আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

দেশে ৬৫ জনের করোনা শনাক্ত, সুস্থ ১৮

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩৯ হাজার ৫৭১ জনে। এ সময়ে করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। শনিবার (৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: রেল দুর্ঘটনাস্থলে আসছেন মোদি

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৮ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৬ হাজার ৩৩১ জন।

আরও পড়ুন: ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ

২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১ হাজার ৬৪টি। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৬ দশমিক ১১ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২২ শতাংশ।

আরও পড়ুন: যারা থাকছেন এরদোগানের শপথ অনুষ্ঠানে

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।


আরও খবর



বাউফলে দৈনিক আজকের দর্পণ এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দূর্জয় দাস, বাউফল (পটুয়াখালী)

Image

পটুয়াখালীর বাউফলে দৈনিক আজকের দর্পণ এর ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ১০ম বছরে পদর্পণ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ ঘটিকায় বাউফল প্রেসক্লাব বীর উত্তম সামসুল আলম তালুকদার মিলনায়তনে কেককাটা ও আলোচনা মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়।

বাউফল প্রেসক্লাব সভাপতি মো: কামারুজ্জামান বাচ্চুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন সাধারন সম্পাদক আরেফিন সহিদ, সাবেক সাধারন সম্পাদক কৃষ্ণ কর্মকার, সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান হিরন, সাপ্তাহিক অপরাধ অনুসন্ধান প্রতিনিধি কহিনুর বেগম, দৈনিক গনদাবী প্রতিনিধি  ফারুক হোসেন, ভয়েজ অফ এশিয়া প্রতিনিধি মো: জলিলুর রহমান, দৈনিক কীর্তন খোলা প্রতিনিধি মো: মাঈনউদ্দিন জিপু, দৈনিক জনতার প্রতিনিধি মো: জহিরুল হক ভুইয়া, মানবকন্ঠ প্রতিনিধি জসিম উদ্দীন, সাইফুল ইসলাম,সময়ের আলো প্রতিনিধি পিয়াল হাসান, দৈনিক দখিনের খবর প্রতিনিধি মো: তৌহিদ হোসেন উজ্জল, আজকের দর্পণের বাউফল প্রতিনিধি দূর্জয় দাস, আজকের দর্পণের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে বাউফল কর্মরত সংবাদকর্মী অংশগ্রহন করেন।

 

দূর্জয় দাস

বাউফল প্রতিনিধি


আরও খবর



সেতুর দাবিতে চার যুগ পার, ভোগান্তিতে অর্ধলক্ষ মানুষ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ও জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম সাপমারা খালের বাশেঁর সাঁকো। সেতু না থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য, যাতায়াত, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ নানা ক্ষেত্রে ভোগান্তি পোহাতে হয়  অর্ধলক্ষ মানুষকে। এসব মানুষ জীবনযাপনের মৌলিক সূচকে পিছিয়ে আছেন।

স্থানীরা জানান, দীর্ঘ চারযুগ ধরে দুপারের মানুষের দাবি সাঁকোটি সেতু করার। নির্বাচন আসলে প্রার্থীরা সেতুর স্বপ্ন দেখায়, নির্বাচনের পর খবর থাকেনা। তাই অনেকেই এটাকে নির্বাচনী ওয়াদার সাঁকোও বলে। স্থানীয়রা স্ব-উদ্যোগে এটি মেরামত করলেও অধিক মানুষের যাতায়াত ও জোয়ারের পানির তোড়ে সাঁকোটি  নড়বড়ে হয়ে ভেঙে যায়। ফলে এলাকার নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য সাঁকোটি পারাপার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সাঁকোর দাড়িয়ে থাকা বাঁশগুলোও ফেটে গেছে। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে বাশেঁর সাকোঁ পার হতে হয়।সাপমারা খালের উপর সেতু নির্মাণ হলে ওই দুইটি ইউনিয়নের মানুষ যাতায়াতের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও এগিয়ে যাবে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, রোগীদের জন্যও সহজ হবে যাতায়াত। স্থানীয় কৃষিপণ্য ও ধোপাজান মহালের বালু-পাথর সড়কপথে দেশের নানা প্রান্তে সহজে পরিবহন সম্ভব হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে গন্তব্যে যেতে পারবেন তারা

