আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

দেশে দারিদ্র্য কমলেও, এখনও রয়েছে : পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দেশে দারিদ্র্য কমছে, কিন্তু এখনও দারিদ্র্য আছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের যোগাযোগব্যবস্থা বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা যথেষ্ট অর্জন করেছি, আরও অনেক যেতে হবে।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ফ্লিম আর্কাইভ অডিটোরিয়ামে এপেক্স বাংলাদেশের সেবা মাস উদ্বোধন ও ক্লাবের সেবা পরিচালক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিষ্ঠিত অবিচারের কারণে প্রতিবন্ধীরা সামাজিকভাবে পিছিয়ে রয়েছে মন্তব্য করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধীদের কোনো দোষ নেই, নানা কারণে প্রতিবন্ধী হতে পারে। প্রতিষ্ঠিত অবিচারের কারণে তারা আমাদের থেকে একটু পিছিয়ে আছে। তাদের পাশে দাঁড়ানো স্নেহের হাত বাড়িয়ে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।

এপেক্স ক্লাবের সদস্যদের উদ্দেশ্য করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সামাজিক এই কাজটা ১৯৩১ সালে অস্ট্রেলিয়ায় আপনাদের পূর্বপুরুষরা শুরু করেছিল। এরপর ১৯৬১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে এটা শুরু হয়েছিল, আজকে বাংলাদেশে এটি প্রতিষ্ঠিত। কত অঞ্চলে এটি (এপেক্স ক্লাব) ছড়িয়ে পড়েছে। এই যোগাযোগের ফলে আপনাদের মধ্যে বন্ধন গভীর হচ্ছে। সঙ্গে বাঙালির বন্ধন বাংলাদেশের বন্ধন আরও গভীর হচ্ছে। যেহেতু আপনারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। শুধু সমাজসেবা করলে হবে না, সার্বিকভাবে জাতীয় জীবন সম্পর্কেও আপনাকে চিন্তা করতে হবে। জাতীয় জীবন সম্পর্কে শুধু রাজনৈতিক দিক নিয়ে চিন্তা করবেন, সেটা সঠিক নয়।

সেবামাস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক কবির আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক নিজামুল কবীর, এপেক্স বাংলাদেশের জাতীয় সভাপতি ইলিয়াস জসিম, জাতীয় সহসভাপতি অধ্যাপক মাহমুদুল হক সাবু ও সদ্য সাবেক সভাপতি অধ্যাপক নিজাম উদ্দীন পিন্টু। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সাবেক জাতীয় সভাপতি ও লাইফ গভর্নর অ্যাডভোকেট সৈয়দ নুরুর রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সমন্বয় করেন জাতীয় সেবা পরিচালক সুব্রত সাহা ও মনিরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন ছিলেন এপেক্স গ্লোবালের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, এপেক্স অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, ভাররলত, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন জাতীয় সভাপতিরা।


আরও খবর



২৫০ সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

উত্তর আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়ার সরকারের ২৫০ জনের বেশি কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে নিকারাগুয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন ও অবৈধ উপায়ে অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থতার দায়ে নিকারাগুয়ার সরকারের ২৫০ জনের বেশি সদস্যের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে নিকারাগুয়ার সরকারি তিনটি সংস্থার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেছেন, ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় পড়া নিকারাগুয়ান কর্মকর্তাদের মধ্যে পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা, পাবলিক প্রসিকিউটর, বিচারক এবং সরকারি উচ্চশিক্ষা কর্মকর্তারা রয়েছেন।

একই সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ ও অর্থ বিভাগ নিকারাগুয়া হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসনের ক্ষেত্রে চোরাচালান ও মানবপাচারের বিভিন্ন নেটওয়ার্ক বৈধ পরিবহন সংস্থাগুলোকে কীভাবে ব্যবহার করছে, সে সম্পর্কে বিমান সংস্থা এবং ট্রাভেল এজেন্টদের অবগত করে একটি যৌথ সতর্কতা জারি করেছে।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বলেছে, নিকারাগুয়ার সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলোর নেওয়া অভিবাসন সংক্রান্ত নীতিমালাই অবৈধ অভিবাসনের জন্য অনুমতিমূলক। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি নিকারাগুয়ার সরকার।

বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা ক্রমবর্ধমান হারে নিকারাগুয়ায় পাড়ি জমাচ্ছেন। পরে দেশটির উত্তর ওভারল্যান্ড থেকে মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তের দিকে যাচ্ছেন তারা। মানবপাচারকারী চক্রের বিভিন্ন নেটওয়ার্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর জন্য এই রুটের প্রচার চালায়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর জন্য প্রথমে ব্রাজিল কিংবা দক্ষিণ আমেরিকার অন্যান্য দেশে যাত্রা করছেন। তবে অনেকেই কলম্বিয়া-পানামা সীমান্তের ডারিয়েন গ্যাপ নামে পরিচিত গভীর জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বিপজ্জনক যাত্রা এড়াতে নিকারাগুয়ায় যান। পরে সেখান থেকে মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে পৌঁছান অভিবাসনপ্রত্যাশীরা।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নেতৃত্বাধীন প্রশাসন রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসীর মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্ত পাড়ি দেওয়া ঠেকাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এই অবৈধ অভিবাসীদের ঢল সামলানোই বাইডেনের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশটির ভোটাররাও বলেছেন, এখন তাদের অন্যতম উদ্বেগের বিষয় অভিবাসন।


আরও খবর



বিপুল পরিমাণ অর্থসহ পাউবোর দুই প্রকৌশলী আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

বিপুল পরিমাণ অর্থসহ পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুই উপ বিভাগীয় প্রকৌশলীকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে সাড়ে ১০টার দিকে ঠিকাদারের সঙ্গে অবৈধ টাকা লেনদেনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। এর আগে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান ঠিকাদার রাজিবসহ কয়েকজন।

সূত্র বলছে, ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে বিল ভাউচারের মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের অনুসন্ধানে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডে যান সংবাদকর্মীরা। এ সময় তথ্য ও বক্তব্যের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মাসুদ রানার কক্ষে গেলে ওই কক্ষ ভেতর থেকে বন্ধ পান। কয়েকবার নক দেবার পর মাসুদ রানা দরজা খুললে ঠিকাদার আরিফুজ্জামান রাজিব কমিশনার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি মোশাররফ সহ কয়েকজনকে দেখতে পান সংবাদকর্মীরা।

এ সময় টেবিলে বিপুল অর্থও দেখা যায় এবং এরপরই আরেক ঠিকাদার কনক সেখানে হাজির হন। সরকারি অফিসে ঠিকাদারের সাথে বন্ধ কক্ষে কিসের অর্থ লেনদেন হচ্ছে জানতে চাইলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। তখন সংবাদকর্মীরা বিষয়টিকে সন্দেজনক মনে করে পুলিশকে জানালে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ তাদের আটক করে। এ ঘটনায় দুদকও তদন্ত শুরু করেছে।

নামপ্রকাশ না করার শর্তে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদ্য সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী এবং সুনামগঞ্জের হাওড়ে বাধ নির্মাণকাজে দুর্নীতির দায়ে বার বার প্রত্যাহার হওয়া নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে মাসুদ রানা ও এসডি মোশাররফের সহযোগিতায় ডিপিএম ও আরএফকিউ পদ্ধতিতে বিভিন্ন ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে বিল ভাউচারের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মাসাত করা হয়েছে। রাফি কন্সট্রাকশনের স্বত্ত্বাধিকারী ঠিকাদার আরিফুজ্জামান রাজিব কমিশনার এবং ঠিকাদার কনকের প্রতিষ্ঠানের নামে এসব টাকা উত্তোলন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে। এসব তদন্তে অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে বলে জানান ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার বলেন, ঘটনাটি আমরা জানতে পেরেছি। দুদক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি দেখছেন। কোথাকার টাকা, কীভাবে লেনদেন হলো সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মাসুদ আলম বলেন, দুই কর্মকর্তাকে আটক করাসহ টাকাগুলো জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত টাকা দুদকের কর্মকর্তারা গণনা করছেন। টাকার উৎস অনুসন্ধান করা হচ্ছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



