আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে ১৬.১ ডিগ্রি

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। চলতি অক্টোবর থেকেই বেশির ভাগ সময় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। আজ রোববার (৩০ অক্টোবর) ভোর ৬টায় ১৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জানা গেছে, সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। এভাবে চলে সকাল ৭টা পর্যন্ত। তবে দিনের বেলায় বেশ গরম অনুভূত হয়।

স্থানীয়রা জানায়, হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে এখানে আগেভাগেই শীতের আগমন ঘটে। নভেম্বর-ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে থাকে প্রচণ্ড শীত। একদিকে শীতের পরশ, অন্যদিকে এ সময়ে উত্তরের পরিষ্কার নীল আকাশে দৃশ্যমান হয় পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা। এ দুইয়ে মিলে সময়টি হয়ে ওঠে পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের। এ কারণে পর্যটকরা হিমকন্যা পঞ্চগড়ে ছুটে আসছেন।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, শীত পড়তে শুরু করেছে। রোববার ভোর ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ১ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিশেষ করে অক্টোবর জুড়েই জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে।


আরও খবর



ক্ষোভ ঝাড়লেন আমিশা প্যাটেল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

চার বছরের বেশি সময় ধরে বড় পর্দায় মুখ দেখা যায়নি বলিউড অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেলের। অভিনয়ে অনিয়মিত হওয়ায় মনে কিছু ক্ষোভ জমেছে তার। বলিউডের বড় বড় প্রজেক্টে ডাক না পাওয়ায় আক্ষেপ ঝেড়েছেন এ অভিনেত্রী। জানিয়েছেন, তার গডফাদার থাকলে সিনেমা না চললেও বলিউডের বড় প্রজেক্টে ডাক পেতেন। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের। 

আরও পড়ুন>> জাহ্নবীর হিরার আংটি কি বাগদানের ইঙ্গিত?

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আমিশা প্যাটেল জানান, পরিবারের কেউ চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত নয়, এমন মেয়েরা সিনেমায় এলে তাদের টার্গেট করা হয়। বলেছেন, আমি ফিল্ম ফেটারনিটির অংশ হলে, এখানে জন্মে এখানেই বড় হলে এবং আমার যদি গডফাদার থাকত, তাহলে সিনেমা না চললেও বলিউডের সবচেয়ে বড় প্রজেক্টে ডাক পেতাম।

অবশ্য চার বছর পর হলেও এবার গদর টু সিনেমার মাধ্যমে পর্দায় ফিরেছেন আমিশা। গত মাসে ভারতের সাড়ে তিন হাজার পর্দায় মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। ফিল্মটি দারুণ সাড়া ফেলেছে বক্স অফিসে। জি স্টুডিও প্রযোজিত এ ছবিতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন সানি দেওল ও আমিশা প্যাটেল। 

আরও পড়ুন>> কেমন পুরুষ পছন্দ শাহরুখকন্যা সুহানার?

৮০ কোটি রুপি বাজেটে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। এতে আরও অভিনয় করেছেন গৌরব চোপড়া, মীর সরওয়ার, লাভ সিনহা, রোহিত চৌধুরী প্রমুখ। ২০০০ সালে বলিউডে পা রাখেন আমিশা। কিন্তু ২০০৩ সালের পর বক্স অফিসে সেই অর্থে সাফল্যের মুখ দেখেনি তার অভিনীত সিনেমা। মাঝখানে একটি আইটেম গানে পারফর্ম করেছিলেন। নিজে প্রযোজনা সংস্থাও খুলেছিলেন। তবে তার এসব ব্যর্থতার তকমা মুছে দিয়েছে গদর টু সিনেমা।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ঢাকায় সফররত রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি।

বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং সেখানে থাকা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এদিন সকালে গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সের্গেই ল্যাভরভ।

আরও পড়ুন>> ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকায় আসেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর রাশিয়ার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটাই প্রথম ঢাকা সফর।

এদিকে আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার বিকেলেই ঢাকা ছাড়বেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


আরও খবর



খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে দশটায় হাসপাতালে বেগম জিয়ার কক্ষে প্রবেশ করেন তিনি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বিএনপি মহাসচিব খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। তার চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। মির্জা ফখরুল এর আগেও বেশ কয়েকবার খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন।

সম্প্রতি দুই বার অবস্থার অবনতি হলে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিতে হয়েছিল।

শনিবার সকালে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) সেটআপে কেবিনেই অসুস্থ খালেদা জিয়া চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন।

৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার জটিলতায় ভুগছেন। এছাড়াও তিনি ফুসফুস, কিডনি জটিলতা, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসসহ প্রভৃতি রোগে ভুগছেন দীর্ঘদিন যাবত। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয় গঠিত মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দিচ্ছেন।

গত ৯ আগস্ট গুলশানের বাসা ফিরোজায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


