুল হক, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা ইসলাম বিথী, বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ চোকদার প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা।

নিউজ ট্যাগ: জুলিও কুরি পদক

আরও খবর



ফেনীতে খড়ের গাদায় দুই সন্তানসহ মায়ের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
রাজিব মাসুদ, ফেনী

Image

ধানের খড়ের গাদার নিচে চাপা পড়ে দুই শিশুসহ ও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার আমজাদ হাট ইউনিয়নের দক্ষিণ ধর্মপুর গ্রামের ফকির বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত সুমি আক্তার (৩৫) সকালে গবাদি পশুর জন্য খড় কাটছিলেন। তার দুই সন্তান শাহিদ (৫) ও সিয়াম (২) তার পাশে খেলছিলেন। হঠাৎ খড়ের গাদাটি ভেঙ্গে পড়ে যায়। তাৎক্ষনিক দুই সন্তানসহ সুমি আক্তার ধানের খড়ের গাদায় চাপা পড়ে। পরবর্তীতে তাদের উদ্ধার করে ছাগলনাইয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে নিহতদের লাশ ছাগলনাইয়া সদর হাসপাতালে রয়েছে। নিহত সুমি আক্তার বাহরাইন প্রবাসী টিপু আলমের স্ত্রী ও দুই সন্তান।

ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম জানান, দুই শিশু ও এক নারীর নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



প্রতারণার অভিযোগে জেরিন খানের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

প্রতারণার অভিযোগে অভিনেত্রী জেরিন খানের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) কলকাতার একটি আদালত বলিউডের এই অভিনেত্রীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

২০১৮ সালে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণার ৬টি অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল জেরিন খানের। বেশ কয়েকটি কালী পূজার উদ্বোধন করার কথাও ছিল তার। ভিডিও বার্তায় জেরিন খান কলকাতায় অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন। এজন্য অগ্রিম ১২ লাখ রুপি নেন তিনি। কিন্তু তিনি কোনো অনুষ্ঠানেই উপস্থিত হননি। 

পরে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৬, ৫০৬, ১২০ বি ও ৪২০ ধারায় নারকেল ডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানটি। এ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হলেও হাজির হননি জেরিন খান কিংবা তার আইনজীবী। তারই পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা বিশাল গুপ্ত বলেন, অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে জেরিন খান আমাদের জানান, তিনি আসবেন না। কারণ তার কলকাতায় আসার ইচ্ছা নেই। ততদিনে আমরা অগ্রিম ১২ লাখ রুপি জেরিন খানকে দিয়ে দিয়েছি। তাছাড়া উনি আসবেন এজন্য সারা শহরে ব্যানারও লাগানো হয়েছিল। এতে আমাদের কয়েক লাখ রুপি খরচ হয়। সব মিলিয়ে আমরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই। অর্থ ফেরত না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হই।

বীর সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন জেরিন খান। যেখানে সালমান খানের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এরপর হেট স্টোরি-থ্রি, হাউজফুল, ওয়াজা তুম হো, রেডি সিনেমায় দেখা গেছে এই অভিনেত্রীকে।

নিউজ ট্যাগ: জেরিন খান

আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর ১০ম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রশ্নপত্র দেওয়ার লোভ দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেওয়ায় বিদ্যালয় এর সহকারী ইংরেজি শিক্ষক সাকিল আরাফাত এর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করে।

এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের বহিষ্কার ও শাস্তির দাবি নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে এবং শিক্ষকের অপকর্ম ফাঁস করতে থাকে।

গ্রেফতার শাকিল আরাফাত ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার ফরাশপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

মামালা সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী ইংরেজি শিক্ষক শাকিল আরাফাত এর কাছে প্রাইভেট পড়তো একই বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী। সকালে প্রাইভেট পড়তে আসার সময় অভিযুক্ত শিক্ষক সাকিল আরাফাত তার ছাত্রীকে নির্দিষ্ট সময়ের ২ ঘন্টা আগে তার রুমে ডাকেন অষ্টম শ্রেণির খাতা দেখে দেওয়ার জন্য। ওই ছাত্রী শিক্ষকের কথা মত সকালে তার বাসায় যায়। সকালে বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে ছাত্রীকে তার বেড রুমে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতহানির চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী ঘর থেকে বেরিয়ে পালিয়ে আসে। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক শাকিল আরাফাতকে গ্রেফতার করেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, ইতিমধ্যে শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরত্ব দিয়ে দেখছি। এর সঠিক বিচার নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে ৪ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজা সীমান্ত এবং পশ্চিমতীরের জেনিনে ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে ফিলিস্তিনিদের। এ ঘটনায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় আবারও ঝরল চার ফিলিস্তিনির প্রাণ। এ ছাড়া দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৩০ জন। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। খবর রয়টার্সের।

বিবৃতিতে ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, গাজা উপত্যাকার নিরাপত্তাবেষ্টনীর সামনে সহিংসতায় জড়ো হয়েছিলেন শত শত ফিলিস্তিনি। তখন দাঙ্গাকারীদের কয়েকজন বিস্ফোরক ডিভাইস সক্রিয় করে। বিস্ফোরণে কেউ হতাহত হয়েছেন কিনা, তা নিশ্চিত করেনি কোনো পক্ষ। 

