আজঃ সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3
শিরোনাম

দিনাজপুরে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুর শৈত্যপ্রবাহ আর কনকনে শীতের কবলে পড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষ। শীতের সকালে উত্তরে হিমেল বাতাস আর কুয়াশার কারণে বেশ বেকায়দায় পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ।

ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটেখাওয়া মানুষ। শীতের পাশাপাশি কুয়াশা বেশি হওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি। এছাড়া দূরপাল্লার পরিবহন চলছে ধীরগতিতে।

জেলা আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ৯৪ শতাংশ। বাতাসেরে গতি ০০১ নটস। জেলায় চলতি শীত মৌসুমে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্র ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

কয়েক দিন ধরেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে সড়ক-মহাসড়। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত থাকছে এই কুয়াশা। এই সময়ে সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহনগুলো দুর্ঘটনা এড়াতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলছে সূর্যের লুকোচুরি। আবার সূর্য উঠলেও রোদের প্রখরতা খুবই কম।

স্থানীয় ভ্যান চালক ইয়ামিন হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে কাজে বের হতে পারছি না। এই শীতে ভ্যান চালানো খুবই কষ্টকর। কুয়াশার মধ্যে ভ্যান চালালে রাস্তায় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে বেশি। তবুও পেটের দায়ের বের হতে হয়েছে।

স্থানীয় কৃষক রবিউল বলেন, শীত আর ঠান্ডা বাতাসের জন্য মাঠে আলু তোলার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।যদিও পাওয়া যাচ্ছে তাহলে তারা শীতের অযুহাতে মজুরি বেশি চাচ্ছে।

ইটভাটার শ্রমিক শাহিন ইসলাম বলেন, শীতের কারণে সময়মতো কাজে যেতে পারছি না। আজ ভাটায় যাই নাই। যে শীত আর ঠান্ডা বাতাস সঙ্গে কুয়াশার কারণে বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না।

জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৪ ভাগ। জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলছে।


আরও খবর



গাসিক’র নগর মাতার প্রধান উপদেষ্টা হলেন ছেলে জাহাঙ্গীর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন (গাসিক)র নবনির্বাচিত মেয়র নগর মাতা জায়েদা খাতুনের প্রধান উপদেষ্টা মনোনীত হয়েছেন তার ছেলে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

সোমবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের তৃতীয় পরিষদের প্রথম কর্পোরেশন সভায় সকল কাউন্সিলর (পরিষদ সদস্য)র সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সভায় একইসঙ্গে সদ্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব ও নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়।

নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন মেয়র জায়েদা খাতুন। সভায় গাসিকর ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ৭৬ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৭০জন উপস্থিত ছিলেন।

সভায় গাসিকর ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সেলিম রহমান উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে ও গতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে নগর মাতার প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের নাম প্রস্তাব করেন। প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এছাড়া সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে ষড়যন্ত্র করে দীর্ঘ ২১ মাস বাইরে রেখে উন্নয়ন কাজে বাঁধা গ্রস্থ করায় এবং বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির প্রতিবাদ জানিয়ে সদ্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়। একই সভায় সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়রের সময়ে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারীর পদোন্নতির বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ এসএম সফিউল আজম, সচিব আব্দুল হান্নান, প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, চীফ রেভিনিউ অফিসার (সিআরও) এহসানুল মামুন, কাউন্সিলর হাসান আজমল ভূইয়া, হাজী মনিরুজ্জামান, মো. মিজানুর রহমান, হান্নান মিয়া হান্নু, জাহাঙ্গীর আলম, মাসুদুর হাসান বিল্লাল, হেলাল উদ্দিন, মাহবুবুর রশীদ খান শিপু, পারভীন আক্তার, শিরিন আক্তার প্রমুখ।


আরও খবর



হিলিতে গুদামে পচে নষ্ট হচ্ছে পেঁয়াজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

দিনাজপুরের হিলিতে গত এক সপ্তাহ থেকে ক্রেতা সংকট ও অতিরিক্ত গরমের কারণে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ গুদামেই পচতে শুরু করেছে। তাই বাধ্য হয়ে আমদানি খরচের চেয়ে অর্ধেক দামে বিক্রি করতে হচ্ছে এসব পেঁয়াজ। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন আমদানিকারকরা।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক আব্দুস সালাম জানান, সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে বন্যা দেখা দেওয়ায় পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এতে সরবরাহ কমে গিয়ে দেশটির অভ্যন্তরে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিরুৎসাহিত করতে ভারত সরকার গত ১৮ আগস্ট থেকে ৪০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করে। এতে প্রতিকেজি পেঁয়াজ আমদানিতে ১০-১২ টাকা খরচ বেড়ে যায়।

এতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। তাই লোকসানের শঙ্কায় পাইকাররা আসা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে অধিকাংশ পেঁয়াজ বিক্রি না হওয়ায় গুদামেই নষ্ট হচ্ছে। বাধ্য হয়ে অর্ধেক দামে বিক্রি করতে হচ্ছে এসব পেঁয়াজ।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম জানান, আগে যেখানে প্রতিদিন ৫-৬ লাখ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হতো, এখন এক লাখ টাকার পেঁয়াজও বিক্রি হয় না। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত গরমে পেঁয়াজ গুদামে নষ্ট হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে পুঁজি হারিয়ে পথে বসতে হবে।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) হিলি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী আবু তাহের ও রুবেল জানান, বাজারে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর নাসিক ও পাটনা জাতের পেঁয়াজের দাম বেশির কারণে হিলি বাজারে পাওয়া যায় না।

হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহের ৬ কর্মদিবসে ১৮৫টি ভারতীয় ট্রাকে ৫ হাজার ৫১০ টন ইন্দোর, নাসিক ও পাটনা জাতের পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।


আরও খবর



বাড়ানো হলো নোবেল পুরস্কারের প্রাইজমানি

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সুইডিশ মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় নোবেল পুরস্কারে প্রাইজমানি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে নোবেল ফাউন্ডেশন। সংস্থাটি শুক্রবার বলেছে, তারা চলতি বছরের নোবেল পুরস্কারের জন্য প্রাইজমানির পরিমাণ ১০ লাখ ক্রোনার (৯০ হাজার ডলার) বাড়িয়ে ১ কোটি ১০ লাখ ক্রোনার (৯ লাখ ৮৬ হাজার ২৭০ ডলার) এ উন্নীত করবে। খবর এপির।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফাউন্ডেশন পুরস্কারের পরিমাণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারণ এটি করা প্রয়োজন।

সুইডিশ মুদ্রার মান দ্রুত কমে যাওয়ায় এটি ইউরো এবং মার্কিন ডলারের বিপরীতে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে। সুইডেনে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি চলছে। আগস্টে দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ, জুলাই মাসে ছিল ৯ দশমিক ৩ শতাংশ। দেশটির কেন্দ্রিয় ব্যাংকের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ২ শতাংশ।

১৯০১ সালে যখন প্রথম নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়, তখন পুরস্কারের পরিমাণ ছিল প্রতি বিভাগে ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৮২ ক্রোনার।

গত ১৫ বছরে টাকার পরিমাণ বেশ কয়েকবার সামঞ্জস্য করা হয়েছে। ২০১২ সালে নোবেল ফাউন্ডেশনের অর্থায়নকে শক্তিশালী করার জন্য একটি বিস্তৃত-ভিত্তিক কর্মসূচির সূচনা হিসেবে ১ কোটি ক্রোনার থেকে কমিয়ে ৮০ লাখ ক্রোনার করা হয়েছিল। ২০১৭ সালে আবার ৮০ লাখ ক্রোনার থেকে বাড়িয়ে ৯০ লাখ ক্রোনার করা হয়। এরপর ২০২০ সালে তা পুনরায় বাড়িয়ে ১ কোটি ক্রোনার করা হয়েছে।

চলতি বছরের নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে অক্টোবরের শুরুতে। ১০ ডিসেম্বর আয়োজন করা হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। এদিন বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুরস্কার। ১৯৮৬ সালের ১০ ডিসেম্বর পুরস্কারের প্রতিষ্ঠাতা আলফ্রেড নোবেল মৃত্যু বরণ করেন।

নোবেলের ইচ্ছা অনুযায়ী মর্যাদাপূর্ণ শান্তি পুরস্কারটি অসলোতে হস্তান্তর করা হয়। অন্যান্য পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় স্টকহোমে।

সুইডেন ইউরোজোনের অংশ নয়। বিশ বছর আগে সুইডিশ ইউরোপীয় মুদ্রায় যোগদান করবে কিনা তা নিয়ে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং সবাই এর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল।

নিউজ ট্যাগ: নোবেল পুরস্কার

আরও খবর



২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ১১ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে সারা দেশে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৭৭৮ জনে। একই সময়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৬৬৩ জন। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৫ জন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৭০ হাজার ৬৬০ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ৮৯ হাজার ১৭৫ জন ভর্তি হয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৬৬৩ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯০০ জন ও ঢাকার বাইরের এক হাজার ৭৬৩ জন। একই সময়ে মারা যাওয়া ১১ জনের মধ্যে ছয়জন ঢাকার ও পাঁচজন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।


আরও খবর



শ্রীলংকার বিপক্ষেও কি ওপেনিংয়ে নাইম-মিরাজ?

