আজঃ শনিবার ১১ মে ২০২৪
শিরোনাম

দিনাজপুরে ওয়ারেন্ট ভুক্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

Image

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ২৬ লক্ষ টাকা আত্মসাতের মামলায় সারেজুল ইসলাম (৪২) নামে ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকাল ১১টায় উপজেলার বেতদিঘী ইউনিয়নের দলদলিয়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক সারেজুল ইসলাম বেদদিঘী ইউনিয়নের দলদলিয়া গ্রামের মৃত মকছেদ আলীর পুত্র।

মামলা সুত্রে জানা যায়, বাদী মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক রাব্বি (৩১) এর পরিবারে সারেজুল ইসলাম ম্যানেজার হিসেবে পৈত্রিক সম্পত্তি দেখা শোনা, রক্ষনাবেক্ষণ, উৎপাদিত ফসলাদি সংগ্রহ ও বিক্রয়সহ যাবতীয় কার্যাদি পরিচালনা করে আসছিল। ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সে বাদীর নিকট হইতে বিভিন্ন সময় ২৬ লক্ষ টাকা ধার হিসেবে গ্রহন করে। সেই টাকা ফেরৎ চাইলে সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার বিরুদ্ধে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ইং তারিখে ঢাকা গাজিপুর অতিরিক্ত চিপ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অর্থ আত্মসাত ও প্রতারনা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং সিআর-১০৯/২০২৩।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশ্রাফুল ইসলাম জানান, পার্বতীপুর উপজেলার আবু বক্কর  সিদ্দিক রাব্বি নামে ব্যক্তির দায়ের করা প্রতারনা করে অর্থ আত্মসাত মামলায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করে। পলাতক আসামীকে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।


আরও খবর



বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

কাল ভোট, কেন্দ্রে কেন্দ্রে যাচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ে দুইটি উপজেলা (বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর)। এ নির্বাচন উপলক্ষে দুটি উপজেলার প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম।

মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুর থেকে স্ব স্ব উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ প্রিজাইডিং অফিসারদের নির্বাচনী মালামাল বুঝে দেন। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় নিয়ে যাওয়া হয় ভোট কেন্দ্রে।

জেলা নির্বাচন অফিসের দেয়া তথ্য মতে- দুটি উপজেলায় মোট ৮ জন চেয়ারম্যান ও ৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন।

এ দুটি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৮১ হাজার ৩৬০জন। এর মধ্যে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৮৬৩ জন ও হরিপুর উপজেলায় ১ লক্ষ ২০ হাজার ৪৯৭জন।

আর দুটি উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৯০টি এবং ভোট কক্ষের সংখ্যা ৮০৮টি।

নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।

এদিকে নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠ রাখতে সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার মঞ্জুরুল হাসান।

তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিস্থিতি যেভাবে ভাল থাকে সে অনুযায়ী আইনশৃংখলা বাহিনী কাজ করবে। প্রশাসন পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে বিজয়ী হলেন যারা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোট গণনা শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। দৈনিক আজকের দর্পণের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর অনুযায়ী-

পিরোজপুর

প্রথম ধাপে পিরোজপুরের তিনটি উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (৮ মে) ইভিএমে পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানী ও নাজিরপুরে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

রা‌তে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. মিজানুর রহমান বেসরকা‌রিভা‌বে নির্বাচনে বিজয়ী‌দের নাম ঘোষণা ক‌রেন।

পিরোজপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে এসএম বায়জিদ হোসেন, ইন্দুরকানীতে জিয়াউল আহসান গাজী ও নাজিরপুর উপজেলায় এস এম নূরে আলম সিদ্দিকী শাহীন বিজয়ী হয়েছেন।

সদর উপজেলায় এসএম বায়জিদ হোসেন দোয়াত কলম প্রতীকে ৩৪ হাজার ৭৩৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. শফিউল হক মিঠু আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৬০৭ ভোট।

ইন্দুরকানী উপজেলায় জিয়াউল আহসান গাজী আনারস প্রতীকে ১১ হাজার ২০৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফাইজুল কবির দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৭৪৩ ভোট।

নাজিরপুর উপজেলায় এস এম নূরে আলম সিদ্দিকী শাহীন দোয়াত কলম প্রতীকে ১৯ হাজার ২৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ আলী সিকদার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ২৯৩ ভোট।

