আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

‘দেশের মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে’

প্রকাশিত:সোমবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০21 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০21 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
মৎস্যজীবী নিবন্ধন একটি চলমান প্রক্রিয়া মৎস্যজীবীদের তালিকা হালনাগাদ করা চলমান রয়েছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে মৎস্যজীবীদের নিবন্ধন হালনাগাদ হয়ে যাবে। প্রকৃত মৎস্যজীবীরা এ তালিকার আওতায় আসবেন। মাছ ধরা বন্ধের সময় প্রকৃত মৎস্যজীবীদের ভিজিএফ সহায়তার পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্থানের উপকরণ বিতরণ করা হচ্ছে

দেশের মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের নবনির্মিত মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন,দেশের মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধির জন্য শেখ হাসিনা সরকার ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছে। ইলিশ নিয়ে গবেষণার জন্য গবেষণা কেন্দ্র করা হয়েছে। দেশের যে প্রান্তে ইলিশ কমে যাচ্ছে সে প্রান্তে উৎপাদন যাতে বাড়ানো যায়, ইলিশ যাতে নির্বিঘ্নে প্রজনন করতে পারে, এ বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা হয়েছে।

যে সব নদীতে ইলিশ ছিল, কিন্তু এখন নেই সেখানে ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।"

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন,মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য অভয়াশ্রম করা হচ্ছে। অনাকাঙ্ক্ষিত মৎস্য আহরণ বন্ধ করার জন্য যেসব এলাকায় নজর দেয়া দরকার, সে সব এলাকায় নজর দেয়া হচ্ছে। নদীর গভীরতা যাতে নষ্ট না হয়, নদীর গতি-প্রকৃতি যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে বিষয়ে আমরা খেয়াল রাখছি। নদীর নাব্যতার কারণে মৎস্যসম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নজরে আনা হবে।"

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, "মৎস্যজীবী নিবন্ধন একটি চলমান প্রক্রিয়া মৎস্যজীবীদের তালিকা হালনাগাদ করা চলমান রয়েছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে মৎস্যজীবীদের নিবন্ধন হালনাগাদ হয়ে যাবে। প্রকৃত মৎস্যজীবীরা এ তালিকার আওতায় আসবেন। মাছ ধরা বন্ধের সময় প্রকৃত মৎস্যজীবীদের ভিজিএফ সহায়তার পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্থানের উপকরণ বিতরণ করা হচ্ছে।"

মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলেও এ সময় আশ্বস্ত করেন তিনি। মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখার সময় পরিবর্তনের বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে বলেও জানান তিনি। যারা সমুদ্রে মাছ আহরণে যাবেন তাদের আধুনিক প্রযুক্তির সুযোগ-সুবিধা দেয়ার বিষয়টিও সরকারের বিবেচনায় রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, " বাংলাদেশে মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালে বাংলাদেশের নিকটবর্তী ভারতের নদী বা সমুদ্র এলাকায় একই সময়ে মৎস্য আহরণ বন্ধের বিষয়টি ভারতীয় হাইকমিশনারের সাথে বৈঠকে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।"

আগামী সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ সময় মন্ত্রী বলেন, "দেশের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচন করার অধিকার রয়েছে। আইন অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠান করে নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশের সংবিধানের আলোকে। এক্ষেত্রে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করা নিতান্তই মুর্খতা। কাজেই বিএনপি বা তাদের জোট যেটা দাবি করছে, এটা সংবিধান পরিপন্থী। সংবিধান পরিপন্থী কোন নির্বাচন বা কোন প্রক্রিয়া শেখ হাসিনা সরকার হতে দেবে না।"

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মোঃ তৌফিকুল আরিফ ও যুগ্ম সচিব মোঃ আব্দুল মতিন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম রাকিবুল আহসানহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের খেপুপাড়া নদী উপকেন্দ্রের অফিস কাম গবেষণা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।


