আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

দেশের শান্তি রক্ষার দায়িত্বে সরকার সচেতন থাকবে: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত। সেই গণতান্ত্রিক দেশে ভিন্ন অনেক রকম মত থাকতে পারে, ভিন্ন মতের লোকেরা কথা বলতে পারে। আমার মনে হয় না আমাদের সে অধিকার দেওয়ার ব্যাপারে কোন দ্বিমত আছে। কিন্তু জননেত্রীর শেখ হাসিনা সরকারের কাছে জনগণ যে দায়িত্ব দিয়েছে, সেটা জনগণের জান ও মাল রক্ষার দায়িত্ব এবং দেশের শান্তি রক্ষার দায়িত্ব।সে বিষয়ে আমরা সচেতন থাকব।

নির্বাচন পেছানো প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সেটা নির্বাচন কমিশন বলতে পারবে। আমি বলতে পারব না। মন্ত্রী আরো বলেন, তার নির্বাচনী এলাকা কসবা-আখাউড়ার উন্নয়নে যা যা করা প্রয়োজন তিনি তা করবেন।

তিনি বুধবার বিকেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মহিলা ডিগ্রী কলেজের হলরুমে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

এ সময় কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন, কসবা পৌর মেয়র এমজি হাক্কানীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি বর্ধিত সভায় সভাপতি হিসেবে যোগদান করেন।


আরও খবর



বায়ুদূষণে শীর্ষে চিয়াং মাই, ১৮০ স্কোর নিয়ে ঢাকা তৃতীয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিন দিন বেড়েই চলেছে বায়ুদূষণ। মেগাসিটি ঢাকার বাতাসেও নেই স্বস্তির খবর। বেশ কিছু দিন ধরেই শহরটির বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর অবস্থাতেই রয়েছে বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তবে সবচেয়ে বেশি দূষণ ভারতের দিল্লির বাতাস।

এদিন সকাল ১১টার দিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৮০ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে রাজধানী ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবেই বিবেচিত।

দূষিত শহরের তালিকায় আজ শীর্ষে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই, যার স্কোর ১৮৯। আর দ্বিতীয় অবস্থানে ভারতের দিল্লি, স্কোর ১৮২। এ ছাড়া ১৮০ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা, চতুর্থ অবস্থানে আছে ভিয়েতনামের হ্যনয়, যার স্কোর ১৬৬। পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে  ইন্দোনেশিয়ার মেদান, যার স্কোর ১৬৫।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

এদিকে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ১৯ মার্চ জানিয়েছে, বিশ্বে বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা তিন দেশের মধ্যে পাকিস্তান আগে থেকে থাকলেও, নতুন করে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, এই তিন দেশের বাতাসে যে পরিমাণ দূষিত কণা রয়েছে তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় ১৫ গুণ বেশি। বায়ুদূষণের ওপর ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট-২০২৩ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইকিউএয়ার। প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ তিন দেশের মধ্যে পাকিস্তান দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে। আফ্রিকার দেশ চাদ আর ইরানকে সরিয়ে যথাক্রমে প্রথম ও তৃতীয় অবস্থানে চলে এসেছে বাংলাদেশ ও ভারত।

২০২৩ সালে বাংলাদেশের বাতাসে ফাইন পার্টিকুলেট ম্যাটার’ বা পিএম-২.৫ এর পরিমাণ ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৭৯ দশমিক ৯ মাইক্রোগ্রাম। পাকিস্তানের বাতাসে এর পরিমাণ ছিল ৭৩ দশমিক ৭ মাইক্রোগ্রাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বাতাসে এটি থাকা উচিত ৫ মাইক্রোগ্রাম। বাতাসে এই পিএম ২.৫ বেশি হলে ফুসফুসের ব্যাপক ক্ষতি হয়।


আরও খবর



জলবায়ু পরিবর্তনের মূল আঘাত যাচ্ছে এশিয়ার ওপর দিয়ে: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এশিয়া মহাদেশভুক্ত দেশগুলো। জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য।

ডব্লিউএমও’র মতে, অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে। ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টানা ও দীর্ঘ তাপপ্রবাহে এক দিকে এশিয়ার পার্বত্য অঞ্চলের হিমবাহগুলো গলে যাচ্ছে, অন্য দিকে জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে— যা অদূর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের পানির নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ব্যাপক সংকট সৃষ্টি করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ডব্লিউএমও’র প্রতিবেদনে।

