আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

দেশের রপ্তানি আয় ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ বেড়েছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২3 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

চলতি অর্থবছরের (অর্থবছর ২৩) জুলাই-জানুয়ারি দেশের রপ্তানি আয় গত অর্থবছরের (অর্থবছর ২২) তুলনায় ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)র সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরের এই সাত মাসে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে মোট ৩২ হাজার ৪৪৭ দশমিক ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এই পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এই জুলাই-জানুয়ারি সময়ে রপ্তানি আয়ও ছিল কৌশলগত রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৩২ হাজার ৪৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অপেক্ষা ০ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। যদিও, একক মাসে রপ্তানি আয় হিসেবে এই জানুয়ারিতে ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে, মোট ৫ হাজার ১৩৬ দশমিক ২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের জানুয়ারি মাসে এই রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৮৫০ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ইপিবির এই পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, রপ্তানি আয়ের অধিকাংশই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এই খাত থেকে ২৭ হাজার ৪১৮ দশমিক ০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা মোট রপ্তানি আয়ের ১৪.৩১ শতাংশ। আবার এই তৈরি পোশাক খাতের সিংহভাগ ১৪ হাজার ৯৬০ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন বা ১২ দশমিক ৭০ শতাংশ এসেছে নিটওয়্যার থেকে। এরপরেই রপ্তানি আয়ে অবদান রেখেছে ওভেনওয়্যার। রপ্তানিতে এর অবদান ১২ হাজার ৪৫৭ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১৬ দশমিক ৩০ শতাংশ।

বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)র পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও গত কয়েক মাস ধরে তৈরি পোশাক খাত প্রতি মাসে গড়ে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি রপ্তানি করে যাচ্ছে। চলতি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এ বছর মন্দার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এছাড়া বৈশ্বিক অর্থনীতি কম প্রবৃদ্ধি ও উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কবলে পড়েছে।

 


আরও খবর



যে বিষয়ে ডিসিদের সতর্ক করলেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছোট ভুলের জন্য সারাদেশে কর্মকর্তারা যেন বিব্রত না হন, সে বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সতর্ক করেছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহার হোসেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কার্য-অধিবেশনে তিনি ডিসিদের এ সতর্কবার্তা দেন।

অধিবেশন শেষে ব্রিফিংয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকরা আমাদের কাছে ১৩টি প্রস্তাব পাঠান। তার উত্তর আমরা দিয়েছি। তাৎক্ষণিকভাবে আরও ১২টি প্রশ্ন তারা করেছিলেন। একজন ডিসি বলেছেন, আমাদের হাসপাতালে যে ডোম থাকে একটা লাশ কাটার জন্য, মাত্র ৬৫ টাকা দেওয়া হয়। তাদের টাকাটা বাড়ানোর বিষয়টি যৌক্তিক। একজন ডোম থাকেন এবং তিনি পুরুষ। যখন নারীর মরদেহ আসে তখন তার জন্য নারী ডোম থাকার প্রয়োজন। খুবই চমৎকার প্রশ্ন করেছেন। আমরা উত্তর দিয়েছি, বলেছি যে বিষয়টি অবশ্যই দেখব, কীভাবে বাড়ানো যায়।

এবারের ডিসি সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ফরহাদ হোসেন বলেন, নির্বাচনের পর প্রথম জেলা প্রশাসক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাদের কাছে প্রধানমন্ত্রী খুব চমৎকারভাবে বার্তাগুলো দিয়েছেন। আমরা আলোচনা করেছি মানসম্মত সেবাটা কীভাবে নিশ্চিত করতে পারি। আমরা চাচ্ছি সেবার মান আরও কীভাবে বাড়াতে পারি।

