আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

ধানের উৎপাদন খরচ কমানোর কৌশল

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

একাধিক কৌশলে ধান উৎপাদনের খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব। উৎপাদন খরচ কমাতে জমির ধরন, স্থানীয় আবহাওয়া, ধানের জীবনকাল, ধানের ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ও বীজ নির্ধারণে বিশেষ সতর্ক করতে হবে। এ বিষয়ে বেশ কিছু পরামর্শ তুলে ধরেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক উপপরিচালক কৃষিবিদ অসিত কুমার সাহা।

তিনি মনে করেন, দিনদিন ফসল চাষের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এখন দরকার কৃষকদের কৌশলী হওয়া। বিশেষ করে উৎপাদন খরচ কমানো খুবই জরুরি। স্থানীয় ডিলারদের কাছ থেকে বীজ ক্রয় করার সময় অবশ্যই বীজের মূল্য, বীজ গজানোর হার, হেক্টরপ্রতি ফলন অবশ্যই ধানবীজের বস্তার গায়ে উল্লেখ থাকতে হবে। ক্রয় রশিদে বীজের মূল্য উল্লেখ থাকতে হবে। বিএডিসির বীজের ট্যাগ লাগানো আছে কি না দেখে কিনতে হবে।

বীজ শোধন : বীজ শোধন করে নিলে বীজে রোগের আক্রমণ কম হয়। চারা সুস্থ-সবল হয়। বীজ শোধনকারী দিয়ে অথবা প্রতি কেজি ধান বীজের জন্য ১ গ্রাম হারে তুতের গুঁড়ো দিয়ে বীজ শোধন করা যেতে পারে।

বীজতলার যত্ন : বীজতলা উত্তমরূপে চাষ দিতে হবে। উপরিভাগ সমতল হতে হবে। দুটি বীজতলার মধ্যে নালা বা ড্রেন রাখলে বীজতলায় সেচ প্রদান করতে সুবিধা হয় এবং পরিমিত পানি নিষ্কাশন করা সম্ভব হয়। আদর্শ বীজতলায় ১০-১৫ শতাংশ কম বীজ প্রয়োজন হয়। এতে উৎপাদন খরচ কম হয়।

চারার বয়স : মৌসুম, ধানের জাতের বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে চারার বয়স। বেশি বয়সের চারা রোপণ করতে নেই। আমন মৌসুমে ২০-২৫ দিনের, বোরো মৌসুমে ২৫ থেকে ৩০ দিনের চারা নির্বাচন করা উত্তম।

চারার সংখ্যা : প্রতি গর্তে সুস্থ-সবল-নীরোগ চারা রোপা আমন মৌসুমে ২টি দিতে হয়। গর্তে বেশি চারা দিলে ফলন বেশি হয় না। সে কারণে সঠিক চারার সংখ্যা নির্ধারণ করে উৎপাদন খরচ কমানো যায়।

রোপণ দূরত্ব : মৌসুম, জাতের বৈশিষ্ট্য জীবনকালের ওপর ভিত্তি করে ধানের চারার রোপণ দূরত্ব নির্ধারণ করতে হয়। সারি থেকে সারি ২৫ সেন্টিমিটার, গাছ থেকে গাছ ২০ সেন্টিমিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হয়। সঠিক দূরত্বে চারা রোপণ করা হলে চারার সংখ্যা কম লাগে। এতে চারার খরচ কমে যায়।

সার প্রয়োগ পদ্ধতি : সার হলো গাছের খাদ্য। গাছ মাটি থেকে শিকড়ের মাধ্যমে সার গ্রহণ করে। জমি ভালোভাবে প্রস্তুত করা হলে অতি সহজে শিকড় মাটি থেকে খাদ্য গ্রহণ করতে পারে। ধান ফসলে ব্যবহৃত ইউরিয়া সারের ২৫ থেকে ৩০ ভাগ কাজে লাগে।  ধানের জমিতে সার প্রয়োগের সময় মাটিতে পর্যাপ্ত রস থাকতে হবে। ধানের চারা রোপণের ১০ থেকে ১২ দিন পর প্রথম ইউরিয়া উপরিপ্রয়োগ করলে ভালো হয়। ওই সময় জমিতে ছিপছিপে দুই ইঞ্চি পানি থাকলে ভালো হয়। গুটি ইউরিয়া সার ব্যবহার করলে সারের কার্যকারিতা বাড়ে, ফলন বাড়ে। ২৫ থেকে ৩০ ভাগ ইউরিয়া সারের পরিমাণ কম লাগে। এতে করে সারের খরচ অনেকটা কমে যায়।

