বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মেট্রোরেলের উদ্বোধন আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে হবে বলে জানিয়েছেন ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিক।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন-১) ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়ন বিষয়ক এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
প্রাথমিকভাবে উত্তরা-মতিঝিল-কমলাপুর মেট্রোরেলের প্রথম অংশ অর্থাৎ উত্তরা-আগারগাঁও অংশের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মেট্রোরেলের বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হবে। মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন-৬) প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৫ টাকা এবং সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ভাড়া হবে ১০০ টাকা। যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাড়া মওকুফ থাকবে।
এদিকে, অক্টোবর মাসের ৩১ তারিখে দেওয়া ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) দেওয়া এমআরটি লাইন-৬ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১.৭৩ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও স্টেশন নির্মাণের কাজ সমন্বিতভাবে শেষ হয়েছে ৯৬.৭৫ শতাংশ। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, বাকি ৩.২৫ শতাংশ কাজ নভেম্বর মাসের মধ্যেই শেষ হবে। কাজগুলো গুরুত্ব দিয়ে করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত সম্পূর্ণ ভায়াডাক্ট ও স্টেশন নির্মাণকাজে (প্যাকেজ- ৩ ও ৪) স্টেশনগুলোর রুফ শিট পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে। এ পথের নয়টি স্টেশনের মধ্যে সাতটির প্রবেশ এবং বের হওয়ার অবকাঠামোর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট দুটির কাজ শেষপর্যায়ে আছে। নয়টি স্টেশনে লাইটিং স্থাপনের কাজও শেষ হয়েছে। এছাড়া নয়টি স্টেশনের মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল, আর্কিটেকচারাল, ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম, ডিজেল জেনারেটর, পানি, গ্যাস ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা (প্লাম্বিং) এবং সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কাজ শেষ হয়েছে। এখন ইলেকট্রিক্যাল ও প্লাম্বিং কাজের টেস্ট চলছে। প্যাকেজ দুটির বাস্তব অগ্রগতি ৯৬.৭৫ শতাংশ। বাকি রয়েছে ৩.২৫ শতাংশ।
মেট্রোরেলের প্রথম অংশের বাকি ৩.২৫ শতাংশের কাজ শেষ হতে কত দিন লাগবে—জানতে চাইলে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, আমরা বারবারই বলেছি, নভেম্বরের পর আমাদের আর কোনো কাজ বাকি থাকবে না। আমাদের তিনটি স্টেশনে এক্সিট ও এন্ট্রির কাজ চলছিল। বর্তমানে দুটিতে চলে এসেছে। ওই দুই স্টেশনের শুধুমাত্র এক্সিট ও এন্ট্রির কাজগুলো বাকি আছে। আর সব কাজ শেষ হয়েছে।