আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

দেশের ভিতর ঘোরাঘুরির সেরা ১০ স্থান

প্রকাশিত:বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

কক্সবাজার : কক্সবাজারে বিশাল সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ ছাড়াও আরও অনেক কিছু করার আছে। যেমনপ্যারাসেইলিং, ঘোড়ায় চড়া, বিচ বাইকিং, ওয়াটার বাইকিং। তা ছাড়া সৈকতে ঘণ্টায় ৩০ টাকায় চেয়ার ভাড়া করে সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত উপভোগ করা যায়। তবে ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাডভেঞ্চারের আগে চাইলে সেরে ফেলতে পারেন ট্রাভেল বীমা।

যাওয়ার সেরা সময় : নিঃসন্দেহে নভেম্বর থেকে জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি। শীত শীত এ সময়ে সমুদ্র থাকে শান্ত। পরিবেশটাও চমৎকার। তবে হোটেলগুলোর ভাড়াও পড়বে তুনামূলক বেশি।

 

সেন্টমার্টিন : দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপটিতে খালি পায়ে হাঁটতে পারেন নীলাভ জল ধরে। সমুদ্রে যাবেন আর জলে ঝাঁপাঝাঁপি করবেন না, তা কি হয়? তাই সেন্টমার্টিনের নীল পানিতে সুইমিং করতে মোটেও ভুলবেন না। তবে অবশ্যই জেনে নেবেন সাঁতারের নিরাপদ স্পটগুলো। কাছেই ছেঁড়া দ্বীপ নামে আরও একটি ছোট দ্বীপ আছে। সেখানে গিয়ে বোট রাইডিং করতে পারেন। তবে যে জিনিসটি একদম মিস করবেন না তা হলো স্কুবা ড্রাইভিং। আর সেন্টমার্টিনের লোকাল খাবারের স্বাদ তো নিতেই হবে। বিশেষ করে সন্ধ্যার দিকে জমে ওঠে সেখানকার লোকাল বাজারগুলো।

যাওয়ার সেরা সময় : সেন্টমার্টিন যাওয়ার সেরা সময় হলো নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি। মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত ঝড় হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সময়টা এড়িয়ে যাওয়া ভালো।

 

শ্রীমঙ্গল : চায়ের রাজধানীতে যাবেন আর চা খাবেন না, তা কী হয়। তাই শ্রীমঙ্গল গেলে সেখানকার সাত রঙের চায়ের স্বাদটি কমবেশি সবাই নিয়ে থাকেন। বোট রাইডের মাধ্যমে মাধবপুর লেক ও বাইক্কা বিল ঘুরে দেখতে পারেন। চাইলে দুর্দান্ত একটা ভ্রমণ শেষে হাম হাম ঝরনায় গোসল সারতে পারেন। লাউয়াছড়া রেইন ফরেস্ট এবং রেমা কালেঙ্গা রিজার্ভ ফরেস্ট দুটি ঘুরে দেখতে পারেন। তবে কোনো গাইড ছাড়া জঙ্গলের খুব বেশি ভেতরে না যাওয়াই ভালো।

যাওয়ার সেরা সময় : শ্রীমঙ্গল ঘুরে বেড়ানোর উপযুক্ত সময় মার্চ থেকে মে। এ সময় বর্ষাকাল থাকে। আর বর্ষাতেই চা বাগানের আসল সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। অবশ্য শীতেও বনভূমির সৌন্দর্যটা কম নয়।

 

সুন্দরবন : সুন্দরবনে প্রায় চার-পাঁচটি অভয়ারণ্য রয়েছে। বনের ভেতর দিয়ে অনেক মোহনা ও খাল বয়ে গেছে। সকালে এগুলোর মধ্য দিয়ে নৌকা ভ্রমণ আনন্দদায়ক অ্যাডভেঞ্চার হতে পারে। সুন্দরবনের ভেতরটা শান্তিপূর্ণ এবং নির্মল। জামতলা সমুদ্রসৈকতে হাঁটতে পারেন। জামতলা সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার সৈকতের তুলনায় খালি, পরিষ্কার ও শান্ত থাকে।

যাওয়ার সেরা সময় : এখানে ভ্রমণের সেরা সময় হলো অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত। এ সময় সেখানকার তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি পর্যন্ত থাকে তাই এ পর্যটন স্থানটি দর্শনের সঠিক সময় এটি।

 

বান্দরবান : বান্দরবানে অসংখ্য ট্যুরিস্ট স্পট থাকায় অনেক কিছুই করা সম্ভব। বগা লেকে বোট রাইডিং, কেওক্রাডাংয়ে হাইকিং, আশপাশে ঘুরে দেখা এবং ঝরনার সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি জলকেলিতে মেতে উঠতে পারেন। বান্দরবান যেহেতু পাহাড়ি অঞ্চল তাই ঘোরাঘুরির পাশাপাশি হাইকিং ও ট্র্যাকিং করতে পারেন।