খরচ কমাতে সেচ ব্যবস্থাপনা : সেচ খরচ কমানোর জন্য সঠিকভাবে ধানের জীবনকালের স্তর অনুযায়ী প্রয়োগ করতে হয়। যদি সম্ভব হয় পর্যায়ক্রমে জমি শুকনো ও ভেজা করলে ভালো হয় (থোড় আসার পূর্ব পর্যন্ত)।  বীজতলা তৈরির সময় ও বীজ বপনের পর শুকিয়ে গেলে দুবার। জমি কাদা করবার সময় ১ বার। রোপণের সময় প্রায় ৭.৫ সেমি. পানি থাকা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে ৪-৫ বার সেচ দেওয়া যেতে পারে। রোপণের পর হতে দানাপুষ্ট হবার পূর্ব পর্যন্ত ৫-৭.৫ সেমি. পানি থাকা প্রয়োজন। ফসলে সার প্রয়োগের সময় পানি বের করে দিতে হবে। সার প্রয়োগের ২-৩ দিন পর পুনরায় পানি দিতে হবে ৭-৮ দফায়। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধানের স্তর হলো ফুল ও দুধ অবস্থা। ফুল অবস্থায় বোরো ধানের/রোপা আমন ধানের জমিতে কমপক্ষে ২ ইঞ্চি থেকে ৪ ইঞ্চি পানি ধরে রাখলে ভালো হয়। বিকেলে সেচ দিলে পানি বাষ্পীভবন কম হয়। মাটির গর্ত বা ফাটল বন্ধ করা উচিত। জমির আইল ঠিক রাখতে হবে। রোপা আমন মৌসুমে বর্ষার অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করতে হবে।

পোকামাকড় ও রোগের আক্রমণ : ধান উৎপাদনে রোগ ও পোকা মাকড়ের আক্রমণে প্রায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ উৎপাদন খরচ বেশি  হয়। ধানক্ষেত থেকে ২০০ থেকে ৩০০ মিটার দূরে আলোক ফাঁদের ব্যবস্থা করতে হবে। সবুজপাতা ফড়িং, মাজরা পোকার মতো পাতা মোড়ানো পোকা আলোতে আকৃষ্ট হয়ে ধরা পড়ে। পার্চিং বা ডাল পুঁতে দিতে হবে ধানক্ষেতে। হাতজাল দ্বারা পোকা ধরে মারতে হবে। লোগো পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপণ করতে হবে। এতে ধানক্ষেতে আলো ও বাতাস প্রবাহিত হবে। বাদামি গাছফড়িংয়ের আক্রমণ কম হবে। বাদামি গাছফড়িংয়ের আক্রমণকালে ধানের জমিতে পানি থাকলে তা নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এ সময় ইউরিয়া সার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন। কীটনাশক প্রয়োগ করার সময় গাছের গোড়ায় কীটনাশক দিতে হবে। জমির আইলে কিছু নাড়া খড়কুটো দিয়ে রাখলে শীষকাটা লেদা পোকার কীড়া এখানে আশ্রয় নেয়। ধান কাটার পর ধানের খড় সম্ভব হলে পুড়িয়ে ফেলুন। শীষকাটা লেদাপোকা গাছ বেয়ে ওপরে ওঠে এবং শীষ কেটে দেয়। সম্ভব হলে ধানগাছ বাঁশ দিয়ে শুইয়ে দিন। চুঙ্গি পোকার ধানক্ষেতে দেখা দিলে জমির পানি শুকিয়ে দিন। ক্ষেতে পানি না থাকলে পোকা পানি ছাড়া বাঁচতে পারে না।