তিনি বলেন, আমাদের অভিযোগের জায়গাগুলো পয়েন্ট আউট করেছি। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচের তলায় বিআরটিএর অফিস আছে এবং সে অফিসে দুর্নীতি আছে, জেলা প্রশাসক জানেন না। আমি বলেছি যে প্রত্যেকটা বিষয় আমাদের খোঁজখবর রাখতে হবে। আমাদের মনিটরিং বাড়াতে হবে। যে জায়গাগুলোতে অভিযোগ আছে সেই জায়গাগুলোয়।

জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের (ডিসি) বলেছি যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আমাদের পরিদর্শন আরও বাড়াতে হবে যাতে করে আমাদের লেখাপড়ার মান আরও উন্নত করতে পারি। মফস্বল এবং ইউনিয়ন, গ্রাম সব জায়গায়। হাসপাতালের পরিদর্শন বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যে দাম রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সেগুলো যেন নিবিড়ভাবে মনিটরিং করা হয়। এমনভাবে তা করতে হবে যেন সমস্যা তৈরি না হয়। মোবাইল কোর্ট থাকবে, কিন্তু কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, আমরা সতর্কও করে দিয়েছি যে, ছোট ভুলের জন্য সারাদেশে কর্মকর্তারা যেন বিব্রত না হন। এ বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

কোনো ডিসি মাঠে রাজনৈতিক প্রভাবের বিষয়ে কিছু বলেছেন কি না- জানতে চাইলে ফরহাদ হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসকের কাজের সঙ্গে আমাদের রাজনীতিবিদের কাজের কোনো জায়গায় সাংঘর্ষিকতা নেই। তবে আমরা বলেছি কোনো জায়গায় সমস্যা হলে তারা বিভাগীয় কমিশনারকে জানাবেন, সমাধান না হলে আমাদের সঙ্গে বা জনপ্রশাসনের সঙ্গে আলাপ করবেন। আমরা যথাযথভাবে সমাধান দিতে পারব। এই খবরগুলো এখন আর পাওয়া যায় না। এখন জেলা প্রশাসক এবং রাজনীতিবিদদের অত্যন্ত নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।


আরও খবর



প্রথমবারের মতো মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন সৌদি তরুণী

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

অতি রক্ষণশীল মুসলিম দেশ সৌদি আরবের এক তরুণী এবার ব্যতিক্রমী সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিশ্ব সুন্দরী নির্বাচনের অন্যতম মর্যাদাকর প্রতিযোগিতা মিস ইউনিভার্সে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছেন তিনি। চলতি বছরের আসরে ২৭ বছর বয়সী সৌদি মডেল রুমি আলকাহতানি অংশ নেবেন। খবর ইন্ডিয়া টুডে।

আলোচিত এই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় জাতীয় পতাকা নিয়ে অংশগ্রহণের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এই ঘোষণা দেন রুমি । সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইংরেজি দৈনিক খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সৌদি প্রতিনিধি হিসেবে ওই মডেল মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার মঞ্চে যাচ্ছেন।

রুমি এমন সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিষয়ে অভিজ্ঞ। অনলাইন এই ইনফ্লুয়েন্সারের ইনস্টাগ্রামে ১০ লাখ ফলোয়ার রয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি বলেছেন, এ বছর বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি।

আরবি বর্ণমালাতে লেখা ইনস্টাগ্রাম পোস্টে আলকাহতানি বলেছেন, মিস ইউনিভার্স-২০২৪ প্রতিযোগিতায় সৌদি আরবের প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি। আর এর মাধ্যমে বিশ্বের শীর্ষ এই প্রতিযোগিতায় সৌদি আরব প্রথমবারের মতো অংশ নিতে যাচ্ছে।


সেই পোস্টের সাথে একটি ছবিও জুড়ে দিয়েছেন সৌদি তরুণী। বাম হাতে সৌদি আরবের পতাকা তুলে ধরা সেই ছবিতে তাকে ঝলমলে গাউন, মাথায় মুকুট এবং মিস ইউনিভার্স সৌদি আরব লেখা স্যাস পরা অবস্থায় দেখা যায়।

