আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

‘দেশের মৎস্য সম্পদের উৎপাদন ব্যাহতকারীদের কোন ছাড় নয়’

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ মে ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের মৎস্য সম্পদের উৎপাদন ব্যাহতকারীদের কোন ছাড় না দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার (০৫ মে) রাজধানীর গুলশানে নৌ পুলিশ সদর দপ্তরে নৌ পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। নৌ পুলিশ এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

নৌ পুলিশের ডিআইজি মোঃ আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এস এম ফেরদৌস আলম, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজিগণ ও পুলিশ সুপারগণসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সভায় মন্ত্রী বলেন, দেশের মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির স্বার্থে যেভাবে যা করা দরকার, তা করবে সরকার। ইতোমধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ইলিশসহ অন্যান্য মৎস্য সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। মাছের অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা, বছরে ২২ দিন মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান পরিচালনা, প্রতিবছর নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত আট মাস জাটকা ধরা নিষিদ্ধ করা এবং জাটকা সংরক্ষণে বিশেষ কম্বিং অপারেশনসহ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা, সমুদ্রে ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা, দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদায় কার্প জাতীয় মা মাছের প্রজনন নিশ্চিত করতে মনটিরিং এর ব্যবস্থা গ্রহণ, কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মে-জুলাই মাসে মাছ ধরা বন্ধ করা ও পোনা অবমুক্ত করাসহ ৫ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করাসহ নানা কার্যক্রম নেয়া হয়েছে। এছাড়া মাছ ধরা বন্ধ থাকাকালে ভিজিএফ সহায়তার পাশাপাশি জেলেদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের এসকল পদক্ষেপের কারণে মৎস্য উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এ সাফল্যের পথে কেউ বাধা সৃষ্টি করতে চাইলে তাদের ছাড় দেয়া হবে না, কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসময় তিনি আরো বলেন, একটা দেশের বড় সাফল্যের মূলে সম্মিলিত প্রচেষ্টা কাজ করে। সম্মিলিত প্রচেষ্টার কারণে দেশের মৎস্য সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৪৫ লক্ষ মেট্রিক টনের ঊর্ধ্বে উপনীত হয়েছে। এ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ নৌ পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এ কাজে নৌ পুলিশকে অবৈধভাবে মৎস্য আহরণ করা ব্যক্তি ও তাদের নেপথ্যে থাকা অবৈধ জাল উৎপাদকারী, ট্রলার মালিকসহ প্রভাবশালীদের মোকাবিলা করতে হয়েছে। এ কাজ তারা সফলভাবে করতে সক্ষম হয়েছে।

পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে দায়িত্ব পালনের জন্য নৌ পুলিশ সদস্যদের এসময় আন্তরিক ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী এবং একইসাথে এ ভূমিকা আরো প্রসারিত করার অনুরোধ জানান তিনি।

নৌ পুলিশের উদ্যোগে ২০২০ সালে ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে পরিচালিত মৎস্য সংরক্ষণ কার্যক্রম, ১৪ অক্টোবর থেকে ০৪ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২দিন মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান, চলতি বছর মার্চ-এপ্রিল দুই মাস জাটকা সংরক্ষণ অভিযান এবং হালদায় মা মাছের সুষ্ঠু প্রজনন নিশ্চিত করতে সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সভায় বিস্তারিত উপস্থাপন করা হয়। এসময় কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরা হয়। নৌ পুলিশ কর্তৃক গত বছর মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে প্রায় ৪২ কোটি ১৪ লক্ষ মিটার ও কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য সংরক্ষণ অভিযানে ৬ লক্ষ ৮৮ হাজার মিটার এবং চলতি বছর মার্চ-এপ্রিল দুই মাসে জাটকা সংরক্ষণ অভিযানে প্রায় ৪৮ কোটি ৮৮ লক্ষ মিটার অবৈধ জাল আটক করা হয়েছে মর্মে সভা জানানো হয়।


আরও খবর



কুষ্টিয়ায় জাল ভোটের চেষ্টা, কাউন্সিলরসহ আটক ৩

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

Image

কুষ্টিয়া জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টাকালে এক কাউন্সিলরসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পরে পুলিশ তাদের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে হস্তান্তর করেছে। গ্রেফতার কাউন্সিলরের নাম মীর রেজাউল ইসলাম বাবু।