‘খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপি বিক্ষোভ মিছিলও করতে পারেনি’

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দলটি নেতাকর্মীরা একটা বিক্ষোভ মিছিল করতে পারেনি বলে দাবি করেছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বেগম জিয়া আটকে আছে আইনের ফাঁদে। তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ কোনো মামলা করেনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মামলায় তিনি গ্রেপ্তার ও বন্দী হয়েছেন। বিএনপি নেতাদের অবহেলায় বেগম জিয়ার এক বছরের বিচার ১০ বছরেও শেষ হয়নি। এটার জন্য বিএনপির নেতারাই দায়ী। তারা বেগম জিয়ার জন্য আইনি পথে ব্যর্থ হয়েছে, রাজপথে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য রাজপথে দেখার মতো বিক্ষোভ মিছিলও করতে পারেনি। 

আজ শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারতার জন্যই বেগম জিয়ার শাস্তি স্থগিত রেখে বাড়িতে থাকার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এমনকি বিদেশি চিকিৎসক এসে তাকে চিকিৎসা দিচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, বিএনপি নিজেরাই এখন বিভক্ত। তাদের দলে বহুদিন ধরে কাউন্সিল নেই। তাদের ঘরোয়া রাজনীতি ঝিমিয়ে পড়েছে। নেতায় নেতায় মিল নেই। দল ক্ষমতায় আসবে এমন আশা নেতারা করলেও তা কর্মীরা দেখছে না৷ কর্মীরা এখন হতাশ হয়ে পড়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা পজিটিভ রাজনীতি করতে চাই। আজ বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতি সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এই সংকট থেকে আমাদের জনগণকে কিভাবে মুক্তি দেওয়া যায় তার জন্য কিছু বাস্তবমুখী কর্মসূচি নিতে হবে। দেশে বেকার সমস্যা সমাধানে আমাদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা বাস্তবায়ন করতে হবে। 

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনদের বিষয়ে ব্যাখ্যা করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন সম্পর্কে বিগত সময়ে আমি যে বক্তব্য রেখেছি, তা নিয়ে অনেকে ভেবে ছিল এটা মনে হয় আমি নিজ থেকে নেত্রীর নামে বলে বেড়াচ্ছি। কিন্তু গতকাল আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনের বিষয়ে খোলাসা করেছেন। স্বজন বলতে তিনি সুনির্দিষ্টভাবে স্ত্রী-সন্তান বুঝিয়েছেন। তিনি এমপিদের বলে দিয়েছেন। নির্বাচনে কোনো প্রকার প্রভাব বিস্তার করা যাবে না। প্রশাসন ও নির্বাচনকে প্রভাবিত করা যাবে না। নেত্রীর সেই গাইড লাইন অনুযায়ী আমরা আমাদের পার্টির কর্মকাণ্ড পরিচালিত করব। উপজেলা নির্বাচনে নেত্রীর গাইড লাইন পালন করব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য আনিসুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন, উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা প্রমুখ।


আরও খবর



তীব্র গরমে যে পরামর্শ সাবিলা নূরের

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

দেশে তীব্র দাবদাহ চলছে। সারা দেশে হিট অ্যালার্টও জারি করা হয়েছে। তীব্র গরমে ঢাকাসহ সারা দেশের মানুষ হাঁসফাঁস করছে। এমন অবস্থার জন্য পর্যাপ্ত গাছপালা ও বনায়ন না থাকাকে দায়ী করছেন অনেকে। এই অসহনীয় তাপপ্রবাহ মোকাবিলায় সবাইকে গাছ লাগানোর আহ্বান জানাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

