আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঢাকা উত্তরের ৪৬ স্থানে ডেঙ্গুর পরীক্ষা ফ্রি

প্রকাশিত:বুধবার ১১ আগস্ট ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ আগস্ট ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
এদিকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অভিযান অব্যাহত রেখেছে ডিএনসিসি। বুধবার পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২টি মামলায় ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৪৬টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডেঙ্গু রোগের ফ্রি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বুধবার (১১ আগস্ট) ডিএনসিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকার সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেয়ার পর ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, নগরীর সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় নগরবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে গড়ে ওঠা সামাজিক আন্দোলনের ফলেই ডিএনসিসি এলাকায় এখনও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম। নাগরিক সেবায় সবার ঢাকা মোবাইল অ্যাপস, জরুরি সেবায় ৩৩৩ নম্বর এবং ডিএনসিসির ০৯৬০২২২২৩৩৩ ও ০৯৬০২২২২৩৩৪ নম্বর হটলাইন চালু রয়েছে। পাশাপাশি নগরবাসীর কল্যাণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৬টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই ডেঙ্গু রোগের ফ্রি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ব্যক্তিগত, সরকারি কিংবা বেসরকারি যেকোনো স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম।

এদিকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অভিযান অব্যাহত রেখেছে ডিএনসিসি। বুধবার পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২টি মামলায় ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩ নম্বর অঞ্চলের গুলশান এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌফিকুর রহমান পরিচালিত মোবাইল কোর্টে কনকর্ড আইকে টাওয়ারকে ৪ লাখ টাকা এবং এইচএসবিসি ব্যাংককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও ২ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ. এস. এম. সফিউল আজম পরিচালিত মোবাইল কোর্টে ৬টি মামলায় ৩৯ হাজার টাকা, ৫ নম্বর অঞ্চলের ইন্দিরা রোড ও পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যতন মার্মা পরিচালিত মোবাইল কোর্টে ২টি মামলায় ৩০ হাজার টাকা এবং ১০ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ শহিদুল ইসলাম পরিচালিত মোবাইল কোর্টে ২টি মামলায় আরও ১১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।


আরও খবর



আজ খুলছে সরকারি অফিস

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে টানা পাঁচ দিনের ছুটি শেষে আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) খুলছে সরকারি অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

গত ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া রোজার ঈদের চার দিন এবং পহেলা বৈশাখের একদিনসহ মোট পাঁচ দিনের ছুটি শুরুর আগে শেষ কর্মদিবস ছিল ৯ এপ্রিল।

আজ থেকে আগের নিয়মে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে সরকারি অফিস-আদালত।

এবার রমজান মাস ৩০ দিন ধরে ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণ করে ছুটির তালিকা করেছে সরকার। এ ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটি ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের ছুটি ছিল।


আরও খবর



মার্কিন সিনেটে ইউক্রেন-ইসরায়েল সহায়তা বিল পাস

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মার্কিন সিনেটে পাস হল ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে বৈদেশিক সহায়তা বিল। কয়েক মাস বিলম্বের পর মঙ্গলবার সহজেই বিলটি পাস হল। এর ফলে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ইউক্রেনকে নতুন করে তহবিল জোগান দেওয়ার পথ সুগম হল।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে ইউক্রেন, ইসরায়েল, তাইওয়ান ও ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন অংশীদারদের ৯৫ বিলিয়ন (৯ হাজার ৫০০ কোটি) ডলারের প্রধানত সামরিক সহায়তা দেওয়া নিয়ে চারটি বিল পাস হয়। বিলগুলো ৭৯-১৮ ভোটে অনুমোদিত হয়।

এর আগে গত শনিবার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান নেতারা এসব বিল নিয়ে নিজেদের অবস্থান আকস্মিকভাবে বদলে ফেলেন ও ভোটাভুটিতে সেগুলো পাস করেন।

সিনেটে বিল চারটি একটি প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত করে উপস্থাপন করা হয়। প্রথম বিলে ইউক্রেনে জরুরিভিত্তিতে তহবিল জোগানের লক্ষ্যে সবচেয়ে বেশি অঙ্কের ৬১ বিলিয়ন (৬ হাজার ১০০ কোটি) ডলার সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। দ্বিতীয় বিলে ইসরায়েলকে ও বিশ্বজুড়ে সংঘাতকবলিত অঞ্চলের বেসামরিক লোকজনকে মানবিক সহায়তা হিসেবে ২৬ বিলিয়ন (২ হাজার ৬০০ কোটি) ডলার এবং তৃতীয় বিলে ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবিলায়’ ৮ দশমিক ১২ বিলিয়ন (৮১২ কোটি) ডলার সহায়তা দেওয়ার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

