আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

দলছুটদের নিয়ে বিএনপি ভাঙার চেষ্টা চলছে: ফখরুল

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির দলছুটদের নিয়ে দল ভাঙার চেষ্টা চলছে। কিন্তু এতে কোনো লাভ হবে না।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ব্রি. জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন। আ স ম হান্নান শাহ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে এই স্মরণসভা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, এখন দল ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছে। দল কখন ভাঙতে যায়, অন্য প্রতিপক্ষ যখন নিজে দুর্বল হয়। সবল থাকলে তো এটা করবে না। আজকে সেজন্য আমাদের দলছুট, বহিষ্কৃত লোকজনদের নিয়ে আবার দল তৈরি করে দল ভাঙছে। আমরা খুব পরিষ্কার করে বলি, এগুলো করে কোনো লাভ হবে না। বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে, সব দলের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। এর কোনো বিকল্প কিছু তারা চায় না। আর মেনেও নিবে না।

তিনি বলেন, বিএনপির সিনিয়র এমন কোনো নেতা নেই যার বিরুদ্ধে মামলা নেই। এটা করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে সেল তৈরি করা হয়েছে। যাতে দ্রুত সব নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ট্রায়াল করে, সাজা দিয়ে নির্বাচনে অবৈধ ঘোষণা করা যায়।

আমেরিকার ভিসানীতির প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, এই অবস্থা কেন? কেন আজকে আমার জাতিকে এই অবস্থায় পড়তে হবে। অনেকে আছেন খুব খুশি হচ্ছেন। এটা তো খুশির ব্যাপার না। এটা লজ্জার! এর জন্য এই সরকার দায়ী।

তিনি আরও বলেন, এই যে একটা ভয়াবহ অবস্থা। যে অবস্থায় আজকে সমস্ত বাংলাদেশ বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। গোটা জাতি আজকে বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। অনেকে বলার চেষ্টা করছে বিএনপি বিপদে। বিএনপি কোনো বিপদে না। এই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বিএনপি আরও সংগঠিত হয়েছে, আরও শক্তিশালী হয়েছে। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপি আরও শক্তিশালী হয়েছে।

হান্নান শাহর প্রতি স্মৃতিচারণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, হান্নান শাহর চলে যাওয়ায় আমাদের রাজনীতিতে বড় একটা শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে। সেই রাজনীতিতে অবশ্যই তিনি আমাদের জন্য অগ্রণী সেনা ছিলেন। তার চলে যাওয়ায় যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।

সংগঠনের আহ্বায়ক ও গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মজিবুর রহমানের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সহসভাপতি রাশেদুল হক, কাপাসিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার আজিজুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।


আরও খবর



গরমে বারবার গোসল করা ভালো না ক্ষতিকর?

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

বৈশাখের শুরু থেকেই তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ বাড়ছে। প্রতিদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। চুয়াডাঙ্গা ও যশোর জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। এছাড়া, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও সৈয়দপুর জেলাসহ খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে আরও কয়েকদিন। একইসঙ্গে পরিবেশে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি ভাবও বিরাজমান থাকবে।

হাঁসফাঁস করা এ গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই একাধিকবার গোসল করছেন। তাতে সাময়িক স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু একাধিকবার গোসল করা কি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো না ক্ষতিকর এমন প্রশ্নও অনেকের মাঝে দেখা দিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দিনে একাধিকবার গোসল করা মোটেই ক্ষতিকর নয় গরমে। গরমের হাত থেকে বাঁচতে একাধিকবার গোসল করলে স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি হয় না। বরং স্বস্তি পাওয়া যায়। এতে হিটস্ট্রোকের আশঙ্কা কমে। তাই গরমকালে সময় পেলে গোসল করতেই পারেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে দিনে দুই থেকে তিনবার গোসল করা যেতে পারে। যারা গরমে বাইরে কজ করছেন, তারা সময় পেলেই গোসল করতে পারেন। তবে শর্ত একটাই ঘর্মাক্ত অবস্থায় কখনই গোসল করবেন না। তাতে ঠান্ডা গেলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। গায়ের ঘাম শুকিয়ে তবেই ঠান্ডা পানিতে গোসল করুন। এতে তাপজনিত সমস্যা দূর হবে।

অনেকেই আবার গরমে বরফ দেওয়া পানিতে গোসল করেন। এটি ঠিক নয় বলেও দাবি বিশেষজ্ঞদের। এতে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা থাকে। যাদের বাত, অ্যাজমা রয়েছে তাদের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। ফুসফুসের সমস্যা দেখা যায় বরফ দেওয়া পানিতে গোসল করলে। তাই সাধারণ তাপমাত্রার পানিতেই গোসলের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।


আরও খবর



স্কুল-কলেজের সভাপতি হতে লাগবে এইচএসসি পাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বেসরকারি মাধ্যমিক ও কলেজগুলোর ম্যানেজিং কমিটির নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করে গেজেট জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংশোধন করা হয়েছে বর্তমান গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালাও।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তুরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা-২০২৪ জারি করা হয়।

এতদিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ সভাপতি ও সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারিত না থাকলেও নতুন নিয়মে হতে হবে উচ্চ মাধ্যমিক পাস। এছাড়া একইসঙ্গে এক ব্যক্তি পরপর দুবারের বেশি সভাপতি হতে পারবেন না বলে গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রবিধানমালা-২০২৪ এর তৃতীয় অধ্যায়ে ম্যানেজিং কমিটি বিষয়ে বলা হয়েছে, নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার দায়িত্ব একটি ম্যানেজিং কমিটির উপর ন্যস্ত থাকিবে।

১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন হবে।

(ক) একজন সভাপতি।

(খ) মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, শিক্ষকের ভোটে নির্বাচিত ২ জন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি। তবে শর্ত থাকে যে, মাধ্যমিক স্তরের কোনো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক স্তর সংযুক্ত থাকলে, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের ভোটে একজন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি এবং প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকদের ভোটে একজন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন।

(গ) নিম্নমাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, নিম্নমাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষকের ভোটে নির্বাচিত ২ জন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি।

তবে শর্ত থাকে যে, নিম্নমাধ্যমিক স্তরের কোনো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক স্তর সংযুক্ত থাকলে, নিম্নমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের ভোটে একজন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি এবং প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকদের ভোটে একজন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন।

(ঘ) মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, মাধ্যমিক স্তরের কেবল মহিলা শিক্ষকদের ভোটে নির্বাচিত একজন সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি। তবে শর্ত থাকে যে, মাধ্যমিক স্তরের কোনো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক স্তর সংযুক্ত থাকলে, মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি উভয় স্তরের মহিলা শিক্ষকদের ভোটে নির্বাচিত হবেন।

(ঙ) নিম্নমাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, নিম্নমাধ্যমিক স্তরের কেবল মহিলা শিক্ষকদের ভোটে নির্বাচিত একজন সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি থাকবে।

ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ হবে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ থেকে পরবর্তী ২ বছর।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ কোনো ব্যক্তি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচিত হতে পারবেন না।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




সিরাজগঞ্জে সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার বিষয়ক কর্মশালা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

সিরাজগঞ্জে সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৮ মে) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এ.কে শহিদ শামসুদ্দিন সম্মেলন হলরুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

আইন প্রণয়নের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আইন বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি, আইন, বিচার এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এ কর্মশালার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড.হাফিজ আহম্মেদ চৌধুরী।

জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, আইন প্রণয়নের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আইন বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (উপ-সচিব) মোহাম্মদ আবু কাউছার।

আইন প্রণয়নের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আইন বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি প্রকল্পের সাংবিধানিক ও আইনি অধিকার সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ন-সচিব) ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা ও দায়রা জজ এম আলী আহম্মেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আব্দুল হান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড.কেএম হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম ও জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এ্যাড. কায়সার আহমেদ লিটন।

এসময় লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হাফিজ আহমেদ চৌধুরীসহ জেলার সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: সিরাজগঞ্জ

আরও খবর



দিল্লিতে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতলেন মিথিলা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলার আলোচিত অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। এবার ভারতের চতুর্দশ দাদাসাহেব ফালকে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেলেন মিথিলা। গত এপ্রিলের শুরুতেই মুক্তি পেয়েছিল মিথিলা অভিনীত টালিউড সিনেমা ও অভাগী। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অভাগীর স্বর্গ অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন অনির্বাণ চক্রবর্তী। এবার এই ছবিতে অভিনয়ের জন্যই সেরা অভিনেত্রীর সম্মাননা পেলেন মিথিলা।

পুরস্কার পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত মিথিলা। ভারতীয় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমি খুব খুশি পুরস্কার পেয়ে। আমার গোটা টিমকে আমি ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে প্রযোজক এবং পরিচালককে সাধুবাদ জানাই। দিল্লিতে আয়োজিত দাদাসাহেব ফালকে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে আমি সেরা অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছি।

