বিএনপি জামায়াতের
সমাবেশে অংশগ্রহণকারী প্রায় ৩০০ জন অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা বিআরটিসি মতিঝিল আন্তর্জাতিক
বাস ডিপোতে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।
গতকাল শনিবার
(২৮ অক্টোবর) ডিপোর গেইট টপকিয়ে ডিপোর অভ্যন্তরে প্রবেশ করে প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায়
আন্তর্জাতিক সার্ভিসের কাউন্টার ও বিশ্রামাগার এবং ট্রাফিক শাখায় ভাংচুরসহ তান্ডব চালায়।
একপর্যায়ে দুষ্কৃতকারীরা নিচতলায় আন্তর্জাতিক সার্ভিসের কাউন্টারে অগ্নিসংযোগ করে।
পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে।
বিএনপির হামলায়
ঢাকা-আগরতলা, ঢাকা-কোলকাতা, আগরতলা-ঢাকা-কোলকাতা আন্তর্জাতিক কাউন্টারের অভ্যন্তরে
কম্পিউটার, টেবিল, চেয়ার, সোফা, রুমের জানালার গ্লাস সম্পূর্ণ রুপে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
এতে আনুমানিক ২৫ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষয়-ক্ষতি হয়।
ডিপোর নিরাপত্তার
দায়িত্বে ১০ জন আনসার সদস্য ও ১০০ জন নিজস্ব জনবল দিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা
করা হয়। কিন্তু তাতেও কোন কাজ না হওয়ায় ডিপোর জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে আনসার সদস্য
কর্তৃক ১৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। ঘটনার একপর্যায়ে বাংলাদেশ পুলিশের প্রায় ৫০ জন
সদস্য ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। সকলের যৌথ প্রচেষ্টায় দুষ্কৃতকারীরা
পিছু হটে। দুষ্কৃতকারীদের হামলায় জনাব মোঃ ইব্রাহীম, আনসার সদস্য, জনাব মোঃ রাজু আহম্মেদ,
চালক-এ, জনাব মোঃ সোহেল রানা, চালক-সি, জনাব সেতু শেখ, চালক-সি, জনাব সুলতান আহাম্মেদ,
চালক-সি, জনাব মোঃ আরিফুল ইসলাম, চালক-সি, জনাব মোঃ মাসুদ মিয়াসহ আরো অনেকে আহত হয়।
এছাড়া গতকাল শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিএনপি জামায়াতের সমাবেশে অংশগ্রহণকারী অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরাশাহাজাহানপুর নামক স্থানে ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৬২৫৭ রেজিঃ নম্বরের বাসে দুষ্কৃতকারীরা অগ্নিসংযোগ করে। এতে বাসটির সম্পূর্ণ অংশ পুড়ে যায়। ফলে বিআরটিসি’র ৬০ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়। দুষ্কৃতকারীর হামলায় বাসে নিয়োজিত চালক গুরুতর আহত হয়। এতদ্ববিষয়ে শনিবার (২৮ অক্টোবর) মতিঝিল থানায় এবং রবিবার (২৯ অক্টোবর) শাহজাহানপুর থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
আজ উত্তরার
জসিমউদ্দিন এলাকায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সার্ভিসের ৪টি বাস ভাংচুর করা হয়। বাসের
জানালার গ্লাস ও উইন্ডশিল্ড এর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে প্রায় দুই লক্ষ টাকার আর্থিক
ক্ষতি হয়। এছাড়া দু্ষ্কৃতকারীরা বেলা ১১ টায় জোয়ারসাহারা বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণাধীন ঢাকা
মেট্রো-ব-৫০৯৮ নং বাসে টঙ্গী চেরাগ আলী নামক স্থানে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে বাসের ৩টি
সিট পুড়ে যায়। এতেও প্রায় এক লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়। উভয় ঘটনায় দুষ্কৃতকারীদের
বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।