ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা রোগীদের
ভর্তিসহ বিভিন্ন কাজে হয়রানি করে টাকা নেয়া ও ব্যয়বহুল বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানোর
অভিযোগে দালাল চক্রের অন্তত ৫৮ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব।
এরপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে
অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ একমাসের সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে রোগীর কয়েকজন স্বজনকেও আটক করা
হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার বেলা ১১টার পরে র্যাপিড অ্যাকশন
ব্যাটেলিয়ন-৩ (র্যাব)- এর একটি দল ঢাকা মেডিকেলে অভিযান চালায়। এসময় বহির্বিভাগ, জরুরি
বিভাগ, নতুন ভবন এবং বাগান গেটের প্রশাসনিক ব্লকসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে দালাল সন্দেহে
তাদের ৫৮ জনকে আটক করা হয়।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল
আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের রোগীদের ঘিরে গড়ে ওঠা দালাল চক্রের
৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা রোগীদের জিম্মি করে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে পাঠাতো।
এছাড়া এই হাসপাতালেই সিট দেয়ার নামে টাকা নিতো চক্রের সদস্যরা।
সব হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম কমাতে র্যাবের
অভিযান চলমান থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢামেকের দালালদের মধ্যে চতুর্থ শ্রেণিসহ
সংশ্লিষ্ট কিছু স্টাফের নাম এসেছে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শুধু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই ১৫০
থেকে ২০০ দালাল আছে বলেও জানান র্যাবের এক কর্মকর্তা।
দালালচক্রের হাতে নাজেহাল হওয়া ভুক্তভোগীদের
করা অভিযোগের ভিত্তিতে, সাদা পোশাকে র্যাব সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলে রেকি করে। এরপর ভ্রাম্যমাণ
নিয়ে অভিযান চালানো হয়।
এর আগে গত বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর
এলাকায় সরকারি চার হাসপাতালের সামনে থেকে দালাল চক্রের ৪১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাবের
ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ওই চার হাসপাতাল হলো- শহীদ সোহরাওয়ার্দী
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন
প্রতিষ্ঠান এবং ঢাকা শিশু হাসপাতাল।