ডিম সংরক্ষণের পদ্ধতি অনেকেই জানেন না। ডিম কিনতে গেলে একটি
দুটি করে কেনা হয় না। একসঙ্গে ডজন খানিকই কেনা হয়। তবে সঠিক ভাবে সংরক্ষণ না করার কারণে
তাড়াতাড়ি ডিম নষ্ট হয়ে যায়। আমরা অনেকেই ডিম ফ্রিজে রাখি। তবে জানেন কি? ফ্রিজে রাখা
ডিম খেলে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হতে পারে।
ঘরে অন্তত এক কিংবা দুই সপ্তাহের জন্য ডিম রাখা যায়। তবে
নতুন এক সমীক্ষা বলছে, ফ্রিজে ডিম রাখা উচিত নয়। এতে হতে পারে স্বাস্থ্যের মারাত্মক
ক্ষতি। তবে হয়তো খেয়াল করেছেন ডিম রাখার জন্য ফ্রিজের সঙ্গে আলাদা ট্রে দেয়া থাকে।
অনেকেই মনে করতে পারেন যে এতে ডিম ভালো থাকে। কিন্তু নতুন সমীক্ষা বলছে এতে ডিমের উপরে
ব্যাকটেরিয়া জমে যায়। যে ব্যাকটেরিয়া ডিমের খোসার উপর তৈরি হয়, তা ডিমের ভেতরেও প্রবেশ
করে বেশ কিছু দিন থাকলে। যা খালি চোখে বোঝা সম্ভব নয়।
দীর্ঘদিন ফ্রিজে রাখা ডিম খেলে দেখা দিতে পারে পেটের সমস্যা।
বদহজম বা পেটব্যথাও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিম সাধারণ তাপমাত্রায় রাখলেই ভালো
থাকে। একে অতিরিক্ত ঠান্ডায় রাখার প্রয়োজন পড়ে না।
ডিম স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখা সবচেয়ে ভালো। সুলভ ও সহজলভ্য
এই খাবার একসঙ্গে অনেকগুলো না কেনাই ভালো। সেই পরিমাণ কিনুন, যতটা নষ্ট হওয়ার আগেই
খেয়ে ফেলা সম্ভব হয়।
বাইরে তৈরি ডিমের খাবার এড়িয়ে চলতে পারেন। তবে ভালো কোনো দোকানে সাধারণত ডিম বা যেকোনো রকম ফুড ইনগ্রিডিয়েন্টস বেশি দিন স্টোর করে রাখে না। ফলে তাজা খাবার দেয়, এমন দোকানে গিয়ে খেলে এ সব ঝুঁকি এড়ানো যাবে।