রাজধানী রিয়াদে জন্ম নেয়া আলকাহতানি এর আগেও সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। তিনি কয়েকটি বৈশ্বিক সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। এর মধ্যে সর্বশেষ গত কয়েক সপ্তাহ আগে মালয়েশিয়ায় মিস এবং মিসেস গ্লোবাল এশিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি।


আরও খবর



এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড: ৫ বছরেও শুরু হয়নি বিচার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ন (এফআর) টাওয়ার। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কেড়ে নেয় ২৬টি প্রাণ। আহত হন ৭১ জন। সেই ঘটনায় মামলা হয়।

ঘটনার প্রায় তিন বছর ৯ মাস পর ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর মামলাটি তদন্ত শেষে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সমীর চন্দ্র সূত্রধর। তবে রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুলের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর মামলাটির দিন ধার্য। ওই দিন চার্জশিটটি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালতে উপস্থাপন করা হয়। তবে আদালত চার্জশিটটি গ্রহণ না করে মামলাটি পুলিশ বুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

ওই দিন আদালত আদেশে বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জন মানুষ মৃত্যুবরণসহ অসংখ্য মানুষ গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। তদন্ত কর্মকর্তা এজাহারনামীয় গুরুত্বপূর্ণ আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন। মামলাটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হয়নি বলে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হওয়ায় পিবিআইয়ের একজন দক্ষ অফিসার দ্বারা মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

এরপর পিবিআই মামলার তদন্ত শুরু করে। গত ২২ জানুয়ারি মামলাটি তদন্ত করে আদালতে একই আসামিদের অভিযুক্ত করে ও লিয়াকত আলী খান মুকুলকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই এর ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) রফিকুল ইসলাম।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত পিবিআই এর দেওয়া ৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন-এফআর টাওয়ার ভবনের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে থাকা এস এম এইচ আই ফারুক, তাজভিরুল ইসলাম, সেলিম উল্লাহ, এ এ মনিরুজ্জামান, সৈয়দ আমিনুর রহমান, মিসেস ওয়ারদা ইকবাল, কাজী মাহমুদুল নবী ও রফিকুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে ফারুক জমির মূল মালিক। বিএনপি নেতা তাজভীরুল ইসলাম ভবন পরিচালনা কমিটির সভাপতি। অন্য ৬ জন ভবন পরিচালনা কমিটির সদস্য।

ওই সময় আসামিদের মধ্যে মনিরুজ্জামান, মাহমুদুল নবী, সেলিম উল্লাহ, রফিকুল ইসলাম ও ওয়ারদা ইকবাল পলাতক ছিলেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে আসামিরা বিভিন্ন সময় আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। বর্তমানে সব আসামি জামিনে আছেন। সর্বশেষ গত ১২ মার্চ মামলার তারিখ ধার্য ছিলো। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত নথিটি সিএমএম বরাবর পাঠানোর আদেশ দেন। সিএমএম মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য আদেশ দিবেন। এদিকে লিয়াকত আলী খান মুকুলকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

নিউজ ট্যাগ: এফআর টাওয়ার

আরও খবর



ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা-ভূমিকম্পে নিহত ২৬, নিখোঁজ অন্তত ৬

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

টানা ৫ দিন ধরে চলা ব্যাপক বর্ষণ ও তার ফলে সৃষ্ট বন্যা-ভূমিধসে ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে এ পর্যন্ত ২৬ জন নিহত হয়েছেন এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৬ জন। দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর বিএনপিবির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

৭ মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে বর্ষণ শুরু হয়েছে পশ্চিম সুমাত্রার বিভিন্ন অঞ্চলে। বিএনবিপির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টানা বৃষ্টি ও তার ফলে সৃষ্ট বন্যা-ভূমিধসে প্রদেশের বিভিন্ন এলাকার সেতু, স্কুল, অন্তত ২৮০ একর জমির ফসল এবং প্রায় ৭০০ বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে।