ফরিদপুর

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ফরিদপুরের তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফরিদপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামচুল আলম চৌধুরী আনারস প্রতীকে ৩১ হাজার ৯৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মনিরুল হাসান (টেলিফোন) পেয়েছেন ৩০ হাজার ৯ ভোট।

চরভদ্রাসনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলী মোল্লা আনারস প্রতীকে  ১৬ হাজার ১৬  ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ নিজামউদ্দিন  (টেলিফোন) পেয়েছেন ১০ হাজার ৪৫৪ ভোট।

মধুখালীতে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মুরাদুজ্জামান দোয়াত কলম প্রতীকে ২৯ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আহসানুজ্জামান আজাউল ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪৮৫ ভোট।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহম্মেদ বলেন, জেলার তিনটি উপজেলায় অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ পরিবেশের মধ্য দিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও এখন পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রার্থীর অভিযোগ নেই। প্রতিটি কেন্দ্রের ফলাফল কেন্দ্রীয়ভাবে মিলিয়ে ঘোষণা করা হয়।

ফেনী

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি ফলাফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদার জয়ী হয়েছেন। বুধবার রাত ৮টার দিকে ভোট গণনা শেষে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

তিনি জানান, উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫ হাজার ৫৭১ জন। এর মধ্যে নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৭ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী হারুন মজুমদার বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ জাফর উল্ল্যাহ ভূঁঞা পেয়েছেন ৭৭৫ ভোট।

চাঁদপুর

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে চাঁদপুরে দুটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন অধ্যাপক সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার ও মতলব উত্তর উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন মোহাম্মদ মানিক।

মতলব উত্তর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ঘোড়া প্রতিকের প্রার্থী মোহাম্মদ মানিক দর্জি ৩৩ হাজার ৭৭৩৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জহিরবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতিকের মুক্তার গাজী পেয়েছেন ১৭ হাজার ১৭৩৯ ভোট। অপর প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৮ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে রিয়াজুল হাসান রিয়াজ টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী ৪৭ হাজার ৫৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান তালা প্রতীকে প্রার্থী ১৮ হাজার ২৬৭ ভোট পেয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লাভলী চৌধুরী। এখানে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৭ হাজার ৮২৫। এর মধ্যে গড় ভোট পড়েছে ২৩.৭৯ শতাংশ।

মতলব দক্ষিণ উপজেলায় তিনজন প্রার্থী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা দোয়াত-কলম প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯১০টি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খাদেরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনারস প্রতীকের সৈয়দ মনজুর হোসেন পেয়েছেন ১৬ হাজার ১১৬ ভোট। আরেক প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএইচএম কবির আহমেদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩৬১ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন দুইজন। এদের মধ্যে নাজমা আক্তার আসমা (আখি) ২৩ হাজার ২৪৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহিনুর আক্তার (শীলা মনি) হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ২২ ভোট। অপরদিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন দেওয়ান শওকত আলী বাদল। এখানে মোট ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ২৬ জন। এরমধ্যে গড় ভোট পড়েছে ২৩. ৪১ শতাংশ।

নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সবকটি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে চেয়ারম্যান পদে জেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) সহ-সভাপতি মাকসুদ হোসেন আনারস প্রতীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, মাকসুদ হোসেন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮৭৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও মহানগর বিএনপির বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল চিংড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৬৫৩। অপর প্রার্থী বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশিদ দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৬০৮ ভোট।

মেহেরপুর

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪০ হাজার ৯২৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আনারুল ইসলাম। তার নির্বাচনী প্রতিক ছিল মোটরসাইকেল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন কাপ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৫০৭ ভোট।

মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকে ১৭ হাজার ৬৩ ভোট পেয়ে আমাম হোসেন মিলু বেসরকারিভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রফিকুল ইসলাম তোতা কাপ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ১০০ ভোট। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ ভোট গণনা শেষে রাতে দুই উপজেলার ফলাফল ঘোষণা করেন।

শরীয়তপুর

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে শরীয়তপুরের নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন একেএম ইসমাইল হক। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩০ হাজার ২২৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মামুন শিকদার ভিপি মোস্তফা পেয়েছেন ২০ হাজার ৫২৭ ভোট। টানা তৃতীয়বারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন একেএম ইসমাইল হক।