তিনি কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

বুধবার (৮ মে) দুপুরে তাকে কুষ্টিয়া শহরের চৌরহাস কেন্দ্র থেকে আটক করা হয়।

কুষ্টিয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. সোহেল রানা জানান, দুপুরে তাকে কুষ্টিয়া শহরের চৌরহাস কেন্দ্র থেকে আটক করা হয়।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, জাল ভোট ও বিশৃঙ্খলার চেষ্টাকালে কুষ্টিয়ার বাড়াদি কেন্দ্র থেকে আরও দুজনকে আটক করা হয়। তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে কক্সবাজার

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত হচ্ছে কক্সবাজারে। এবার ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে এ সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি বাইনোকুলার দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে সৈকতের নানা বিষয়। এছাড়া ছিল সিসি ক্যামেরা। সেগুলো পরিচালনার জন্য ছিল বড় বড় এলইডি মনিটর।

এবার পুরো শহরটিকেও সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে চায় বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ। এসব সিসি ক্যামেরায় যা ধরা পড়বে তা দেখা যাবে শহরের মোড়ে মোড়ে রাখা বড় এলইডি মনিটরে। ফলে শহরের অপরাধ কমে আসবে অন্যদিকে পর্যটকরা নিরাপদে ঘুরতে পারবেন।

শুধু তাই নয়, পর্যটকরা বিপদে পড়লে যাতে খুব সহজেই স্বজনদের ফোন করতে পারেন তার জন্য বিভিন্ন মোড়ে ইন্টারকম সার্ভিস এবং বসটন টেলিফোন রাখার চিন্তা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে প্রথমবারের মতো দুটি পর্যটন কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে মনিটরিং করা হয়েছে। পরীক্ষামূলক এই কাজে সফলতা পেয়েছে বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ। তবে ক্যামেরায় অপ্রীতিকর কিছু ধরা পড়েনি।

ট্যুরিস্ট পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল ফিতরে দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেয় ট্যুরিস্ট পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে প্রথম বারের মতো কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ১২টি, পতেঙ্গা বিচে ১২টি ও কক্সবাজারে ২০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। এসব ক্যামেরা ঢাকায় বসে কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়ন্ত্রণ করে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

এছাড়াও কক্সবাজারের প্রতিটি বিচকে ইন্টারকম সিস্টেমের আওতায় আনা হয়েছিল। পর্যটকরা তাদের সমস্যা সরাসরি ইন্টারকমের মাধ্যমে ট্যুরিস্ট পুলিশকে অবগত করতে রাখা হয়েছিল এই সুবিধা। তার ফলও তারা পেয়েছেন। পাশাপাশি লাগনো হয়েছিল কক্সবাজারের প্রতিটি বিচ এলাকায় সিকিউরিটি এলার্মিং বাটন। পর্যটকরা কোনো সমস্যায় পড়ামাত্র বাটনে টিপ দিয়ে তা ট্যুরিস্ট পুলিশের বক্সে আওয়াজ তৈরি করেছে। ফলে দ্রুত সময়ে সেই স্থানে পুলিশ পৌঁছে তাদেরকে উদ্ধার করেছে।


আরও খবর



প্রত্নসম্পদ আইন অনুমোদন দেয়নি মন্ত্রিসভা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন হয়নি প্রত্নসম্পদ আইন, ২০২৪। প্রত্নসম্পদ আইনের খসড়া কপি মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপিত হওয়ার পর কয়েকটি জায়গায় পরিমার্জনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরপর পুনরায় মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।

সোমবার (৬ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনটি উপস্থাপন করা হলেও পরে তা ফেরত পাঠানো হয়।

বৈঠক শেষে সোমবার বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ১৯৮৬ সালের একটি আইনকে পরিবর্তন করে বাংলায় এটিকে নতুনভাবে করা হচ্ছে। বাংলাদেশে যত প্রত্নসম্পদ আছে সেগুলোকে সংজ্ঞায়িত করা, সংরক্ষণ করা, সেগুলোর হস্তান্তর ও নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়গুলো সেখানে আছে। নির্দেশনা অমান্য করলে শাস্তির বিষয়ও আছে।

