ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চার হাজার ১১৯
কোটি ২৪ লাখ টাকা মানিলন্ডারিং আইনের এক মামলায় ১২ বছরের সাজা পাওয়া কোম্পানির এমডি
রফিকুল আমিনকে ১ বছরের জন্য জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে আরও মামলা বিচারাধীন থাকায়
তিনি এখনই কারামুক্তি পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। বুধবার (৬ মার্চ) বিচারপতি
মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ
এ আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন
অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ
আলম খান।
পরে আইনজীবীরা বলেন, রফিকুল আমীনের এরই
মধ্যে ১২ বছর সাজা খাটা শেষ হয়েছে। এ কারণে আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন। তবে তাকে আদালতের
কাছে পাসপোর্ট জমা রাখতে বলা হয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালের ১২ মে ডেসটিনি ২০০০
লিমিটেডের চার হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা মানিলন্ডারিং আইনের এক মামলায় এমডি রফিকুল
আমিনের ১২ বছর কারাদণ্ড দেয় আদালত। এছাড়া, এ মামলার আরও ৪৫ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে
সাজা দেওয়া হয়। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৪ মে দুই মামলায়
চার্জশিট দাখিল করে দুদক। চার্জশিটে কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় আসামি ৪৬ জন এবং ট্রি
প্ল্যানটেশন মামলায় আসামি ১৯ জন। ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিনসহ ১৪ জনের নাম দুই মামলায়
থাকায় মোট আসামি ৫১ জন। যাদের মধ্যে রফিকুল আমীন, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ
হোসেন ও লে. কর্নেল (অব.) মো. দিদারুল আলম গত দশ বছর ধরে কারাগারে আছেন। জামিনে আছেন
আসামি লে. জেনারেল (অব.) হারুন-অর-রশিদ, জেসমিন আক্তার (মিলন), জিয়াউল হক মোল্লা ও
সাইফুল ইসলাম রুবেল। বাকী ৪৪ জন এখনও পলাতক রয়েছেন।
মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভের নামে ডেসটিনি
বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে ১ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। সেখান থেকে ১ হাজার ৮৬১
কোটি ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। ওই অর্থ আত্মসাতের ফলে সাড়ে ৮ লাখ বিনিয়োগকারী ক্ষতির
মুখে পড়েন বলে মামলাতে অভিযোগ করা হয়।