আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

ঢাকার কাছেই ঘুরে আসুন বালু নদে

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৬ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

যানজট ও কোলাহলে পিষ্ট রাজধানীবাসী খানিকটা স্বস্তি পেতে ছোটেন দূর দূরান্তের পাহাড় কিংবা সাগর-সলিলে। তবে কর্মব্যস্ততার চাপে হাঁসফাঁস লাগলেও সময়ের অভাবে কেউ কেউ পারেন না দূর দূরান্তের অমোঘ প্রকৃতিতে মিশতে। হাতে আধা বেলা সময় থাকলে ঘুরে আসতে পারেন পূর্বাচলের বালু নদের পাড়ে। তেরো শত নদীর এ দেশে জালের মতো ছড়িয়ে আছে নদীগুলো। এসব নদ-নদীর মোহ জাগানো রুপের টানে অনেকেই ছুটে যান বারবার। তার উপর কর্কষ শহরের বিরক্তিকর জীবনে আরেকটু আয়েশ দিতে পারে নদীর সৌন্দর্য। ইট-পাথরের শহরে রাজধানীবাসীর নাগালে প্রকৃতি খুব কমই রুপ ছড়ায় বিধায় এখানকার মানুষজন প্রকৃতির কিঞ্চিৎ ছোঁয়া পেলেই আপ্লুত হয়ে পড়েন। প্রকৃতির অনাদরে পড়ে থাকা বালু নদ ও এর আশপাশের এলাকা আকর্ষণ করছে প্রকৃতি প্রেমীদের।

প্রকৃতিতে মিশতে এখানে আসুন: রাজধানীবাসীর কিছুটা স্বস্তির স্থান হতে পারে একমাত্র বৃক্ষশোভিত স্থান কিংবা ঢেউয়ের দোলায় দোদুল্যমান এই নদী। মনে বাড়তি রস জাগ্রত করতে যাপিত জীবনের উপর যদি কিছুটা প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রভাব আনা যায় তাহলে তো সোনায় সোহাগা। কেবল বালু নদ নয়, নদের আশপাশ কিংবা পুরো পূর্বাচল এলাকার একটা কোনে বসে আপনি কাটিয়ে দিতে পারেন বিরক্তিকর দুপুর কিংবা স্নিগ্ধতার বিকেল। শহরের ইট কংক্রিটের আধিপত্য থেকে অল্প কয়েক কিলোমিটার উত্তরে বেড়েছে গ্রামীণ জনপদের আধিপত্য। সেখানে গেলে আপনি নদীর সঙ্গে মিশে স্বপ্ন বুনতে পারবেন নিরলস। ট্রলার কিংবা নৌকায় চড়ে কিছুক্ষণ ঘুরতে পারবেন। কখনো দেখবেন জেলেদের মাছ ধরার নিয়মতান্ত্রিকতা, কিংবা নদের পাড়ের নরম মাটিতে ঢেবে যাওয়া পায়ে ভর এগিয়ে যেতেই পায়ের নিচে টের পাবেন নদের ছোট মাছদের প্রাণ বাঁচানোর তাগিদ। এখনাকার মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নবর্গের মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ক্ষণিকের জন্য মিশেও যেতে পারেন আপনি। নদী পারাপারের মাঝিদের কায়িকশ্রম, জেলেদের মাছ ধরতে ধরতে ক্লান্ত হওয়া ঘর্মাক্ত দেহ, কিংবা এখানকার ছোট বড় কাঁচা দোকান-পাটের ব্যসায়ীদের বেঁচে থাকার লড়াই এবং জীবিকার তাগিদে গ্রামীণ নারীদের পরিশ্রমের চিত্র। এসব দৃশ্য আপনাকে চমকেই নিয়ে যেতে পারে আবহমান বাংলার মানুষদের চরিত্রে।