মাহবুব হোসেন আরও বলেন, বৈঠকে জাতীয় পরিকল্পনা উন্নয়ন অ্যাকাডেমি আইন, ২০২৪ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়। আগের আইনকে পরিবর্তন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নতুন এই আইন করতে চেয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রিসভায় আলোচনার প্রেক্ষিতে এটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২৩ জুলাই জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস পালন করা হয়। এটি শ্রেণিভুক্ত দিবস ছিল। এটিকে শ্রেণিভুক্ত করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু  আলোচনার পর মন্ত্রণালয় এটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।


আরও খবর



তুচ্ছ ঘটনায় মেস ম্যানেজারের সাথে ইবি শিক্ষার্থীদের মারামারি, আহত ৭

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ইবি প্রতিনিধি

Image

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাস সংলগ্ন এক মেস ম্যানেজারের সাথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার সন্ধ্যারাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল সংলগ্ন নুর জাহান মহিলা ছাত্রীনিবাসে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৭জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, নুর জাহান মহিলা ছাত্রীনিবাসে থাকা শিক্ষার্থী ফারিয়া খাতুনের বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের বিষয়কে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে। ওই মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। মেস ম্যানেজার বকেয়া টাকাকে কেন্দ্র করে ফারিয়ার সাথে বাজে আচরণ করলে, মেয়েটি তার বন্ধু একই বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী আবু হানিফ পিয়াসকে বিষয়টি জানান। এ বিষয়ে পিয়াসের (মেয়েটির বন্ধু) সাথে মেস ম্যানেজারের কথা কাটাকাটি হয়। পরে পিয়াস তার বন্ধুদের নিয়ে পূণর্বার মেসে গেলে ঝামেলা ও ম্যানেজারকে মারধর করার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হলে দুই পক্ষ মারামারিতে লিপ্ত হয়।

এতে আহতরা হলেন আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের আবু হানিফ পিয়াস, সমাজকল্যাণ বিভাগের সাকিব আহমেদ, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের নাইম রেজা ও ইংরেজি বিভাগের হৃদয় আবির। তারা সকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। আহত অন্যরা হলেন- মেস ম্যানেজার বিবেক বিশ্বাস, স্থানীয় বাসিন্দা আশিক হোসেনসহ এক বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক।

ফারিহা খাতুন জানান, বিদ্যুৎ বিল চাওয়া নিয়ে মেস ম্যানেজার আমার সঙ্গে বাজে আচরণ করে। গতকাল সন্ধ্যায় ম্যানেজারকে বিদ্যুৎ বিল দিতে গেলে তিনি আমাকে বাজে ইঙ্গিত দেন। টাকা নেওয়ার সময় ম্যানেজার আমাকে স্পর্শ করার চেষ্টা করেন। আমি ৫০০ টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ বিলের ৪১৫ টাকা কেটে নিতে বলি। কিন্তু তিনি বাজে ইঙ্গিত করায় আমি টাকাটা ছুড়ে দিলে তিনি আমার বাসার নাম্বার চান এবং বলেন, বেয়াদব মেয়ে। তুমি আজকেই মেস ছেড়ে দিবে। পরে আমি আমার বিভাগের বন্ধুকে (আবু হানিফ পিয়াস) বিষয়টি জানাই। পরে সে আমার বিষয়ে কথা বলতে গেলে ম্যানেজার ও নিরাপত্তাকর্মী তার সঙ্গেও বাজে আচরণ করে। পরে সে তার কিছু বন্ধুদের নিয়ে আবারও ম্যানেজারের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে ম্যানেজার তাকে (আবু হানিফ পিয়াস) জামার কলার ধরে বের করে দেয়। তখন হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

তবে মেয়েটি এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে জানান, এ বিষয়ে তাদের ডাকা ঠিক হয়নি। বিষয়টির জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। আমি আমার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করবো।