যাওয়ার সেরা সময় : বান্দরবান যাওয়ার সেরা সময় হলো নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি। এ সময় অবশ্য জিনিসপত্রের দাম একটু বেশি থাকে। যা বর্ষা মৌসুমে অনেকটাই কমে যায় এবং ট্যুরিস্ট স্পটগুলোতেও ভিড় অনেক কম থাকে।

 

রাঙামাটি : রাঙামাটিতে যখনই যান না কেন, কাপ্তাই লেকে কায়াকিং একদম মিস করবেন না। এ ছাড়া শেখ রাসেল ইকো পার্কে কেবল রাইড, রাজবন বিহার প্যাগোডা, শুভলং জলপ্রপাতের সৌন্দর্যটাও উপভোগ করতে পারেন।

যাওয়ার সেরা সময় : নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কারণ এ সময় ঠান্ডা মৌসুম থাকে। রাঙামাটি যেহেতু পাহাড়ি এলাকা তাই বর্ষাকালে সেখানকার রাস্তাঘাট বন্ধ থাকে। যার কারণে সে সময় সেখানকার লোকাল ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

 

কুয়াকাটা : কুয়াকাটার মূল আকর্ষণ সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত। কোনোটাই মিস করবেন না। এ ছাড়া আশপাশে অবস্থিত জায়গাগুলো ঘুরে দেখতে পারেন।

যাওয়ার সেরা সময় : বছরের যে কোনো সময় কুয়াকাটা ভ্রমণ করা যায়। কিন্তু অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় শীতকালে বেশি ভালো লাগে। গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে সমুদ্রের ঢেউ মোটামুটিভাবে সৈকতে আছড়ে পড়ে। তাই আপনি যদি কুয়াকাটার প্রশান্তি উপভোগ করতে চান, তাহলে শীতকালে কুয়াকাটা ভ্রমণের পরিকল্পনা করা উচিত।

 

সাজেক : সাজেক ভ্যালি পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় এখানে হাইকিং ও ট্র্যাকিং করতে পারেন। তা ছাড়া রিসাং জলপ্রপাতের মধ্য দিয়ে ট্র্যাক, রহস্যময় আলুটিলা গুহা এবং পাহাড়ের চূড়া থেকে সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর দৃশ্য পেতে কংলাক পাহাড় পর্যন্ত যেতে পারেন।

যাওয়ার সেরা সময় : শীতকালে সাজেকের রিসোর্টগুলোর ভাড়া কম থাকে। তাই আপনি যদি অল্প খরচে সাজের ভ্রমণ করতে চান তাহলে শীতকাল বেছে নিন। যেমন নভেম্বরের মাঝামাঝি।

 

পতেঙ্গা সি-বিচ : কর্ণফুলী নদী ও সাগরের মোহনায় পতেঙ্গায় সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের দৃশ্য খুবই সুন্দর। বিশেষ করে বিকেলে এখান থেকে সূর্যাস্ত দেখা এবং সন্ধ্যার সময়টা খুবই উপভোগ্য। পতেঙ্গায় স্পিডবোটে চড়ে সাগরে ঘুরে বেড়ানো এক দারুণ মুহূর্ত তৈরি করে। বার্মিজ মার্কেট থেকে কেনাকাটা করতে পারেন। পাশাপাশি সব জায়গায় খাওয়ার জন্য রয়েছে সুস্বাদু স্ট্রিট ফুড। চাইলে সেসবের স্বাদও নিতে পারেন।

যাওয়ার সেরা সময় : শীতকাল পতেঙ্গার সৌন্দর্য উপভোগ করার সেরা সময়। এ সময় চাইলে পরিবার সঙ্গে নিয়ে সেখানে পিকনিক করতে পারেন।

 

চন্দ্রনাথ পাহাড় : চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে একটি মন্দির। হাইকিং শেষে সুন্দর এ মন্দিরটি দর্শন করতে পারেন। মন্দিরের পাশেই ছোট টং দোকান আছে। সেগুলোতে হালকা খাবার পাওয়া যায়, তবে ভালো হয় ওঠার সময় সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি ও কিছু শুকনো খাবার রাখলে।

যাওয়ার সেরা সময় : বর্ষা মৌসুম বাদে যে কোনো সময় যেতে পারেন। তবে গ্রীষ্মকালে গরমের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: সেন্টমার্টিন