কী খাবেন: এখানে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি নানা রকম খাবারের স্বাদ নিতে পারবেন। নীলা মার্কেট মিষ্টান্নের স্বর্গ। এখানে পাবেন স্পঞ্জ মিষ্টি, ছানা মিষ্টি, ছানা জিলাপি, বড় সাইজের বালিশ মিষ্টি, ছোট সাইজের বালিশ মিষ্টি, হরেক রকমের সন্দেশ, দই, দধিসহ প্রায় ১৫ প্রজাতির মিষ্টান্ন। মিষ্টি খেয়েই নেমে পড়ুন নদীর দিকে। একটু সামনে হেঁটে যেয়ে বাঁ দিকে তাকালেই চোখে পড়বে বালু নদের শান্ত রুপ। সামনে পা বাড়াতে বাড়াতে নদী যতই মন্ত্রমুগ্ধ করবে, তার সঙ্গে সঙ্গে মুগ্ধ করবে এখানকার বাহারী খাবারের দোকানগুলো। নদীর পাড়ে সারি সারি খাবারের দোকান। নদীর পাড়কে ঘিরেই তাদের যতসব বাহার। নদীর উঁচু পাড়ের উপর সারি সারি চেয়ার বিছিয়ে রেখেছেন দোকানিরা। নদী দেখা আর পায়ের উপর পা রেখে চা খেতে এই জায়গার জুড়ি নেই। এখানকার একটি আকর্ষণীয় দিক হলো হাঁসের মাংস। একটু সামনে গেলেই চোখে পড়বে নারীরা উনুনে কেউ মাংস ভুনা করছেন, কেউ সাজিয়ে রেখেছেন রান্না করা লোভনীয় মাংস। প্রতিপ্লেট দুশো টাকা দরে বিক্রি হয় এই মাংস। প্রতি প্লেটে চার থেকে পাঁচ টুকরো হাঁসের মাংস পাওয়া যায়। সঙ্গে বিভিন্ন পিঠা কিংবা সাদা ভাতের ও ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন গ্রামীণ ফলফলাদি ও হকারদের দেখা যায় হরেক রকমের খাবার বিক্রি করতে। ঢাকা,গাজীপুর আর নারায়নগঞ্জকে স্পর্শকরা এই বালু নদের মূল প্রবাহ শীতলক্ষ্যা নদীতে। তুরাগ নদী কিংবা সুতি নদীর সঙ্গেও রয়েছে এই নদের যোগসূত্র। ঢাকা শহরের নিকটে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আঁধার এই নদ। নদীর দু'পাশের গাছ-গাছালি, গ্রামীণ পরিবেশ যে কাউকেই মুগ্ধ করতে বাধ্য। তাই স্বস্তির খোঁজে এখানে আসলে লোকসানের ঝুঁকি নেই।

কীভাবে যাবেন: কুড়িল চৌরাস্তা থেকে নারায়ণগঞ্জমুখী বিআরটিসি বাসে চড়ে বালু ব্রিজ নামবেন। সেখান থেকে রাস্তা পার হয়ে হেঁটে বা রিক্সা নিয়ে চলে যান নীলা মার্কেট। যারা সায়দাবাদ থেকে আসবেন তারা বলাকা, গাজীপুর পরিবহন, প্রভাতী বনশ্রী পরিবহন ইত্যাদি বাসে ছড়ে কুড়িল বিশ্বরোড নেমে চৌরাস্তা থেকে বিআরটিসি ধরবেন। এছাড়াও উত্তরা কিংবা আব্দুল্লাহপুর হয়ে যারা আসতে চান তাদের জন্য সুবিধাজন রুট হলো-খিলক্ষেত কাঁচা বাজার থেকে ব্যাটারীচালিত রিক্সা বা অটোতে উঠে সরাসরি নীলা মার্কেট(পূর্বাচল) ৷ অন্যদিকে গাবতলী থেকে বসুমতি পরিবহন, প্রজাপতি কিংবা পরিস্থান (এ ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল এসে বাস গুলো ধরতে হবে) পরিবহনে চড়ে কুড়িল বিশ্বরোড নেমে পড়বেন। তারপর রাস্তা পার হয়ে নীলা মার্কেটের বাস ধরুন।

নিউজ ট্যাগ: বালু নদ

আরও খবর



আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশের আবু রায়হান

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সেনেগালের রাজধানী ডাকারে অনুষ্ঠিত ১১ তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে আবু রায়হান পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ১০ মিলিয়ন ফ্রান্ক বা ১৬ হাজার ৬০০ শত মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৯ লাখ টাকা।

এই কেরাত প্রতিযোগিতায় ৩০টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম হয়েছেন তিনি।

রবিবার (৭ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাত ১০টায় চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়।

গত ২ এপ্রিল প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে সেনেগালের উদ্দেশে রওনা দেন হাফেজ আবু রায়হান। তিনি আর রায়হান ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার একজন শিক্ষার্থী।