চতুর্থ বিলটি গত সপ্তাহে ওই প্যাকেজে যুক্ত করে প্রতিনিধি পরিষদ। এ বিলে চীনা নিয়ন্ত্রিত সামাজিক মাধ্যম অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করা, ইউক্রেনে জব্দ করা রাশিয়ার সম্পদ স্থানান্তরে পদক্ষেপ নেওয়া ও ইরানে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এখন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাক্ষরের জন্য বিলগুলো তার কাছে পাঠানো হবে। তার স্বাক্ষরের পর বিলগুলো মূলত আইনে পরিণত হবে।

দু’জন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, বিলগুলো টেবিলে পৌঁছানোর পর দ্রুত সেগুলো সই করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।


আরও খবর



কলেরার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বৈশ্বিক কর্মসূচি ঘোষণা ডব্লিউএইচও’র

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কলেরার প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সেই সঙ্গে পানিবাহিত এই প্রাণঘাতী রোগটি ঠেকাতে বৈশ্বিক কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে সংস্থাটি। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বড় আকারের টেস্ট কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

ডব্লিউএইচওর হিসেব অনুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে কলেরায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪ লাখ ৭৩ হাজার জন। ২০২৩ সালে সেই সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ তথা ৭ লাখ। চলতি ২০২৪ সালে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আলামত পাওয়া যাচ্ছে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত দুতিন বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমরা কলেরার অনাকাঙিক্ষত ও উদ্বেগজনক প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করছি। এই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে কলেরার বৈশ্বিক টেস্ট কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো কলেরা নির্ভুলভাবে শনাক্ত করা এবং নিয়মিত নজরদারি এবং কলেরা টেস্ট বিষয়ক সক্ষমতা বাড়ানো।

কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন দেশে কলেরা টেস্টের সরঞ্জাম পৌঁছে যাবে। প্রাথমিকভাবে মালাউই, ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, জাম্বিয়াসহ মোট ১৪টি দেশে পাঠানো হবে সরঞ্জাম।

এ কর্মসূচিতে অংশীদার হিসেবে আন্তর্জাতিক টিকা সহায়তা সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (গ্যাভি), জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এবং কলেরা প্রতিরোধ সংক্রান্ত বৈশ্বিক সংস্থা গ্লোবাল টাস্কফোর্স অন কলেরা কন্ট্রোল রয়েছে বলেও জানায় ডব্লিউএইচও।

গ্যাভির কর্মসূচি বিভাগের প্রধান নির্বাহী অরেলিয়া এনগুয়েন এক বিবৃতিতে বলেন, কলেরা প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে যে তৎপরতা চলছে, এ কর্মসূচি তাকে আরও একধাপ এগিয়ে নেবে বলে আমাদের বিশ্বাস।


আরও খবর



মুন্সীগঞ্জে আ. লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে দুইজন গুলিবিদ্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মুন্সিগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৬ জন। শনিবার (১৩ এপ্রিল) ভোরে সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের ছোট মোল্লাকান্দি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হলেন- মোহাম্মদ রাব্বি (১৯) ও পারভেজ খান (২০)। 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, স্থানীয় আধিপত্য নিয়ে ওই এলাকার আহম্মেদ গ্রুপ ও মামুন গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। তার দুই জনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। শনিবার ভোরে আহম্মেদ গ্রুপের লোকজন মামুন গ্রুপের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় অন্তত ৬ জন।

মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহাগ বলেন, গুলিবিদ্ধদের মধ্যে রাব্বির অবস্থা শঙ্কামুক্ত। তবে পারভেজের অবস্থা মুমূর্ষু। তার ঘারে ও বাম হাঁটুতে গুলি করা হয়েছে। এতে তার জন্য ৪ থেকে ৫ ব্যাগ রক্ত লাগবে। এখান থেকে স্যালাইন দিয়ে তাকে ঢাকায় পাঠিয়েছি।

এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। দুই জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে শুনেছি। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।


আরও খবর



হ্রাস পাচ্ছে ফসল উৎপাদন

রামগঞ্জে ফসলি জমির মাটি গিলে খাচ্ছে ইটভাটা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নে ফসলি জমিতে গড়ে ওঠা ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে কৃষি ও ফসলি জমির মাটি। মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির ফলে উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের একটি বিলেই রয়েছে প্রায় দুই শতাধীক পুকুর। সরকারি খাল-ডোবা নালা, আবাদি জমির মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কাটার ফলে যত্রতত্রে পুকুরে সয়লাভ। এসব জমির বেশিরভাগই ধানের জমি। এতে দিনদিন কমছে চাষাবাদের জমি। ফলে হ্রাস পাচ্ছে ফসল উৎপাদন।