মঙ্গলবার প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে ডব্লিউএমওর শীর্ষ নির্বাহী কেলেস্টে সাউলো বলেন, এশিয়ার অধিকাংশ দেশের ইতিহাসে ২০২৩ সাল ছিল উষ্ণতম বছর। বিশ্বে খরা, তাপপ্রবাহ, ঝড়, বন্যার মতো যত বিপর্যয় ঘটেছে, সেসবের অধিকাংশই ঘটেছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। জলবায়ু পরিবর্তনের গভীর প্রভাব ইতোমধ্যে জনজীবন ও পরিবেশের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনীতিতেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। যদি তাপমাত্রা বৃদ্ধি, হিমবাহ গলে যাওয়া এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এই প্রভাব আরও ব্যাপক হবে।’

ডব্লিউেএমও’র তথ্য অনুয়ায়ী, তাপমাত্রা বাড়ছে সাইবেরিয়া থেকে মধ্য এশিয়া, পূর্ব চীন থেকে জাপান পর্যন্ত। জাপানের ইতিহাসে উষ্ণতম বছর ছিল ২০২৩ সাল। একই সঙ্গে এ সময় প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ এশীয় অংশের তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির জেরে এশিয়ার হিমালয় পবর্তমালা এবং এই পর্বতমালার হিন্দুকুশ ও তিব্বত রেঞ্জের ২২ টি হিমবাহের মধ্যে অন্তত ২০টির বরফের মজুত ২০২৩ সালে ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি জলসৃষ্ট দুর্যোগও মোকাবিলা করতে হচ্ছে এশিয়াকে। ২০২৩ সালে এশিয়ায় বড় আকারের ঝড়, বন্যা ও তুমুল বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৭৯টি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ৯০ লাখ।

জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এশিয়ার দেশগুলোর আবহাওয়া কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং গ্রীন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাসে জোর দেওয়া হয়েছে ডব্লিউএমওর প্রতিবেদনে।

এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, আবহাওয়া কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমাতে খানিকটা হলেও সহায়তা করবে। তবে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমণ কমানোর কোনো বিকল্প নেই। এই মুহূর্তে গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাস কেবল একটি বিকল্প নয়, বরং জরুরি কর্তব্য।’


আরও খবর



গাজায় দুর্ভিক্ষ, ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৭৫ ফিলিস্তিনি

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের অবিরাম গণহত্যা অভিযানে তছনছ হয়ে যাওয়া ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ হানা দিয়েছে। সেখানে ভিক্ষা দেওয়ার মতো মানুষ নেই। অনাহারে মারা যাচ্ছে শিশুরা। খাবারের অভাবে অপুষ্টির কারণে এরই মধ্যে শিশুসহ ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। তবে ইসরায়েল অসহায় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা-হাঙ্গামা জারি রেখেছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) জুমা দিনে মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে অন্তত ৭৫ জনকে হত্যা করেছে। এসব ঘটনায় প্রায় দেড়শ মানুষ আহত হয়েছে। এ নিয়ে ৭ অক্টোবর থেকে গতকাল পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩২ হাজার ৬০০ ছড়িয়ে গেছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ইতোমধ্যে উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে, যা সম্ভবত সম্পূর্ণরূপে বিরাজমান।’

জাতিসংঘ বারবার সতর্ক করে বলছে, মে মাসে পুরো গাজায় দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়বে। এ অব্স্থায় গাজায় বাধাহীন ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিতে গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। পরদিন শুক্ররার মার্কিন এক কর্মকর্তা উত্তর গাজার দুর্ভিক্ষ নিয়ে মুখ খুললেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই মার্কিন কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, গাজার মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে এখনও দুর্ভিক্ষ শুরু হয়নি, তবে ঝুঁকি রয়েছে। ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির অর্থ হলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই জরুরিভাবে’ উত্তর গাজায় খাবার পাঠাতে হবে।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থা-ইউএনআরডব্লিউএর মুখপাত্র তামারা আলরিফাই এর আগে আলজাজিরাকে বলেছিলেন, প্রতিদিন গড়ে ১৫৫ ট্রাক গাজায় প্রবেশ করছে, সেখানে ফিলিস্তিনিদের চাহিদা মেটাতে ন্যূনতম ৫০০ ট্রাক খাবার প্রয়োজন।

গতকাল জাতিসংঘ শিশু তহবিলের মুখপাত্র জেমস এলডার বলেছেন, গাজায় যার সঙ্গেই কথা হচ্ছে, তিনি বলছেন; আমাদের খাদ্য প্রয়োজন। সব কথার আগে তারা এটিই বলছেন।’