গত ডিসেম্বরে লালবাগ শাহী মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের বাছাইপর্ব। সেখানে আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংস্থা বাংলাদেশ নির্বাচিত করে রায়হানকে। মূল প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে যথাক্রমে মিসর ও সেনেগালের প্রতিযোগী।

২০১৮ সালে কাতারে অনুষ্ঠিত টেলিভিশনভিত্তিক রিয়েলিটি শো তিজানুন নূর তথা জিম টিভিতে আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায়ও প্রথম স্থান অর্জন করার গৌরব অর্জন করেছিলেন রায়হান।

আবু রায়হানের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে। তার কোরআন পড়ার সূচনা হয় মুফতি আবদুল কাইয়ুম প্রতিষ্ঠিত বল্লভদী আল ইসরাহ একাডেমি মাদরাসায়। তিনি মুফতি আব্দুল কাইয়ুম মোল্লার ছাত্র।


আরও খবর



দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে ৭ দিন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাকিল মোল্লা, রাজবাড়ী

Image

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাট দিয়ে ঈদের আগের তিন দিন ও ঈদের পরের তিন দিন মোট সাত দিন এই নৌরুটে পণ্যবোঝাই ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে। যাত্রীদের চলাচল নির্বিঘ্ন ও ঘাট এলাকায় যানবাহনের বাড়তি চাপ কমাতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষের সভায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে রুটে ফেরি, লঞ্চসহ অন্যান্য জলযানের সুষ্ঠু চলাচল নিশ্চিত এবং ঘাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে এ সভা হয়। সেখানেই গুরুত্বপূর্ণ এ নৌপথে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় এই সাত দিন জরুরি ও পচনশীল পণ্য ছাড়া দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে অন্য ট্রাক পারাপার করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়াও নৌপথটিতে দুর্ঘটনা এড়াতে ঈদের আগের পাঁচ দিন ও পরের পাঁচ দিন নদীপথে মালবাহী নৌযান, বালুবাহী বাল্কহেড চলাচলও বন্ধ থাকবে বলে জানা যায়।

কথা হয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঈদে যাত্রী ও যানবাহনের চলাচল নির্বিঘ্নে করতে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ সময় যানবাহন পারাপারে থাকবে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১৫টি ফেরি।


আরও খবর



বিক্ষোভে উত্তাল দিল্লি, মোদির বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতে জাতীয় নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হচ্ছে সে দেশের রাজপথ। ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন দিল্লির জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি এখন কারাগারে। তার অনুপস্থিতিতে দলের হাল ধরেছেন তার স্ত্রী।

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও গ্রেপ্তারের গুঞ্জন বাতাসে। সত্যি যদি তাকে গ্রেপ্তার করা হয় তাহলে আরও উত্তপ্ত হবে ভারতের রাজনীতি।

এদিকে আবগারি দুর্নীতিকাণ্ডে বর্তমানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হেফাজতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিকে তাকে গ্রেপ্তার করার পর থেকেই উত্তপ্ত ভারতের রাজধানী। দফায় দফায় বিক্ষোভ, প্রতিবাদ চলছে।

কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল আম আদমি পার্টি। বিক্ষোভ ঠেকাতে প্রস্তুত ছিল পুলিশও। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে একাধিক স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় পুলিশের তরফে। গোটা চত্বরে ১৪৪ ধারা জারির পাশাপাশি কোনওরকম মিটিং-মিছিলের উপর জারি ছিল নিষেধাজ্ঞা। নির্দেশ অমান্য করে প্যাটেল চক মেট্রো স্টেশনের কাছে আপ কর্মী সমর্থকদের জমায়েত শুরু হতেই বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে পুলিশের তরফে মাইকে ঘোষণা করা হয়, এই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। আপনারা এখানে জমায়েত করবেন না। আপনাদের ৫ মিনিট সময় দেওয়া হচ্ছে এলাকা খালি করে দিন।''

