মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের
ওপর সক্রিয় রয়েছে। তাই বেড়েছে ঝড় বৃষ্টির প্রবণতা। আভাস রয়েছে ঢাকাসহ ২০টি অঞ্চলে সর্বোচ্চ
৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ের। বুধবার (২০) জুলাই এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া
অফিস।
আবহাওয়াবিদ মো.
শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ,
যশোর, কুষ্টিয়া, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী,
কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব
দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ
বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে রাজধানীসহ
দেশের অধিকাংস স্থানে বৃষ্টিপাতের দেখা মেলায় জনজীবনে মিলেছে স্বস্তি। তবে হঠাৎ বৃষ্টির
কারণে অনেককে ভোগান্তিতেও পড়তে হচ্ছে।
বর্তমানে মৌসুমী
বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল
হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায়
রয়েছে।
এই অবস্থায় রংপুর,
ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা
বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ
বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে
পারে।
এদিকে রাজশাহী,
পাবনা, রংপুর, দিনাজপুর এবং নীলফামারী জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে
এবং তা কিছু কিছু এলাকা থেকে প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য
হ্রাস পাবে।
বেলা ১১টা থেকে
আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ফেনীতে, ৮০ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে, ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২ মিলিমিটার,
আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।