আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

'ডিজিটাল বাংলাদেশ' নিয়ে নিউজ উইকে জয়ের নিবন্ধ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ মার্চ ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ মার্চ ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
ডিজিটালাইজেশন থেকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সুফল পাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৩ লক্ষাধিক প্রযুক্তিবিদ বাংলাদেশকে তাঁদের আবাসস্থল করে তুলেছে। প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি প্রযুক্তি উদ্যোক্তা রয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাপ্তাহিক পত্রিকা নিউজ উইক-এর সর্বশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নিবন্ধ।

নিবন্ধে বাংলাদেশ সরকারের 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' কর্মসূচিতে ২০০৯ সাল থেকে ১৩ লক্ষাধিক আইটি পেশাজীবী ও ১০ হাজার আইটি উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন জয়।

'বাংলাদেশ : এশিয়ার বিস্ময়কর ডিজিটাল নেতা' শিরোনামে প্রকাশিত নিবন্ধটিতে জয় লিখেছেন, 'ডিজিটাল বাংলাদেশ শুরুর পর থেকে, ১৩ লক্ষাধিক আইটি পেশাজীবী বাংলাদেশে স্থায়ী হয়েছে। পাশাপাশি তৈরি হয়েছে ১০ হাজার আইটি উদ্যোক্তাও।'

নিবন্ধটিতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির মাত্র এক দশকের মধ্যে ডিজিটালাইজেশনে রূপান্তরিত হওয়া ও এর ফলে কী সুফল পাচ্ছে এবং কীভাবে দেশটি তৃণমূল পর্যায়ে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সুবিধা পৌঁছে দিচ্ছে, তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

নিচে জয়ের নিবন্ধটি তুলে ধরা হলো

এক দশক আগে, বাংলাদেশ ২০২১ সাল নাগাদ প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার প্রতিজ্ঞা নেয়। ২০২১ সাল বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী। তখন খুব বেশি লোক এটা বিশ্বাস করতে পারেনি।

প্রকল্পটির প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন মাত্র দুই কোটি বাংলাদেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করত। কিন্তু এখন ১২ কোটি বাংলাদেশি  মোবাইল ব্যবহার করে। এর পাশাপাশি কয়েক লাখ বাংলাদেশির মোবাইলে উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। এদের অনেকেই প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামের বাসিন্দা। এর ফলে অসংখ্য মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়ন ঘটেছে।

পরিকল্পনামাফিক শ্রমসাধ্য, কাগজভিত্তিক সরকারি সেবাসমূহকে সহজে ব্যবহারযোগ্য ইন্টারনেট ও স্মার্টফোন-ভিত্তিক কর্মসূচিতে রূপান্তরিত করতে ২০০৯ সালে উচ্চাভিলাষী ডিজিটাল বাংলাদেশের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়। পাশাপাশি ই-সিগনেচার ও ইলেকট্রনিক ফাইলিংও ব্যাপকভাবে চালু করা হয় ও এতে উৎসাহ দেওয়া হয়। এতে সুফল মেলে। সরকার আট হাজার ৫০০ ডিজিটাল সেন্টারের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে- যা এখন মানুষকে কার্যত সব ধরনের অনলাইন সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এই ডিজিটাল সেন্টারগুলো মানুষকে অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন, চাকরি ও চিকিৎসাসেবা নিতে সহায়তা করছে। এমনকি অনেক জাতীয় কর্মকাণ্ডও অনলাইনে হচ্ছে। অনলাইনে এই ডিজিটাল সেবার কারণেই মূলত গত বছর করোনাভাইরাসের সময় প্রায় নির্বিঘ্নে সরকারি সেবাসমূহ দেওয়া হয়েছে।

একটি নতুন জুডিশিয়ারি পোর্টালের সহায়তায় আদালতগুলোও তাদের কার্যাবলি অব্যাহত রাখে। কৃষকরা অনলাইনে অ্যাগ্রিকালচারাল পোর্টারের মাধ্যমে আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পারে। নাগরিকরা এখন সহজলভ্য মোবাইল ব্যবহার করে কভিড-১৯ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারছে। অনলাইনে অনেক কর্মসূচি যুক্ত হয়েছে- যেগুলোর মাধ্যমে পাসপোর্ট থেকে শুরু করে ড্রাইভিং লাইসেন্স পর্যন্ত প্রায় সব সরকারি ফরম পূরণ করা যায়।

