আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

দেশে মাসে গড়ে ২৭ ছাত্রীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) দেশে ৪০৪ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন, যার মধ্যে ২৪২ জনই ছাত্রী। গড়ে ২৬ দশমিক ৮৯, অর্থাৎ ২৭ জন ছাত্রী প্রতি মাসে আত্মহত্যা করেন।

শনিবার (৮ অক্টোবর) সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের জরিপের এ তথ্য উঠে এসেছে। ভার্চুয়ালি এক আলোচনাসভায় এসব তথ্য তুলে ধরেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও আঁচল ফাউন্ডেশনের গবেষক ড. এ ওহাব।

ড. ওহাব জানান, গত ৯ মাসে শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মহত্যার প্রবণতা ভয়াবহভাবে বেড়েছে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছেন ৪০৪ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ৫৭ জন, স্কুলের ২১৯ জন, মাদরাসার ৪৪ জন এবং কলেজপড়ুয়া ৮৪ জন। আত্মহননকারীদের মধ্যে ছাত্রী ২৪২ জন ও ছাত্র ১৬২ জন। জরিপ অনুযায়ী, গড়ে প্রতি মাসে প্রায় ২৭ জন ছাত্রী এবং ১৮ জন ছাত্র আত্মহত্যা করে থাকেন।

আঁচল ফাউন্ডেশনের এই গবেষক আরও বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে প্রেমঘটিত কারণে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের ওপর একাডেমিক চাপ তাদের আত্মহত্যার পেছনে কতটুকু দায়ী এবং অন্যান্য কী কী কারণ জড়িত, তা জানার লক্ষ্যেই এই গবেষণা জরিপ পরিচালিত হয় বলে জানান এই গবেষক।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ধরন বিবেচনায় জরিপে মোট অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৬৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের। এ ছাড়াও ২৩ দশমিক ৪১ শতাংশ শিক্ষার্থী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের, ২ দশমিক ২৬ শতাংশ মেডিকেল শিক্ষার্থী এবং বাকিরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, কারিগরি এবং মাদরাসার।

জরিপে ৩৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মোট ১ হাজার ৬৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।


আরও খবর



মীমের পরীক্ষা দেয়াসহ যাবতীয় বিষয় দেখার আশ্বাস জবি উপাচার্যের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আরেক শিক্ষকের বিরুদ্ধ যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের ছাত্রী কাজী ফারজানা মীম। তাকে বিভিন্নভাবে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে এসে শিক্ষার্থী এ অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত শিক্ষক আবু সাহেদ ইমন, তিনি ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষক।

অভিযোগের বিষয়ে গতকাল ১৮ মার্চ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, আমার নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও সকল ডিন ওই বিভাগে চেয়ারম্যানের সঙ্গে মিটিং করেছে। মীম যাতে পরীক্ষা দিতে পারে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ফারজানা মীমের প্রতিটি বিষয় আমরা দেখবো। তিনি আরও বলেন অভিযুক্ত শিক্ষক ছুটি না নিয়েও বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। তার বিরুদ্ধে বর্তমানে দুইটি তদন্ত কমিটির তদন্তের কাজ চলমান।

এর আগে অভিযোগ দেওয়া শেষে বিকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাজী ফারজানা মীম বলেন, আমার বিভাগের শিক্ষক আবু সাহেদ ইমন আমাকে যৌন হেনস্তা করেছেন। অভিযোগ দিলে বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষক আবু সাহেদ ইমন আমাকে সেটি তুলে নিতে নানাভাবে চাপ দিতে থাকেন। এতে আমি রাজি না হওয়ায় তারা আমাকে হাত-পা কেটে হত্যা করাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেন। আমাকে এক ঘরে করে দেওয়া হয়। আমাকে বিভিন্ন পরীক্ষায় শূন্য শূন্য নম্বর দিয়ে ফেল করানো হয়। আমার অনার্সের ফাইনালা ভাইবায় আমাকে ফেল করানো হয়।