আরও খবর



গ্রিন-ক্লিন-সেভ বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণে খুবিতে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

প্রায় ছয় হাজার মানুষের এ ক্যাম্পাসে কোথাও দুর্গন্ধ নেই, নেই কোথাও ময়লার স্তূপ। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা যেকোনো মানুষকেই মুগ্ধ করে। তেমনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলে এখন চোখে পড়বে পরিচ্ছন্ন, ময়লা-আবর্জনাবিহীন ক্যাম্পাস।

গ্রিন-ক্লিন-সেভ বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণের অংশ হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ করা হয়েছে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অর্থায়নে গত বছরের ২৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের তেত্রিশতম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।

প্ল্যান্টে নিয়ে যাওয়া বর্জ্যকে তিন স্তরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হয়। অজৈব ও দাহ্য বর্জ্যগুলোকে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এ প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন ধোঁয়া ৪০ ফুট উঁচু চিমনি বেয়ে ওপরে চলে যায়। ফলে পরিবেশের ক্ষতি হয় না। অজৈব ও অদাহ্য বর্জগুলো সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আর জৈব বর্জ্যগুলো দিয়ে প্ল্যান্টের এক পাশে উন্নত মানের সার উৎপন্ন করা হয়। মাটিতে জৈব সারের পরিমান পাঁচ শতাংশ থাকা আদর্শ, যা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খুবই কম যার পরিমাণ এক শতাংশ থেকে দুই শতাংশ। পচনশীল বর্জ্য দিয়ে জৈব সার তৈরি করা হয়। আর অপচনশীল দ্রব্যের মধ্য থেকে প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্য আলাদা করে বাইরে বিক্রি করা হয়।

প্রতিদিন দক্ষ প্ল্যান্ট কর্মীরা সকাল ৯টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সঠিক নির্দেশনা মোতাবেক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ করে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি হল ও ক্যাম্পাসজুড়ে প্রায় শতাধিক (শুকনা ময়লা ব্যবহারিত) হলুদ, ও (ভিজা ময়লা ব্যবহারিত) সবুজ ডাস্টবিন নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৩ থেকে ৪ বার এ বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়। এতে দৈনিক প্রায় ২৫০ কেজি পচনশীল ও ২০০ কেজি অপচনশীল বর্জ্য পাওয়া যায়। যে ময়লা-আবর্জনা নিচে বা ক্যাম্পাসের আশেপাশে পড়ে থাকে, প্ল্যান্টের কর্মীরা সেগুলো সংগ্রহ করেন এবং প্ল্যান্টে নিয়ে যান।

সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্টের তত্ত্বাবধায়ক মো. আজমুল হুদা আজাদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্জ্য সংগ্রহ করে পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য আলাদা করা হয়। পরে পচনশীল বর্জ্য দিয়ে জৈব সার তৈরি করা হয়। আর অপচনশীল দ্রব্যের মধ্য থেকে প্লাস্টিক-জাতীয় দ্রব্য আলাদা করে বাইরে বিক্রি করা হয়। আর অন্য দ্রব্য চুল্লিতে পোড়ানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্ল্যান্টটি যেমন পরিবেশের ওপর ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে, ঠিক তেমনি প্ল্যান্ট থেকে বৃহৎ পরিসরে সার উৎপাদন করা গেলে আগামীতে কৃষি খাতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

গবেষকরা বলছেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠান এভাবে নিজস্ব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট তৈরি করতে পারলে খুলনা নগরে ৪০ শতাংশ বর্জ্য কমে আসবে। যা পরিবেশের জন্য খুবই ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।


আরও খবর



রাজাপুরে ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাঈম, রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা সদরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থান ময়লা-আবর্জনায় ভাগারে পরিণত হয়েছে। ডাষ্টবিন না থাকায় যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। ফলে আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে উপজেলা সদরের বসবাসরত এলাকাবাসী।

ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য নেওয়া হয়নি কোন উদ্যোগ। যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে রাজাপুর উপজেলা শহর এখন আবর্জনার শহরে পরিনত হচ্ছে। কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না করায় দুর্গন্ধে বাতাস দূষিত হচ্ছে। এ ছাড়া টানা বৃষ্টির পানিতে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা ভেসে যেখানে সেখানে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দুর্গন্ধে পথচারী, বসবাসরত আবাসিক এলাকার মানুষ, শিক্ষার্থী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন অফিসগামী মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, রাজাপুর উপজেলার সদরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত রাজাপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের পাশে টিএন্ডটি অফিসের (পশ্চিম-দক্ষিণ) দুই পাশে, বাগরী বাজারের খালে, রাজাপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে সরকারি পুকুরের পাড়ে, বাজার ব্রিজ এর নিচে ও মন্দিরের পাশের খালে, বাইপাশ মোড়ে ও বাইপাশ খালে, ফায়ারসার্ভিসের উত্তর পাশে মহাসড়কের পাশে,পুরাতন জেলখানার পশ্চিম পাশে মহাসড়কের পাশে মেডিকেল মোড়েসহ সদরের মূল স্থানগুলোতে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ একাকার। উপজেলা শহরের কোথাও ময়লা ফেলার সুনির্দিষ্ট স্থান ও ডাষ্টবিন না থাকায় শহরবাসী পলিথিনে ভরে যেখানে সেখানে ফেলে রাখছেন ময়লা-আবর্জনা।