অন্যদিকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ইঞ্জিনিয়ার ওয়াছেল কবির গুলফাম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬০ হাজার ৩১২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী হুমায়ুন কবির মোল্লা পেয়েছেন ৪২ হাজার ৫২৫ ভোট।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, শরীয়তপুরের নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এছাড়াও ভোটার উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক।

বান্দরবান

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বান্দরবান সদর ও  আলীকদম উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আব্দুল কুদ্দুস বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৯ হাজার ১৪৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একেএম জাহাঙ্গীর আনারস প্রতীক পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৬৬ ভোট পেয়েছেন।

অন্যদিকে আলীকদম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জামাল উদ্দীন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। দোয়াত কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ৭০০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আবুল কালাম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৫১৬ ভোট।

বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো শহিদুল ইসলাম জানান, প্রশাসনের সার্বিক প্রচেষ্টায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলায় এটা সম্ভব হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বিজয়ী প্রার্থীরা।

কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন কুষ্টিয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের চাচাতো ভাই আতাউর রহমান আতা। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ৬৭ হাজার ৪৮১ ভোট পেয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে আবু আহাদ আল মামুন ৩ হাজার ৫৬৪ ভোট পেয়েছেন।

বুধবার রাতে সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. সহিদুল রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অন্যদিকে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মাসুম মোর্শেদ শান্ত। তিনি ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ২৫ হাজার ১০১ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান বাবুল আখতার মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ১৯ হাজার ৫৩৯ ভোট পেয়েছেন। খোকসা উপজেলা নির্বাচন অফিসার আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পঞ্চগড়

পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এএস মো শাহনেওয়াজ প্রধান শুভ ঘোড়া প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ৯৯৮টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৮৭টি।

তেঁতুলিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন খাঁন। তিনি পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৮৪০টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তারুল হক মুকু ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১১ হাজার ৮৬৫টি ভোট।

অপরদিকে আটোয়ারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭৫৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২৫ হাজার ৮৮৭টি।

জেলার তিন উপজেলায় মোট ভোটার ৪ লাখ ৪২ হাজার ৮৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২২ হাজার ৮৬৯ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ২০ হাজার ৩ জন। তিন উপজেলায় ভোট কেন্দ্র ১৫৬টি ও বুথ ১ হাজার ২১৬টি। তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৩৩ জন প্রার্থী ভোট লড়াই করেছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। রাতে আমরা তিনটি উপজেলার ভোটের ফল প্রকাশ করেছি।

সিরাজগঞ্জ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সিরাজগঞ্জের তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন আনারস প্রতীকে ৪৭ হাজার ৮০৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাশেদ ইউসুফ জুয়েল দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৯৮৪ ভোট।

কাজিপুরের বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিল সিরাজী আনারস প্রতীকে ৪৫ হাজার ২৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল আলম ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬০৪ ভোট।

বেলকুচিতে ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম দোয়াত কলম প্রতীকে ৫৪ হাজার ৮৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বদিউজ্জামান ফকির মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৩৫৭ ভোট।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং অফিসার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সিরাজগঞ্জের সকল উপজেলা পরিষদ সম্পন্ন হয়েছে।

দিনাজপুর

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দিনাজপুরে তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলার হাকিমপুর উপজেলায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মো. কামাল হোসেন রাজ মোটরসাইকেল প্রতীকে ২২ হাজার ২৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হারুন উর রশীদ হারুন টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৩৭৮ ভোট।

ঘোড়াঘাট উপজেলায় কাজি শুভ রহমান চৌধুরী আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৬৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সারোয়ার হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ৩৮৪ ভোট।

বিরামপুর উপজেলায় মো. পারভেজ কবির ঘোড়া প্রতীকে ৪২ হাজার ৯৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মতিউর রহমান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৮০৭ভোট।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, প্রথম ধাপে বিরামপুর, ঘোড়াঘাট ও হাকিমপুর উপজেলার নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া ভোটার উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক।

কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রৌমারীর মো. শহিদুল ইসলাম শালু কাপ পিরিচ, চিলমারীর রুকনুজ্জামান শাহিন আনারস ও রাজিবপুরের মো শফিউল আলম আনারস প্রতীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