গত সপ্তাহে জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছিল, মার্চের মাঝামাঝি থেকে মে মাসের মধ্যে যে কোনো সময় উত্তর গাজা দুর্ভিক্ষের শিকার হতে পারে। এতে আরও বলা হয়, গাজার ২৩ লাখ জনসংখ্যার ৭০ শতাংশেরও বেশি মানুষ বিপর্যয়কর ক্ষুধার সম্মুখীন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যা অভিযান থামাতে তেমন কোনো উদ্যোগ নেননি। গত বৃহস্পতিবার রাতে জো বাইডেনের একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে তার বিরুদ্ধে স্লোগান দেন একদল মানুষ। তাদের বলতে শোনা যায়, মিস্টার প্রেসিডেন্ট, আপনার হাতে ফিলিস্তিনিদের রক্ত। ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনে গণহত্যা থামাতে বলুন।’ এ সময় অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সাবেক দুই প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও বারাক ওবামা।

পবিত্র রজমান মাসে গাজায় যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল, তা নজিরবিহীন। গাজার এক বাসিন্দা আলজাজিরাকে বলেছেন, আমরা মৃত্যু মুখেও রোজা রাখছি।’


আরও খবর



যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মধ্যপ্রাচ্যে সৃষ্ট চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির দিকে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবাইকে প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দেন তিনি। বুধবার (১৭ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

সচিব বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার ফলে সম্ভাব্য রি-অ্যাকশন কী হতে পারে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কনফ্লিক্ট যদি দীর্ঘমেয়াদি হয়, সেটি কীভাবে আমরা মোকাবিলা করব, সেগুলো মোকাবিলা করার জন্য আমরা কী করতে পারি; সেগুলোর প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। ঘটনাপ্রবাহের দিকে নজর রাখতে বলেছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যুদ্ধ যদি দীর্ঘমেয়াদি হয় তখন বিভিন্ন সেক্টরে যে ইমপ্যাক্ট পড়তে পারে, সেটি যেন সংশ্লিষ্ট সেক্টর থেকে এক্সারসাইজ করে তা মোকাবিলার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলেছেন। যার যার সেক্টরে সবাই যেন প্রস্তুতি নেয়। ক্রাইসিস তৈরি হলে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যেতে পারে, তখন কি করা যায়, সেসব বিষয়ে পরিকল্পনা রাখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর



বাংলাদেশে ঈদ হতে পারে ১১ এপ্রিল

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পবিত্র রমজান বিদায়ের পথে। বিশ্বজুড়ে মুসলিমরা পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব অনুযায়ী, এ বছর রমজান মাস ৩০ দিনের হতে পারে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব ও তার প্রতিবেশী অনেক দেশে আগামী বুধবার (১০ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হতে পারে। সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ঈদ অনুষ্ঠিত হওয়ার পরদিন বাংলাদেশে ঈদ উদযাপন করা হয়। সেই হিসেবে আগামী ১১ এপ্রিল বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হতে পারে।

ঈদুল ফিতর চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। চাঁদ দেখার মধ্য দিয়ে ইসলামি (হিজরি) ক্যালেন্ডারের দশম মাস শাওয়ালের শুরু হয়। চন্দ্র মাস ২৯ বা ৩০ দিনের হয়ে থাকে। যে কারণে পবিত্র ঈদের তারিখ জানার জন্য মুসলমানদের সাধারণত ঈদের আগের রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।

আগামীকাল সোমবার (৮ এপ্রিল) মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ২৯তম রোজা পালন করা হবে। ওই দিন শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার জন্য নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশ।

যদি সোমবার শাওয়ালের নতুন চাঁদ দেখা যায় তাহলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পরদিন মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে। আর চাঁদ দেখা না গেলে ৩০ রোজা পূর্ণ করতে আরও একদিন রোজা রাখবেন মুসলমানরা। সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যে ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে ১০ এপ্রিল।

ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, প্রত্যেক আরবি মাস ২৯ নাকি ৩০ দিনের হবে, তা নির্ভর করে চাঁদ দেখতে পাওয়ার ওপর। সৌদি আরবের আকাশে সোমবার চাঁদ দেখা গেলে দেশটিতে পবিত্র রমজান মাস ২৯ দিনের হবে। পরদিন (মঙ্গলবার) দেশটিতে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করা হবে।

সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ঈদ অনুষ্ঠিত হওয়ার পরদিন বাংলাদেশ ও এশিয়ার অন্যান্য দেশে ঈদ উদযাপন করা হয়। আর বাংলাদেশের আবহাওয়া দপ্তরও বলেছে, এ বছর বাংলাদেশে রমজান মাস ৩০ দিনের হতে পারে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ পাকিস্তানের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এবার পাকিস্তানে রোজা ২৯টি হতে পারে। কারণ ৯ এপ্রিল রাতেই দেশটির আকাশে ঈদের চাঁদ দেখা যাবে।


আরও খবর