আজঃ রবিবার ১৬ জুন ২০২৪
শিরোনাম

দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অবশেষে দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম। ভরিতে ১ হাজার ৮৪ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাজুস। আগামীকাল শুক্রবার (২৪ মে) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। 

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৬ হাজার ৯২৮ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮০ হাজার ১৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। সে হিসেবে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের প্রতি ভরি স্বর্ণালংকারের দাম পড়বে ১ লাখ ৩১ হাজার ৪৯২ টাকা। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।


আরও খবর



আমতলীতে মুগডালের ফলন ভালো না হলেও দামে খুশি কৃষকরা

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
Image

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:

অনাবৃষ্টির কারণে এ বছর উপজেলার আমতলীতে মুগডালের ফলন ভালো হয়নি। ফসল ভালো না হওয়ায় দুচিন্তায় থাকলেও বাজারে দাম ভালো থাকায় খুশি কৃষকরা। ভালো দামে বিক্রি করে লোকসান কাটিয়ে উঠার আশা করছেন তারা।

আমতলী উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এ বছর ৮ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে মুগডাল চাষ হয়েছে। কৃষক বিগত বছরের মত এ বছর ভালো লাভের স্বপ্ন দেখলেও সেই স্বপ্ন অনাবৃষ্টিতে ফিকে হয়ে গেছে। অনাবৃষ্টির কারণে মুগ ডালের তেমন ভালো ফলন হয়নি। লাভতো দুরের কথা লোকসান কাটিয়ে উঠার চিন্তায় বিভোর কৃষকরা। কিন্তু বাজারে ডালের দাম ভালো থাকায় লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে দাবি করেন কৃষকরা। মৌসুম শুরুতে ডালের দাম অনেক ভালো। প্রকার ভেদে এক মণ মুগডাল বাজারে তিন হাজার ৮০০শ থেকে এবং চার হাজার ৫০০শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রবিবার আমতলী শাখারিয়া বাজার ও আমতলী বাঁধঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকদের কাছ থেকে ফরিয়ারা চল্লিশ কেজি তিন হাজার ৮শ এবং সাড়ে ছে-চল্লিশ কেজি মুগডাল ৪ হাজার ৫০০ বিক্রি হচ্ছে।

চাওড়া কাউনিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল রাজ্জাক মোল্লা, আউয়াল সিকদার, মোহাম্মদ হাওলাদার, জিয়া উদ্দিন জুয়েল বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় ফলন তেমন হয়নি। তারা আরো বলেন, বাজারে দাম ভালো থাকায় মনে হয় লোকসান গুনতে হবে না।

চন্দ্র পাতাকাটা গ্রামের  দুলাল মোল্লা বলেন, মুগডাল ভালো হয়নি। বাজারে দাম বেশি তাতে যদি লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবো।

আমতলী ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, বাজারে মুগডালের দাম অনেক বেশি। কৃষকরা এতে ভালোই লাভবান হবে।

আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ ঈশা ইকবাল বলেন, এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় মুগডালের ফলন খারাপ। কিন্তু বাজারে দাম ভালো থাকায় কৃষকদের লোকসান গুনতে হবে না।


আরও খবর



দুপুরের মধ্যে ১১ জেলায় তীব্র ঝড়ের শঙ্কা

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ১১ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৮৯ কিলোমিটার বেগে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। সাগর ও উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল আগামী ২-৩ ঘণ্টায় কিছুটা দুর্বল হলেও সারা দেশেই বাড়বে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। একইসঙ্গে অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি এবং বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে। সেজন্য দেশের নদীবন্দরগুলোর জন্য ৪ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বহাল রেখেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া এক পূর্বাভাসে এ আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর এবং কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে পূর্ব অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা তার বেশি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভারি (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারি (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে।

ভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।


আরও খবর



স্থলভাগে উঠে তাণ্ডব শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে রেমাল স্থলভাগে উঠছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি বলছে, সন্ধ্যা ৬টার পরপরই রিমালের কেন্দ্র উপকূল অঞ্চলে ছুঁয়েছে। রোববার (২৬ মে) রাতে আবহাওয়ার বিশেষ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ড. শামিম হাসান ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, রেমাল স্থলভাগে উঠতে শুরু করেছে। এর অগ্রভাগ উপকূল ছুঁয়েছে। এর কেন্দ্র আগামী দেড় থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে পুরোপুরি উপকূলে প্রবেশ করবে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় নেবে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (২১.২° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.২° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আজ (২৬ মে) সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১০ কি.মি. পশ্চিম- দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১০ কি.মি. পশ্চিম, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৪৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫০ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

সংস্থাটি আরও জানায়, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র মোংলার দক্ষিণপশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ১ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করে সম্পূর্ণ ঘূর্ণিঝড়টি পরবর্তী ৫ থেকে ৭ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালে প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ৮-১২ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে। আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-১৩) এ তথ্যানুসারে, ঘূর্ণিঝড়টির আকার ৪০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার হতে পারে। আর ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ৮ থেকে ১২ ফুট জলোচ্ছ্বাসেরও আশঙ্কা রয়েছে।

একই সঙ্গে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত বহাল রয়েছে। রেমাল-এর অগ্রভাগের প্রভাবে ইতোমধ্যে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে দমকা বাতাস বইছে, সঙ্গে আছে বৃষ্টি। বাতাসসহ বৃষ্টি হচ্ছে ঢাকায়ও।

পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরগুলোকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতিভারী (৮৯ মিমির বেশি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে। অতিভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে বলেও জানিয়েছেন ওমর ফারুক।

তিনি আরও জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হলো।


আরও খবর



ঝড়ের রাতে ঘরে ঢুকে দাদি-নাতিকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি

Image

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বসতঘরে ঢুকে দাদি ও নাতিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরেক নাতনি।

সোমবার (২৭ মে) রাত ১টার দিকে বাকিলা ইউনিয়নের রাধাসা গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন দাদি হামিদুন্নেছা ও নাতি আরাফাত হোসেন। আহত নাতনি হালিমা আক্তার মিম শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও তার ভাই আরাফাত একই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশিদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সোমবার রাত ১টার দিকে বোরকা পড়া এক যুবক দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। দাদি হামিদুন্নেছা ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আর নাতি আরাফাত হোসেনকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে নাতনি হালিমা আক্তার মিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. অরুণ জানান, ওই পরিবারের তিনজন পুরুষ সদস্য প্রবাসে থাকেন। দাদিকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। আর নাতি-নাতনিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ কুমার দে বলেন, এটি ডাকাতির ঘটনা হতে পারে না। হত্যার পেছনে তিনটি কারণ থাকতে পারে। সেই সব সূত্র ধরে তদন্ত কাজ চলছে। ইভটিজিং, পরকীয়া ও এক নাতনির দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের আঁচ  পাওয়া গেছে।


আরও খবর



শেরপুরে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালিত

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

শেরপুরে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে। শনিবার (১ জুন) সকালে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর মাঠে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ছানুয়ার হোসেন ছানু। জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খাইরুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর পুলিশ সুপার মো. আকরামুল হোসেন পিপিএম।

এ সময় বক্তারা বলেন, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার শিশুদের মস্তিষ্ক গঠনে সহায়তা করে। দুগ্ধজাত খাবার, যেমন পনির ও দই আদর্শগতভাবে স্বাস্থ্যকর এজিং প্রোডাক্ট হিসাবে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা (২০১৫) অনুযায়ী, স্বাস্থ্যকর এজিং হলো কার্যকর ক্ষমতার বিকাশ এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার প্রক্রিয়া, যা বার্ধক্যে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। দুগ্ধজাত দ্রব্য বয়স্কদের জন্য পুষ্টি সরবরাহ করে, পেশীর স্বাস্থ্য বজায় রাখে এবং বার্ধক্যজনিত পেশি ও হাড়ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়তা করে। তাই দুগ্ধজাত খাদ্য বয়স্ক জনগোষ্ঠীর জন্য অতি প্রয়োজনীয় খাবার হিসাবে বিবেচিত।

এছাড়াও এই সময় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূইয়া, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রেজুয়ানুল হক ভূঁইয়া, শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর