ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
আজকের দর্পণে সংবাদ প্রকাশের পর সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের আলীপুর হরিবাসর মন্দির উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ৪,৫,৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জেসমিনা খাতুন এবং ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জিয়া উদ্দিন যৌথভাবে বুধবার সকাল থেকে কাজ শুরু করেছেন। তবে জিয়া উদ্দিন এ কাজের সাথে সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন।
২০২২-২৩ অর্থ বছরে কাবিটা প্রকল্পের অধীনে আলীপুর হরিবাসর মন্দির উন্নয়নের জন্য ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। জেসমিনা খাতুন গত মার্চ মাসে পুরো টাকা উত্তোলন করেন। সম্প্রতি বরাদ্দের ব্যাপারে জানতে পেরে মন্দির কমিটির লোকজন জেসমিনার সাথে যোগাযোগ করলে জেসমিনা বরাদ্দের কথা স্বীকার করেন। তবে তিনি জানান, ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ইকবাল জিয়া উদ্দিনের সাথে এ প্রকল্পের সমন্বয় করেন। ফলে জিয়া উদ্দিনকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হয়েছিল। জিয়া কাজ না করালেও তিনি কাজ করিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন>> ঠাকুরগাঁওয়ে ওসিসহ ৫ জন বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতার মামলা
তিনি আরও বলেন, বুধবার থেকে জিয়া ও আমার সমন্বয়ে কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শুরু করায় অভিযোগকারী অভিযোগ প্রত্যাহার করেছে।
মন্দির কমিটির সভাপতি বসন্ত কুমার তালুকদার বলেন, চেয়ারম্যানের কথায় অভিযোগ তুলে নিয়েছি।
ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ইকবাল বলেন, জেসমিনার প্রকল্পে জিয়ারও কাজ করার কথা ছিল। এখন জেসমিনা ও জিয়া দুজন মিলেই কাজ শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার আজকের দর্পণে এ বিষয়ে ‘মহিলা ইউপি সদস্যের মন্দিরের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ’- শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।