ধানের রোগ দমন ব্যবস্থাপনা : ধানের রোগ প্রতিরোধী জাত ব্যবহার বাড়াতে হবে। অধিক মাত্রায় নাইট্রোজেন জাতীয় সার প্রয়োগ থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। ঝড়ের পর নাইট্রোজেন জাতীয় সার উপরিপ্রয়োগ করা যাবে না। ফসল সংগ্রহের পর জমির নাড়া পুড়িয়ে দিতে হয়। ব্লাস্ট রোগ দেখা দিলে বিঘাপ্রতি (৩৩ শতাংশ) ৫ কেজি পটাশ সার উপরিপ্রয়োগ করতে হবে। ব্লাস্ট রোগসহনশীল ধানের জাত ব্রি ধান ২৮, বিআর১৬ ব্যবহার করতে হবে। এই রোগ দেখা দিলে জমিতে পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে। যে সকল ধানের জমিতে নাইট্রোজেন ও পটাশ সারের ঘাটতি রয়েছে, ওই সব জমিতে বাদামি দাগ রোগ দেখা যায়। সে কারণে দাগি ধানবীজ ব্যবহার করা যাবে না। সুস্থ-সবল বীজ ব্যবহার করুন। জমিতে অনুমোদিত মাত্রায় ইউরিয়া ও পটাশিয়াম ব্যবহার করুন। খোল পচা রোগের ক্ষেত্রে রোগ সহনশীল জাত যেমন- ব্রি ধান৩৮, ব্রি ধান৪০, ব্রি ধান৪১ ব্যবহার করতে হবে। উফরা রোগ, এটি কৃমিবাহিত (নিমাটোড) রোগ। আক্রান্ত খেতের পানি অন্য খেতে দেওয়া যাবে না। জমির ফসল সংগ্রহের পর অন্য ফসল চাষের পূর্বে জমি চাষ দিয়ে ১৫ থেকে ২০ দিন ফেলে রাখতে হবে। ধানের জমিতে আগাছার আক্রমণে নিচু জমিতে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ফলন কম হতে পারে। আগাছামুক্ত ধানবীজ ব্যবহার করতে হবে। কৃষি যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করে ব্যবহার করতে হবে, আইল, সেচনালা পরিষ্কার রাখতে হবে। আধা পচা গোবর সার ব্যবহার করা যাবে না। সার উপরি প্রয়োগকালীন একই সময় হাত দিয়ে আগাছা তুলে মাটি চাপা দেওয়া যেতে পারে। ধানক্ষেতে চারা রোপণের পর কিছুদিন পানি রাখলে আগাছা কম হয়। আগাছার ফুল অথবা পরিপক্ব হওয়ার আগেই আগাছা তুলে ফেলতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: ধান

আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




নিজের জন্য জামা পরি না, অন্যের ভালো লাগবে বলে পরি : অপরাজিতা

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। কাজ করেছেন একাধিক ধারাবাহিক সিরিয়ালে। অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যক্তিজীবন নিয়ে বেশ সাহসী এই অভিনেত্রী। কোনো কিছু নিয়েই রাখঢাক রাখেন না তিনি।

সম্প্রতি আনন্দবাজারের মুখোমুখি হয়েছিলেন অপরাজিতা। কথা বলেছেন বিয়ে, সংসার থেকে শুরু করে নিজের পোশাক পরিচ্ছেদ নিয়ে। বিশেষ করে অভিনেত্রীর শাড়ি পরিধান নিয়ে কম কটাক্ষের শিকার হতে হয়নি নেটিজেনদের।

এ বিষয়ে আনন্দবাজারকে অপরাজিতা বলেন, শাড়ি পরার এই ধরন নিয়ে কিছু একটা চলছে। তবে কে কী বলেছেন, সেটা না জেনে কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না। আমার মনে হয়, কে কীভাবে শাড়ি পরবেন, সেটা তার ব্যক্তিত্বের উপর নির্ভর করে। আমার খুব ভালো চেহারা, আমি চাই মানুষের প্রশংসার তীব্রতা আমাকে আকর্ষণ করুক। তার চোখে দারুণ দেখতে লাগছে। কেউ যদি লো কাট ব্লাউজের সঙ্গে শিফন শাড়ি পরেন, তিনি যদি আত্মবিশ্বাসী হন, তাহলে পরবেন।’

অভিনেত্রী বলেন, আমরা তো নিজের জন্য জামা-কাপড় পরি না, অন্যের আমাকে ভাল লাগবে বলে পরি। মানুষ যদি শুধু নিজের জন্য জামা-কাপড় পরতেন, তাহলে তো ম্যাক্সি পরেই কেটে যেত। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত মত, আমি নিজে এমন পোশাক পরব যা সর্বজনগ্রাহ্য। পোশাকের মাধ্যমে কোনও ব্যক্তি কী ধরনের বার্তা দিতে চাইছেন, সেটা তার মানসিকতার উপর নির্ভর করে।’

