ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি:
আখ চাষে সফল ধামরাইয়ের কৃষক। আখ একটি রসালো ও মিষ্টি জাতের খাবার। ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার আখ খেতে খুবই মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় উপজেলার মানুষের কাছে খুব জনপ্রিয়। তাই স্থানীয় মানুষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অন্যান্য জেলায়ও সরবরাহ করা হচ্ছে এখানকার আখ। আখের ফলন ভালো হওয়ায় ও ভাল বাজার মূল্য পেয়ে ধামরাইয়ে দিন দিন আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের।
কৃষকের তথ্য মতে, গতানুগতিক কৃষি ফসলের তুলনায় আখ চাষ বেশি লাভজনক। ফলে গত কয়েক বছর ধরে আখ চাষে ব্যাপক সাফল্য পেয়ে অনেক কৃষক ভাগ্যের পরিবর্তন এনেছেন। উপজেলার স্থানীয়দের কাছে পরিচিত ইশ্বরদী-৩৭/৩৮ জাতের কালো, সাদা, লাল, গেন্ডারি ও হাইব্রিড জাতের আখ চাষ করছেন তারা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ধামরাই পৌরসভা ও উপজেলার আমতা, কুশুরা, গাংগুটিয়া, সূতিপাড়া, ভাড়ারিয়া, ধামরাই, বালিয়া, নান্নার, কুল্লা, যাদবপুর, সূয়াপুর, সানোড়া, চৌহাট, বাইশাকান্দা, সোমভাগ এবং রোয়াইল ইউনিয়ন সহ বেশ কয়েকটি এলাকার উঁচু এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকা জমিগুলোতে এসব জাতের আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে স্বল্প পরিসরে আখ উত্তোলন শুরু করেছেন কৃষকরা। বাজারজাত ও পরিবহনের ঝামেলা ছাড়াই ভালো দামে মাঠের আখ মাঠে খুচরা ও পাইকারি দামে বিক্রি করে বেজায় খুশি তারা।
আখের ক্ষেত কিনতে আসা ব্যবসায়ী মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ক্ষেত থেকে তোলা প্রতিটি আখ অনুমান করে দরদাম করা হয়। বড় আকারের প্রতিটি আখ ৪০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
কৃষক বাবুল,আলমগীর, রিয়াজ, আফসার জানান, অন্য ফসলের তুলনায় আখ চাষে দ্বিগুণ লাভ। আখ খেতে সঙ্গী ফসল আলু, কাঁচা মরিচ, রসুন, পেঁয়াজ চাষ করে বাড়তি আয়ও হয়। গাছের গোড়া কচি পাতা গো-খাদ্যের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি শুকনো পাতা জ্বালানি হিসেবে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। তবে এসব জাতের আখের রস দিয়ে গুড়, চিনি তৈরি করা হয় না। তাই বাণিজ্যিকভাবে বিক্রির সুযোগ নেই। শুধু চিবিয়ে খাওয়ার চাহিদা থেকে এ আখ চাষ করা হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আরিফুল হাসান বলেন, উপজেলায় গত কয়েক বছরে কৃষকেরা আখ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। আখ চাষ ক্রমে বাড়ছে। দক্ষতা, পরিচর্যা, সঠিকভাবে সার ও কীটনাশক প্রয়োগে আখের ফলন ভালো হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও কৃষকরা ভালো দাম পেয়ে লাভবান হবেন।