এবার ভক্তদের গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর। নিজের ফেসবুক পাতায় একটি স্ট্যাটাসে এ আহ্বান জানান তিনি।স্ট্যাটাসে ভক্তদের পরামর্শও দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

সাবিলা নূর লিখেছেন, আসুন, আমরা সবাই মিলে একটা উদ্যোগ নিই। নিজ নিজ এলাকায় অন্তত ১০টি করে গাছ লাগাই। আর এটাকে একটা ইভেন্টে পরিণত করি। পরিবার-বন্ধুবান্ধব সবাই একসঙ্গে মিলিত হই। সেলফি/রিল/টিকটকে ট্রেন্ডিংয়ে নিয়ে আসি গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান- এই ধরনের কোনো ইভেন্টকে। কেমন হবে বলুন তো?

অভিনেত্রীর এমন পোস্টে ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন তার ভক্তরা। তারাও এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। অনেকে মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, খুব ভালো উদ্যোগ।

নিউজ ট্যাগ: সাবিলা নূর

আরও খবর



জয়পুরহাটে পানির দামে বিক্রি হচ্ছে দুধ!

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের কালাইয়ে দুধের চাহিদা না থাকায় এক লিটার গরুর দুধ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। অথচ উপজেলার অনেক বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এক লিটার বোতলজাত পানি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পানির দামে দুধ বিক্রি হওয়ায় উপজেলার শত শত দুগ্ধ খামারিরা দুঃচিন্তা ও হতাশায় ভুগছেন এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

কালাই প্রেসক্লাবের মাঠের সামনে সপ্তাহে পাঁচ দিন দুধের বাজার বসে। সেখানে শুক্রবার দুধ বিক্রি করতে আসা কয়েকজন খামারি ও কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একজন খামারির ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে একটি দুগ্ধবর্তী গাভীর জন্য ভুসি, খৈল, ঘাস, ভিটামিন, বিদ্যুৎ বিল, লবণ, মজুরি, চিকিৎসাসহ খরচ হয় প্রায় ৬০০ থেকে থেকে ৬৫০ টাকা। একজন কৃষকের ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে খরচ হয় ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় ৩০ টাকা দুগ্ধ খামারির লোকসান হয় এবং একজন কৃষকের এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় ২০ টাকা লোকসান হচ্ছে।

দুধ বিক্রি করতে আসা কৃষক সোহেল, আনোয়ার, নুরনবীসহ আরও অনেকে জানান, সিন্ডিকেটের কারণে দুধের বাজার কমে যায়। তারা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চান।

দুধ কিনতে আসা জাহিদুল, খন্দকার আরিফ, জামাল ও সোহরাব হোসেন জানান, কিছু দিন আগে ঈদুল ফিতরের সময় প্রচুর পরিমাণ দই ও মিষ্টি বিক্রি হওয়ার কারণে মানুষ দই, মিষ্টি কিনছে না। এ কারণে অল্প দিনের জন্য দুধের বাজার কম।

স্থানীয় খামারির মালিক আব্দুল আলিম সরকার ও শাহারুল জানান, দুধ বিক্রির জন্য নির্ধারিত ক্রয়কেন্দ্র প্রয়োজন। কিন্তু তাদের এখানে নেই। ক্রেতা না পেয়ে লোকসান করেই দুধ বিক্রি করতে হয়। সরকার যদি খামারিদের দিকে নজর না দেয়, তাহলে অনেকেই দুগ্ধ খামারির পেশা থেকে সরে আসবেন।

কালাই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাসান আলী জানান, দুধের বাজার স্বাভাবিক রাখতে জয়পুরহাটে দ্রুতই দুধ সংগ্রহকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এতে করে খামারি ও কৃষকরা ন্যায্য দামে দুধ বিক্রি করতে পারবেন।


আরও খবর