দক্ষিণ কোরিয়ার
রাজধানী সিউলে হ্যালোইন উদযাপনের অনুষ্ঠানে মানুষের হুড়োহুড়ি ও পদদলিত হয়ে অন্তত
১২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দেড় শতাধিক মানুষ। এর আগে স্থানীয় কর্মকর্তারা
নিহতের সংখ্যা ৫৯ জন বলে জানিয়েছিলেন।
শনিবার (২৯ অক্টোবর)
রাতে দেশটির রাজধানী সিউলের ইটাইওনে এ ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে
পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সিউলের ইয়ংসান ফায়ার ডিপার্টমেন্টের প্রধান চোই সিওং-বিওম।
বলেন, হ্যালোইন উৎসবের আয়োজনে একটি সংকীর্ণ গলিতে বিপুল সংখ্যক মানুষ পড়ে গেলে পদদলনের
এ ঘটনা ঘটে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
ছড়িয়ে পড়া এ ঘটনার ভিডিওতে দেখা গেছে, রাস্তায় অনেকের মরদেহ পড়ে আছে। স্বেচ্ছাসেবীরা
উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।
শনিবার স্থানীয়
সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিউলের ইতায়েওন জেলায় অন্তত ৫০ জনকে কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন
(সিপিআর) দিয়েছে অগ্নিনির্বাপণ কর্তৃপক্ষ। সিপিআর হলো একটি জরুরি চিকিৎসা প্রক্রিয়া,
যা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত ব্যক্তির স্বতঃস্ফূর্ত রক্ত সঞ্চালন এবং শ্বাস-প্রশ্বাস
পুনরুদ্ধারের জন্য দেয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণেই হতাহতের
সংখ্যা বেড়েছে।
এ ঘটনায় জরুরি
বৈঠক ডেকেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। তিনি ওই এলাকায় জরুরি মেডিকেল
টিম পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে সেখানে ৪০০ জনেরও বেশি জরুরি কর্মী এবং ১৪০
জন উদ্ধারকারী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। এ ঘটনার সঠিক কারণ অনুসন্ধানে তদন্তে
নেমেছে কর্তৃপক্ষ।
করোনা মহামারির
নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার পর এই প্রথম ওই এলাকায় হ্যালোইন উদযাপনের আয়োজন করা হয় বলে জানা
গেছে।