আরও খবর



কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর গত বৃহস্পতিবার উদযাপিত হয়েছে। এখন অপেক্ষা ঈদুল আজহার। তবে আরব আমিরাতের জ্যোতির্বিদদের হিসেব অনুযায়ী আগামী ১৬ জুন (রোববার) আরাফার দিন শুরু হবে। সে অনুযায়ী ১৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে।

ইসলামের বর্ণনা অনুযায়ী, মহান আল্লাহ তায়ালা মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে স্বপ্নে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তুটি কুরবানি করার নির্দেশ দেন। এই আদেশ অনুযায়ী হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম তার সবচেয়ে প্রিয় পুত্র ইসমাইলকে কুরবানি করার ইচ্ছা পোষণ করেন।

এরপর আল্লাহ তায়ালা তাকে পুত্র ইসমাইলের পরিবর্তে পশু কুরবানির নির্দেশ দেন। এই ঘটনাকে স্মরণ করে সারা বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য প্রতি বছর এই দিবসটি পালন করে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল আজহার উপলক্ষে মুসলিম দেশগুলোতে ছুটি ঘোষণা করা হয়। আগামী ১৬ জুন বিকাল থেকে কুরবানির কার্যক্রম শুরু হয়ে ২০ জুন বৃহস্পতিবার বিকালে শেষ হবে। 

পবিত্র ঈদুল আজহার দিন মুসল্লিরা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পশু করুবানি দিয়ে থাকেন। এদিন আত্মীয়স্বজন ও গরীব দুঃখিদের মাঝে কুরবানির মাংস বিতরণ করা হয়। পবিত্র ঈদুল আজহায় আর্থিক সামর্থবান মুসল্লিরা মক্কায় হজ পালন করেন। এদিন তারা পবিত্র হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। 


আরও খবর
শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪

আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর

বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪




ফেব্রুয়ারিতে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৫৫

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারা দেশে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ৫০৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৫৫ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ১ হাজার ৩১ জন। বুধবার বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে ১১৫ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩৫ জন নিহত ও ৩১৭ জন আহত হয়েছেন, সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে সিলেট বিভাগে ২১ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২২ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই মাসে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৪৬ টি দুর্ঘটনায় ৫৯৯ জন নিহত এবং ১ হাজার ৯৯ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে রেলপথে ৩৮টি দুর্ঘটনায় ৩৭ জন নিহত, ও আহত হয়েছে ৬৪ জন। নৌ-পথে ৫টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ৪ জন আহত এবং একজন নিখোঁজ রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ১৭৩ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২১০ জন নিহত, ১২৯ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ, নিহতের ৩৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ ও আহতের ১২ দশমিক ৫১ শতাংশ।

ফেব্রুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে ১১৫টি। এতে ১৩৫ জন নিহত ও ৩১৭ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম হয়েছে সিলেট বিভাগে ২১টি। এতে ২২ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছেন।

মোট দুর্ঘটনার ৫৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ গাড়িচাপা দেওয়ার, ১৯ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষের, ১৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যাওয়ার ও ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ বিবিধ ঘটনা। চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ ও ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ২৮ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৬৩ জন চালক, ৩৪ জন পথচারী, ৪৯ জন পরিবহন শ্রমিক, ৬৯ জন শিক্ষার্থী, ৬ জন শিক্ষক, ৯৩ জন নারী, ৫৮ জন শিশু, ৩ জন সাংবাদিক, ১ জন চিকিৎসক, ১ জন আইনজীবী, ১ জন মুক্তিযোদ্ধা এবং ৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৭১০টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১২ দশমিক ৯৫ শতাংশ বাস, ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা ও ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারিতে মোট দুর্ঘটনার ৩৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ১৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ ফিডার রোডে হয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশে মোট দুর্ঘটনার ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে হয়েছে।

সংগঠনটি সড়ক দুর্ঘটনার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছে। এর মধ্যে ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ বা দুর্বল প্রয়োগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনিয়ম-দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্ধি, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা এবং তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়া ও সড়ক-মহাসড়কে অবাধ চলাচল, রোড সাইন বা রোড মার্কিং ও সড়কবাতি না থাকা, রাতে ফগ লাইটের অবাধ ব্যবহার, সড়ক-মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও অদক্ষ চালকের হার বৃদ্ধি, ফুটপাত বেদখল, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা, উল্টো পথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি ও বেপরোয়া যানবাহন চালানো।


