আজঃ রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

দেশের কৃষকদের ভাগোন্নয়নে কাজ করছে কৃষি বান্ধব সরকার: পার্বত্য মন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, কৃষি বান্ধব সরকার দেশের কৃষকদের ভাগোন্নয়নে কাজ করছে। সরকার কৃষি খাতে ভর্তুকি প্রদান করে কৃষকদের বাঁচিয়ে রেখেছে।

আজ বান্দরবান সদরে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে কৃষকদের মাঝে কৃষি সরঞ্জাম ও গরু এবং বাগান চাষীদের মিশ্র ফলদ ও বনজ চারা বিতরণ এবং নারীদের স্বাবলম্বি হওয়ার জন্য বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি এমন মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, বান্দরবানের কৃষকরা বর্তমানে ধান কাটার মেশিন, পাওয়ার টিলার মেশিন, ধান মাড়াই মেশিন, পাওয়ার ফুট স্প্রে মেশিন, মৌ বক্স, পানি পাম্ম মেশিন পাচ্ছে। এসব মেশিন চালানোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। উচ্চ ফলনশীল ফলন ফলাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই তা সম্ভব হয়েছে বললেন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বীর বাহাদুর আরও বলেন, এ সরকার নারী বান্ধব। সরকার নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। দেশের নারীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কৃষিক্ষেত্রে ও গৃহস্থালী কাজে নারীদের স্বাবলম্বি করতে বিভিন্ন সরঞ্জাম বিতরণ করছে সরকার।

অনুষ্ঠান শেষে পার্বত্য জেলা পরিষদের ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে কৃষক সমবায় সমিতির কৃষকদের মাঝে ধান কাটার মেশিন, পাওয়ার টিলার মেশিন, ধান মাড়াই মেশিন, পাওয়ার ফুট স্প্র্রে মেশিন, মৌ বক্স, পানি পাম্ম মেশিন, গরুর বাছুরসহ দেশী বিদেশি বিভিন্ন ফলদ, কৃষিজ এবং বনজ চারা বিতরণ করা হয়।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লার সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী, পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্য সা প্রু, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়াউর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) খোরশেদ আলম, পৌরসভার মেয়র সৌরভ দাশ শেখরসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরের উর্ধতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের চাষীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেলের পর বড় দুই প্রকল্প উদ্বোধন ১৪ নভেম্বর

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হলো। এবার দুয়ার খুলছে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ চার হাজার কোটি টাকার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও দেড় হাজার কোটি টাকার পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল।

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সৌদি প্রতিষ্ঠান রেড সি গেটওয়ে পরিচালনা করবে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল। আগামী ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পটির উদ্বোধন করবেন।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম মহানগরীর লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এই উড়াল সড়ক শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রাপথকে সুগম করবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)।

দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর নিয়ে গড়ে ওঠা বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামকে নিয়ে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডে পুরো দেশের অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক ফলপ্রসূ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। চট্টগ্রামকে কার্যকর একটি বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার অনেকগুলো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেন, ১৮টি র‌্যাম্পের কাজ আগামী বছরের ২৪ জুনের মধ্যে শেষ করবো। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে দ্রুত বিমান বন্দর থেকে আসতে পারবেন। পতেঙ্গা টানেলের মুখ থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত গাড়ি চলাচলের জন্য প্রস্তুত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। টাইগারপাস থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত একটু সময় লাগবে। বাকি সব কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।

৪ হাজার ২৯৮ কোটি টাকায় লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের নভেম্বরে। তবে একনেকে অনুমোদন পেয়েছিল ২০১৭ সালের ১১ জুলাই। কিন্তু বন্দর অংশে বন্দর কর্তৃপক্ষের আপত্তি ও আগ্রাবাদ বক্স কালভার্ট এবং টাইগারপাসে রেলওয়ের মালিকানাধীন ভূমি জটিলতা ছিল, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল নগরীর টাইগারপাস থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত পাহাড়ের সৌন্দর্য রক্ষার আন্দোলন। এই অংশে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হলে পাহাড়ের সৌন্দর্য বিনষ্ট হবে।

