ব্রাজিলের সাবেক তারকা ফুটবলার দানি আলভেজকে পানশালায় কুড়ি বছর বয়সী এক মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে সাড়ে ৪ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন স্পেনের একটি আদালত। একইসঙ্গে নির্যাতিত নারীকে দেড় লাখ ইউরো ক্ষতিপূরণ দিতেও আলভেসকে নির্দেশ দেন আদালত। এই সব টাকাই দিয়েছেন ব্রাজিলের আরেক তারকা নেইমার জুনিয়র।
বার্সেলোনার আদালতে চলা এই ধর্ষণ মামলায় ভুক্তভোগীর আইনজীবী চেয়েছিলেন, সাজা ১২ বছরের হোক আলভেসের। অন্যদিকে, স্পেনের কৌঁসুলিরা চেয়েছিলেন ৯ বছরের সাজা। তবে আদালত দেন সাড়ে ৪ বছরের সাজা। আলভেজের এই সাজা কমানোতে জরিমানার টাকা বড় ভূমিকা রেখেছে বলে এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে ব্রাজিলের গণমাধ্যম ইউওএল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগেই উল্লেখিত টাকা আদালতে পাঠিয়েছেন নেইমার। জরিমানা দিলে সাজার মেয়াদ কমবে বলেও জানানো হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ৪০ বছর বয়সী আলভেজের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এই রায় ঘোষণা করে স্পেনের বার্সেলোনার একটি আদালত। বার্সেলোনার আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ‘ভুক্তভোগী যে সম্মতি দিয়েছেন তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বাদীর ধর্ষণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।’
২০২২ সালের ডিসেম্বরে একটি পানশালায় কুড়ি বছর বয়সী এক মেয়েকে যৌন হয়রানি করেন আলভেজ। এর পর গত বছরের ১০ জানুয়ারি তদন্ত শুরু হয়। তবে এসব অভিযোগ তখন অস্বীকার করেন আলভেজ। এ বিষয়ে কথা বলতে ন্যু কাম্পের (বার্সেলোনার মাঠ) কাছেই থানায় গিয়েছিলেন আলভেজ। সেখানেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
স্পেনের শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়া দৈনিক মার্কার প্রতিবেদনে বলা হয় নাইটক্লাবে বন্ধুদের সঙ্গে ছিলেন ওই নারী। পরে পানশালার বাথরুমে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন আলভেজ। এ বিষয়ে বার্সা ইউনিভার্সাল তাদের টুইটারে এক পোস্টে দাবি করে ভুক্তভোগী নারীকে শারীরিকভাবেও নির্যাতন করেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। অভিযোগ অবশ্য একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার মতো ছিল না। কারণ ওই দিন সেই নারীর সঙ্গে পানশালায় উপস্থিত ছিলেন আলভেজও। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ও ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ৪৩টি শিরোপা জিতেছেন ৪০ বছর বয়সী আলভেজ। ক্লাব ফুটবলে তার সেরা সময়টা কেটেছে বার্সেলোনায়। ২০২২ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে বার্সা ছাড়ার পর পুমাসের সঙ্গে চুক্তি করেন আলভেজ। তার বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠায় সেই চুক্তি বাতিল করে মেক্সিকান ক্লাব।