আরও পড়ুন>> বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ২৩ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেন, সীমান্তে ২৫ বছর বয়সি ইউসুফ রাদওয়ান ঘাড়ে গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই মারা যান। সহিংসতায় আরও ১১ জন আহত হন। এদিকে জেনিনে ইসরাইলি হামলায় আরও তিন ফিলিস্তিনি যুবক নিহত হয়েছেন।

ইসরাইলের দাবি, অভিযান চালানোর সময় সামরিক বাহিনীর গাড়ির নিচে বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরণ ঘটে। আইডিএফ জানিয়েছে, অভিযান চলাকালে বন্দুকধারীরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে।

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেনেহ বলেন, গাজা, জেনিন এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি শহরে আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে চলমান ইসরাইলি আগ্রাসন পুরো অঞ্চলে সহিংসতা আরও উসকে দেবে।


আরও খবর



যেসব সুবিধা মিলবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে

প্রকাশিত:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

পদ্মাসেতু, মেট্রোরেলের পর যোগাযোগ খাতে নতুন যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। যানজট নিরসনে দেশে প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। সিগন্যাল, ট্রাফিক জ্যামবিহীন এমন এক উড়াল সড়ক দেশের মানুষের জন্য এখন আর কল্পনা নয়, বাস্তব।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) নতুন এক ইতিহাসের সাক্ষী হলো বাংলাদেশ। দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ছয়টা থেকে সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেয়া হবে এই উড়ালসড়ক। এরপর এই সড়ক দিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে কাওলা থেকে ফার্মগেটের তেজগাঁও আসতে সময় লাগবে মাত্র ১০ থেকে ১২ মিনিট।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বা উড়াল মহাসড়ক নির্মাণে নেয়া এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য রাজধানীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে নিরবচ্ছিন্ন চলাচল নিশ্চিত করা। ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি প্রকল্পটির চুক্তি স্বাক্ষর হয়। কিন্তু জমি বুঝে না পাওয়া, নকশায় জটিলতা ও অর্থায়নের অভাবে এর নির্মাণ কাজে কেটে গেছে এক যুগের বেশি সময়। তবে কয়েক বছর ধরে প্রকল্পটির বিমান বন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত কাজে গতি পায় কয়েকগুণ। পূর্ণাঙ্গ এক্সপ্রেসওয়েটি হবে ফার্মগেট, তেজগাঁও, মগবাজার হয়ে চিটাগাং রোডের কুতুবখালী পর্যন্ত। মোট ২০ কিলোমিটার সড়কের সাড়ে ১১ কিলোমিটার পথ খুলে দেয়া হচ্ছে প্রথম পর্যায়ে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, এটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কাওলা) থেকে শুরু করে মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার হয়ে কুতুবখালী গিয়ে শেষ হবে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৫ শতাংশ। ২০২৪ সালের জুনে কাজ শেষ করার লক্ষ্য প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশের মেইন লাইনের দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৫ কিমি এবং র‍্যাম্পের দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক শূন্য কিমি। র‍্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য ২২ দশমিক ৫ কিমি। এ অংশে ওঠানামার জন্য ১৫টি র‍্যাম্প (এয়ারপোর্ট-২, কুড়িল-৩, বনানী-৪, মহাখালী-৩, বিজয় সরণি-২ ও ফার্মগেট-১) রয়েছে। এরমধ্যে ১৩টি র‍্যাম্প যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

উড়ালসড়কটি তৈরি হচ্ছে সরকারের সেতু বিভাগের তত্ত্বাবধানে। মূল উড়ালসড়ক ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পে ওঠা-নামার জন্য ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র‌্যাম্প (সংযোগ সড়ক) রয়েছে।  র‌্যাম্পসহ উড়ালসড়কের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠা-নামার পদ্ধতি

বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট যেতে কাওলা, কুড়িল আর গলফ ক্লাবে ওঠার ব্যবস্থা থাকবে। একদিকে নামা যাবে বনানী ও মহাখালী আর ফার্মগেটে। অন্যদিকে, তেজগাঁও থেকে বিমানবন্দর যেতে বিজয় সরণি ওভারপাসের দুই প্রান্ত আর বনানী থেকে থাকবে ওঠার ব্যবস্থা। নামা যাবে মহাখালী, বনানী, কুড়িল ও বিমানবন্দর এলাকায়।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে মিলবে যেসব সুবিধা

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে কমবে ঢাকার যানজট। ফলে কমবে জনগণের ভোগান্তিও। এমনটাই বলছেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে এক্সপ্রেসওয়ে থেকে যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে-

নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে। আগে যেখানে বিমানবন্দর দিয়ে রাজধানীতে প্রবেশের পর যানজটের কারণে গন্তব্যে পৌঁছতে কত সময় লাগবে তা নির্দিষ্ট করে বলার উপায় ছিলো না। তবে উড়াল সড়ক দিয়ে এই পথ পাড়ি দিতে গাড়িতে সময় লাগবে ১০ থেকে ১২ মিনিট।

