দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশ প্রথম সফর করেছিল ২০০২ সালে, সবশেষ ২০১৭ সালে। এই সময়ে বাংলাদেশ ৯ ওয়ানডে ও ৬ টেস্ট খেলেছে প্রোটিয়াদের সঙ্গে। কিন্তু জিততে পারেনি কখনো। এই রেকর্ড পাল্টে দিতে বদ্ধপরিকর বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বুধবার (৯ মার্চ) তিনি জানালেন, এবার শুধু ভালো খেলতেই নয়, জিততে দক্ষিণ আফ্রিকা যাবে বাংলাদেশ। মিরপুরে ঐচ্ছিক অনুশীলন শেষে তামিম গণমাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা দুর্গ ভাঙার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তামিম বলেছেন, আমরা ওয়ানডে ক্রিকেটে এমন একটা অবস্থানে আছি, জেতা ছাড়া অন্য কিছু বলাটা উচিত হবে না আসলে। অবশ্যই জয়ের লক্ষ্য নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকা যাব। সঙ্গে এটাও সত্যি যে, এটা কঠিন। ওখানে আমাদের রেকর্ড ওতটা ভালো না। রেকর্ড জিনিসটাই এমন যে যেকোনো মুহূর্তে পরিবর্তন হতে পারে।
জয়ের জন্য সর্বোচ্চটা নিংড়ে দিবে দল, বললেন তামিম, ‘আমরা সবাই জানি এটা চ্যালেঞ্জিং। ওদের কন্ডিশনে ওরা খুবই ভালো দল। আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করব। আমি বলে যাব, আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই, যেটা হয়তোবা আজ থেকে ১০ বছর আগে বলতাম। আমি এখন বলব, আমরা অবশ্যই জিততে চাই। এর জন্য যা যা করার দরকার তা করব। তারপর যদি ফল আমাদের পক্ষে আসে তাহলে খুব ভালো। যদি না আসে আমরা আবারো কঠিন পরিশ্রম করব।
হারের বৃত্ত থেকে
বেরিয়ে আসার প্রত্যয় অধিনায়কের, ‘অসাধারণ উদাহরণ হচ্ছে নিউ জিল্যান্ড
টেস্ট। যেখানে আমরা অনেকদিন কোনো ফরম্যাটেই ভালো খেলিনি। আমরা ওই জিনিসটা পরিবর্তন
করতে পেরেছি। আমরা চেষ্টা করব, যে রেকর্ডটা দক্ষিণ অফ্রিকায় আছে সেটা পরিবর্তন করতে।’
আইসিসি ওয়ানডে
সুপার লিগের অংশ হিসেবে তিন ওয়ানডে খেলবে দুই দল। প্রতিটি ম্যাচ দুই দলের জন্য সমান
গুরুত্বের। ম্যাচ জিতলেই মিলবে ১০ পয়েন্ট। বাংলাদেশ ১৫ ম্যাচে ১০ জয়ে ১০০ পয়েন্ট নিয়ে
আছে শীর্ষে। দক্ষিণ আফ্রিকার ১০ ম্যাচে পয়েন্ট ৩৯। ৩ জয়ের সঙ্গে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায়
পেয়েছে ৯ পয়েন্ট। এই সিরিজে যারাই ভালো করবে ওয়ানডে সুপার লিগে আরো এগিয়ে যাবে।
তামিম জানান,
তার ও দলের প্রত্যেকের বিশ্বাস দলীয় একতা থাকলে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেও পয়েন্ট অর্জন
করতে পারবে বাংলাদেশ। তার ভাষ্য, ‘আমরা জিততে পারি,
প্রায় সময়ই কিন্তু বিভিন্ন ফরম্যাটে সেটা প্রমাণ করছি। নিউ জিল্যান্ডে যদি চিন্তা করেন,
প্রায় ৩০-৩২টি খেলায় আমরা কোনোদিন জিততে পারিনি। কিন্তু ওই দলটা সেই রেকর্ড পাল্টে
দিয়েছে।আশা করছি আমার দলটাও এই রেকর্ডটা পরিবর্তন করতে পারবে। আমি সব সময় একটা ব্যাপার
বিশ্বাস করি যে, আপনি মানসিকভাবে যদি সতেজ থাকেন, যাই হোক না কেন আপনার মধ্যে যদি বিশ্বাসটা
থাকে তাহলে যেকোনো কিছু করা সম্ভব।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার দলকে
নিয়ে একটা কথা বলতে পারি, প্রত্যেকে বিশ্বাস করে, ভালো কিছু পাওয়া সম্ভব। আমি সব সময়
পয়েন্টের কথা বলতে থাকি কারণ এখন অনেক কিছু খেয়াল করতে হয়। আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা
দিয়ে চেষ্টা করব। তারপর দেখি খেলার পর কী হয়।