তবে পুলিশের নির্দেশকে উড়িয়ে আরও কর্মী-সমর্থক এসে জড়ো হয় ওই এলাকায়।

এর পরই বিক্ষোভকারীদের সরাতে মাঠে নামে পুলিশ। শুরু হয় হাতাহাতি। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধের মাঝেই আটক করা হয় পাঞ্জাবের মন্ত্রী হরজোৎ সিং বাইন-সহ একাধিক আপ কর্মী-সমর্থককে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মুক্তির দাবি জানানোর পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে আপ নেত্রী রিনা গুপ্তা বলেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ভয় পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাকে ভোটের প্রচার থেকে দূরে রাখতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে কেজরিওয়াল জানিয়ে দিয়েছেন জেল থেকেই তিনি রাজ্য চালাবেন। দুদিন আগে জেল থেকেই নিজের প্রথম সরকারি নির্দেশ দিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। এবার ফের একবার ইডি হেফাজত থেকেই নিজের দ্বিতীয় সরকারি নির্দেশ দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লির মন্ত্রী সৌরভ ভারদ্বাজ জানালেন, বিনামূল্যে ওষুধ এবং প্যাথলজি পরীক্ষার দ্বিতীয় নির্দেশ দিলেন কেজরিওয়াল। সৌরভ এদিন বলেন, দিল্লিবাসীর যাতে কোনও ধরনের সমস্যা না হয় সেজন্যেই নিজের কাজ ইডি হেফাজতে থেকেও চালিয়ে যাবেন কেজরিওয়াল।

স্বাস্থ্য পোর্টফোলিওর দায়িত্বে থাকা সৌরভ ভারদ্বাজ একটি প্রেস মিটে বলেন, তিনি ভিতরে বা বাইরে যেখানেই হোন না কেন, যখনই কোনও আন্ডার প্রিভিলেজ ব্যক্তি ওষুধ নিতে সরকারি হাসপাতালে যায়, তখনই তার তা পাওয়া উচিত। একজন মধ্যবিত্ত ব্যক্তি ওষুধ কিনতে পারেন, কিন্তু দিল্লির লক্ষাধিক আন্ডার প্রিভিলেজ পরিবার ওষুধের জন্য সম্পূর্ণরূপে সরকারি হাসপাতাল এবং মহল্লা ক্লিনিকের উপর নির্ভরশীল। এই ওষুধগুলির মধ্যে কিছু আজীবন খেতে হয়। মুখ্যমন্ত্রী কিছু মহল্লা ক্লিনিকে বিনামূল্যে পরীক্ষার সুবিধার সমস্যা সম্পর্কে তথ্য পেয়েছেন। তাই তিনি আমাকে নিশ্চিত করতে বলেছেন যে সমস্ত হাসপাতাল এবং মহল্লা ক্লিনিকগুলি যেন বিনামূল্যে পরীক্ষা এবং ওষুধ সরবরাহ করে।

এই বিতর্কের মাঝেই আবগারি দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। জঙ্গি মুক্তির বিনিময়ে খালিস্তানি নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের থেকে ১৩৪ কোটি টাকা নিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী! এমনটাই দাবি করে জাতীয় রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিলেন শিখস ফর জাস্টিস প্রধান। পান্নুনের ভিডিওবার্তা প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো অস্বস্তিতে আম আদমি পার্টি।

কেজরিকে বিপাকে ফেলে খালিস্তানি জঙ্গি নেতার অভিযোগ, ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত খলিস্তানি সংগঠনগুলির থেকে মোট ১৬ মিলিয়ন ডলার অর্থসাহায্য পেয়েছে আম আদমি পার্টি। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১৩৩.৫৪ কোটি টাকা। অবশ্য পান্নুনের এহেন দাবি পুরোপুরি খারিজ করা হয়েছে আপের তরফে। তাদের বক্তব্য, আম আদমি পার্টি কখনও দেশবিরোধী কাজ করে না। তবে এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি। সব মিলিয়ে সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর।


আরও খবর



তানজানিয়ায় বন্যা: নিহত ৫৮

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় গত দুই সপ্তাহে বন্যায় ৫৮ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে। রবিবার (১৪ এপ্রিল) গভীর রাতে দেশটির সরকার নিহতের এ সংখ্যা জানিয়েছে।

সরকারের মুখপাত্র মোভারে মাতিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা দেখা দিয়েছে; যার ফলে ৫৮ জন নিহত হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে এ পর্যন্ত ১১ জন নিহত হয়েছে। এ বন্যায় অন্তত ১ লাখ ২৬ হাজার ৮৩১ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মাতিনি জানান, তানজানিয়া ভবিষ্যতে বন্যা প্রতিরোধ করার জন্য ১৪টি বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দেশটির উত্তরাঞ্চলে একটি বাস বন্যার পানিতে পড়ে আট স্কুল শিক্ষার্থী ডুবে যায়। উদ্ধার অভিযানে এক স্বেচ্ছাসেবীও নিহত হয়েছেন।