মেস ম্যানেজার বিবেক বিশ্বাস জানান, গত জানুয়ারি মাসে ওই মেয়ে মেসে উঠে। এরপর সে এতদিন থেকেছে কিন্তু কোন বিদ্যুৎ বিল দেয়নি। তার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া প্রায় এক হাজার টাকা। আমি কয়েকবার বিল চাইতে গেলে সে বিভিন্নরকম বাহানা দিতে থাকে। সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে, আমি তার সঙ্গে কোন বাজে আচরণ করিনি। তাকে থাপ্পড় মারার কথাও বলিনি বরং ওই মেয়ে জোরে কথা বলে এমনকি দেখে নেওয়ারও হুমকি দেয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় মাতব্বর রেজাউল করিম খান বলেন, "মেসের মধ্যে কোন ঝামেলা হলে বা ম্যানেজারের বিরুদ্ধে যদি কোন অভিযোগ থাকে তা মেসের মালিককে জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হতো। কিন্তু ওই মেয়েটা তা না করে বন্ধুদের দিয়ে হুলুস্থুল কাণ্ড বাঁধিয়েছে, যেটা ঠিক হয়নি। স্থানীয়দের উপর মারধর করা হলে তারা তো বসে থাকবে না। স্থানীয়দের সঙ্গে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের ঝামেলা হোক আমরা চাইনা। যেসব শিক্ষার্থীরা আজকে ঝামেলা করেছে তাদেরকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফারিয়ার বন্ধু আবু হানিফ পিয়াস বলেন, মেস ম্যানেজার বিবেক বিশ্বাস প্রায় সময়ই আমাদের বান্ধবীদের সাথে বাজে ব্যবহার করে। এছাড়াও মেসের অন্যান্য মেয়েদের সাথেও প্রায় সময়ই খারাপ আচরণ করে। আজকেও আমার বান্ধবীর সাথে খারাপ আচরণ করলে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে ম্যানেজারকে জিজ্ঞেস করতে যাই। তখন তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিবেক আমার বন্ধু নাইমকে চড় মারে। পরে আমরা উত্তেজিত হয়ে পড়ি। এসময় স্থানীয় লোকজন এসে আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমরা ৪ বন্ধু আহত হই। পরে আমরা সেখান থেকে কেটে পরি।

এই বিষয়ে শৈলকূপা থানাধীন রামচন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনা শোনার পরপরই আমরা এখানে এসেছি। উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। তবে কেউ আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানালে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




কক্সবাজারে খাল থেকে দুই জেলের লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুস্কুল ইউনিয়নের মনুপাড়া এলাকার একটি চিংড়ি ঘের থেকে দুই জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মারধর ও ইলেকট্রিক শর্ট দিয়ে তাদের দুজনকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে খুরুস্কুল আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে একটি চিংড়ির ঘের এলাকা থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।

নিহতেরা হলেন খুরুস্কুল ইউনিয়নের মনুপাড়া গ্রামের মো: জামালের ছেলে আব্দুল খালেক এবং আবু তাহেরের ছেলে মো: ইয়াসিন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে খুরুস্কুল আশ্রয়ন প্রকল্পের পাশে একটি চিংড়ির ঘের এলাকায় লাশ দুটি দেখতে পেলে লোকজন পুলিশে খবর দেয়। কক্সবাজার সদর থানার পুলিশ ও সিআইডি পুলিশের টিম লাশ দুটি উদ্ধার করে। এ সময় খুরুস্কুল ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান সিদ্দিকী ও তাদের আত্মীয়-স্বজন এসে লাশ শনাক্ত করে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহজাহান সিদ্দিকী জানান, তাদের দুজনের শরীরে মারধর ও বৈদ্যুতিক শর্টের দাগ রয়েছে।

নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে তারা দুজন চিংড়ির ঘেরে মাছ শিকার করতে গিয়ে আর বাড়িতে ফিরেনি। চিংড়ি ঘেরের মালিকের লোকজন মারধর ও ইলেকট্রিক শর্ট দিয়ে তাদের দুজনকে হত্যা করে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রাকিবুজ্জামান জানান, তাদের দুজনকে হত্যা করা হয়েছে কি-না তা তদন্ত করা হচ্ছে।

নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।


আরও খবর