ঢাকার গোলাপবাগে ফ্ল্যাট বিক্রি করে মো. মফিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তি বিপাকে পড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তাঁর অভিযোগ, ১০ তলা ভবন নির্মাণ ও নয়টি ফ্ল্যাট দেওয়ার চুক্তিতে ২০২১ সালে তিনি নিজের একটি জমি এইচ টু বিল্ডার্স অ্যান্ড কন্সট্রাকশন নামের একটি ডেভলপার প্রতিষ্ঠানকে চুক্তিতে হস্তান্তর করেন। চুক্তির শর্ত না বুঝে সেই নয় ফ্ল্যাটের দুইটি তিনি বিক্রি করেন। দুই কিস্তিতে ২৫ লাখ টাকা নেন এজন্য। কিন্তু এখনো ফ্লাট বুঝিয়ে দিতে পারেনি ডেভেলপার কোম্পানি। অন্যদিকে ফ্ল্যাট ক্রেতাও তাঁকে চাপ দিতে থাকে। এ নিয়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যাত্রাবাড়ী থানায় অভিযোগ করেছেন তিনি।
ভুক্তভোগী মো. মফিজুর রহমান ঢাকার যাত্রাবাড়ীর গোলাপবাগ এলাকার বাসিন্দা। ফ্ল্যাট ক্রেতা শামসুন্নাহার একই এলাকার বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওয়ারিশ সূত্র ও ক্রয় সূত্রে যাত্রাবাড়ীর গোলাপবাগের ১৭/১/এ জমিটির মালিক ভুক্তভোগী বৃদ্ধ ও তাঁর স্ত্রী। জমিটিতে দশ তলা ভবন করার জন্য তারা ২০২১ সালের ৮ আগস্ট এইচ টু বিল্ডার্স আ্যান্ড কনস্ট্রাকশন নামের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আম মোক্তার নামা দলিল (৬১১৭) করেন। চুক্তি অনুযায়ী ভবনে নয়টি ফ্ল্যাট পাওয়ার কথা তার। সেই নয়টি ফ্ল্যাটের দুটি ফ্লাট বিক্রয় করার জন্য শামসুন্নাহারের কাছে দুই কিস্তিতে ২৫ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। কিন্তু ডেভলপার প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তির শর্তানুসারে এবং মালিক পক্ষের আপোষ বন্টননামা না হওয়ার কারনে ডেভেলপার কোম্পানি ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেয়নি ফলে ফ্লাট মালিক মফিজুরও বিক্রি করা দুটি ফ্লাট শামসুন্নাহারকে বুঝিয়ে দিতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে জটিলতা তৈরি হলে বৃদ্ধ মফিজুর শামসুন্নাহারকে ২৫ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে চান। তবে তিনি অর্থ ফেরত না নিয়ে তাকে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দিতে চাপ দিতে থাকেন।
মো. মফিজুর রহমান বলেন, ফ্ল্যাটের বিষয়টি নিয়ে নিয়মিত চাপ দেওয়ার কারণে আমি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর শামসুন্নাহার অজ্ঞাত ২-৩ জন ব্যক্তিকে এনে আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এছাড়াও তিনি আমাকে গালমন্দ, হুমকিসহ ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে আমি আইনগত সহযোগিতা চাই।
এদিকে শামসুন্নাহারের বিরুদ্ধে একতলা ভবনের উপরে রাজউকের নিয়ম ও নকশা বহির্ভূতভাবে ৩ তলা ভবন নির্মাণ ও ৪ তলার কাজ চলমান রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যাত্রাবাড়ী, গোলাপবাগের ২২/খ ঠিকানায় তাঁর এই অবৈধ ভবন রয়েছে বলে জানা গেছে। খেয়ালখুশি ভবন নির্মাণের কারণে যে কোনো সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে জানতে শামসুন্নাহা্রের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও কোনো সারা পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও সামসুন্নাহারের ভাই মোঃ জমির আলির বিরুদ্ধেও আছে অবৈধভাবে রাজুউকের নকশা অনুমোদন ব্যাতিত নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণের অভিযোগ।
জানা গেছে ১৮/৫ গোলাপবাগ, যাত্রাবাড়ীতে এক তলা পুরাতন ভবনের উপর খেয়াল খুশিমত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ করেছেন। এই ভবন নির্মাণে কোনো সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের পরামর্শ নেয়া হয়নি। এ বিষয়ে রাজউক তার বিরুদ্ধে নোটিশও জারি করেছে।