তিনি বলেন, ২০২১ সালে আবু সাহেদ ইমন তাকে যৌন হেনস্তা করেন। এ বিষয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলে তার জীবনে নেমে আসে নানা নির্যাতনের খড়গ। সম্প্রতি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় যৌন হয়রানি ও নানা নিপীড়নের বিরুদ্ধে এই শিক্ষার্থী সোচ্চার হন। সেখানেই অবন্তিকার ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে নিজের প্রসঙ্গও আসে। গণমাধ্যমে নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন।


আরও খবর



মা হলেন মৌসুমী নাগ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ছোটপর্দার অভিনয়শিল্পী মৌসুমী নাগ আবারও মা হলেন। গত ১০ মার্চ রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নবজাতকের জন্ম হয়। মা ও মেয়ে দুজনই সুস্থ আছেন। প্রেমের সম্পর্কের পর ২০১০ সালের অক্টোবরে অভিনেতা শোয়েবের সঙ্গে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন মৌসুমী নাগ। ২০১৫ সালে তাদের সংসারে প্রথম পুত্রসন্তান জন্ম নেয়।

তাপস ইকবালের কণ্ঠে শেষ চিঠি’ গানের মিউজিক ভিডিও প্রকাশ হলো জি-সিরিজ থেকে। ওয়াসিম হকের কথায় গানের সুর করেছেন তানিম হায়াত খান রাজিত, সংগীতায়োজনে সজীব দাস। মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন সীমান্ত সজল। মডেল হয়েছেন মো. জিসান আফ্রিদি, এমি জান্নাত ও মোক্তার হোসেন। তাপস ইকবাল বলেন, চিঠির স্বর্ণযুগ শেষ হলেও নতুন করে চিঠি আদান-প্রদানের বিষয়টি সবার মনে অনুভূতি জাগাবে। আশা করছি, শ্রোতা-দর্শকরা গানটি উপভোগ করবেন।’

নিউজ ট্যাগ: মৌসুমী নাগ

আরও খবর



দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি দম্পতিকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দক্ষিণ আফ্রিকায় জোহানের্সবাগে নোয়াখালীর সেনবাগের অর্জুনতলা ইউনিয়নের প্রবাসী স্বামী ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।

রোববার (৩ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে আফ্রিকার জোহানের্সবাগে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, মো.মহিন ভূঞা (৩২) উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মানিকপুর গ্রামের ইসলাম পাটোয়ারী বাড়ির মো. হোসেন ভূঞার ছেলে ও তার স্ত্রী রুনা আক্তার (২২)। তিনি একই উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নেরে জমাদার বাড়ির মো.লিটনের মেয়ে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন অর্জুনতলা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) আব্দুর জব্বার।

তিনি বলেন, রোববার সন্ধ্যার দিকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আফ্রিকার জোহানের্সবাগে মহিন ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গুলি করে। ওই সময় তারা স্বামী-স্ত্রী ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ভাগ্যক্রমে তাদের সঙ্গে থাকা তাদের দুই সন্তান বেঁচে যায়। রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে আফ্রিকায় থাকা নিহতের ছোট দুইভাই বিষয়টি দেশের বাড়িতে জানায়। প্রাথমিকভাবে এর থেকে বেশি কিছু আমরা এখনো জানতে পারিনি। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শক্রতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহতের ছোট ভাই মো.মফিজ ভূঞা বলেন, জীবিকার সন্ধানে আমার বড় ভাই মহিন ২০০৮ সালে প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান। এরপর ছয় বছর আগে তার স্ত্রীকে নিয়ে যায়। আমার ভাবি ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। সন্ত্রাসীরা ভাবিসহ আমার বড় ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে।