মোবাইল ফোনগুলো হচ্ছে এই বিস্ময়কর ঘটনার মূল চাবিকাঠি। বাংলাদেশে এখন জাতীয় জরুরি হেল্পলাইন ৯৯৯ চালু হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ টোলমুক্ত। এই সেবাটির মাধ্যমে নাগরিকরা দুর্ঘটনা, সাইবারক্রাইম, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, অগ্নিকাণ্ড, জরুরি চিকিৎসাসেবাসহ যেকোনো প্রয়োজনে কল করতে পারে। জাতীয় হেল্প ডেস্ক প্রতি মিনিটে ৬০টি কলে সাড়া দিচ্ছে। জাতীয় ডিজিটাল স্বাস্থ্য কৌশলের কল্যাণে টেলিমেডিসিন শুধু সম্ভবই নয়, বিশেষত সেবাদান এলাকার আওতার বাইরে প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চলেও এখন বাস্তবতা। এসব কর্মসূচির আওতায় স্বাস্থ্যসম্পর্কিত মৌলিক তথ্য প্রচার করে স্বাস্থ্যকর জনসংখ্যা গড়ে তোলা হচ্ছে।

এ ছাড়া সরকার জবাবদিহি এবং সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অনলাইন অভিযোগের প্রতিকারব্যবস্থা বাংলাদেশিদের সহজেই সরকারি পরিষেবা বা পণ্য সম্পর্কে অনলাইনে অভিযোগ জমা দেওয়ার সুযোগ করে দেয়। ব্যাপক কানেকটিভিটি অর্থনীতিতেও সহায়তা করেছে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। একটি দক্ষ, ডিজিটালি প্রস্তুত শ্রমশক্তি বিকাশের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে বাংলাদেশ তার পুরো শিক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে এবং যা এখন বছরে পাঁচ লাখ স্নাতক কর্মী তৈরি করছে। শুধু গত বছরেই তাদের মধ্যে ৬৫ হাজারেরও বেশি তথ্য-প্রযুক্তি পেশাদার ছিলেন। ডিজিটাল কেন্দ্রগুলো নিজেরাই কর্ম সৃজনকারী। প্রতিটি কেন্দ্রে তিনজনের মধ্যে কমপক্ষে একজন মহিলা মনোনীত করা হয়েছে।

মোট জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ২৫ বছরের কম বয়সী তরুণ হলো বাংলাদেশ সাইবার শ্রমিকদের জন্য উর্বর স্থল। তরুণরা এই সুযোগ পেয়ে লাফিয়ে উঠছে। বিগত বছরগুলোতে, তাদের বেশির ভাগ পরিবারের ব্যবসার বাইরে তাদের জীবন কল্পনাও করতে পারেনি। আজ তরুণ বাংলাদেশিরা ক্রমবর্ধমান হারে শহুরে, ভ্রাম্যমাণ এবং নতুন অর্থনীতিতে প্রবেশের জন্য প্রস্তুত।

ডিজিটালাইজেশন থেকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সুফল পাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৩ লক্ষাধিক প্রযুক্তিবিদ বাংলাদেশকে তাঁদের আবাসস্থল করে তুলেছে। প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি প্রযুক্তি উদ্যোক্তা রয়েছে।

সব মিলিয়ে তাঁরা এখন তথ্য-প্রযুক্তি পরিষেবা থেকে বছরে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছে। অন্যভাবে বলা যায়, ডিজিটাল বাংলাদেশ শুরু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশিরা ২ বিলিয়ন ঘণ্টা, ৮ বিলিয়ন ডলার এবং সরকারি সেবা গ্রহণে ১ বিলিয়ন পরিদর্শন সাশ্রয় করেছে।

বাংলাদেশ আক্ষরিক অর্থেই তারকা বনে যাচ্ছে। দেশটি ২০১৮ সালে প্রথম যোগাযোগ স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করেছে। উপগ্রহ টেলিযোগাযোগ সেবায় বিন্যস্ত করে সরবরাহ আমাদের অর্থনীতিকে আরো জোরদার করে তুলেছে। ২০০৮ সালে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হার ছিল প্রায় ৫ শতাংশ। আজ এটি ৮ শতাংশেরও ওপরে রয়েছে। এটি সহজেই উপলব্ধি করা যায়, উচ্চগতির সংযোগ বৃদ্ধির কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক কিছু অর্জন করেছে। তবে সেগুলোর মধ্যে কিছু রয়েছে, যা ইন্টারনেট যুগের দিকে দেশের নাটকীয় পদক্ষেপের চেয়ে আরো উল্লেখযোগ্য। এমনকি আমরা আমাদের ডিজিটাল দক্ষতা রপ্তানি করছি। বাংলাদেশি প্রশিক্ষকরা মালদ্বীপ, ভুটান এবং শ্রীলঙ্কায় আমাদের এশীয় প্রতিবেশীদের ডিজিটালাইজেশন সম্প্রসারণে দিতে সহায়তা করছেন। এক দশক আগে কেউই এটি সম্ভব হবে বলে ভাবেননি।