আরও খবর



দিনাজপুরে অনুষ্ঠিত হলো দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৯টায়  লাখ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে ঈদের এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ঐতিহাসিক এ ঈদের জামাতে অংশ নিতে সদর উপজেলা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশের কয়েকটি জেলার মুসল্লিরা আসেন। জামাতে ইমামতি করেন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের ইমাম শামসুল হক কাসেমি।

বৃহৎ এ জামাতকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিল কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। সিসিটিভি ক্যামেরার পাশাপাশি ছিল কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি। মাঠের আশপাশে র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরাও তৎপর ছিলেন।

নামাজে অংশ নেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হুইপ ইকবালুর রহিম ও প্রধান বিচারপতি (ভারপ্রাপ্ত) এনায়েতুর রহিম, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) তৌয়বুল আলম দুলাল, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বস্তরের জনগণ।

রংপুর জেলা থেকে ঈদের জামাতে আসা অলিউল ইসলাম ইসলাম বলেন, এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় ও দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করার অন্য অনেক দিনে ইচ্ছে ছিল। আল্লাহ আজ সে আশা পুরণ করেছে। জীবনে প্রথম লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়তে পেরে ভালো লাগছে।

জেলার খানসামা  উপজেলা থেকে নামাজ পড়তে আসা ফারুক আহম্মেদ বলেন, আমি এর আগেও ঐতিহ্যবাহী এই ময়দানে নামাজ পড়েছি। সবাই মিলে একসঙ্গে লাখ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করলাম। সবাই মিলে নামাজ পড়ে বেশ ভালো লাগলো।

নামাজ শেষে ঈদগাহ মাঠের সমন্বয়ক, পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, আয়তনের দিক দিয়ে এটি উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ। এর আয়তন প্রায় ২২ একর। এবার দিনাজপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার প্রায় ছয় লাখ মুসল্লি এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

তিনি আরও বলেন, মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থায়নে এ মাঠের সুন্দর মিনারটি নির্মিত হয়েছে। ভবিষ্যতে এটিকে আরও সুন্দর করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান ঈদগাহ মাঠের এ সমন্বয়ক।

ঈদের নামাজের আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) তৌয়বুল  আলম দুলাল, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমে, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।

জানা যায়, বিভিন্ন স্থান থেকে বড় বড় ঈদগাহ মাঠের চিত্র নিয়ে এসে এ মাঠের নির্মাণ পরিকল্পনা করা হয়। সর্বপ্রথম মাঠের পশ্চিম প্রান্তে গত ২০১৫ সালে এ ঈদগাহ মাঠের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় দেড় বছর পর এটি নামাজের জন্য পুরো প্রস্তুত করা হয়। এ ঈদগাহে রয়েছে ৫২টি গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে দুটি মিনার, এর মধ্যের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে এবং প্রধান মিনারের উচ্চতা ৫৫ ফুট। এসব মিনার আর গম্বুজের প্রস্থ হলো ৫১৬ ফুট। দেশের বড় ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানের পশ্চিম দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এ ঈদগাহ মিনারটি। প্রত্যেকটি গম্বুজে দেওয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক বাতি সংযোগ। ৫২টি গম্বুজ ২০ ফুট উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে। গেট দুটির উচ্চতা ৩০ ফুট নির্মাণে নান্দনিক স্থাপনা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

উল্লেখ্য, আগে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হতো কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। এখন দিনাজপুরের ৫২ গম্বুজের ঈদগাহ মাঠে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



কেমন হবে বৈশাখের সাজ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

বাংলা নববর্ষের আনন্দ আরও বহুগুণ বেড়ে যায় যখন সুন্দরভাবে সেজে এই দিনটিকে বরণ করে নেওয়া হয়। পহেলা বৈশাখের সাজে নারী আরও বেশি অনন্যা হয়ে ওঠেন। বিশেষ করে শাড়িতে এদিন তাকে দেখতে আরও বেশি সুন্দর লাগে। তবে গরমের সময় বলে সাজের ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়। নয়তো সাজ নষ্ট হয়ে আপনাকে দেখতে উদ্ভট লাগতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কেমন হবে বৈশাখের সাজ-

