আজঃ মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে না: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে না। এটা আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই। তবে সব আইনেই সাংবাদিকদের সুরক্ষার বিষয়টি রাখা হবে। তা ছাড়া আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৩ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত শেপিং আ ফিউচার অব রাইটস শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধে সরকার কাজ করছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমস্যা দূর করে এটাকে সর্বসাধারণ আইন করা হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা কখনোই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করবেন না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য করা হয়নি। এটা সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য করা হয়েছে।

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করতে হবে, অন্যতায় এ আইন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রযোজ্য হবে না। এভাবে সংশোধনের দাবি জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সম্পাদক পরিষদের সেমিনারে বলা হয়েছে, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট যখন করা হয়, তখন সম্পাদক পরিষদ ও অন্য যারা মতামত দিয়েছিলেন, তাদের মতামত গ্রহণ করা হয়নি। তাদের এমন বক্তব্য সঠিক নয়। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট যখন করা হয়, তখন আমার সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়। তবে যে পর্যায়ে এই আলোচনা হয়, তখন আইনটি পার্লামেন্টে চলে যায়। তখন আমি সাজেশন দিই এবং যেটা গৃহীত হয় সেটা হচ্ছে, সংসদীয় কমিটিতে যখন এ বিলটা নিয়ে আলোচনা হবে, তখন সেখানে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে এবং তাদের সংসদীয় কমিটিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তারা সেখানে বক্তব্যও দিয়েছিলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের যে প্রয়োজনীয়তা আছে, সেটাতে সম্পাদক পরিষদের প্রতিনিধিরা একমত হয়েছিলেন। উনারা বলেছিলেন, ২১ ধারার শাস্তি কমিয়ে আনার জন্য। তাদের বক্তব্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সেই ২১ ধারার শাস্তি কমিয়ে আনা হয়েছে। দ্বিতীয় কথা ছিল, জামিন ও অজামিনযোগ্য বিষয়টি। অজামিনযোগ্য মানেই যে জামিন দেওয়া যাবে না, সেটা কিন্তু সঠিক নয়। আমি এটার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, আইনে কিছু দুর্বলতা আছে। আমরা চেষ্টা করেছি সেগুলো দূর করার জন্য। এখনও আমরা সচেষ্ট আছি। সেটা আমরা সেটা করবো।

আইনমন্ত্রী বলেন, আমি নিজ উদ্যোগে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি সব সময় কথা বলে যাব। কারণ, আইন সবার জন্য। তাই সব স্টেকহোল্ডার বা অংশীজনের সঙ্গে কথা বলাটা আমি মনে করি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার একটা অংশ। বিশেষ করে প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্টের কথা বলা হয়েছে, আমি যতদূর শুনেছি সেখানে তথ্য মন্ত্রণালয় তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সেখানে কিছু বিষয় আছে, সাংবাদিক মাধ্যমের কিছু বক্তব্য এখনও বোধ হয় রয়ে গেছে। আমি মনে করি আলোচনা হবে। এ পর্যায়ে আলোচনা না হলেও সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা হবে। আলোচনার দ্বার সব সময় উন্মুক্ত। আমরা আলোচনা করেই এ আইন পাস করবো। আলোচনা না করে আমরা কাউকে পাশ কাটিয়ে এ আইন পাস করবো না।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের যেন অপব্যবহার না হয়, আমরা সেই বিষয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আর এ আইনে যখন মামলা হলেই যে মামলা গ্রহণ করা হয় তা নয়, এখন একটা সেলে পাঠানো হয়। এ সেলটা আইসিটি অ্যাক্টের একটা সেল ছিল। প্রথমে আমরা ওখানে পাঠাই। সেই অভিযোগ যদি এ আইনে মামলার করার মতো উপযোগী হয়, তখনই এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করা হয়। শুধু সাংবাদিক নয়, সবক্ষেত্রেই বলা আছে যে, কেস হতে পারে এমন কিছু স্টাবলিশ না হওয়া পর্যন্ত যে কাউকে গ্রেফতার করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান আফগানিস্তানেরও নিচে, এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, যারা এ অবস্থান নির্ণয় করেন, তাদের বিষয়ে আমার প্রশ্ন থেকে যায়। এটা নিয়ে প্রশ্ন করা উচিত। স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন, সেই সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাবপ্রকাশের স্বাধীনতা দেওয়া হয়। সংবাদ ক্ষেত্রেও স্বাধীনতার নিশ্চিত করা হয়। শুধু তা-ই নয়, বাকস্বাধীনতা ও সংবাদ ক্ষেত্রের স্বাধীনতাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির অঙ্গীকার। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি আওয়ামী লীগের উদার গণতান্ত্রিক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।

