বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের
মতো ব্রেইন ডেড (কার্যত মৃত) মানুষের কিডনি অন্য মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
মৃত ঘোষণা করা ৩৮ বছর বয়সী একজন পুরুষের কিডনি দুজন কিডনি আক্রান্ত মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন
করা হয়। যার ফলে প্রাণে বেঁচে যায় দুজন। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে কিডনি দুজন
রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা দুজনই সুস্থ আছেন।
একটি কিডনি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) প্রতিস্থাপন করা হয়। বিএসএমএমইউর
উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আরেকটি কিডনি মিরপুর কিডনি ফাউন্ডেশন
হাসপাতালে প্রতিস্থাপন করা হয়।
ক্যাডাভেরিক
ট্রান্সপ্লান্ট পদ্ধতিতে এ কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। এ পদ্ধতিতে ক্লিনিক্যালি ডেড
বা ব্রেন-ডেড রোগীর কিডনি নিয়ে অন্য রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।
এই ক্যাডাভেরিক
ট্রান্সপ্লান্টের প্রধান ছিলেন সার্জন অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল। কিডনি
প্রতিস্থাপনের শুরুতে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ কেবিন
ব্লকের ওটিতে আসেন। তিনি কিডনিদাতা মো. মাসুমের পরিবারের সদস্য ও গ্রহীতার স্বজনদের
সঙ্গে কথা বলেন।
বিএসএমএমইউ
উপাচার্য জানান, ৩৮ বছর বয়সী একজন পুরুষকে বৃহস্পতিবার ব্রেইন-ডেড ঘোষণা করা হয়। তিনি
মস্তিষ্কে আঘাতজনিত কারণে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
শারফুদ্দিন
আহমেন বলেন, পাঁচ দিন আগে আমাদের হাসপাতালে আসেন তিনি। তিনি পুরোপুরি অজ্ঞান ছিলেন।
এর আগেও তিনি আমাদের আইসিইউতে ছিলেন। চিকিৎসায় ভালো হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। এবারও পাঁচ
দিন ছিলেন। আজকে আমরা তাকে ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করেছি।
এর আগে গত বছরের
১৯ জানুয়ারি বিএসএমএমইউতে প্রথমবারের মতো একজন ব্রেন-ডেড মানুষের শরীর থেকে কিডনি নিয়ে
তা অপর দুজনের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।
সারাহ ইসলাম
নামে ২০ বছর বয়সী তরুণীকে ১৮ জানুয়ারি ব্রেন-ডেড ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সেদিন রাতেই
তার কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় দুজন নারীর শরীরে। সারাহর চোখের কর্নিয়া দেওয়া হয় অপর
দুজনকে। সেই কিডনি নিয়ে সুস্থভাবে বেঁচে আছেন শামীমা আক্তার নামে এক নারী। তবে অন্যজনের
মৃত্যু হয়েছে।