দিনাজপুর ঘোড়াঘাটে চাঞ্চল্যকর গৃহবধু ফারহানা আক্তার চুমকি হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত ২ জন আসামী আদালতে ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছেন। অপর আসামী সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও নিহত ফারহানার স্বামী আব্দুর রাজ্জাক (৫০) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিচারক ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
দিনাজপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক রাজ্জাক বৃহস্পতিবার দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, এই চাঞ্চল্যকর মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল সালাম আসামী আব্দুর রাজ্জাককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মনিরুজ্জামান সরকার আসামীর উপস্থিতিতে ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাকে আদালত থেকে পুলিশের হেফাজতে দেয়া হয়েছে।
এই হত্যার ঘটনায় লাশ উদ্ধারের পর সন্দেহভাজন সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ও তার সহযোগী জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ছাতিনালী গ্রামের মালেক মন্ডলের পুত্র এমদাদুল হক (৪৮) কে আটক করলে, তিনি ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এই ঘটনায় গত বুধবার দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দিনাজপুর আদালতে বিচারকের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহারিত ভাড়া করা মাইক্রো এর চালক দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার মরিচা গ্রামের ইয়াকুব আলীর পুত্র এমদাদুল হক (৪৫) কে গ্রেফতার করলে গত বুধবার বিকেলে পুলিশ গ্রেফতার করে। ওই আসামী আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
ঘোড়াঘাট থানার অফিসার্স ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, ক্লুলেস হত্যা মামলায় দ্রুত সময়ে আসামী শনাক্ত এবং গ্রেফতার পুলিশের জন্য দুস্কর কাজ ছিল। তবে আমরা ঘটনা ঘটার স্বল্প সময়ে আসামী শনাক্ত এবং গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। আসামী ২ জন ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও প্রদান করেছেন। মুল আসামীকে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো তথ্য পাওয়া যাবে বলে তিনি মতামত ব্যক্ত করেন।
গত ২৮ জুলাই দিনাজপুর ঘোড়াঘাট উপজেলার বুলাকীপুর ইউনিয়নের স্থানীয় মোজাম্মেল হকের আম বাগান থেকে গৃহবধু ফারহানা আক্তার চুমকির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের বাবা জয়পুরহাট সদর উপজেলার মধ্যদড়ি পাড়া গ্রামের মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহযোগীতায় বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে নিহত ফারহানার সাবেক স্বামী এবং জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এবং তার ঘনিষ্ঠ সহচর সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে।