আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম
পর্যটন কেন্দ্রের অপার সম্ভাবনা

দেশি বিদেশি পর্যটকে মুখরিত কুড়িয়ানার পেয়ারা বাগান

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৫ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
হযরত আলী হিরু, স্বরূপকাঠি

Image

দেশি বিদেশি পর্যটকে মুখরিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির আটঘর-কুড়িয়ানার পেয়ারা বাগান এলাকা। উপজেলা সদর থেকে মাত্র প্রায় ১০ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত ওই ইউনিয়নে বাংলার আপেল খ্যাত এ জাতের পেয়ারার বাণিজ্যিকভাবে আবাদ চলছে শত বছর পূর্ব থেকে। ওই এলাকার সরু সরু খালের দুপাড়ের দৃষ্টি নন্দন সারি সারি পেয়ারা বাগান দেখে পর্যটকদের মন জুড়িয়ে যায়।

প্রতিবছর পেয়ারার এই মৌসুমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সের ভ্রমন পিপাসু দর্শনার্থীরা লঞ্চ, বাস ও মাইক্রোবাস সহ বিভিন্ন বাহনে করে এই এলাকায় ঘুরতে আসছেন। এখানে এসে পেয়ারার বাগান ও হাট ঘুরে দেখার জন্য ইঞ্জিন চালিত ট্রলার বা নৌকা ভাড়া করে তাতে চড়ে ঘুরে বেড়ান তারা। পেয়ারা এ মৌসুমে দেশের বিভিন্ন বিভাগ, জেলা, উপজেলা পর্যায়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও নানা বয়সী ভ্রমণ পিপাসু অসংখ্য দর্শনার্থীরা ভিড় জমান ওই এলাকায়।

সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার পর্যটকদের ভিড় বেশি হয়। দেশি পর্যটকদের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকরাও আসছেন এ পেয়ারা বাগানে। গত ৫ বছরে পেয়ারার এ মৌসুমে এই এলাকায় মার্কিন, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত এবং ভারতীয় হাইকমিশনার এই এলাকায় সফরে এসেছিলেন। গ্রামীণ জনপদে বিনোদনপ্রেমীদের জন্য মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পেয়ারা বাগান দিন দিন পরিনত হচ্ছে পর্যটনকেন্দ্রে।

এখানে আগত পর্যটকদের জন্য নেই সেই রকম কোন বিশ্রামাগার, নেই ভালো কোন মানসম্মত খাবার দোকান ও শৌচাঘর। পার্কগুলোতে ঘুরতে আসা পর্যটকদের জন্য বাগানে ঘুরে পেয়ারা পেড়ে খাবার ব্যবস্থা, চা-কফি সপ, শিশুদের জন্য রাইড, ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। ফ্লোটিং পেয়ারা পার্ক ও পিকনিক স্পটে ৩০০ ফুট দীর্ঘ কাঠের দ্বিতল উড়াল সেতু ও ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। আর পার্কে জনপ্রতি টিকেটের মূল্য ৩০ টাকা। ওই এলাকার কিছু শিক্ষিত বেকার যুবক পেয়ারা পার্ক নামে ৩টি মিনি পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তুলেছেন।

ফ্লোটিং পেয়ারা পার্ক ও পিকনিক স্পটের মালিক প্রনয় মজুমদার ও অতনু হালদার তনু জানান, পেয়ারা বাগানে আসা পর্যটকদের বিনোদন ও বিশ্রাম দেয়ার পাশাপাশি নিজেদের বেকারত্ব দূর করার লক্ষে তারা ওই পর্যটনকেন্দ্রগুলো গড়ে তুলেছেন। এখানে আগত পর্যটকদের সেবা ও নিরাপত্তা বিধানে তারা স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রেখেছেন।

পার্কে ঘুরতে আসা পর্যটক মুনিয়া শরীফ মুনা জানান, এখানকার পরিবেশটা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা। একই এলাকার মধ্যে নানা ধরনের আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে এখানে। মনোমুগ্ধকর এই এলাকায় ঘুরতে এসে যে কারো মন ভালো হয়ে যায়।

তবে এক প্রকার উশৃঙ্খল পর্যটকদের উচ্চশব্দে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে এলাকায় শব্দদূষণ ও বাগানে ঢুকে পেয়ারা গাছের ঢাল ভাংঙ্গাসহ নানা ধরনের অশোভন আচরণে অনেকটাই বিরক্ত এখানকার লোকজন। তাই এখানে আগত পর্যটকদের জন্য উচ্চশব্দে সাউন্ডবক্স বাজানো নিষেধ সহ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

স্বরূপকাঠি উপজেলায় বাংলার আপেল খ্যাত এ জাতের পেয়ারার বাণিজ্যিকভাবে আবাদ চলছে শত বছর পূর্ব থেকে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পাওয়া তথ্যমতে উপজেলার ২৫ টি গ্রামের ১ হাজার ৯ শত ৩৫ টি বাগানের ৬ শত ৭ হেক্টর জমিতে ২ হাজার ৭০ টি পরিবার এই পেয়ারা চাষের সাথে জড়িত। আর পেয়ারার চাষাবাদ ও বিপণন ব্যবস্থার সাথে ঐ সমস্ত এলাকার প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার শ্রমজীবী মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থেকে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে। প্রতিবছর আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি সময় হতে ভাদ্র মাসের মাসামাঝি সময় এই দুই মাসকে পেয়ারার মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। এবছর প্রতি হেক্টরে ১০ টন করে ফলন হয়েছে।

উপজেলার কুড়িয়ানা, আটঘর, আদমকাঠি, জিন্দাকাঠি, ধলহার, আতা, মাদ্রাসহ ছোট বড় মিলিয়ে অন্তত ১০ টি খালে প্রতিদিনই পেয়ারার ভাসমান হাট বসে। দেখতে অনেকটা ইতালীর ভেনিস শহরের মত তাইতো এই এলাকাটিকে বাংলাদেশের ভেনিস শহরও বলে থাকেন কেউ কেউ। বর্তমানে হাটে পেয়ারা পাইকারিভাবে মন প্রতি ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিবছর পেয়ারার এ মৌসুমে ঢাকা, কুমিল্লা, চাঁদপুর, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের এক শ্রেণির পাইকাররা এখান থেকে সরাসরি হাজার হাজার মন পেয়ারা ক্রয় করে লঞ্চ, ট্রাক ও পিকআপ যোগে নিয়ে যায়। অপরপক্ষে স্থানীয় পর্যায়ে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরাও প্রতিদিন শত শত মন পেয়ারা এখান থেকে লঞ্চ, ট্রলার ও ট্রাক যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান দেয়।

পেয়ারার পাশাপাশি এই এলাকায় আমড়া, কলা, লেবু, গাব, নারিকেল, পান ও সুপারী সহ অন্যান্য কৃষিজাতপন্যের ব্যাপক চাষাবাদ হয়।

পর্যটক ও স্থানীয়দের মতে, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে পেয়ারা বাগান এলাকায় গড়ে উঠতে পারে অপার সম্ভাবনাময় পর্যটনকেন্দ্র এবং এর মাধ্যমে সরকারের আয় হতে পারে বিপুল পরিমান রাজস্ব।

আটঘর-কুড়িয়ানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিঠুন হালদার জানান, এই এলাকার পেয়ারা চাষীদের জন্য সরকারিভাবে যদি একটি কোল্ডষ্টোরেজ ও পেয়ারা দিয়ে উৎপাদিত কোন পন্যের কারখানা তৈরি করা হয় তবে এখানকার চাষীরা অনেক লাভবান হবে।

এ ব্যাপারে নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুব উল্লাহ মজুমদার জানান, এখানে আসা পর্যটকদের জন্য সরকারিভাবে একটি রেষ্ট হাউজ এবং একটি পার্ক তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়াও এখানকার পেয়ার চাষীদের জন্য যদি কোন উদ্যোক্তা কোল্ড ষ্টোরেজ বা কোন কারখানা তৈরি করতে চান তাহলে তাকে জমি ও ঋণ প্রদানসহ সার্বিক সহযোগীতা করা হবে।


আরও খবর



‘ইসরায়েল হামলা চালালে সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

এবার ইসরায়েলকে আরও কঠোর হুঁশিয়ারি দিলো ইরান। দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাঘেরি কানি বলেছেন, ইসরায়েল যদি আবার আক্রমণ চালায়, তবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তার জবাব দেবে ইরান।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাঘেরি বলেন, ইসরায়েলের যে কোনো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তেহরানের পাল্টা আক্রমণ হবে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার। ইরান এবার জবাব দেওয়ার জন্য ১২ দিন অপেক্ষা করবে না; এমনকি, এক ঘণ্টাও দেরি করবে না।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সকে ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল ফজল শেকারচি। তিনি বলেন, ইরান প্রমাণ করেছে যে তারা যুদ্ধবাজ নয় ও যুদ্ধের বিস্তার চায় না। তবে ইসরায়েল যদি প্রতিশোধ বা উসকানিমূলক কোনো আগ্রাসন চালায়, তবে ইরান আরও শক্তিশালী জবাব দেবে।

গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় তেহরান। দামেস্কে ১ এপ্রিলের ওই হামলার পরপরই কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ইরান।


আরও খবর



জাজিরায় ককটেল বিস্ফোরণে আহত যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের জাজিরায় বোমা বিস্ফোরণে আহত সৈকত সরদার (১৯) নামের এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল ৫টার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হাফিজুর রহমান। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

নিহত সৈকত সরদার (১৯) জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের মুলাই বেপারী কান্দি গ্রামের কাসেম সরদারের ছেলে। তিনি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারীর সমর্থক ছিল।

এর আগে গত ২৪ এপ্রিল সাহাবুদ্দিন নামে এক যুবক নড়িয়া থেকে তার বাড়িতে আসার সময় সারেং কান্দি বাজারে আসলে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারীর কিছু লোক তাকে গতিরোধ করে। এরপরে তাকে সেখানে গণধোলাই দিলে স্থানীয়রা জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঐদিনই স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আঃ জলিল মাদবর ও বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে নিহত সৈকত বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন।

এবিষয়ে বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারী মুঠোফোনে বলেন, সংঘর্ষের সময় আমার সমর্থক সৈকতের পিঠে, গলায় ও মাথায় বোমার আঘাত লেগে গুরুতর আহত হওয়ার পর এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলো। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে এমন সংঘর্ষ কখনোই সমর্থন করিনা। কিন্তু জলিল মাদবরের সমর্থকরা খুবই বেপরোয়া প্রকৃতির। জলিল মাদবরের আস্কারায় এলাকায় তারা এই অরাজকতা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আঃ জলিল মাদবরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি।

উল্লেখ্য: গত ২৭ মার্চ দু'পক্ষের সংঘর্ষে বোমার আঘাতে সজীব মুন্সী নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ৫ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি জলিল মাদবরের সমর্থক ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: ককটেল বিস্ফোরণ

আরও খবর



নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সংকট নেই: কাদের

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সংকট নেই। রাজনীতির বিরোধীতার জন্যই অনেকে নিরাপত্তাহীনতার কথা বলছে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সারারাত ধরে ঈদের শপিং চলছে- শপিং করতে গিয়ে কোথাও কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেনি। তারপরও রাজনীতির বিরোধিতার জন্য কথা বলে নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে। কারও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়নি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির সব নেতা একে একে জেল থেকে বের হয়েছে। তারপরও বলে তাদের ৮০ ভাগ নেতাকর্মী নাকি নির্যাতনের শিকার। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল কে বলেছি, নির্যাতিত ৮০ ভাগ নেতাকর্মীর তালিকাটা প্রকাশ করেন। কেউ অপরাধ করলে, আগুন সন্ত্রাসের মামলা, মানুষ খুনের মামলার আসামি যারা জেলে রয়েছে তাদের জন্য বিএনপির এত মায়া কান্না কেন?

দ্রব্যমূল্য নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বাজারে তেলের দাম বাড়লেও বাংলাদেশে তেলের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। জিনিসপত্রের দামও কমে যাচ্ছে। আজকে বিএনপি নেতারা বড় বড় কথা বলে, গরিবের জন্য মায়া কান্না করে। তাদের আমলে জিয়াউর রহমানের সময়ে অভাবের তাড়নায় রংপুর কোর্টে গিয়ে পতিতাবৃত্তিতে নাম লিখিয়েছিল অনেক নারী। সে ইতিহাস কি ভুলে যান!

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে বাংলাদেশে যারা ঢাকা সিটিতে, এত ভিক্ষুক কেন এমন প্রশ্ন করেন তাদের লজ্জা করে না তারা একজন গরিব মানুষকেও এই কষ্টের দিনে রোজার মাসে কোন প্রকার সাহায্য করেনি। ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেনি। বড়লোকদের নিয়ে বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টি করেছে। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নির্দেশে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা সারাদেশে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঈদের সময় ঢাকাসহ বড় বড় শহরে দান খয়রাতের আশায় কিছু গরিব মানুষ আসে। কিন্তু এ পর্যন্ত না খেয়ে মানুষ রাস্তায় পড়ে মরে আছে এমন কেউ নেই। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির উদ্ভট কথায় আওয়ামী লীগ কান দেবে না। বিপদে অসহায় মানুষের পাশে থাকা আওয়ামী লীগের রাজনীতি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ। পরে সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিউজ ট্যাগ: ওবায়দুল কাদের

আরও খবর



যৌন নিপীড়ন করে হত্যা করা হয় ইরানি কিশোরী নিকা শাকারামিকে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