শাড়ি কেমন হবে

পহেলা বৈশাখের সাজে নারীর পোশাক হিসেবে শাড়িই সবচেয়ে বেশি মানানসই। এক্ষেত্রে আপনি একটি সুতির শাড়ি বেছে নিতে পারেন। গরমের সময়ে সুতির শাড়িতেই সবচেয়ে বেশি আরাম পাবেন। তাই স্বস্তির জন্য সুতির শাড়িই উত্তম। সুন্দরভাবে পরলে সুতির শাড়িতেও আপনি হয়ে উঠবেন অনন্যা। এক্ষেত্রে নতুন শাড়ি কিনতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। বরং বাড়িতে থাকা যেকোনো পরিষ্কার শাড়ি পরতে পারেন। সবকিছুই নির্ভর করছে আপনার সামর্থ্য আর ইচ্ছার ওপর।

মানানসই ব্লাউজ

শুধু শাড়ি নয়, শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ মানানসই না হলে দেখতে ভালোলাগবে না। আবার সুন্দর একটি ব্লাউজ আপনার সাজ আরও বেশি ফুটিয়ে তুলতে পারে। তাই এদিকে খেয়াল রাখুন। এই সময়ে যেসব ব্লাউজ বেশি ট্রেন্ডিং সেসব থেকে একটি বেছে নিতে পারেন। এতে আপনাকে আরও বেশি আকর্ষণীয় লাগবে। রঙের ক্ষেত্রে শাড়ির রং কিংবা শাড়ির ঠিক উল্টো রংটিও বেছে নিতে পারেন।

গয়না কেমন হবে

পহেলা বৈশাখে গয়না না পরলে দেখতে ভালোলাগবে না। সুন্দর একটি শাড়ির সঙ্গে মানানসই গয়না পরলে দেখতে আরও বেশি পরিপাটি লাগবে। গয়নার ক্ষেত্রে আপনার পছন্দ আর স্বস্তির বিষয়টি সবার আগে মাথায় রাখবেন। তবে বৈশাখের সাজে বেশি মানানসই কাঠ, মাটি, পুতি, কাপড় ইত্যাদির গয়না। গলায় বড় কোনো গয়না পরলে কানে হালকা গয়না পরুন। আবার কানে ভারী গয়না পরলে গলায় হালকা পরুন। এতে দেখতে ভালোলাগবে। চাইলে এই দিনে পরতে পারেন ফুলের গয়নাও।

ছবি : ফ্যাশন হাউজ মিরা। অর্ডার করতে চাইলে ভিজিট করুন : www.facebook.com/mirabrandbd অথবা https://mira.com.bd


আরও খবর



কসবায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে হাসান (২৬) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া সীমান্ত এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত হাসান ওই এলাকার দারু মিয়ার ছেলে।

নিহত হাসানের চাচাতো ভাই আরিফ জানান, হাসান বিভিন্ন সময় সীমান্তের ওইপার থেকে চিনি চোরাচালানে শ্রমিকের কাজ করতেন।

সোমবার সকালে সীমান্ত থেকে চিনি আনতে গেলে বিএসএফ গুলি চালায়। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিক হাসান উল্লাহ জানান, বিএসএফের গুলিতে একটি ছেলে মারা গেছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

কসবা থানার ওসি রাজু আহমেদ জানান, বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবক সীমান্তে চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। তার মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা আছে। তার শরীরে একটি গুলি বিদ্ধ হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।


আরও খবর



চরম উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েলে হিজবুল্লাহ’র রকেট হামলা

