ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের উদ্বোধন হচ্ছে বুধবার (১ ডিসেম্বর)। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বর্ণাঢ্য ও জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উদযাপন অনুষ্ঠান প্রথম দিনের মতো শুরু হচ্ছে সকাল সাড়ে ১১টায়। রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ ছাড়াও টিএসসি, অপরাজেয়
বাংলা ভাস্কর্যের সামনে বটতলায় ও মুহসিন হলের মাঠে বড় পর্দায় অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার
করা হবে। এই তিনটি স্থানে প্রায় তিন হাজার দর্শক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন বলে সংশ্লিষ্ট
সূত্র জানিয়েছে।
এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি
ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বর্ণিল
সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। উপাচার্য ভবন, কার্জন হল, কলা ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ
স্থাপনা ও অভ্যন্তরীণ সড়কে দৃষ্টিনন্দন আলোক সজ্জা শোভা পাচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন উপাচার্য
অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান। ভার্চুয়ালি শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন ভূটানের প্রধানমন্ত্রী
এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই লোটে শেরিং। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার
শিরীন শারমিন চৌধুরী অনুষ্ঠানে সম্মাননীয় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শতবর্ষের তথ্যচিত্র
প্রদর্শন এবং ‘থিম সং’ পরিবেশন করা
হবে। এছাড়া, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও মহান
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ ও ওয়েবসাইট উদ্বোধন করবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এমপি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এমপি, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ এবং ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশেনের সভাপতি এ কে আজাদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন এবং প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) ও শতবর্ষ উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি’র সদস্য-সচিব অধ্যাপক এ. এস. এম. মাকসুদ কামাল স্বাগত বক্তব্য রাখবেন। কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর-কে বিশেষ স্যুভেনির প্রদান করবেন।