আরও খবর



রূপগঞ্জে সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রূপগঞ্জ (নারায়নগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের ভুলতা-মুড়াপাড়া সড়কের রাস্তার পাশে লাগানো সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২১ মার্চ শুক্রবার উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের ছোনাবো এলাকার জয়নালের ছেলে নাসিরের নেতৃত্বে ১ লক্ষাধিক টাকার ৪টি কড়ই গাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।

গাছ কাটার খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে আসলে গাছ কাটার লোকজন দ্রুত পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, সরকারি বনায়ণের অংশ হিসেবে এ উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে গাছ রোপণ করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বিগত ৩০ বছর পূর্বে ভুলতা-মুড়াপাড়া এ সড়কের উভয় পাশে সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন জাতের গাছ রোপণ করা হয়েছিল। নাসির মিয়া জোরপূর্বকভাবে সড়কের পাশে লাগানো ওই গাছ কাটতে শুরু করে। আমরা সাংবাদিকদের খবর দিলে গাছ কাটার লোকজন ২টি গাছ কেটে দ্রুত পালিয়ে যায়।

এর একদিন আগে রাস্তা সংস্কারের বরাত দিয়ে একইস্থানে রোপন করা অর্ধ শতাধিক কলা গাছ জোরপূর্বক কেটে ফেলেছে ওই নাসির।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত নাসির মিয়া তার আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোনো সরকারি গাছ কাটিনি। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারি না।

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান মাহমুদ রাসেল বলেন, সরকারি গাছ কাটার বিষয়ে আমি অবগত না। তবে যারা সরকারি গাছ কেটে নিচ্ছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



তেলের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভোজ্যতেলের স্থানীয় উৎপাদন ও আমদানি পর্যায়ের ভ্যাট ছাড়ের এ মেয়াদ ছিল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এরইমধ্যে এর মেয়াদ শেষ হওয়ায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন মিল মালিকরা। তবে তেলের দাম বাড়িয়ে আগের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত মিট দ্য প্রেসে এ কথা জানান তিনি। ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ। উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ গণমাধ্যমকর্মীরা।

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম কমাতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোজ্যতেলের স্থানীয় উৎপাদনে ও আমদানি পর্যায়ের ভ্যাট ৫ শতাংশ কমায় এনবিআর। ভ্যাট ছাড়ের এ মেয়াদ শেষ হওয়ায় তেলের দাম আগের অবস্থায় নেওয়ার প্রস্তাব করেছেন মিল মালিকরা।

এর জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, তেলে ৫ শতাংশ ডিউটি কমিয়েছিলাম, এতে ভোক্তা পর্যায়ে ১০ টাকা কমেছিল তেলের দাম। সেই ভ্যাট ছাড়ের এ মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। আমাদের ট্যারিফ কমিশন এটা নিয়ে কাজ করছে। দেখা হচ্ছে মিলাররা কী দামে তেলের কাঁচামাল আনছেন তার দাম কেমন পড়ছে ইত্যাদি বিষয়ে। তবে তেলের দাম পূর্বের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই এটা বলতে পারি।

তেলের দাম বাড়াতে গতকাল সোমবার বাণিজ্যসচিবকে চিঠি দেন মিল মালিকরা। সেখানে বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিন তেলের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ১৭৩ টাকা, ৫ লিটার ৮৪৫ টাকা এবং খোলা ১ লিটার পাম তেলের দাম ১৩২ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, চিঠির বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। চিঠিও আমি এখনো পায়নি, যদি পাঠিয়ে থাকেন অফিসে যেয়ে দেখতে হবে।


আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪

ফের ২০ বিলিয়নের নিচে নামল রিজার্ভ

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




উত্তপ্ত বান্দরবান: থানচি বাজারে গোলাগুলি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের থানচি বাজারে গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) রাত পৌনে ৯টার দিকে থানচির বাজার সংলগ্ন এলাকায় গোলাগুলি শুরু হয়।

থানচির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, থানচি বাজার এলাকায় গোলাগুলি চলছে। বাজারে পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে কাদের গোলাগুলি চলছে সেটা নিশ্চিত করা যায়নি। বাজারের পাশে অন্য আরেকটি জায়গাসহ মোট দুটি জায়গায় গোলাগুলি চলছে।

রাত ৯টা ৩০ মিনিটে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানচি বাজার ও এর আশপাশের এলাকায় গোলাগুলি চলছিল।