বর্তমান সময়ের রিলেশনশিপ নিয়ে অপরাজিতা বলেন, আমরা পারফেকশন’ খুঁজতে গিয়ে গোলমালটা করে বসি। এই জীবন, প্রকৃতি কোনও কিছুই কি নিখুঁত? আসলে আমরা ভালোবাসি যখন-তখন, কোনও মানুষের গুণ দেখে। কিন্তু ভালোবাসি বলেই কোনও মানুষের শর্তাধীন নই। একে অপরের মর্জি মতো চলা, বা সারাক্ষণ পছন্দ-অপছন্দ মাথায় নিয়ে চলা মানে তো চুক্তির মতো। আমি যদি আশা করে থাকি আমার বর হৃতিক রোশনের মতো দেখতে হবে, তাহলে তো আমার সংসারে অশান্তি হবে।


আরও খবর



ঈদের আগের‌ দিন ফাঁকা বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌ক

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প‌রিবা‌রের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভা‌গি কর‌তে বা‌ড়ি যা‌চ্ছেন মানুষজন। ত‌বে আজ মহাসড়‌কে নেই তেমন কোনো প‌রিবহন। দু্ই-তিন প‌রিবহ‌ন দেখা গে‌লেও ঈদের আগের দিন মহাসড়ক ফাঁকা র‌য়ে‌ছে। ফ‌লে কোনো ভোগা‌ন্তি ছাড়াই স্ব‌স্তি নি‌য়ে বা‌ড়ি যা‌চ্ছেন ঘরমুখো মানুষজন। আজ বুধবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কে এমন চিত্র দেখা‌ গে‌ছে।

দেখা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কের রাবনা বাইপাস, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও বঙ্গবন্ধু সেতু গোলচত্ত্বর এলাকায় তেমন কোনো প‌রিবহন উত্তরবঙ্গের দি‌কে যে‌তে দেখা যায়‌নি। দুই-‌তিনটা ক‌রে প‌রিবহন গ‌তি‌ নি‌য়ে চলাচল কর‌ছে। এছাড়াও মহাসড়‌কে তেমন কোনো যাত্রীও নেই। ত‌বে কিছু মানুষজন বাস না পে‌য়ে ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রা‌ক ও পিকআপে যা‌চ্ছেন।

জানা যায়, চির‌চেনা এই মহাসড়‌কে প্রতিবছরই ঈদের আগের রা‌তেও ব‌্যাপক মানু‌ষের স্রোত থাকে। ফ‌লে প‌রিবহ‌নের চাপ ছিল মহাসড়‌কে। এতে আইনশৃঙ্খলা বা‌হিনীর সদস‌্যদের মহাসড়‌কের প‌রিবহন চলাচল স্বাভা‌বিক কর‌তে হিমশিম খেত। জেলা পুলিশের নানা পদক্ষেপের কারণে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন মানুষজন।

ত‌বে গতকাল মঙ্গলবার চরম ভোগা‌ন্তি‌তে পড়‌তে হ‌য়ে‌ছিল উত্তরব‌ঙ্গের ঘরমুখো মানু‌ষদের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়‌কেই প্রচণ্ড রো‌দের ম‌ধ্যে যানজ‌টের কব‌লে প‌ড়ে‌ছিল। প‌রে বঙ্গবন্ধু সেতু‌র প‌শ্চিম টোলপ্লাজা বন্ধ রে‌খে সেতু‌তে একমুখী ক‌রে উত্তরব‌ঙ্গের দি‌কে প‌রিবহনগু‌লো ছে‌ড়ে দেওয়ায় টাঙ্গাইলের মহাসড়‌কে প‌রিবহ‌নের চাপ ক‌মে‌ছিল। মঙ্গলবার সকাল থে‌কে বিকেল পর্যন্ত পরপর দুইবার দুই ঘণ্টা ক‌রে প‌শ্চিম টোলপ্লাজায় ঢাকাগামী লেন বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ।