কর্মঘণ্টা বাঁচবে: ঢাকার অন্যতম ব্যস্ত রুট এটি। এই রাস্তায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করেন। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালুর ফলে একদিকে উড়ালপথে দ্রুত যাতায়াত করা যাবে, অন্যদিকে নিচের সড়কে গাড়ির চাপ কমবে। এতে দুর্বিষহ যানজটের স্বস্তি মিলবে। ফলে ঢাকাবাসীর কর্মঘণ্টা বাঁচবে।

অর্থনৈতিক উন্নয়ন: রাজধানীর উত্তর অংশে গাজীপুর শিল্পাঞ্চল। সেখানকার বেশিরভাগই তৈরি পোশাক শিল্প। এসব রফতানি পণ্য রাজধানীর যানজট পেরিয়ে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরসহ নির্ধারিত গন্তব্যে যাওয়া ছিল বেশ ঝক্কির বিষয়। তবে সেই কষ্টের দিন ফুরাবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে। এই উড়াল সড়ক ধরে রাজধানীর চিরায়ত যানজট এড়িয়ে কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে রফতানি পণ্যবাহী যানবাহন। এতে দেশের অর্থনৈতিক চাকা আরও সচল হবে।

স্মার্ট বাংলাদেশের পথে: এই উড়াল সড়ক দেশের জন্য নতুন দিগন্তের দুয়ার খুলে দেবে এবং সরকারের যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিশন রয়েছে, সেই লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেবে। এর ফলে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ রাজধানীবাসীর দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে জড়িত অনেক বিষয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে।

ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলে সুবিধা: উন্নত বিশ্বের শহরগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা যেখানে কমিয়ে আনা হচ্ছে সেখানে বাংলাদেশে ঘটছে এর উল্টোটি। ঢাকায় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করে। প্রতিদিন যোগ হচ্ছে প্রায় ৪০টি নতুন ব্যক্তিগত গাড়ি। বাড়ছে মোটরসাইকেলের সংখ্যাও। ব্যক্তিগত গাড়ির কারণে রাজধানীতে বাড়ছে যানজট-বিশৃঙ্খলা। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যক্তিগত গাড়ি যাদের রয়েছে তারা যখন এই উড়াল সড়ক ব্যবহার করবেন তখন নিচের সড়কের চাপ অনেকটাই কমবে।

এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাবেক সভাপতি আকতার মাহমুদ বলেন, মূলত প্রাইভেট গাড়ি এবং আন্তঃজেলা বাসগুলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধা বেশি পাবেন। নগরের মধ্য অঞ্চলে যারা বসবাস করে যেমন ফার্মগেট বা এর আশেপাশের এলাকা থেকে যখন কেউ বিমানবন্দর বা উত্তরার দিকে যাবে তারা এই সুবিধাটা ভালোভাবে ভোগ করতে পারবেন। আগে যেমন ফার্মগেট থেকে কেউ উত্তরার দিকে বা বিমানবন্দর এলাকায় যেতে চাইতো তখন মাঝপথে অনেক জ্যাম পোহাতে হতো। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের মাধ্যমে মাত্র ১০ থেকে ১২ মিনিটের মধ্যে সে ফার্মগেট থেকে বিমানবন্দর এলাকায় চলে যেতে পারবেন।

আকতার মাহমুদ আরও বলেন, ঠিক একইভাবে বিমানবন্দর থেকে যখন আন্তঃজেলা বাসে যারা ঢাকায় আসতো তাদের একটা বড় ট্রাফিক জ্যাম উপেক্ষা করে এখানে আসতে হতো, কিন্তু এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের মাধ্যমে কিন্তু তাদের এই কষ্টটা হবে না।

এদিকে বিআইপির সাবেক সভাপতি আকতার জানান, এক্সপ্রেসওয়ের র‌্যাম্পগুলো যে সড়কে গিয়ে নেমেছে সেই সড়কগুলো কিন্তু আগের অবস্থায় রয়েছে। ছয় লেন দিয়ে যাতায়াত করা গাড়িগুলো যদি প্রেসক্লাবের দিকে যেতে চায় তখন এই গাড়িগুলো এসে দুই লেনের মধ্যে পড়বে। সেখানে একটা বটোম নেক তৈরি হবে। অন্যদিকে এয়ারপোর্ট পার হওয়ার পর ওই জায়গায় বিআরটিএর কাজসহ বেশ কিছু উন্নয়নযজ্ঞ চলছে, এগুলো কিছুটা যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।

তবে এই সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব বলে জানান তিনি। বলেন, যদি আমরা র‌্যাম্পে উঠা-নামার জায়গায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাটা ঠিক মতো রাখতে পারি এবং বিআরটিএর কাজগুলো বা উন্নয়নযজ্ঞ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করতে পারি, তখন আর কোন অসুবিধা থাকবে না। এই উড়াল সড়কের অর্ধেক কাজ শেষে উদ্বোধন করা হলেও বহু মানুষ অবশ্যই এতে অনেক সুবিধা পাবে।


আরও খবর