ড. গীতি আরা নাসরিন বলেন, বেশি গণমাধ্যম থাকলেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে না, সেটা আমরা কিছুটা হলেও দেখছি। এ ক্ষেত্রে জরুরি হচ্ছে, মুক্তভাবে কাজ করতে পারা। বিভিন্ন গবেষণার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, যে দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বেশি, তথ্যের প্রবাহ বেশি, সে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়নি। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব দেশে বৈষম্য বেশি, সেসব দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কম। বৈষম্য বেড়ে গেলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কমে যায়।

টিআইবির আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, ইউনেসকোর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুসান ভিজে, বাংলাদেশের জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লিউইস, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতিআরা নাসরিন, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ ও বাংলাদেশে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্সান্দ্রা ভন লিন্ডে।


আরও খবর



২২ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪১ কোটি ডলার

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

চলতি মাসের প্রথম ২২ দিনে দেশে ১৪১ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এ হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ৬ কোটি ৪৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, মার্চের ২২ দিনে ১৪১ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৮ কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ১৫ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১২০ কোটি ৪৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৭ লাখ ১০ হাজার ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, মার্চের ১৬ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছে ৩৯ কোটি ৫৪ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। ৯ থেকে ১৫ মার্চ দেশে এসেছে ৫০ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ১ থেকে ৮ মার্চ এসেছে ৫১ কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার ডলার।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে এসেছে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স, যা চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ।


আরও খবর



বন কর্মকর্তা হত্যা: ৯ দিন পর প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান সজল (৩০) হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাপ্পীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

রোববার (৩১ মার্চ) মাঝ রাতে পাহাড়ের মাটি কেটে পাচারের সময় বাঁধা দেন উখিয়ায় বন বিট কর্মকর্তা সজল। এরপর ডাম্পার চাপা দিয়ে তাকে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে।

বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গভীর রাতে উখিয়ার হরিণমারা এলাকায় পাহাড় কেটে ডাম্প ট্রাকে করে মাটি পাচার করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে মোটরসাইকেলে করে সাজ্জাদুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। এ সময় পাহাড় কেটে মাটি পাচার কাজে ব্যবহৃত একটি ডাম্পার তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। তার সঙ্গে থাকা বনরক্ষী মোহাম্মদ আলী (২৭) আহত হন। পরে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।


আরও খবর
অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে চীন-রাশিয়ার ভেটো

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে চীন ও রাশিয়া। শুক্রবার (২২ মার্চ) নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি হয়। এতে ১১টি দেশ সমর্থন দেয়। একটি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। আর ভেটো দেয় চীন ও রাশিয়া।

ভেটো দেওয়ার পর এ নিয়ে কথা বলেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভাসিলি নেবাঞ্জা। তিনি বলেছেন, এই প্রস্তাব হলো যুক্তরাষ্ট্রের একটি ভণ্ডামি। যেখানে গাজায় প্রথমদিকে ইসরায়েলকে থামাতে যুক্তরাষ্ট্র কিছু করেনি। সেখানে তারা এমন সময় যুদ্ধবিরতির কথা বলছে যখন গাজা কার্যত পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আমরা আমরা এখানে একটি পুরোনো ভণ্ডামির প্রদর্শনী দেখেছি।

অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে, রাজনৈতিক কারণে রাশিয়া-চীন তাদের প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে। কারণ তারা যেভাবেই হোক যুক্তরাষ্ট্রের পরাজয় চায়। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের দূত লিন্ডা-থমাস গ্রিনফিল্ড বলেছেন, রাশিয়া ও চীন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়নি কারণ তারা চায় যুক্তরাষ্ট্র যে কোনোভাবে হারুক। আরেকবার রাশিয়া প্রগতির সামনে রাজনীতিকে নিয়ে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, তারা গাজায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি চায়। যেটির মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধ হবে এবং সব ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করা হবে। একই সঙ্গে গাজায় জীবন বাঁচানো বিপুল ত্রাণ পৌঁছানো হবে।

এই প্রস্তাবের আগে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আরও তিনটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু ওই সবগুলো প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ওই প্রস্তাবগুলোতেও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ওই সময় মার্কিনিরা ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে এতে ভেটো দিয়েছিল। ওই সময় তাদের বক্তব্য ছিল, যদি গাজায় এখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয় তাহলে এতে হামাস উপকৃত হবে এবং জিম্মিরা মুক্তি পাবে না।


আরও খবর
তানজানিয়ায় বন্যা: নিহত ৫৮

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




বগুড়ায় বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষ, নিহত ৩

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বগুড়ার এরুলিয়ায় বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২ জন। শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে নওগাঁ-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের এরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান।

নিহত তিন জন বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মী। তারা হলেন, ওই সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাইম (৫৫), আব্দুল হান্নান (৪৪) ও চেইন মাস্টার আলগীর হোসেন (৪২)। নিহতদের মরদেহ শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহরা শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। 

প্রত্যক্ষদর্শী আবুল কালাম জানান, বিকট শব্দের পর প্রাইভেটকারের এক যাত্রী সড়কে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে কাছে গিয়ে প্রাইভেটকারের ভেতরে নিহত আরও দুই জনকে দেখতে পাই। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে।

এই বিষয়ে উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, আজ সকালে প্রাইভেটকারটি নওগাঁর দিকে যাচ্ছিলো। এরুলিয়াতে পৌঁছে কারটি সামনে থাকা একটি ট্রাককে অতিক্রম করতে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। পরে গাড়ি কেটে নিহতদের মরদেহ বের করা হয়।

তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার পর বাসের চালক ও সহকারী পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

নিউজ ট্যাগ: বগুড়া

আরও খবর
অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




দৈনিক আসছে হাজার কো‌টি টাকার রেমিট্যান্স

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রতিবছর ঈদুল ফিতরের আগে রমজান মাসে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বেড়ে যায়। এবারও ব্যাতিক্রম হচ্ছে না। ঈদের আগে বে‌শি বে‌শি রেমিট্যান্স পাঠা‌চ্ছেন প্রবাসী বাংলা‌দে‌শিরা।

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ৫ দিনে বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রায় ৪৫ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি সমপরিমাণ অর্থ দেশে এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় (প্র‌তি ডলার ১১০ টাকা ধ‌রে) যার পরিমাণ ৫ হাজার কোটি টাকা। সেই হিসেবে এপ্রিলের প্রথম পাঁচ দিনে দৈনিক রেমিট্যান্স এসেছে হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যানের তথ্য অনুযায়ী, চলতি এপ্রিলের প্রথম ৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ মার্কিন ডলার (৪৫৫ মিলিয়ন)। তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৩ কোটি ৮৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৭৩ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৮ কোটি ৭৭ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৭ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স।

এর আগে মার্চ মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে আসে ২১০ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়া‌রি‌তে আসে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ ডলার। 

 গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার, যা ছিল সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স।


আরও খবর