মহাসড়কে দায়িত্বরত এক পু‌লিশ সদস্য জা‌নান, বুধবা‌রে ঈদ হ‌বে এই টা‌র্গেটে এবং সব প্রতিষ্ঠান আগেই ছু‌টি হ‌য়ে যাওয়ায় মানুষ আগে থে‌কেই বা‌ড়ি‌তে যাওয়া শুরু ক‌রে‌ছিল। ত‌বে মঙ্গলবার গা‌র্মেন্টসের লোকজনসহ অন‌্যান‌্যরা একসঙ্গে রওনা হওয়ায় মহাসড়কে চাপ বে‌ড়ে‌ছিল। ত‌বে আজ‌কে তেমন মানুষ বা‌ড়ি যাওয়ার নেই। যারা যাওয়ার তারা চ‌লে গে‌ছেন। ফ‌লে মহাসড়‌কে তেমন প‌রিবহন নেই। একদম ফাঁকা মহাসড়ক।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর আশরাফ জানান, মহাসড়‌কে তেমন প‌রিবহন নেই। পরিবহনগু‌লো স্বাভা‌বিক গ‌তি‌তেই চলাচল কর‌ছে। উত্তরবঙ্গগামী মানুষজন স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন। 


আরও খবর



বান্দরবানের ছয় উপজেলায় বন্ধ সোনালী ব্যাংক

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে গত দুদিনে তিনটি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সদর উপজেলা বাদে জেলার ছয়টি উপজেলার সোনালী ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) বান্দরবান সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ওসমান গণি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সোনালী ব্যাংকের চট্টগ্রাম উত্তর বিভাগীয় কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজার মো. মোসা খান  জানান, মঙ্গলবার ও বুধবারের ঘটনায় নিরাপত্তাজনিত কারণে সাময়িক সময়ের জন্য বান্দরবানের সদর শাখা ছাড়া সব উপজেলার সোনালী ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।

এর আগে বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বান্দরবানের থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালায় অস্ত্রধারীরা। এ সময় সোনালী ব্যাংকে থেকে ১৫ লাখ ও কৃষি ব্যাংক থেকে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা লুট করে দুর্বৃত্তরা।


আরও খবর



ঈদ ১০ না ১১ এপ্রিল, জানা যাবে মঙ্গলবার

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর বুধ নাকি বৃহস্পতিবার উদযাপিত হবে তা জানা যাবে আগামীকাল মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায়। ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সভায় বসছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।

বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে (বাদ মাগরিব) এ সভা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

সোমবার (৮ এপ্রিল) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে ঈদুল ফিতর উদযাপনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। একমাস রমজানের রোজা শেষে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়।

মঙ্গলবার দেশের আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেলে পরের দিন বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আর বাংলাদেশের কোথাও চাঁদ দেখা না গেলে বুধবার রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে ঈদ উদযাপিত হবে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)।

বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ টেলিফোন নম্বরে ফোন করে এবং ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে বা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




বিটিসিএল সার্ভারে ত্রুটি, খুলছে না সরকারি-বেসরকারি বহু সাইট

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) নিয়ন্ত্রিত তিনটি ডোমেইন সার্ভারে হঠাৎ করেই দেখা দিয়েছে ত্রুটি। ফলে মঙ্গলবার রাত থেকেই এসব ডোমেইন সার্ভার নিয়ন্ত্রিত কোনো সরকারি-বেসরকারি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারছেন না ব্যবহারকারীরা।

যেসব ওয়েবসাইটের শেষে ডট গভ, ডট বিডি, ডট বাংলা বা ডট কম ডট বিডি রয়েছে সেগুলো বিটিসিএলের সার্ভার থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। দেশের প্রায় সবগুলো মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট এসব ডোমেইন দিয়ে বানানো। ফলে সেগুলোতে প্রবেশ করতে পারছেন না ব্যবহারকারীরা। এ ছাড়া ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দারাজ, ইভ্যালি ও সংবাদ সংস্থা ইউএনবিসহ বহু বেসরকারি ওয়েবসাইট এসব ডোমেইন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করায় সেগুলোতেও প্রবেশ করা যাচ্ছে না।

জানা যায়, মঙ্গলবার রাত থেকে বিটিসিএল নিয়ন্ত্রিত তিনটি ডোমেইন সার্ভারে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এর ফলেই ব্যবহারকারীরা সরকারি-বেসরকারি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারছেন না।


আরও খবর
ফের ফেসবুকে বিভ্রাট

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