থানচি বাজারের ২০০ থেকে ৩০০ গজের ভেতরেই রয়েছে থানচি থানা, একটি বিজিবি ক্যাম্প এবং থানচি বাজারের শেষ মাথায় রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি চেকপোস্ট।

এর আগে, গতকাল বুধবার দুপুরে থানচি বাজারে গুলি চালিয়ে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।

সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে থানচি বাজার ঘিরে ফেলে ডাকাতরা। তারা ব্যাংক ও এর আশপাশের এলাকায় অস্ত্রের মুখে সবার কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর তারা ব্যাংক দুটির ভেতরে ঢুকে পড়ে।


আরও খবর



তুরস্কে স্থানীয় নির্বাচনে এরদোগান বিরোধীদের জয়

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তুরস্কের স্থানীয় নির্বাচনে প্রধান নগরীগুলোতে বড় জয় পাওয়ার দাবি করেছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি। ধারণা করা হচ্ছে, ইস্তাম্বুল ও রাজধানী আঙ্কারায় দুই দশকেরও বেশি সময় পর প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং তার জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) সবচেয়ে বড় পরাজয় হতে যাচ্ছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, রবিবার (৩১ মার্চ) ইস্তাম্বুলে স্থানীয় নির্বাচনে ৯৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।

শহরটির মেয়র সিএইচপি পার্টির একরেম ইমামোগলু জানিয়েছেন, তিনি ক্ষমতাসীন একে পার্টির প্রার্থীকে ১০ লাখের বেশি ভোটে হারিয়েছেন।

ভোটের পর এক প্রতিক্রিয়ায় সাবেক ব্যবসায়ী ইমামোগলু জানিয়েছেন, যারা জাতির বার্তা বোঝে না তারা শেষ পর্যন্ত হেরে যাবে। আজ রাতে ইস্তাম্বুলের এক কোটি ৬০ লাখ নাগরিক আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী এবং প্রেসিডেন্টের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছে।

তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারাতেও জয় পেয়েছে সিএইচপি দলীয় মেয়র মনসুর ইয়াভাস। তুরস্কের তৃতীয় বড় শহর ইজমিরেও এগিয়ে আছে সিএইচপি।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির পক্ষ থেকে বলা হয়, তুরস্কের ৮১টি প্রদেশের মধ্যে ৩৬টিতেই জয় পেয়েছে সিএইচপি।

এদিকে ভোটে এগিয়ে থাকার খবর পাওয়ার পর বিরোধী সমর্থকেরা উদযাপন করতে ইস্তাম্বুলে জড়ো হয়েছিল। হাজার হাজার মানুষ মশাল জ্বালিয়ে এবং তুর্কি পতাকা নেড়ে ভোটের ফল উদযাপন করে।

স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে দেওয়া এক ভাষণে এরদোয়ান বলেন, সারা দেশে তার দলের জনপ্রিয়তা কমেছে। এই ফল মূল্যায়ন করে ভুলগুলো সংশোধন করা হবে।’

২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত আগের নির্বাচনে সিএইচপির ইমামোগলু হারিয়ে দিয়েছিলেন এরদোয়ান ও তার দলকে। দুই দশক পর তিনি ইস্তাম্বুলকে এরদোয়ানের হাতছাড়া করেছিলেন। এবারের পরাজয়ও এরদোয়ানের জন্য বড় আঘাত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।


আরও খবর



‘ঈদ উপলক্ষে মার্কেটে গভীর রাত পর্যন্ত নিরাপত্তা থাকবে’

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদ উপলক্ষে মার্কেটে গভীর রাত পর্যন্ত নিরাপত্তা থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, আসন্ন ঈদুল ফিতরে দেশজুড়ে নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করবে।

সোমবার (১ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন ঈদুল ফিতরের প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে এ কথা জানান তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহাসড়কে নির্দিষ্ট এলাকায় যানজট নিরসনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঢাকা থেকে বের হওয়ার প্রতিটি পয়েন্টসহ দেশের যানজট প্রবণ সব জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে থাকবে। দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, রমজানে যানজট কিছুটা বাড়ে এটা সত্য। তবে ঈদ ঘনিয়ে আসলে এটা আরও বাড়ে। কারণ ঈদ শপিংয়ের জন্য মানুষ মার্কেটে যান। আবার উন্নয়ন কাজের জন্য কিছু রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঈদকে সামনে রেখে যানজট কীভাবে সহনীয় রাখা যায়, সে বিষয়ে ট্রাফিক বিভাগ কাজ করছে। আশা করি শিগগিরই যানজট কমে যাবে।


আরও খবর
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