ও অভাগী সিনেমার পরিচালক অনির্বাণ চক্রবর্তী এবং প্রযোজক ড. প্রবীর ভৌমিকও খুব খুশি। প্রবীর ভৌমিক গণমাধ্যমকে বলেন, মিথিলার এই পুরস্কারটি প্রাপ্য ছিল। ও এই পুরস্কারের জন্য যোগ্য। পরিচালক আগেই জানিয়েছিলেন, ছোটবেলা থেকেই শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের যেকোনো লেখা পড়েই মনে হত যেন সিনেমা দেখছি। ও অভাগী হল অভাগীর স্বর্গ গল্পটির অ্যাডাপ্টেশন। মূল গল্পকে বিকৃত না-করে নতুন এবং ইউনিক কিছু তৈরি করা হয়েছে এই ছবিতে।

ও অভাগী ছবির মুখ্য চরিত্রে ভারত ও বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াদ রশিদ মিথিলাকে ছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে সায়ন ঘোষ, সুব্রত দত্ত, দেবযানী চট্টোপাধ্যায়, জিনিয়া, ঈশান মজুমদার-সহ আরও অনেককে।

ছবিতে মিথিলার ভূমিকার প্রশংসা করে তার স্বামী ও জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি তার ফেসবুকে লিখেছিলেন, ও অভাগী হলো শরৎ চন্দ্র ক্লাসিকের একটি সুন্দর ও সংবেদনশীল ব্যাখ্যা। যেখানে রফিয়াথ রশিদ দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন।


আরও খবর



ঢাকায় আজ তাপমাত্রার সব রেকর্ড ভাঙার শঙ্কা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সর্বকালের সব রেকর্ড আজ সোমবার ভাঙার শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট আবহাওয়া ডটকম।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে ওয়েবসাইটটির পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ ঢাকা শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সর্বকালের সব রেকর্ড ভাঙতে পারে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত, দাবদাহসহ আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় তুলে ধরেছে তারা।

বাংলাদেশের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস এপ্রিল হলেও গত ৭৬ বছরের ইতিহাসে এবারই চলছে দীর্ঘতম তাপপ্রবাহ। এর আগে ২০১৯ সালে একটানা সর্বোচ্চ ২৩ দিন তাপপ্রবাহ হয়েছিল।

বৃষ্টিপাতের বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ সোমবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রে সিলেট বিভাগের ওপর মাঝারি থেকে ভারি এবং ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের আকাশে হালকা ঘনত্বের মেঘের উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এ মেঘ থেকে আজ সন্ধ্যার পূর্বে শুধু সিলেট বিভাগে জেলাগুলোর ওপরে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

এতে বলা হয়, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম বা নাই বললেই চলে। ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের আকাশে হালকা ঘনত্বের মেঘের সকাল ৯টার মধ্যে ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের মেঘ বাষ্পীভূত হয়ে আকাশ মেঘমুক্ত থাকার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

তাপপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া ডটকমের পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ সোমবার দেশের সাতটি বিভাগের আকাশ মেঘমুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে সকাল ৯টার পর থেকে বিকেল ছয়টার মধ্যে। দেশব্যাপী চলমান এই তাপপ্রবাহ মে মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ওপরে অব্যাহত থাকার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। এখানে উল্লেখ্য যে, চলমান তাপপ্রবাহের সময় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আজ ২৯ এপ্রিল সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পরে আগামীকাল ৩০ এপ্রিলের থেকে ধীরে ধীরে তাপ-প্রবাহের তীব্রতা কমার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

জেলাভিত্তিক তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়, ঢাকা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও পাবনায় সর্বকালের তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙার আশঙ্কা রয়েছে।

কোন জেলায় তাপমাত্রা কেমন হতে পারে :

অতি তীব্র তাপপ্রবাহ: ৪২ থেকে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস: যশোর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, খুলনা, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও পাবনা জেলা।

তীব্র তাপপ্রবাহ: ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস: ঢাকা শহরসহ ঢাকা শহরের পশ্চিম পাশে অবস্থিত সব জেলা, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলা (১ নম্বর লিস্টে উল্লেখিত জেলাগুলো ছাড়া) ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্ট সব জেলা (১ নম্বর লিস্টে উল্লেখিত জেলাগুলো ছাড়া)।

মধ্যম তাপপ্রবাহ: ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস: ময়মনসিংহ বিভাগের সব জেলা ও ঢাকা বিভাগের উত্তর দিকের সব জেলা, চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী।

মৃদু তাপপ্রবাহ: ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস: রংপুর বিভাগের জেলাগুলো, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা।

৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস: সিলেট বিভাগের জেলাগুলো।

উল্লেখ্য, দেশে সবচেয়ে বেশি বজ্রঝড় হয় মে মাসে। এরপর আছে জুন, সেপ্টেম্বর ও এপ্রিল মাস। কিন্তু এবার এই ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মাত্র দুইটি বজ্রঝড় বা কালবৈশাখি হয়েছে। তাও হয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে। সেটিও অস্বাভাবিক।


আরও খবর