হিমালয়ের পাদদেশের জেলা হিসেবে পরিচিত দিনাজপুরে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দিন যতই যাচ্ছে তার সাথে কমছে তাপমাত্রা।
আজ রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে শনিবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ শনিবারও দিনাজপুরের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে তাপমাত্রা। সাথে যোগ হওয়া হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশা, শীতের তীব্রতায় যেন আগুনে ঘি দেওয়ার মতো। সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির মতো শিশির পড়ছে। গত চার দিন ধরে জেলার রোদের দেখা নেই। বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
শীতের এমন শীতলতায় খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্টের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। শীত নিবারণের জন্য পুরনো মোটা কাপড়ের দোকানে ছুটছেন সাধারণ মানুষেরা। শহরের হকার্স মার্কেট, বউ বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ফুটপাতের পুরনো কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন তারা।
দিনাজপুর শহরের মর্ডান মোড়ের নৈশ প্রহরী আব্দুর রশিদ বলেন, রাত জেগে মার্কেটে পাহারা দিতে হয়। যে বাতাস তাতে তো ঘরের মধ্যেই শীত লাগে। বাইরে থাকাটা অনেক কষ্ট। যে কাপড় আছে তাতে শীত মানে না। একটু পুরনো কাপড়ের দোকানে আসছি যদি কম দামে কাপড় পাই।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দিনাজপুরে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার (১০ জানুয়ারি) ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি, বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) ১১ ডিগ্রি এবং শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ১০ ডিগ্রি এবং শনিবার (১৩ জানুয়ারি) ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, দিনাজপুরের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। যা আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে।