আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

দেশে মোট ঋণের ৩১ শতাংশ বিশ্বব্যাংকের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশকে যে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো সবচেয়ে বেশি ঋণ দিয়েছে তার মধ্যে বিশ্বব্যাংক রয়েছে শীর্ষ স্থানে। বিশ্বব্যাংক ৫২ বছরে বাংলাদেশকে ঋণ দিয়েছে ২৪.৫৮৩ বিলিয়ন ডলার। যা শতাংশের হারে বাংলাদেশের মোট ঋণের ৩০.৮০ শতাংশ।

ঋণ ছাড়ের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। তারা ঋণের অর্থছাড় করেছে ২১.৩৬৬ বিলিয়ন ডলার, যা মোট ঋণের ২৬.৭৭ শতাংশ।

তৃতীয় স্থানে থাকা জাপান বাংলাদেশকে এ পর্যন্ত ঋণ দিয়েছে ১৫.৩০৩ বিলিয়ন ডলার, যা মোট ঋণের ১৯.১৭ শতাংশ। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডির) দেওয়া তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এই হিসাব পাওয়া গেছে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১৯৭১-৭২ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত ৫২ বছরে বিভিন্ন সময়ে উন্নয়ন প্রকল্পে বাংলাদেশ ঋণ পেয়েছে ৭৯.৮২৫ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে গত অর্থবছর পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়েছে ১৭.৪১৯ বিলিয়ন ডলার। আর গত জুন শেষে সরকারের বিদেশি ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৬২.৪০৬ বিলিয়ন ডলার। ঋণের মাত্র সাড়ে ২০ শতাংশ ভারত, চীন ও রাশিয়া থেকে এসেছে। এ ক্ষেত্রে শীর্ষ তিনটি স্থানে রয়েছে বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও জাপান।

চীন ঋণ ছাড়ের দিক থেকে রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে। দেশটি এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ৭.৯৮৯ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে, যা মোট ঋণের ১০.১ শতাংশ। পরের অবস্থানে থাকা রাশিয়া গত জুন পর্যন্ত ঋণ ছাড় করেছে ৬.৭৭৫ বিলিয়ন ডলার, যা সরকারের ঋণের ৮.৪৯ শতাংশ।

শীর্ষ পাঁচের পরের অবস্থানে থাকা দেশ ও সংস্থাগুলোর ঋণের পরিমাণ তুলনামূলক কম। ঋণ দেওয়ায় ষষ্ঠ স্থানে থাকা এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ব্যাংক (এআইআইবি) গত জুন পর্যন্ত ছাড় করেছে ১.৭৭৮ বিলিয়ন ডলার, যা সরকারের মোট ছাড়কৃত ঋণের ২.২৩ শতাংশ।

প্রতিবেশী ভারত ঋণ দেওয়ায় সপ্তম স্থানে রয়েছে। গত জুন পর্যন্ত দেশটি ছাড় করেছে ১.৬৬৪ বিলিয়ন ডলার, যা সরকারের মোট ছাড়কৃত ঋণের ২.৮ শতাংশ। আর অষ্টম স্থানে থাকা ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) গত জুন পর্যন্ত ছাড় করে ১.২০৮ বিলিয়ন ডলার, যা সরকারের মোট ছাড়কৃত ঋণের ১.৫১ শতাংশ। বাকি দেশগুলোর ঋণ এক বিলিয়ন ডলারের কম।

এদিকে বৈদেশিক ঋণ স্থিতির ক্ষেত্রেও শীর্ষে রয়েছে বিশ্বব্যাংক। গত জুন পর্যন্ত এ সংস্থাটির ঋণ স্থিতির পরিমাণ ছিল ১৯.২৫৭ বিলিয়ন ডলার, যা মোট ঋণের ৩০.৮৬ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা এডিবির গত জুন পর্যন্ত ঋণ স্থিতি দাঁড়ায় ১৪.৪২০ বিলিয়ন ডলার, যা মোট ঋণের ২৩.১১ শতাংশ। আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা জাপানের ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১০.৪৩৭ বিলিয়ন ডলার, যা মোট ঋণের ১৬.৭২ শতাংশ।

শীর্ষ তিন উৎসর বেশির ভাগ ঋণই সহজ শর্তের। এর মধ্যে জাপান সরকার বাংলাদেশকে সবচেয়ে কম সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ দেয়। পরের অবস্থানে থাকা বিশ্বব্যাংক ও এডিবির প্রায় সব ঋণই সহজ শর্তে। তবে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার জাপান সুদের হার সামান্য বৃদ্ধি করেছে। বিশ্বব্যাংক ও এডিবির ঋণের সুদহারও আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশকে কিছু কঠিন শর্তের ঋণপ্রস্তাব করেছে সংস্থাটি দুটি। স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশ থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের বিদেশি ঋণের সুদহার আরো কিছুটা বাড়বে বলেই প্রক্ষেপণ করেছে ইআরডি।