আরও খবর



প্রাথমিকে ২৫ ও মাধ্যমিকে শিক্ষার্থীপ্রতি ব্যয় বেড়েছে ৫১ শতাংশ

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীপ্রতি বছরে একটি পরিবারের ব্যয় হয় প্রায় ১৪ হাজার টাকা। যা পূর্বের বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি। আর মাধ্যমিকে ২৭ হাজার টাকার বেশি ব্যয় হচ্ছে। যা পূর্বের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি। শনিবার (৩০ মার্চ) বাংলাদেশে বিদ্যালয় শিক্ষা: মহামারী উত্তর টেকসই পুনরুত্থান’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে গণসাক্ষরতা অভিযান এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর জন্য বছরে গড়ে ১৩ হাজার ৮৮২ টাকা খরচ হয়। তবে শহরের তুলনায় গ্রামে খরচ কম। গ্রামে বছরে গড়ে ১০ হাজার ৬৩৭ এবং শহরে ১৮ হাজার ১৩২ টাকা খরচ হয়। ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে এ খরচ ৮ হাজার ৬৪৭ টাকা বা ২৫ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বছরে শিক্ষার্থীপ্রতি বছরে গড়ে খরচ হয় ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। এরমধ্যে গ্রামে ২২ হাজার ৯০৯ এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার ৬৬২ টাকা ব্যয় হয়।

গত বছরের প্রথম ছয় মাসে এ খরচ অন্তত ২০ হাজার ৭১২ টাকা বা ৫১ শতাংশ বেড়েছে। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর এবং ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত তুলনামূলক হিসাব করে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ খরচের বড় অংশই চলে যায় টিউশনি বা কোচিং সেন্টারে। এছাড়া বাকি খরচ হয় গাইড বইসহ সহায়ক বিভিন্ন সামগ্রী, যাতায়াত, খাবার, শিক্ষা উপকরণ (বই, খাতা, কলম), স্কুলের বিভিন্ন ফি এবং এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজে।

এই গবেষণায় সহযোগিতা করেছে ক্লিয়ার ও এফসিডিও। গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও এডুকেশন ওয়াচের সদস্য সচিব রাশেদা কে. চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভাপ্রধান ছিলেন এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপাসন ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।

এডুকেশন ওয়াচ প্রতিবেদন-২০২৩ উপস্থাপন করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের উপ-পরিচালক ও এডুকেশন ওয়াচের ফোকাল পয়েন্ট ড. মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এডুকেশন ওয়াচের আহ্বায়ক ড. আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী।


আরও খবর



ঈদের আগে পুলিশের ২০ কর্মকর্তার পদোন্নতি

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেয়েছেন ২০ জন কর্মকর্তা। সোমবার (৮ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মাহবুবুর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি দেয়া হলো। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা হচ্ছেন— সহকারী পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান, এটিএম আমিনুল ইসলাম আবু ছালেহ মো. আনছার উদ্দীন, গোলাম রহমান, সাইকুল আহম্মেদ ভুইয়া, আশরাফ হোসেন, রেজাউল হাসান, আব্দুল করিম, ছয়রুদ্দীন আহম্মেদ, মনজুরুল আলম, জানে আলম খান, মোস্তাফিজুর রহমান, রেজাউল হক, আজিজুল হক, ফিরোজ আহমেদ, মাহবুব উর রশীদ, হুমায়ূন কবীর, সৈয়দ রুহুল ইসলাম, হুমায়ূন কবির ও রিয়াজ হোসেন।


আরও খবর



শ্যালককে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে বললেন প্রতিমন্ত্রী পলক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

Image

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লুৎফুল হাবীবকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) মোবাইল ফোনে তাকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশনা দেন প্রতিমন্ত্রী।

এদিকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় শুক্রবার রাতে লুৎফুল হাবীবকে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ কথা নিশ্চিত করেছেন সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস।

পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, লুৎফুল হাবীবের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশসহ একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রস্তুত করা হচ্ছে। শুক্রবার রাতের মধ্যেই লুৎফুল হাবিবকে নোটিশটি পাঠানো হবে। এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়ে আগামীকাল শনিবার লুৎফুল হাবীবকে আরও একটি চিঠি পাঠানো হবে। উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন লুৎফুল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দলীয় এই নির্দেশনা অমান্য করলে লুৎফুলের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে তাকে দল থেকে বহিষ্কারও করা হতে পারে।

এর আগে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অপহরণ করে মারধরের ঘটনায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রতিমন্ত্রীর শ্যালক লুৎফুল হাবীবকে তলব করেছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের নোটিশে ১৫ এপ্রিল জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনের মনোনয়নপত্র জমাদানে বাধা, মারধর ও অপহরণের ঘটনার কথা তুলে ধরে আগামী তিন দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে লুৎফুল হাবীবকে ফোন দিলেও কল না ধরায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থ দেলোয়ার হোসেনকে দেখতে যান সিংড়ার সংসদ সদস্য এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ ঘটনায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় আমি লজ্জিত, দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের সুষ্ঠু বিচার হবে।


আরও খবর