শহিদুল ইসলাম শালু রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। তিনি ২৪ হাজার ৫০৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ২৫৩ ভোট পেয়েছেন। রৌমারী উপজেলায় মোট ৬১টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৬৮ হাজার।

চিলমারীতে রুকনুজ্জামান শাহিন আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ১৯৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি চিলমারী উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেজাউল করিম লিচু কাপ পিরিচ প্রতীকে ১১ হাজার ৫৮৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। রেজাউল করিম লিচু চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯ হাজার ৪৪৪ জন।

রাজিবপুরে মো. শফিউল আলম আনারস প্রতীকে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৭ হাজার ৭৪৬টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরিফুর রনি তালুকদার রানা ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৩৮৬ ভোট। নির্বাচিত শফিউল আলম কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

কুড়িগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাটোর

নাটোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান কাপ পিরিচ প্রতীকে ৩৪ হাজার ৭৯৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ৩১ হাজার ৮৫৩ ভোট পেয়েছেন। শরিফুল ইসলাম রমজান সদর উপজেলায় টানা তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন।

নলডাঙ্গা উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল জোড়া ফুল প্রতীক নিয়ে ১১ হাজার ২৪০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান পেয়েছেন ১০ হাজার ৭১৭ ভোট।

এদিকে সিংড়া উপজেলায় আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন পাশা।

পাবনা

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে পাবনার তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব মোটরসাইকেল প্রতীকে ৬২ হাজার ৭৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহীন  (আনারস) পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৪৪১ ভোট।

সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা খোকন (কাপ-পিরিচ) ৩৮ হাজার ৫২৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আশরাফুজ্জামান টুটুল (আনারস) পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৭১২ ভোট। আর বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজলা আ'লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৭৪  ভোট।

বেড়ায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আমিনপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বাবু (হেলিকপ্টার) ২৯ হাজার ৬৮৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল বাতেন (ঘোড়া) পেয়েছেন ২৩ হাজার ৭৬৬ ভোট। এই উপজেলার আরেক নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আফজার হোসেন পেয়েছেন ১৯ হাজার ৬২২ ভোট।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, পাবনার তিনটি উপজেলা কোন প্রকার সহিংসতা ছাড়াই অবাধ নিরপেক্ষভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোনও অভিযোগ নেই। সুষ্ঠু ভোট করতে যারা সহযোগিতা করেছেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান ‍তিনি।

ময়মনসিংহ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ময়মনসিংহের তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফলে ফুলপুর ও ধোবাউড়ায় আওয়ামী লীগ এবং হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

ফুলপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান আনারস প্রতীকে ৪৯ হাজার ৩৯১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউল করিম রাসেল ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ২১৬ ভোট।

হালুয়াঘাট উপজেলায় উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য মো. আব্দুল হামিদ আনারস প্রতীকে ৩৪ হাজার ১৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন (দোয়াত-কলম) পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭৭ ভোট।

ধোবাউড়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ডেভিড রানা চিসিম আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান আকন্দ সাগর ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৩৪৮ ভোট।

রিটার্নিং ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সফিকুল ইসলাম জানান, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছে।

সিলেট

সিলেটে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে চারটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিলেট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে কাপ পিরিচ প্রতীকে ২৩ হাজার ২৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একই দলের নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম টুনু আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৮৬৩ ভোট।

ভোট গণনা শেষে বুধবার (৮ মে) রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বিজয়ী প্রার্থীদের তথ্য নিশ্চিত করেন।

অন্যদিকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে টেলিফোন প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলাম। তিনি টেলিফোন প্রতীকে ২১ হাজার ৭৬৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৮৮ ভোট।

গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম। তিনি দোয়াত কলম প্রতীকে ৩৭ হাজার ৭৮৯ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী যুবলীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান উজ্জ্বল আনারস প্রতীকে ২৯ হাজার ১৭ ভোট ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য শাহিদুর রাহমান জাবেদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৪১৩ ভোট পেয়েছেন।

বিশ্বনাথ উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী। কাপ পিরিচ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩২২। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন আহমদ পেয়েছেন ১২ হাজার ৯৬৮ ভোট।

চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দামুড়হুদায় আলী মুনছুর ও জীবননগরে মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার (৮ মে) রাত পৌনে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন অফিসার মোতাওয়াক্কিল রহমান বেসরকারি ফলাফল সংবাদকর্মীদের কাছে হস্তান্তর করেন।

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের আপন ভাই ও দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান আলী মুনছুর আনারস প্রতীক নিয়ে ৪৯ হাজার ৯৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী এস এ এম জাকারিয়া আলম ১৩ হাজার ৫৩০ ভোট পেয়েছেন। ঘোড়া প্রতীক নিয়ে অ্যাডভোকেট আবু তালেব পেয়েছেন ২ হাজার ৫৯০ ভোট।

অন্যদিকে জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ ৯ হাজার ৪৩৬ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৫৩ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস কে লিটন আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬১৭ ভোট।

দামুড়হুদা উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন তানিয়া খাতুন। তিনি ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৪৮৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাহিদা খাতুন ২৯ হাজার ৪৭ ভোট পেয়েছেন। জীবননগর উপজেলায় বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকীকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন রেনুকা আক্তার রিতা। তিনি হাস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ১০৮ ভোট। আর কলস প্রতীক নিয়ে আয়েশা সুলতানা লাকী পেয়েছেন ১৮ হাজার ৫৬৬ ভোট।

এদিকে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় দামুড়হুদায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে শফিউল কবীর ইউসুফ ও জীবননগরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আব্দুস সালাম ঈসা নির্বাচিত হয়েছেন।

যশোর

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে যশোরে দুইটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেশবপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকের মফিজুর রহমান ১৮ হাজার ৪৬৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শালিক প্রতীকের নাসিমা আকতার সাদেক পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৬ ভোট। এ নির্বাচনে তিনটি পদে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীকের আব্দুল্লাহ আল মামুন ৩২ হাজার ৪৩৪ ভোট পেয়ে ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকের রাবেয়া ইকবাল ৩৭ হাজার ৩০৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষে রাতে এ ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুহিন হোসেন।

কেশবপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই কেশবপুরে শান্তিপূর্ণভাবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ২০ হাজার ৯৫৪ জন। মোট ৯৫টি কেন্দ্রের ৬৭০টি কক্ষে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু আনারস মার্কায় ৫৯ হাজার ২৭৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৭১৮ ভোট। এছাড়া এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে সন্দীপ ঘোষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পুনরায় কাজী জলি আক্তার বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রাজবাড়ী

প্রথম ধাপে রাজবাড়ীর পাংশা ও কালুখালী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৮ মে) ভোটগ্রহণ শেষে রাত সাড়ে ১০টায় বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার।

পাংশা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫৪ হাজার ৫৭৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোটরসাইকেল প্রতীকের খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়ো। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের ফরিদ হাসান ওদুদ ৩৫ হাজার ৯৪২ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

অপরদিকে কালুখালী উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটু আনারস প্রতীকে ৩৮ হাজার ৫৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া অপর তিন প্রার্থীর মধ্যে এনায়েত হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে ২ হাজার ৯০০ ভোট, এ বি এম রোকনুজ্জামান কাপ পিরিচ প্রতীকে ৩৪১ ভোট ও মাসুদুর রহমান দোয়াত-কলম প্রতীকে ২৩৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

জেলা নির্বাচন অফিসার ও ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার অলিউল ইসলাম বলেন, প্রথম ধাপে পাংশা ও কালুখালী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। কোনো প্রার্থীর আজকের নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ ছিল না।

বরিশাল

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার গণনা শেষে রাত ১২টার দিকে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা বরিশাল জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন অফিসার ওহিদুজ্জামান মুন্সী।

বরিশাল সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন কাপ পিরিচ প্রতীকের আব্দুল মালেক। তিনি পেয়েছেন ১৯ হাজার ৮০৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের এসএম জাকির হোসেন পেয়েছেন ১৭ হাজার ৪১৪ ভোট। অপর প্রার্থীদের মধ্যে আনারস প্রতীকের মাহমুদুল হক খান মামুন পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৪১ ভোট, ঘোড়া প্রতীকের মাহবুবুর রহমান পেয়েছেন ১১ হাজার ২৭০ ভোট এবং দোয়াত-কলম প্রতীকে মনিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৬৮ ভোট।

সদরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন তালা প্রতীক নিয়ে জসিম উদ্দিন। তিনি পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯৩৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতীদ্বন্দ্বী বই প্রতীকে মাহিদুর রহমান মাহাদ পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৭৩ ভোট। এছাড়া টিউবওয়েল প্রতীকে হাদিস মীর ৮ হাজার ৯১৮ ও উড়োজাহাজ প্রতীকে মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ ৫ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়েছেন।

এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন কলস প্রতীকের অ্যাডভোকেট হালিমা বেগম। তিনি পেয়েছেন ৪১ হাজার ৫৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতীদ্বন্দ্বী হাস প্রতীকে নেহার বেগম পেয়েছেন ১৬ হাজার ২৮৮ ও ফুটবল প্রতীকে মারিয়া আক্তার ১০ হাজার ৩২২ ভোট।

বাকেরগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন কাপ পিরিচ প্রতীকের রাজিব আহম্মদ তালুকদার। তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৪৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতীদ্বন্দ্বী বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ১৪৫ ভোট। এছাড়া দোয়াত-কলম প্রতীকে ফিরোজ আলম খান পেয়েছেন ১ হাজার ৫১ ভোট ও মোটরসাইকেল প্রতীকে শাহবাজ মিঞা পেয়েছেন ২৮৩ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আবদুস সালাম মল্লিক ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জাহানারা মাহাবুব।

নিউজ ট্যাগ: উপজেলা নির্বাচন

আরও খবর



উত্তরায় লেক থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর উত্তরায় লেকের পানি থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৪ মে) উত্তরা ১৬ নং সেক্টরের লেক থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ঢাকা জোন-৩ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম জানান, উত্তরা ১৬ নং সেক্টরের লেকে ১০ নং ব্রিজের কাছে গোসল করতে নেমে দুজন নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে টঙ্গি ফায়ার স্টেশনের একটি ডুবুরি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। দুপুর ২টা ৫৩ মিনিটে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় আত্মীয়-স্বজনদের বরাতে ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, মিরপুরের শহীদ স্মৃতি স্কুলের নবম শ্রেণির মোট পাঁচজন সহপাঠী এই লেকে গোসল করতে এসেছিল। তাদের মধ্যে দুজন বেশি দূরে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে তাদের দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ তুরাগ থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তুরাগ থানার ওসি শেখ সাদী জানান, দুজন শিক্ষার্থী নিখোঁজের খবর পাওয়ার পর তুরাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের নাম আশরাফুল ইসলাম, আরেকজনের নাম এখনো জানতে পারিনি। নিহত আশরাফুল বাবা-মায়ের সঙ্গে উত্তরা ১১ নং সেক্টরে থাকতো।

ঘটনার প্রাথমিক বিবরণ দিয়ে ওসি বলেন, ওরা পাঁচ সহপাঠী লেকে গোসল করতে এসেছিল। গোসল করতে করতে দুজন বেশি দূরে চলে যায়। এক নারী সেটি দেখে চিৎকার শুরু করেন। বাকি তিনজন ডুবতে থাকা দুজনকে উদ্ধারে চেষ্টা করেও পারেনি। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হবে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া নিহত অপরজনের পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা চলছে। 

নিউজ ট্যাগ: মরদেহ উদ্ধার

আরও খবর



জাজিরায় ককটেল বিস্ফোরণে আহত যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের জাজিরায় বোমা বিস্ফোরণে আহত সৈকত সরদার (১৯) নামের এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল ৫টার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হাফিজুর রহমান। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

নিহত সৈকত সরদার (১৯) জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের মুলাই বেপারী কান্দি গ্রামের কাসেম সরদারের ছেলে। তিনি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারীর সমর্থক ছিল।

এর আগে গত ২৪ এপ্রিল সাহাবুদ্দিন নামে এক যুবক নড়িয়া থেকে তার বাড়িতে আসার সময় সারেং কান্দি বাজারে আসলে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারীর কিছু লোক তাকে গতিরোধ করে। এরপরে তাকে সেখানে গণধোলাই দিলে স্থানীয়রা জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঐদিনই স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আঃ জলিল মাদবর ও বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে নিহত সৈকত বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন।

এবিষয়ে বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারী মুঠোফোনে বলেন, সংঘর্ষের সময় আমার সমর্থক সৈকতের পিঠে, গলায় ও মাথায় বোমার আঘাত লেগে গুরুতর আহত হওয়ার পর এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলো। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে এমন সংঘর্ষ কখনোই সমর্থন করিনা। কিন্তু জলিল মাদবরের সমর্থকরা খুবই বেপরোয়া প্রকৃতির। জলিল মাদবরের আস্কারায় এলাকায় তারা এই অরাজকতা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আঃ জলিল মাদবরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি।

উল্লেখ্য: গত ২৭ মার্চ দু'পক্ষের সংঘর্ষে বোমার আঘাতে সজীব মুন্সী নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ৫ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি জলিল মাদবরের সমর্থক ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: ককটেল বিস্ফোরণ

আরও খবর



সুজানগরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা: আতঙ্কে এলাকাবাসী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার সুজানগরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বাড়িঘর, মন্দির, দোকানপাটে হামলা ভাঙচুর ও মারপিটের ঘটনায় আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকাবাসীর। বুধবার (৮ মে) রাতে কয়েক দফায় কয়েকটি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে এসব ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ উঠেছে, নির্বাচনে বিজয়ী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবের সমর্থকরা পরিকল্পিতভাবে হামলা ও মারপিট করেছে। এতে মুক্তিযোদ্ধাসহ আহত হয়েছে অন্তত দশজন।

ভুক্তভোগীরা জানান, গতকাল অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল ওহাব বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহিন। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোটে শাহিন পরাজিত হলে ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই লাঠিসোঠা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলার মানিকহাট, সাগরকান্দি ও সাতবাড়িয়া সহ কয়েকটি ইউনিয়নে প্রায় অর্ধশত বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর চালায় আব্দুল ওহাবের সমর্থকরা। মারপিটে গুরুত্বর আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন আহমদপুর দক্ষিণচর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন খান, আলম, রানী বেগমসহ বেশ কয়েকজন। সাগরকান্দি ইউনিয়নে বীরেন্দ্রনাথ কুন্ডুর পারিবারিক মন্দিরেও ভাঙচুর করেছে হামলাকারীরা।

সাতবাড়ীয়া ভাটপাড়া এলাকার সাব্বির বলেন, আনারস মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনের নির্বাচন শেষে রাতে বাড়ি এসে ভাত খাচ্ছিলাম এর মধ্যে মটর সাইকেলের সমর্থক ওহাবের লোকজন অস্ত্রসস্ত্রসহ দলবল নিয়ে আমাদের ঘর-বাড়িতে হামলা চালায় এবং ঘর বাড়ি ভাংচুর করাসহ ঘরে থাকা নগদ টাকা পয়সা স্বর্ণলঙ্কার লুটপাট করে নিয়ে যায় তারা। এখন জীবন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান তিনি।

মানিকহাট ইউনিয়নের ক্ষেতুপাড়া এলাকার আরিফা খাতুন বলেন,  শাহীন হেরে যাওয়ায় রাতের আধারে মটর সাইকেলের সমর্থক ওহাবের লোকজন আমাদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে এবং ঘরে থাকা পিঁয়াজ বিক্রির নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায় তারা।

হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শাহীনুজ্জামান। শাহীনুজ্জামান বলেন, নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের নানা ঘটনা থাকলেও সার্বিকভাবে জনগণের রায়কে আমি মেনে নিয়েছি। নির্বাচন নিয়ে আমি কোন অভিযোগ করিনি। আমার প্রত্যাশা ছিলো নতুন উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে আমরা এলাকার উন্নয়নে একসাথে কাজ করবো। কিন্তু গতরাত থেকেই তারা যা শুরু করেছে তা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নৃশংসতাকেও হার মানায়। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই ও দোষীদের শাস্তির দাবি করছি। একই সাথে জনগণের জান মালের নিরপত্তা দিতে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

হামলার বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি বিজয়ী চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব। নেতাকর্মীদের শান্ত থাকারও নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

সুজানগর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম জানান, সুজানগরে নির্বাচন পরবর্তী বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃংখলা বাহিনী সহিংসতা প্রতিরোধে তৎপর রয়েছে। এলাকায় নিরপত্তা বাড়ানো হয়েছে। হামলা মারপিটের ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।


আরও খবর