ধামরাই (ঢাকা ) প্রতিনিধি:
সনাতনধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব এর মধ্যে শুভ পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তি উৎসব দেশের বিভিন্ন স্থানে উদযাপন করা হয় সেই পৌষ সংক্রান্ত বা মকর সংক্রান্তি উৎসব উপলক্ষে সমগ্র দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌষ মেলায় হাজার হাজার মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়।
বাঙালি সংস্কৃতিতে পৌষ মাসের এই শেষ দিনটি নানান বর্ণাঢ্য আয়োজনে উৎসব মুখর পরিবেশে পালিত হয়। মনের মাধুরীতে গঙ্গা অঞ্জলি দিয়ে এইদিনে সূর্যোদয়ের পূর্বেই গঙ্গাস্নান সেরে নেওয়া হয়।
সূর্য ধনুরাশি ত্যাগ করে মকরে সঞ্চারিত হবে বলে দিনটি শুভ, এজন্য একে মকর সংক্রান্তি বলে এবং উক্ত সময় স্নান করলে আয়ুবৃদ্ধি হয়। তা ছাড়াও পৌষ সংক্রান্তি ভারতের নানা রাজ্যে ভিন্ন নামে পালন করেন যেমন:- পুঙ্গল, লহরি, বেহু এটাই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশেষ ঐতিহ্য।
তারই ধারাবাহিকতায় রাজধানী ঢাকার ধামরাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে পৌষ মেলা হচ্ছে তার মধ্যে প্রতিবারের মতো এবারও ধামরাই পৌরসভার ঐতিহাসিক শ্রীশ্রী যশোমাধব দেবের মন্দির ও রথোৎসব এর মেলাঙ্গনের মাঠে পৌষ মেলায় আগত ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণী-পেশার হাজার হাজার মানুষ মেলায় আগমন ঘটেছে। মেলায় হরেক রকম দোকানীরা নানা কুটিরজাত শিল্প সরঞ্জাম জিনিস পত্র নিয়ে দোকান বসিয়েছে।
মেলায় আগত দর্শনার্থীরা তাদের পছন্দ মতো সাংসারিক পণ্য সামগ্রী, মাটির সরঞ্জাম, প্লাস্টিকের খেলনা শীতকালীন খাবার বিন্নি, খই, মুড়ি, চিড়া, কদমা, নানা প্রকার খাবারসহ নানা প্রকার সরঞ্জাম ক্রেতার ক্রয়, খরিদ করছেন। বাচ্চাদের খেলনা থেকে শুরু সাংসারিক দা, বটি, ছুরিসহ নানা সামগ্রী।
বলাবাহুল্য এদেশের প্রতিটি লোক-উৎসবেই রয়েছে গ্রামীণ কুটির শিল্পজাত পণ্যের সমাবেশ যা ছিল এককালে এদেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি। সে যুগে ধামরাইয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ছিল অগনিত কুটিরশিল্প যা এককালে ধামরাইকে কুটির শিল্প নগরী হিসেবে সমৃদ্ধ করেছিল।
এ মেলা দুপুর পর্যন্ত চলবে এর পর সানোড়া বটগাছের তলায়, বারবাড়িয়া কালীমন্দিরের মাঠে, কামারপাড়া বিনদুটি ভিটায়, ধামরাই সদর ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামে বটগাছের সামনে বুড়বুড়ি মন্দির কমিটির উদ্যোগে বাৎসরিক পৌষ মেলার আয়োজন করা হয়। সেখানেও বিরাট মেলা অনুষ্ঠিত হইবে।