২০২২ সালে ইরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে নিখোঁজ হয় ১৬ বছরের নিকা শাকারামি। এক সপ্তাহ পরে একটি মর্গে তার মরদেহ খুঁজে পায় পরিবার। এ ঘটনার পর ইরান সরকার একটি তদন্ত করে। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে সে আত্মহত্যা করেছে বলে জানানো হয়। কিন্তু পরিবারের দাবি বিক্ষোভে অংশ নেয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ইরান সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।  খবর বিবিসি

ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর ফাঁস হওয়া এক গোপন নথিতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর তিনজন ওই কিশোরীকে যৌন হয়রানির পর হত্যা করে।

যে গোপন নথি ফাঁস হয়েছে তার একটি শুনানির সারাংশ উল্লেখ করা হয়েছে। ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) ওই শুনানি করেছিল। ওই নথিতে নিকার হত্যাকারীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যে জ্যেষ্ঠ কমান্ডাররা সত্য লুকাতে চেয়েছিলেন, তাদের নামও উল্লেখ করা হয়েছে।

গোপন নথির তথ্য বলছে, ওই কিশোরী বিক্ষোভ করার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকটি গোয়েন্দা দল তাকে নজরে রেখেছিল। এর একটি হলো টিম টুয়েলভ। তারা ওই কিশোরীর ওপর সন্দেহে করে বিক্ষোভকারী সেজে বিক্ষোভে অংশ নেয়। পরে তাদের ওই কিশোরীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু সে পালিয়ে যায়।

ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, পালিয়ে যাওয়ার এক ঘণ্টা পর তাকে খুঁজে বের করা হয়। তাকে আটকের পর ওই দলটির গাড়িতে তোলা হয়। এটি ছিল একটি ফ্রিজার ভ্যান। তবে তাতে বাহিনীর কোনো চিহ্ন ছিল না।

টিম টুয়েলভের তিন সদস্য নিকার সঙ্গে ফ্রিজার ভ্যানের পেছনে বসেছিলেন। তারা হলেন আরশ কালহর, সাদেগ মনজাজি এবং বেহরুজ সাদেগি। আর ওই দলের নেতা মোর্তেজা জলিল সামনে চালকের পাশে বসেছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিকাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া যায়, তা খোঁজার চেষ্টা করছিল দলটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মোর্তেজা জলিল পরামর্শ নেয়ার জন্য আইআরজিসির সদর দপ্তরে ফোন করেন। তাকে কুখ্যাত এভিন কারাগারে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। পথে মোর্তেজা ফ্রিজার ভ্যানের পেছন থেকে ধস্তাধস্তির আওয়াজ পান।

বেহরুজ সাদেগি তার জবানবন্দিতে বলেছেন, আটককেন্দ্র থেকে নিকা শাকারামিকে গাড়িতে তোলার পর সে অন্ধকারের মধ্যে চিৎকার করছিল এবং স্লোগান দিচ্ছিল। তখন আরশ কালহর তার মোজা দিয়ে নিকার মুখ চেপে ধরেন। নিকাও তখন ধস্তাধস্তি শুরু করে। আরশ কালহর জানান, এরপর তিনি মুঠোফোনে টর্চের আলো জ্বালিয়ে দেখতে পান, সাদেগ নিকার ওপর যৌন নিপীড়ন চালাচ্ছেন এবং পরে তারাও তাতে শামিল হন।

একপর্যায়ে গাড়ির সামনে বসা মোর্তেজা চালককে গাড়ি থামাতে বলেন। পরে গাড়ির পেছনের দরজা খুলে দেখা যায় নিকার মৃতদেহ পড়ে আছে। তার মুখ ও মাথা থেকে রক্ত ঝরছিল।

২০২২ সালের অক্টোবরে বিবিসির ফারসি সংস্করণ নিকার মৃত্যুসনদ সংগ্রহ করে। সেখানে বলা হয়েছিল নিকাকে শক্ত কোনো বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। এদিকে বিবিসির পক্ষ থেকে ইরান সরকার ও রেভল্যুশনারি গার্ডকে প্রতিবেদনে পাওয়া তথ্যগুলো জানানো হয়েছিল। তবে সাড়া পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা পাওয়ার রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন চলছে গণনার কাজ। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় ৪ মাস ১০ দিন পর এ দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। এবার দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাংক দেওয়া হয়েছিল। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়েছে। তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।

টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া মমতাজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ মোট ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর তিন মাস ২০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ২৩টি বস্তায় ছয় কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। ঐতিহাসিক এ মসজিদের দানবাক্সে একসঙ্গে এত টাকা পাওয়াটা তখন ছিল নতুন রেকর্ড। এবার সে রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মসজিদটিতে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।


আরও খবর