‘সেবা ও সদাচার,
ডিএমপির অঙ্গীকার’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নানা আনুষ্ঠানিকতায়
আজ উদযাপিত হবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৪৯তম প্রতিষ্ঠা দিবস। ১৯৭৬ সালের
১ ফেব্রুয়ারি ৬,০০০ পুলিশ সদস্য এবং ১২টি থানা নিয়ে যাত্রা শুরু করে ডিএমপি। দীর্ঘ
পথপরিক্রমায় ঢাকা মহানগরীর প্রায় ২ কোটি ২৫ লাখ নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপির
কার্যক্রম ৫০টি থানায় বিস্তৃত হয়েছে। বর্তমান ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে
কাজ করছেন ৬ জন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি), ১২ জন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অতি.
ডিআইজি), ৫৭ জন উপপুলিশ কমিশনারসহ (এসপি) ৩৪ হাজার কর্মকর্তা ও ফোর্স।
মহানগরীর নাগরিকদের জন্য নিরাপদ, নির্ভয় ও নির্বিঘ্ন ঢাকা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করেছে ৮টি ক্রাইম বিভাগ এবং ৫০টি থানা। ২০২৩ সালে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় অপরাধ দমন ও উদঘাটনে সর্বমোট ২৫ হাজার ৯০২টি মামলা করা হয়েছে। বর্তমান কমিশনারের উদ্যোগে ছিনতাই প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে ‘ছিনতাই প্রতিরোধ টাস্কফোর্স’ গঠন করা হয়েছে। সবার জন্য সমান আইনি সেবা নিশ্চিত করতে নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী হেল্প ডেস্ক থেকে ৪০ হাজার ১৮২ জনকে সেবা দেওয়া হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান জানান, ডিএমপির
সদর দপ্তর ও প্রশাসন বিভাগের অধীন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, প্রবাসী লিগ্যাল সার্ভিস, কেন্দ্রীয়
সংরক্ষণ দপ্তর, ইন্টারনাল ওভারসাইট, মেসেজ টু কমিশনার, কেন্দ্রীয় রিসিভ ডেসপাস শাখা
নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের প্রধান মুনিবুর রহমান জানান, গত
পাঁচ বছরে আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থায় ডিভাইসের মাধ্যমে ২৭ লাখ ২২ হাজার ২৯৫টি মামলা
করা হয়েছে। এছাড়া ট্রাফিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ২০২৩ সালে প্রতি মাসে গড়ে ২০০টি সভা
ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।
ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল
ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান আসাদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ
দমনে সিটিটিসি বিশ্বের রোল মডেল। সিটিটিসি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগ বিভিন্ন
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে ৯টি গবেষণা শেষ করেছে।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের উপকমিশনার (ডিসি)
ফারুক হোসেন বলেন, অপরাধ তদন্ত বিভাগ (ডিবি), জনগুরুত্বপূর্ণ, চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস
মামলার তদন্তে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে আসছে। মামলা তদন্তের পাশাপাশি মাদকদ্রব্য, চোরাইগাড়ি,
জাল টাকা, চোরাই মোবাইল উদ্ধারে মাইলফলক অর্জন করেছে। এছাড়া সাইবার অপরাধী ও সংঘবদ্ধ
অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করে যাচ্ছে ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।