পরবর্তীতে ৮ জুন ২০২১ সালে সিটি কর্পোরেশন, মেট্রোপলিটন পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের সাথে সমন্বয় করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) নতুন এই নকশা নির্ধারণ করে। চার লেনের পরিবর্তে দুই লেনে নামিয়ে আনা হয়। তবে তারপরও একটি অংশ কিছু পাহাড় কাটা হয়েছে। এজন্য পাহাড়কে আবার ট্রিটমেন্টও করে দেয়া হয়েছে উড়াল সড়কটি মাধ্যমে লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে মাত্র ২০ মিনিট। ফলে নগরীর ব্যস্ততম সড়কে কমবে যানজট। বর্তমানে দেওয়ানহাট থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত চলছে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের শেষ সময়ের কাজ।  তবে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ১৪টি র‌্যাম্প নির্মাণ করা হবে এক্সপ্রেসওয়ে চালুর পর।

২০১৭ সালে একনেকে চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার হতে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ নামে প্রকল্পটি অনুমোদন হয়। ২০১৮ সালে এর কাজ শুরু হয়। তবে ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। ২০২২ সালে নকশা সংশোধন করা হলে আরও এক হাজার ৪৮ কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধি পায়।

বাস্তবায়নের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয় ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে টানেল উদ্বোধনের পর ১১ নভেম্বর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ। যাতায়াত ব্যবস্থায় দুই মেগা প্রকল্পের উদ্বোধনের পর এবার চট্টগ্রাম শহরের ভেতরে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (লালখান বাজার থেকে টানেল পর্যন্ত) প্রকল্পের উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এছাড়া গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১২টি প্রকল্প আগামী ১৪ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন। এতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ আরও দুটি প্রকল্প (বাকলিয়া এক্সেস রোড ও ডিটি-বায়েজীদ সংযোগ সড়ক), রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কিছু প্রকল্প, গণপূর্ত অধিদপ্তরের কয়েকটি প্রকল্প রয়েছে।

 পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার জন্য সৌদি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষকে। প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ করে কর্ণফুলি ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় গড়ে তোলা হয় টার্মিনালটি। কিন্তু দেশি নাকি বিদেশি প্রতিষ্ঠান দিয়ে এ টার্মিনাল পরিচালনা করা হবে সেই জটিলতায় আটকে ছিলো এর অপারেশনাল কার্যক্রম।

চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল বলেন, এটি পুরোপুরি চালু হবার পর  বন্দরের সার্বিক সক্ষমতা অনেকগুণ বাড়বে।  আগামী ১৪ নভেম্বর টার্মিনালটির উদ্বোধন হচ্ছে।  পরে সৌদি প্রতিষ্ঠান রেড সি গেটওয়ের সাথে বন্দরের চুক্তি স্বাক্ষর হবে।

সম্প্রতি উদ্বোধন হওয়া কর্ণফুলি নদীর তলদেশের বঙ্গবন্ধু টানেলের সুফল পেতে প্রয়োজন ছিলো দ্রুত এ এলিভেটেড এক্সপ্রেস দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।

উল্লেখ্য, শাহ আমানত সেতু থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেডের আওতায় চলে আসবে। শাহ আমানত সেতু থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ ছয় লেনের একটি রোড নির্মাণ করেছে। এতে সড়কে বিরতিহীনভাবে গাড়ি চলাচল করতে পারে। বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার দিয়ে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে দিয়ে সরাসরি চলে যাওয়া যাবে পতেঙ্গা সৈকত হয়ে টানেল দিয়ে নদীর ওপারে কিংবা ঢাকামুখী আউটার রিং রোডে যুক্ত হওয়া যাবে।


আরও খবর



যুদ্ধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আর কোনো বন্দিবিনিময় নয়: হামাস

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে ইসরায়েলের গণহত্যা পুরোপুরি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তেল আবিবের সঙ্গে আর কোনো বন্দিবিনিময় করবে না হামাস। ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক শাখার উপ-প্রধান সালেহ আল-আরুরি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।

তিনি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এই মুহূর্তে বন্দিবিনিময় নিয়ে আর কোনো আলোচনা হচ্ছে না। হামাসসহ সব প্রতিরোধ আন্দেলন এখন এই বিষয়ে একমত যে, গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের তাণ্ডব পুরোপুরি ও চূড়ান্তভাবে বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আর কোনো বন্দি বিনিময় হবে না।