ইউপি সদস্য আব্দুর জব্বার আরও বলেন, নিহত প্রবাসীর গ্রামের বাড়ির মসজিদের মাইকে তাদের মৃত্যু সংবাদ এলাকাবাসীকে জানানো হয়েছে। এতে গোটা এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতের পরিবার তাদের মরদেহ দেশে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।


আরও খবর



গুলশানে ছাদ থেকে পড়ে স্পেন দূতাবাস কর্মকর্তার মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর গুলশানে একটি ভবনের ছাদ থেকে পড়ে স্পেন দূতাবাসের এক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। ওই কর্মকর্তা আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা পুলিশের।

রবিবার (৩ মার্চ) বিকেলে গুলশানের পিংক সিটির বিপরীতে একটি ভবনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কর্মকর্তার নাম ইসমাইল গিল সেরানো।

ডিএমপি গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ শাহিনুর রহমান জানান, দুপুরের দিকে পিংক সিটির বিপরীতে থাকা একটি ভবনের ছাদ থেকে পড়ে স্পেন দূতাবাসের ওই কর্মকর্তার মৃত্যু হয়। আমাদের প্রাথমিক ধারণা, এটি আত্মহত্যা হতে পারে।

মরদেহ এখন ঘটনাস্থলে আছে। সুরতহাল শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



পরিচালকের সঙ্গে গোপন প্রেমে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন রামায়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে দক্ষিণী সিনেমায় অভিনয় করে আসা রামায়া কৃষ্ণানের গোপন প্রেম এখনও চর্চিত সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে। বাহুবলির মা হিসেবে পরিচিত এই অভিনেত্রী বিয়ের আগেই এক পরিচালকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। যা গড়ায় গর্ভপাতের মতো ঘটনাতে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮ এর এক প্রতিবেদন অনুসারে, ১৯৯৯ সালে দক্ষিণী পরিচালক কে এস রবিকুমারের সঙ্গে প্রথম সিনেমায় কাজ করেন রামায়া। এরপর একটা সময় ঘণিষ্ঠতা বাড়ে দু’জনের। বিবাহিত পরিচালকের সঙ্গে অভিনেত্রীর সম্পর্কের খবর গোপন ছিল না অন্দরমহলে। সকলেই জানতেন তাদের প্রেমের কথা। কে এসের অনেক সিনেমাতেই কাজ করেন রামায়া। সেখান থেকেই দুজনের সম্পর্ক গড়ায় পরিণয়ে।

এরপর একসময় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। বিষয়টি জানতে পারেন রবিকুমারের স্ত্রী। হুমকি দেন রামায়াকে। যে কারণে সন্তানের জন্ম ও পরিচয় দিতে অস্বীকার করেন পরিচালক। ফলে একপর্যায়ে এসে গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নেন রামায়া। আর সেজন্য নাকি কে এস রবিকুমারের থেকে ৭৫ লক্ষ টাকাও চেয়ে নেন অভিনেত্রী।

যদিও গণমাধ্যমের কাছে বিভিন্নসময় প্রেম-গর্ভপাতের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন দুজনেই। তবে দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে তাদের এই গোপন সম্পর্কের’ খবর এখনও চর্চিত হয় বিভিন্ন সময়ে।

পরবর্তীতে ২০০৩ সালে পরিচালক কৃষ্ণা বামসির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন অভিনেত্রী। তাদের সংসারে একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। যার নাম হৃত্বিক কৃষ্ণান। বর্তমানে কৃষ্ণা বামসির সঙ্গেই সুখের সংসার এই অভিনেত্রীর।

প্রসঙ্গত, রামায়া কৃষ্ণান দক্ষিণের জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী। দক্ষিণের এই অভিনেত্রী দুই যুগের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন। নিজের ক্যারিয়ারে প্রায় ২৬০টি সিনেমা করে ফেলেছেন তিনি। রামায়াকে সর্বশেষ দেখা গেছে রজনীকান্তের সঙ্গে জেলার’ চলচ্চিত্রে।


আরও খবর