অর্থনৈতিক রাজধানী দারুসসালাম থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার পশ্চিমে উপকূলীয় ও মোরোগোরো এলাকায় ৭৫ হাজারের বেশি খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবকাঠামোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যাপ্রবণ এলাকায় বসবাসকারীদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

পূর্ব আফ্রিকার অন্যান্য অংশেও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পূর্ব আফ্রিকার প্রতিবেশী দেশ কেনিয়ায় বন্যায় অন্তত ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

মাত্র চার মাস আগে তানজানিয়ার উত্তরাঞ্চলে বন্যায় অন্তত ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

তানজানিয়ায় এপ্রিল মাস সবচেয়ে বেশি বর্ষামুখর থাকে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত এ মাসেই হয়। এ বছর এল নিনোর ঘটনা তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে; যা বিশ্বজুড়ে খরা ও বন্যা সৃষ্টি করেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে চলতি মাসের শেষের দিকে বৃষ্টিপাত সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে।


আরও খবর



নিজের জন্য জামা পরি না, অন্যের ভালো লাগবে বলে পরি : অপরাজিতা

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। কাজ করেছেন একাধিক ধারাবাহিক সিরিয়ালে। অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যক্তিজীবন নিয়ে বেশ সাহসী এই অভিনেত্রী। কোনো কিছু নিয়েই রাখঢাক রাখেন না তিনি।

সম্প্রতি আনন্দবাজারের মুখোমুখি হয়েছিলেন অপরাজিতা। কথা বলেছেন বিয়ে, সংসার থেকে শুরু করে নিজের পোশাক পরিচ্ছেদ নিয়ে। বিশেষ করে অভিনেত্রীর শাড়ি পরিধান নিয়ে কম কটাক্ষের শিকার হতে হয়নি নেটিজেনদের।

এ বিষয়ে আনন্দবাজারকে অপরাজিতা বলেন, শাড়ি পরার এই ধরন নিয়ে কিছু একটা চলছে। তবে কে কী বলেছেন, সেটা না জেনে কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না। আমার মনে হয়, কে কীভাবে শাড়ি পরবেন, সেটা তার ব্যক্তিত্বের উপর নির্ভর করে। আমার খুব ভালো চেহারা, আমি চাই মানুষের প্রশংসার তীব্রতা আমাকে আকর্ষণ করুক। তার চোখে দারুণ দেখতে লাগছে। কেউ যদি লো কাট ব্লাউজের সঙ্গে শিফন শাড়ি পরেন, তিনি যদি আত্মবিশ্বাসী হন, তাহলে পরবেন।’

অভিনেত্রী বলেন, আমরা তো নিজের জন্য জামা-কাপড় পরি না, অন্যের আমাকে ভাল লাগবে বলে পরি। মানুষ যদি শুধু নিজের জন্য জামা-কাপড় পরতেন, তাহলে তো ম্যাক্সি পরেই কেটে যেত। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত মত, আমি নিজে এমন পোশাক পরব যা সর্বজনগ্রাহ্য। পোশাকের মাধ্যমে কোনও ব্যক্তি কী ধরনের বার্তা দিতে চাইছেন, সেটা তার মানসিকতার উপর নির্ভর করে।’

বর্তমান সময়ের রিলেশনশিপ নিয়ে অপরাজিতা বলেন, আমরা পারফেকশন’ খুঁজতে গিয়ে গোলমালটা করে বসি। এই জীবন, প্রকৃতি কোনও কিছুই কি নিখুঁত? আসলে আমরা ভালোবাসি যখন-তখন, কোনও মানুষের গুণ দেখে। কিন্তু ভালোবাসি বলেই কোনও মানুষের শর্তাধীন নই। একে অপরের মর্জি মতো চলা, বা সারাক্ষণ পছন্দ-অপছন্দ মাথায় নিয়ে চলা মানে তো চুক্তির মতো। আমি যদি আশা করে থাকি আমার বর হৃতিক রোশনের মতো দেখতে হবে, তাহলে তো আমার সংসারে অশান্তি হবে।


আরও খবর