অন্যদিকে একের পর এক গড়ে ওঠা ইটভাটা গ্রাস করে নিচ্ছে ফসলি জমি। বৈধ-অবৈধ ইটভাটাগুলো এখন কৃষকদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চলতি মৌসুমে ইট ভাটার আশপাশে চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। মাটি খেঁকোদের খপ্পরে পড়ে জমির টপ সয়েল যাচ্ছে ইটভাটায়, পুড়ছে আগুনে।

শুক্রবার বিকালে ভোলাকোট ইউনিয়নের একটি মাঠে গিয়ে দেখা যায় মাটি কাটার এ কর্মযজ্ঞ।

রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা গ্রামের আমির হোসেন ডিপজলের ইটভাটার পিছনে দেহলা ও সমেষপুর কৃষি জমির চিত্র এটি।

পুরো ফসলি জমির মাঠ জুড়ে বিশাল বিশাল পুকুরে সয়লাভ। এসব পুকুরের কারণে কোন ধরনের ফসল ফলানো স্থানীয় কৃষকদের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, চলতি বছরের জানুয়ারী মাস থেকে উক্ত বিলে ৩০টির বেশী পুকুর খনন করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এলাকার ভুক্তভোগী কৃষক ও এলাকাবাসী কয়েকবার  মানববন্ধন, প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগ, গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্বারকলিপি প্রদান, সাংবাদিক সম্মেলন করে আসলেও বন্ধ হয়নি মাটি কাটা।

শুক্রবার ২৬ (এপ্রিল) দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ২০ থেকে ২৫টি অবৈধ ট্রলি ও ভেকু মেশিন দিয়ে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করে মাটি নিয়ে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী আল মদিনা ও জেবিএম ইটভাটায়।

আবদুস সালাম, কালা মিয়া, রাজা মিয়াসহ কয়েকজন কৃষক জানান, ভোলাকোট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বশির আহম্মদ মানিক, আওয়ামী লীগ নেতা দুলাল পাটোয়ারী, ইটভাটা মালিক আমির হোসেন ডিপজল, জাহাঙ্গীর কোম্পানী, সিরাজ মিয়াসহ মাটি ব্যবসায়ী এই চক্রটি জমি কিনে নিয়ে ৪০ থেকে ৫০ ফুট গভীর করে মাটি নিয়ে যায়।

এত পার্শ্ববর্তী জমি ভেঙ্গে পড়ে পুকুরে পতিত হয়। পার্শ্ববর্তী জমির মালিক বাধ্য হয়ে মাটি খেকোদের কাছে অল্প দামে জমি বিক্রি করে দিচ্ছেন। আবার অনেক কৃষককে জমির মাটি বিক্রিতেও বাধ্য করা হয় কখনো কখনো। নামমাত্র মূল্যে ২বা ৩ ফুট কাটার কথা বলা হলেও অল্প কদিনেই ভেকু মেশিন দিয়ে কোথাও কোথাও তা ৪০/৫০ ফুট গভীর করে মাটি নিয়ে যায়।

সিরাজ নামের একজন কৃষক জানান, সমস্ত মাঠটাকে যেভাবে ধ্বংস করে ফেলছে, আমরা কৃষক কিভাবে চাষাবাদ করবো, কি খাবো।

শাহ আলম নামের আরেক কৃষক জানান, পুরো মাঠজুড়ে পুকুর। পুকুরের কারণে নিজের জমিতেই যাওয়া যায়না। কিছু কিছু জমির ধান পেকে আছে অথচ ধান কেটে কিভাবে আনবো-নৌকায় করেও আনা সম্ভব নয়।

ভোলাকোট গ্রামের দেহলা, শাহারপাড়া, শাকতলা ও ভাদুর ইউনিয়নের সমেষপুর ও সিরুন্দিসহ ৫ গ্রামের কয়েক হাজার কৃষক যুগ যুগ ধরে এ মাঠে চাষাবাদ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। কয়েক বছর আগে থেকেই এ মাঠটি মাটি খেকোদের কুনজর পড়েছে। এখন চাষাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বেশীভাগ কৃষক কৃষিকাজ ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশা জড়িত হতে বাধ্য হচ্ছেন।

মাটিকাটায় অভিযুক্ত দুলাল পাটোয়ারী জানান, সবাই কাটে-আমরা কাটলে দোষ হয়? আপনারা আসছেন, আপনারা নিউজ করেন-আমরা আমাদের কাজ করি।

লক্ষ্মীপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক হারুন অর রশিদ পাঠান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলু জানান, আমি অসহায়। আমার কিছু করার নেই মাটিকাটা বন্ধে। আপনারা নিউজ করে দেখেন কিছু করতে পারেন কি না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. শারমিন ইসলাম জানান, সর্বশেষ মাসিকসভায় এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। মাটি কাটা রোধে সরকারি সবধরনের আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

কনক মজুমদার, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর)


আরও খবর