সেই সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতি ও ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন অন্তত ৩৯ হাজার মানুষ। দেশটির আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আপাতত আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই, বর‌ং সামনের কয়েক দিন বর্ষণ অব্যাহত থাকার আশঙ্কা রয়েছে।

সোমবার পশ্চিম সুমাত্রার রাজধানী পাদাংয়ে এসেছিলেন বিএনপিবির কেন্দ্রীয় প্রধান নির্বাহী। সেখানে দপ্তরের প্রাদেশিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে উপদ্রুত বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজনকে উদ্ধার এবং ত্রাণ সরবাহ বিষয়ক জরুরি বৈঠক করেছেন তিনি।

দুর্যোগ মোকাবিলা কমিটি পশ্চিম সুমাত্রা শাখার কর্মকর্তা আবদুল মালিক রয়টার্সকে জানিয়েছেন উপদ্রুত বিভিন্ন এলাকায় তাঁবু, কম্বল, পানি বিশুদ্ধকরণ ওষুধ, খাবার ও পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী পাঠানোর কাজ চলছে এবং ইতোমধ্যে অনেক এলাকায় ত্রাণ পৌঁছেছে।


আরও খবর



পাকিস্তানের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন ইসাক দার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ক্ষমতাসীন জোট সরকারের বৃহত্তম শরিক পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) জ্যেষ্ঠ নেতা ইসাক দার। সোমবার রাজধানী ইসলামাবাদে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে শপথ নিয়েছেন তিনিসহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ১৯ জন সদস্য।

৭৩ বছর বয়সী ইসাক দার এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। পিএমএলএনের সাবেক চেয়ারম্যান নওয়াজ শরীফের নিকট আত্মীয় তিনি। মূলত ইসাকের নেতৃত্বেই দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে যে জরুরি ঋণ পেয়েছিল অর্থনৈতিক সংকটে টালমাটাল পাকিস্তান, যা এখনও কাটেনি।

অর্থসংকট মোকাবিলা করতে গিয়ে ব্যাপক সমালোচনারও জন্ম দিয়েছেন ইসাক দার। নিজের রাজনৈতিক জীবনে মোট চারবার পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রীর পদে থাকা ইসাক দার গত মেয়াদে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, সেগুলো জনগণের ভোগান্তি লাঘবের পরিবর্তে বাড়িয়ে দিয়েছিল।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পার্লামেন্টের বিরোধী সদস্যদের অনাস্থা ভোটে  ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট মোট ১৭ মাস শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন ইসাক। তার আমলেই প্রথমবার পাকিস্তানের ব্যাংক সুদের হার ২২ শতংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৮ শতাংশ করা হয়। এছাড়া এ সময় জ্বালানি তেলের ওপর থেকে ভর্তুকিও প্রত্যাহার করা হয়েছিল। ফলে সাধারণ জনগণের ওপর সে সময় চাপ বেড়েছিল ব্যাপক হারে।

দার অবশ্য তার সাফাইও দিয়েছেন বিভিন্ন সময়ে। তিনি বলেছেন, আইএমএফের নির্দেশনা অনুযায়ী এসব পদক্ষেপ নিতে হয়েছিল সরকারকে। যদি না নেওয়া হতো, তাহলে ঋণপ্রবাহও বন্ধ হয়ে যেতো। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নেতৃত্বাধীন সরকারের খামখেয়ালি নীতিকেও দায়ী করেছেন তিনি।

নতুন যে দপ্তরের দায়িত্বে ইসাক দার এসেছেন, পাকিস্তানের বর্তমান বাস্তবতায় সেটিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অর্থনৈতিক সংকটে টালমাটাল পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ দুটি ক) অকৃত্রিম বন্ধু চীন এবং মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে মিত্রতা ও অংশীদারিত্ব বজায় রাখা এবং খ) দুই বৈরী প্রতিবেশী ভারত এবং আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করা।


আরও খবর