গাজায় ফের যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করে হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্ত করে নেওয়ার লক্ষে কাতারে এক সপ্তাহ আগে মোসাদের একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিল ইসরায়েল সরকার। আলোচনায় অচলাবস্থা দেখা দেওয়ায় গতরাতে যখন দলটিকে তেল আবিবে ডেকে নেওয়া হয় তখন সালেহ আল-আরুরি এই প্রত্যয় জানালেন।

তিনি বলেন, দখলদার ইসরায়েল ভেবেছিল গাজায় আগ্রাসন শুরু করলে আমরা ভয় পেয়ে বন্দিদের ছেড়ে দিতে শুরু করবো। কিন্তু আমাদের আনুষ্ঠানিক অবস্থান হচ্ছে, বাকি বন্দিদের নিয়ে আলোচনা হবে যুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়ার পর। এ পর্যন্ত যাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে তারা বেসামরিক নাগরিক ছিল বলে জানান আরুরি।

তিনি বলেন, এখন যারা আমাদের হাতে বন্দি আছে তার হয় ইসরায়েলি সেনা সদস্য অথবা সাবেক সেনা। কাজেই তাদের সম্পূর্ণ নতুন শর্তে মুক্ত করবে হামাস।

এই হামাস নেতা বলেন, আমরা প্রথম দিন থেকে বলে এসেছি, আমাদের হাতে আটক ইসরায়েলি বন্দিদের ফেরত নিতে হলে সব ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে।

তিনি বলেন, ইসরায়েল যদি মনে করে শক্তি দেখিয়ে তারা আমাদের ওপর তাদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারবে তাহলে তারা মারাত্মক বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। তিনি এ বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন দখলদার সেনারা গাজা উপত্যকার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না।

সূত্র: প্রেসটিভি, পার্সটুডে


আরও খবর
২৪ ঘণ্টায় ৭ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে সড়ক বিভাজকে বাসের ধাক্কা, নিহত দুই

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় দুজন নিহত হন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৭ জন। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে শ্রীনগর উপজেলার কেউটখালি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, ঢাকামুখী লেনে দোলা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে ধাক্কা দেয়। এতে বাসে থাকা সাত আরোহী গুরুতর আহত হন।

আহতের তাদের উদ্ধার করে শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতদের নাম-পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।

আহতরা হলেন- বরিশালের নাজিরপুর উপজেলার পুরুবি রায় (২৬), গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর উপজেলার জাহিদ হাসান (২৮), পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার দ্বীপ হাওলাদার (২৪), পিরোজপুর জেলার একরাম (৩৩) ও রাখি (২৩)।

হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কাঞ্চন বলেন, বাসটিতে ১৫ থেকে ২০জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনার পর বাসটি রাস্তায় পরে থাকায় সার্ভিস লেন দিয়ে যানবাহন যাতায়াত করেছে।

নিউজ ট্যাগ: মুন্সিগঞ্জ

আরও খবর



গাজায় শিশু মৃত্যু ৪ হাজার ছাড়ালো

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় শিশু মৃত্যুর সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে। অবরুদ্ধ এলাকাটিতে এখন পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ৭৭০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। গত প্রায় এক মাস ধরে গাজায় বোমা হামলা ছালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।

তাদের হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না আবাসিক ভবন, শরণার্থী শিবির, হাসপাতাল ও স্কুল। এতে সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২৩ লাখ গাজাবাসীর মধ্যে ১৫ লাখই বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা হামাস যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে হামলা পরিচালনা করছে। তবে অনেকেরই দাবি, ইসরায়েলি বাহিনী নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে। ফলে বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানি অনেক বেশি।

এদিকে হামাসের হামলা রুখতে ব্যর্থ হওয়ার প্রতিবাদে ও গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করছে শত শত ইসরায়েলি। এ সময় তারা হামাসের কাছে বন্দি ইসরায়েলিদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার দাবিও জানান।

গত মাসের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকমী সংগঠন হামাস। সেই হামলা রুখতে ব্যর্থ হয় নেতানিয়াহু প্রশাসন। ফলে তার বিরুদ্ধে ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই শনিবার (৪ নভেম্বর) জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ করে ইসরায়েলিরা।

সূত্র: আল-জাজিরা


আরও খবর
২৪ ঘণ্টায় ৭ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




বিচারকের নির্দেশে কাঠগড়ায় আসামিকে থাপ্পড় মারার অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নুসরাত জামানের নির্দেশে এজলাসের ভেতর কাঠগড়ায় আবদুল্লাহ আল মামুন নামে এক আসামিকে থাপ্পড় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে আইনজীবীরাও বিচারক নুসরাত জামানের আদালত বর্জন করেছেন। এ সময় তাকে লক্ষ্মীপুর থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মুকুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিচারক নুসরাত জামান মামলার শুনানির পর মামুন নামে এক আসামিকে এজলাসে ডেকে নেন। পরে পুলিশের এক কনস্টেবলকে ওই আসামিকে দুটি থাপ্পড় দিতে বলেন। ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে কনস্টেবল আসামিকে থাপ্পড় দেন। মামুনও পুলিশের একজন সদস্য। এ ঘটনায় একটি প্রতিবেদন জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে এজলাসের ভেতর থাপ্পড় দেওয়ার ঘটনাটি নিয়ে মঙ্গলবার আইনগত প্রতিকার পেতে ভুক্তভোগী আবদুল্লা আল মামুন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছেও অভিযোগ দিয়েছেন। মামুন চট্টগ্রামরে মিরসরাই থানার মোবারকঘোনা গ্রামের সামছুল হকের ছেলে। তিনি পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জে কনস্টেবল (বিপি- ৯৭১৮২০৯৫৬২) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

অভিযোগে আবদুল্লাহ আল মামুন উল্লেখ করেন, স্ত্রী সুমাইয়া সুলতানা বাদী হয়ে মামুনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লক্ষ্মীপুর সদর আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩নং আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মঙ্গলবার সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য ছিল। বাদীপক্ষ দুইজন সাক্ষী আদালতে উপস্থাপন করেন। সাক্ষীর জেরা শেষে মামুন এজলাস থেকে বের হয়ে বারান্দায় যান। এ সময় তাকে মামলার বাদী ও তার মা পারুল বেগম মারধর করেন। বিষয়টি তিনি আদালতের বিচারক নুসরাত জামানকে জানান। কিন্তু বিচারক তার কথা না শুনে তাকে এজলাসের কাঠগড়ায় ডেকে নেন। পরে বিচারক পুলিশ কনস্টেবল কবিরকে নির্দেশ দেন তাকে দুটি চড় দেওয়ার জন্য। বিচারকের নির্দেশে বিচারপ্রার্থী জনগণের সামনেই কনস্টেবল কবির তাকে দুটি চড় মারেন। এ সময় তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়। বিচারক তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, পুলিশ দিয়ে চড় দিয়েছি, এখন আমি নিজে তোকে চড় মারবো। পরে আদালত পুলিশকে নির্দেশ দিলে মামুনকে কোর্ট কাস্টডিতে নিয়ে যাওয়া হয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুর রহিম রাজু বলেন, আদালতের এজলাসে ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জামান কনস্টেবলকে দিয়ে আসামিকে থাপ্পড় দিয়েছেন। এটি আইন বহির্ভূত। এ ঘটনায় আইনজীবী সমিতি সাধারণ সভা করেছেন। বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সঙ্গে সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বসবেন। প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে- নুসরাত জামানের আদালতে কোনো আইনজীবী যাবেন না। তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আব্দুর রহিম বলেন, বাদী ও তার মায়ের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন বিচারক। পরে আদালতের বারান্দার বাদী ও বিবাদীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। এতে বিচারক নুসরাত জামান তাদেরকে ডেকে নিয়ে মঙ্গলবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত কোর্ট হাজতে আটকে রাখেন। এছাড়া বিবাদী মামুনকে এজলাসের ভেতরেই বিচারক এক কনস্টেবলকে থাপ্পড় দিতে বলেন। তখন তাকে দুই-তিনটা থাপ্পড় দেওয়া হয়।

লক্ষ্মীপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এমরান হোসেন ফয়সাল বলেন, লিখিত অভিযোগের ঘটনাটি আমার জানা নেই। আমি বাহিরে আছি। এ বিষয়ে এখন বিস্তারিত বলতে পারবো না।

জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মাহমুদ বলেন, ঘটনাটি নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে সভা করেছি। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারকের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সিদ্ধান্ত নিলে জানানো হবে।


আরও খবর