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের ওপর শিগগিরই সরাসরি ইরানের হামলার শঙ্কার মধ্যে একের পর এক রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ৫০টিরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে বলেছে, উত্তর ইসরায়েলে দখলদারদের প্রতিরক্ষা বাহিনীর আর্টিলারি অবস্থানে কয়েক ডজন কাতিউশা রকেট হামলা চালিয়েছে তারা।

এক্সে একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, লেবানন সীমান্তের কাছে গ্যালিলি প্যানহ্যান্ডেলের শহরগুলোর আকাশে অসংখ্য রকেট ও ড্রোন। এর আগেই সাইরেন বাজিয়ে সতর্ক করা হয়। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর ছোড়া গুলিতে সেসব রকেট ও ড্রোনকে ধ্বংস করা হয়।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, ৪০টির মতো রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল, যার বেশিরভাগই আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। বাকিগুলো খোলা জায়গায় ও লেবানন সীমান্তেই পড়েছিল।

আইডিএফ আরও বলেছে, ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী উত্তর ইসরায়েলে হিজবুল্লাহ দ্বারা উৎক্ষেপিত দুটি বিস্ফোরকবোঝাই ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে।

এদিকে নিউইয়র্ক পোস্টের খবর, বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলের উত্তর অথবা দক্ষিণে হামলা করতে পারে ইরান।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি শুক্রবার বলেন, কোন আকারে, কোন মাত্রায় এবং কোন সুযোগ নিয়ে হামলা হতে পারে, তা আমি বলতে পারছি না। তবে ইরানের হামলার হুমকি কার্যকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওয়াশিংটন খুব, খুব নিবিড়ভাবে বিষয়টি দেখছে।

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, হামলায় রাইসি প্রশাসন ১০০টি ড্রোন এ কয়েকডজন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করবে। তা ঠেকানো ইসরায়েলের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাবে বলেও জানান মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তারা। তবে শেষ মুহূর্তে ইরান হামলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারে বলেও ধারণা তাদের।

গত সপ্তাহে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে বিমান হামলা চালায়। এতে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের সাত সদস্য নিহত হন। এরপর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এর প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করে তেহরান।


আরও খবর



হিলি স্থলবন্দরে একদিনে এলো ৩৪৮ মেট্রিকটন আলু

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

দেশের বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছে আমদানিকারকরা। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) একদিনে ৩৪৮ মেট্রিকটন আলু আমদানি করা হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আমদানি বৃদ্ধি পেলে দাম কমে। তাই যথেষ্ট পরিমাণ আইপি (আমদানি অনুমতি) থাকা সত্ত্বেও লোকশানের শঙ্কায় আমদানিতে তেমন আগ্রহ নেই। তবে সম্প্রতি দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানিও বৃদ্ধি পেয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের আলু আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এমআর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী হারুনুর রশিদ জানান, গত মার্চ মাসের প্রথম ১৫ দিন দেশের বাজারে আলুর দাম ছিল ২৫/২৬ টাকা। আর আমদানিতে খরচ পড়ত ২৪/২৫ টাকা। এতে লোকসান গুনতে হতো। তাই আমদানি বন্ধ ছিল কিন্তু এখন দেশের বাজারে আলুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি প্রতিদিন আমদানি করছেন।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, যথেষ্ট আলু আমদানির অনুমতি থাকলেও প্রতিদিন ১/২ গাড়ি এমনকি সপ্তাহে ২/৩ গাড়ি আলু আমদানি হতো। তবে এখন আলুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি জানান, গতকাল মঙ্গলবার ১৩ টি ভারতীয় ট্রাকে ৩৪৮ মেট্রিকটন আমদানি হয়েছে। যা থেকে সরকার রাজস্ব আদায় করেছে ২৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।

এদিকে হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে ভারতীয় আমদানিকারকরা আলু কেজিতে ৩০ টাকা, হল্যান্ড (দেশীয় হাইব্রিড) জাতের আলু ৩২ টাকা এবং দেশীয় আলু ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ: আলু আমদানি

আরও খবর