দিনের পর দিন ময়লা পড়ে থাকার ফলে বৃষ্টির পানিতে এসব ময়লার স্তূপ যেখানে সেখানে ছড়িয়ে পড়ছে। সৃষ্টি হচ্ছে ডেঙ্গু মশা ও মাছির আবাসস্থল। দিন দিন এ ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা শহর জুড়েই ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। ফলে অলিগলিতে পড়ে আছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ, এ কারনে পথচারীরা স্বাভাবিকভাবে হাটতে পারেনা। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

এছাড়াও বাঘড়ী হাটের ময়লা, বাজারের ময়লা, হোটেল রেস্টুরেন্ট এর ময়লা, দধির হাঁড়ি, অগণিত পলিথিন সব খালে ও বিভিন্ন রাস্তার পাশে, ডোবায় ফেলা হচ্ছে, ফলে খালগুলি দ্রুত ভরে যাচ্ছে ও রাস্তায় চলাচল করতে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। উপজেলা শহরের সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে ২ টি পুকুরে পলিথিনসহ ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে ২টি পুকুরে মাছ চাষের অনুপযোগী হয়ে গেছে।

শহরের বসবাসকারী মাহিন, সাইফুলসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, আবর্জনার দুর্গন্ধে আমরা অতিষ্ঠ। রাস্তা-ঘাটে যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় সৃষ্টি হয় দুর্গন্ধ ও দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। উপজেলা শহরের কোথায়ও ময়লা ফেলার সুনির্দিষ্ট স্থান ও ডাষ্টবিন না থাকায় বাধ্য হয়ে খোলা জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলছে এলাকাবাসী। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়ছে সাধারন পথচারীরা।

উপজেলার ব্যবসায়ি এম মুরাদ, নয়ন তালুকদার, আরিফ, মিজান, আমিনুল সহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, শহরের আবাসীক বসতবাড়ি, দোকান, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, কনফেকশনারি, কয়েকটি ক্লিনিক, হাট বাজারের ইজারা এবং ট্রেড লাইসেন্স থেকে ইউনিয়ন পরিষদ বছরে অনেক টাকা নিলেও তাদের থেকে সেবা পাচ্ছেনা জন-সাধারণ ও ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো।

এবিষয়ে রাজাপুর উপজেলার ৩নং সদর ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম স্বপন তালুকদার বলেন, আমরা সবার সাথে এবিষয় কথা বলেছি। সবাই একত্রে বসে আলোচনা করে খুব শীঘ্রই দুইজন লোক রেখে নির্দিষ্ট একটা স্থান ঠিক করবো এবং সেখানে ময়লা ফেলার ব্যবস্থা করা হবে।

এবিষয়ে "পরিছন্ন বাংলাদেশের স্বপ্ন" বিডি ক্লিন এর ঝালকাঠি শাখার সদস্য রাহাত মাহমুদ জিবন বলেন, আমরা মানুষদের সচেতন করার জন্য বিভিন্ন সময় সচেতনতা মূলক লিফটে বিতরণ করেছি। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করেছি। তারপরও মানুষ সচেতন হচ্ছে না। এরকম যদি যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলতে থাকে তাহলে পরিবেশ দূষণ হবে এবং পানি জমে ডেঙ্গু মশা তৈরি হবে।

এবিষয়ে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ ঝালকাঠি শাখার প্রেসিডেন্ট এডভোকেট মোঃ আককাস সিকদার বলেন, ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিস্ট স্থান নির্ধারণ, ডাস্টবিন স্থাপন এবং ময়লা অপসারণের দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদের। রাজাপুর উপজেলা সদরে উপজেলা পরিষদ এবং ইউনিয়ন পরিষদ মিলে ময়লা অপসারণ এবং ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ নিতে পারে।

এবিষয়ে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ ফারহান তানভীর তানু বলেন, ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় যেখানে সেখানে ফেলার কারণে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে এবং পানি জমে ডেঙ্গু মশা জন্ম নিচ্ছে। এতে উপজেলা বাসী ঝুঁকিতে আছে। সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ৫৩জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এবিষয়ে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, পৌরসভা না থাকায় সরকারি কোন কর্মচারী এবং সরকারি কোন অর্থ বরাদ্দ নেই। তাই এই বিষয়ে উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদসহ সবার সাথে আলোচনা করবো এবং স্থায়ী ভাবে সমাধানের জন্য চেষ্টা করবো।


আরও খবর