গত জুন পর্যন্ত চতুর্থ অবস্থানে থাকা চীনের ঋণ স্থিতি ছিল ৫.৫৭৮ বিলিয়ন ডলার, যা মোট ঋণের ৮.৯৪ শতাংশ। পরের অবস্থানে থাকা রাশিয়ার গত জুন পর্যন্ত ঋণ স্থিতি দাঁড়ায় ৫.৯৮৯ বিলিয়ন ডলার, যা সরকারের ঋণের ৯.৬০ শতাংশ। এ দুই দেশের ঋণের শর্ত কঠিন এবং সুদহার অনেক বেশি। কঠিন শর্তের এসব ঋণ পরিশোধ নিয়ে চাপে রয়েছে বাংলাদেশ।

অপরদিকে নতুন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা হিসেবে এআইআইবি বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়া বাড়াচ্ছে। গত জুন শেষে সংস্থাটির ঋণ স্থিতি দাঁড়ায় ১.৭৬১ বিলিয়ন ডলার, যা মোট বিদেশি ঋণের ২.৮২ শতাংশ। সপ্তম স্থানে থাকা ভারতের ঋণ স্থিতি ছিল গত জুন পর্যন্ত ১.৩০৭ বিলিয়ন ডলার, যা সরকারের মোট ঋণের ২.০৯ শতাংশ। আর অষ্টম স্থানে থাকা আইডিবির ঋণ স্থিতি গত জুন পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ৬৯০ মিলিয়ন ডলার, যা সরকারের মোট ঋণের ১.১১ শতাংশ। এ তিনটির মধ্যে এআইআইবি ও ভারত সহজ শর্তে ঋণ দিলেও আইডিবির ঋণের সুদহার বেশি হয় এবং পরিশোধ সময়ও কম পাওয়া যায়।

ঋণের সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘বাংলাদেশের পাশে উন্নয়ন সহযোগীদের বরাবরই বিশ্বব্যাংক এগিয়ে ছিল। তারা স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের সহযোগিতা করে আসছে। তবে এখন বিশ্বব্যাংক থেকে এলডিসি-পরবর্তী সময়ে ঋণ পাওয়া কষ্টকর হবে। সে বিষয়ে আমাদের সতর্ক হতে হবে। আবার সার্বিক বিবেচনায় আমাদের ঋণ পরিশোধেরও চাপ বাড়ছে, এসব বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। যে প্রকল্পের আওতায় ঋণ আসছে সেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে।’


আরও খবর



দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে ৭ দিন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাকিল মোল্লা, রাজবাড়ী

Image

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাট দিয়ে ঈদের আগের তিন দিন ও ঈদের পরের তিন দিন মোট সাত দিন এই নৌরুটে পণ্যবোঝাই ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে। যাত্রীদের চলাচল নির্বিঘ্ন ও ঘাট এলাকায় যানবাহনের বাড়তি চাপ কমাতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষের সভায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে রুটে ফেরি, লঞ্চসহ অন্যান্য জলযানের সুষ্ঠু চলাচল নিশ্চিত এবং ঘাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে এ সভা হয়। সেখানেই গুরুত্বপূর্ণ এ নৌপথে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় এই সাত দিন জরুরি ও পচনশীল পণ্য ছাড়া দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে অন্য ট্রাক পারাপার করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়াও নৌপথটিতে দুর্ঘটনা এড়াতে ঈদের আগের পাঁচ দিন ও পরের পাঁচ দিন নদীপথে মালবাহী নৌযান, বালুবাহী বাল্কহেড চলাচলও বন্ধ থাকবে বলে জানা যায়।

কথা হয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঈদে যাত্রী ও যানবাহনের চলাচল নির্বিঘ্নে করতে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ সময় যানবাহন পারাপারে থাকবে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১৫টি ফেরি।


আরও খবর



রাফাহ শহরে ইসরায়েলের ব্যাপক গোলাবর্ষণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক হুঁশিয়ারিকে অবজ্ঞা করে, পরিকল্পিত স্থল অভিযানের অংশ হিসেবে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরের পূর্ব প্রান্তে ইসরায়েল ব্যাপক কামানের গোলাবর্ষণ করছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ তথ্য দিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।

ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু নতুন করে নির্ধারণ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে শরণার্থী শিবিরগুলো এখন আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এক্ষেত্রে হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু এখন নুসেইরাত ও বুরেজি শরণার্থী শিবির ও দেইর এল-বালাহ শহর।

এদিকে, গাজার গণকবর পাওয়ার খবরে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেছেন, সব ধরনের ফরেনসিক প্রমাণ সংরক্ষণ করা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘকে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের আইনি দখল নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য এখন আইন প্রণয়ন বিভাগের আদেশ নিতে হবে।

অন্যদিকে, গাজা উপত্যকায় সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহের জন্য আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল।

এ প্রসঙ্গে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং প্রফেসর ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সাবেক পরিচালক রথ বলেছেন, যুদ্ধের মধ্যেও তদন্তের জন্য গণকবর থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করা অসম্ভব নয়। বিষয়টি দুই পক্ষের সহযোগিতার ওপর নির্ভর করছে। তবে ইসরায়েল এমন স্বাধীন তদন্ত হোক, তা চাইবে না।

জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন গাজার গণকবরে ৩৯২টি মরদেহ পাওয়ার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছে।


আরও খবর



নিউইয়র্কে বন্দুকধারীদের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের বাফেলোতে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশ।

নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যানা যায়নি। এছাড়াও কী কারণে তাদেরকে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হলো সে সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি।

প্রশাসনের বরাত দিয়ে মার্কিন বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, হান্ড্রেট জেনার স্ট্রিটে দুই ব্যক্তিকে গুলি করা হয়েছে এমন খবরে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। পরে তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। এই ঘটনায় গোটা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বাফেলো পুলিশ বলছে, হামলাকারীকে ধরতে অভিযান চলছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।


আরও খবর



বরিশাল মেডিকেলের প্রিজন সেলে আসামিকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বরিশাল প্রতিনিধি

Image

বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে হত্যা মামলার আসামি পিটিয়ে অপর এক আসামিকে হত্যা করেছে। রবিবার (১৪ এপ্রিল) ভোরে ওই বৃদ্ধ আসামিকে পেটানো হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর একটার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক জানিয়েছেন।

নিহত মো. মোতাহার (৬০) বরগুনার বেতাগী উপজেলার কাউনিয়া গ্রামের রফিজউদ্দিনের ছেলে। পিটুনিতে আহত অপর আসামি অজিত মন্ডল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অজিত একটি চুরি মামলার আসামি।

হামলাকারী তরিকুল ইসলামের (২৫) গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামে। সে পটুয়াখালীর একটি হত্যা মামলার আসামি।

কোতয়ালী মডেল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক বলেন, হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন মানসিক রোগী তরিকুল অপর দুই আসামিকে স্যালাইনের স্টিলের ট্যান্ড দিয়ে পিটিয়েছে। এতে দুইজন গুরুতর আহত হয়। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডেপুটি জেলার নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, প্রিজন সেলে একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। এ বিষয়ে আজ কিছু বলতে পারব না।

নাম প্রকাশ করার না শর্তে হাসপাতালের একজন জানিয়েছে, প্রিজন সেলের দায়িত্বে এক নায়েক ও দুই কনস্টেবল ছিলেন। মানসিক রোগীসহ তিনজন প্রিজন সেলের একটি কক্ষে ছিলেন। সকালে আকস্মিকভাবে ওই ব্যক্তি অপর দুই আসামিকে স্ট্যান্ড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে। এতে মোতাহার মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত পায়। অজিত আঘাত পেলেও গুরেুতর আহত হয়নি। ঘটনার সময় সেলের তালার চাবি নিয়ে একজন বাইরে নাস্তা করতে গিয়েছিল। তাই দায়িত্বরতরা দ্রুত সময়ে প্রিজন সেলে ঢুকতে পারেনি। স্যালাইনের স্ট্যান্ড দিয়ে মানসিক রোগী দুইজনকে এলোপাতারিভাবে পিটিয়েছে।

বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্মা রায় বলেন, কি ঘটনা ঘটেছে তদন্ত না করে বলা যাবে না। আমরা ঘটনা তদন্ত করেছি। তদন্ত শেষ করে বলতে পারবো।

দায়িত্বরতদের অবহেলার বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ জেল সুপার।


আরও খবর



ব্যর্থতার দায় নিয়ে ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা প্রধানের পদত্যাগ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলার ব্যর্থতার দায় নিয়ে ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান পদত্যাগ করেছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান হারজে হালেভির টেবিলে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে তিনি পদত্যাগ করেছেন। মেজর জেনারেল আহরন হালিভা ৩৮ বছর ধরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান আহারন হালিভা হলেন প্রথম জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা যিনি হামাসের হামলার ব্যর্থতার দায়ে পদত্যাগ করলেন।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সামরিক বাহিনী চিফ অব স্টাফ হালিভার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে এবং তার সেবার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।

এই ঘটনায় ইসরায়েলের আরও শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের হামাসের আক্রমণ প্রতিরোধ না করতে পারার দোষ স্বীকার এবং পদত্যাগের মঞ্চ তৈরি করতে পারে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চিফ অব স্টাফ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর অনুমোদনে মেজর জেনারেল আহারন হালিভা তার দায়িত্ব শেষ করবেন এবং একটি সুশৃঙ্খল ও পেশাদার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উত্তরসূরি নিয়োগের পর সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেবেন।

হালিভা অক্টোবরে বলেছিলেন, হামাসের আক্রমণ ও ইসরায়েল প্রতিরক্ষা ভেঙে পড়া প্রতিরোধ না করার জন্য তিনি দায়বদ্ধ ছিলেন। হামাস হামলা চালিয়ে অন্তত ১ হাজার ১৩৯ জন ইসরায়েলিকে হত্যা করে এবং শত শত ইসরায়েলিকে আটক করে গাজায় নিয়ে যায়।

৭ অক্টোবরের হামাসের হামলাকে ব্যাপকভাবে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার একটি বড় ব্যর্থতা’ হিসাবে দেখা হয়।


আরও খবর