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শ্রীলঙ্কার সাথে প্রথম দিন বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার ছিল ভুলে ভরা। শ্রীলঙ্কায় থিকসেনা আর ধনঞ্জয় ডি সিলভার মত দু'দুজন হাই কোয়ালিটি অফস্পিনার থাকার পরও বাংলাদেশ ব্যাটিং অর্ডারে প্রথম ৪ জনই বাঁহাতি ব্যাটার খেলানো হয়েছে। ওপেন করেছেন দুই বাঁহাতি তানজিদ তামিম ও নাইম শেখ। ওয়ান ডাউন খেলেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আর চার নম্বর পজিশনে ছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

প্রথম ৪ জন বাঁহাতি ব্যাটার হওয়ায় লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকার কৌশল ও পরিকল্পনা সাজাতে সুবিধা হয়েছে। তিনি ২ অফস্পিনার থিকসেনা ও ধনঞ্জয় ডি সিলভাকেই শুরুতে ব্যবহার করেছেন। তারা সফলও হয়েছেন।

ঠিক পরের ম্যাচেও আফগান একাদশে ছিলেন দুই অফস্পিনার মুজিব উর রহমান আর মোহাম্মদ নবি। তবে সে খেলায় টপ অর্ডারে প্রথম ৪ বাঁহাতি ব্যাটারের বদলে কৌশল পাল্টে নাইম শেখের সঙ্গে মেকশিফট' ওপেনার হিসেবে মেহেদি হাসান মিরাজকে খেলানো হয়।

তিন নম্বরে নাজমুল হোসেন শান্তর বদলে পাঠানো হয় হৃদয়কে। তাতে করে প্রথম ৪ জনের মধ্যে সমান দুজন করে ডান ও বাঁহাতি ব্যাটার খেলেন। আর সে কারণেই শুরুতে আফগান অফস্পিনাররা চেপে বসতে পারেননি। মেহেদি মিরাজ আর নাজমুল শান্ত দুজনই শতরান হাকিয়ে দলকে সাড়ে তিনশোর খুব কাছে পৌঁছে দেন। শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তানের সাথে ৮৯ রানের বড় জয়ের দেখা মেলে। তাতে করে সুপার ফোরও হয় নিশ্চিত।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচেও সে ফর্মুলায় হাঁটে টিম ম্যানেজমেন্ট। নাইম শেখের সঙ্গে মিরাজকে দিয়ে ওপেন করানো হয়। আফগান বোলারদের বিপক্ষে শতরান করলেও পাকিস্তানের সাথে মিরাজ প্রথম বলেই ফিরে যান। হারিস রউফ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ ও ফাহিম আশরাফের সাঁড়াশি পাকিস্তানি ফাস্টবোলিংয়ের বিপক্ষে দুই অভিজ্ঞ যোদ্ধা সাকিব আর মুশফিক ছাড়া আর কেউ হালে পানি পাননি। ১৯৩ রানে অলআউট হয়ে ৭ উইকেটের পরাজয় সঙ্গী হয় সাকিব বাহিনীর।

এখন সবার একটাই প্রশ্ন, আগামীকাল ৯ সেপ্টেম্বর কী করবে বাংলাদেশ? শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কি আবার আগের ফর্মূলায় ফিরে যাবেন অধিনায়ক সাকিব? আবারও টপ অর্ডারে বাঁহাতির সংখ্যা বাড়বে? মানে দুই বাঁহাতি নাইম শেখ আর তানজিদ তামিমই কি আবার ইনিংসের সূচনা করবেন? নাকি নাইম শেখের সাথে মিরাজকে দিয়েই ওপেন করানো হবে?

যেহেতু প্রথম ম্যাচে চার বাঁহাতিকে শুরুতে খেলিয়ে ভুগতে হয়েছিল, তাই আরেকবার সেই ভুল সম্ভবত করবে না বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে মিরাজ পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যর্থ হলেও ওপেনিংয়ে ডানহাতি বাঁহাতি কম্বিনেশন ঠিক রাখতে আরও একবার শুরুতে ব্যাটিংয়ে আসতে পারেন। ফলে মিরাজ-নাইম জুটিকেই দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।


আরও খবর