জানা যায়, রায়পুর ও জুঁইদন্ডী দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম এই সাঁকোটি। জোয়ারের পানির আঘাতে সাঁকোটির অবস্থা নাজুক। এই সাঁকো দিয়ে দুই ইউনিয়নের নারী, শিশু ও বৃদ্ধ ছাড়াও  রায়পুরের বহু শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য জুঁইদন্ডী জে কে এস উচ্চ বিদ্যালয় ও আনোয়ারুল উলূম মাদ্রাসায় যায়। তাছাড়া দুই ইউনিয়নের লোকজন এই সাঁকো দিয়ে আনোয়ারা সদর ও চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াত করে।

সরেঙ্গার বাসিন্ধা বৃদ্ধ মাহাবুব আলী(৬০) ক্ষোভের সাথে বলেন, ছবি বওত তুইল্ল, আর ন তুইল্ল, আঁরা সেতু ন পায়, এহন আঁরা বাঁশ ভাঙি পরি মরিলি তই ছবি তুইল্ল, সরকার পদ্মা সেতু আর টানেল গরিত পাইল্লি আঁরার মাত্র ৩০ মিটার সেতু কা গরির ন পারের

আনোয়ারা উপজেলা প্রকৌশলী তছলিমা জাহান বলেন, ভাঙা সাঁকোটি জরুরী মেরামতের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেব। খালের ওপর ৬৫ মিটার পাকা সেতুর জন্য নতুন করে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। মাননীয় ভুমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি মহোদয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সেতু নির্মাণে বরাদ্ধের জন্য ডিও লেটারও দিয়েছে। এটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অনুমোদন এলেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করব।


আরও খবর



আন্তঃনগর ট্রেনের দায়িত্বে পুলিশ, ক্ষুব্ধ রেলবাহিনী

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আন্তঃনগর ট্রেনের নিরাপত্তা দেবে পুলিশ। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) আর এ দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। ফলে ভাতাও পাবে না। এতে ক্ষুব্ধ রেলের নিজস্ব বাহিনীর সদস্যরা। রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, আরএনবি ট্রেন পরিচালনায় সম্পৃক্ত জনবল তথা রানিং স্টাফ নয়। তাদের ভাতা পাওয়ার সুযোগ নেই। তাই চলন্ত ট্রেনের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে।

রেলওয়ের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকের নেতৃত্বে রেঞ্জ রয়েছে। কর্মপরিধি অনুযায়ী, স্টেশন এলাকা ও রেললাইনের দুই পাশের ১০ ফুট করে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রেলওয়ে পুলিশের। অন্যান্য স্থাপনা ও সম্পদ পাহারায় থাকে আরএনবি। এ বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে যাত্রী হয়রানি, ট্রেনে বিনাটিকিটে যাত্রী তুলে নিজের পকেট ভারী করার অভিযোগ রয়েছে। আবার চলন্ত ট্রেনের দায়িত্ব পালনের কারণে ভাতাও পেয়ে থাকেন।

বিনাটিকিটের যাত্রী ও ভাতার খরচ কমাতে আরএনবিকে চলন্ত ট্রেনের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে রেলসূত্রের খবর। তবে আরএনবি সদস্যদের দাবি, এতে তারা শুধু ভাতা হারাবেন না, যাত্রীরাও নিরাপত্তাহীনতায় পড়বেন। ছিনতাই, মাদক পরিবহন, ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, মলমপার্টির উৎপাত বাড়বে। বিনাটিকিটের যাত্রীদের কাছ থেকে পাওয়া টাকার পুরোটা পকেটে ঢোকাতে কর্তৃপক্ষকে দিয়ে পুলিশ ও আউটসোর্সিংয়ের কর্মীরা আরএনবিকে দায়িত্ব থেকে সরিয়েছে।

তবে রেলসূত্রের ভাষ্য, আরএনবি সদস্যদের অস্ত্র না থাকায় ছিনতাই, মাদক পরিবহন, চোরাচালানের মতো অপরাধ দমনে সক্ষম নয়। বিনাটিকিটের যাত্রী তুলে যে উপরি আয় হয়, তা পুলিশ, রানিং স্টাফ এবং আরএনবির মধ্যে ভাগ হতো। দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়ায় এ ভাগ হারিয়েছে আরএনবি। পুলিশের কব্জায় যাবে তা। ভাতা ও উপরি আয় হারিয়ে ক্ষুব্ধ আরএনবি। 

আরও পড়ুন>> উচ্চবিত্ত পর্যায়ে দুর্নীতি বেশি হচ্ছে : পরিকল্পনামন্ত্রী

রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান বলেছেন, আরএনবি রানিং স্টাফ নয়। তাই আন্তঃনগর ট্রেনের দায়িত্ব থেকে তাদের সরানো হয়েছে। অন্যান্য ট্রেনে তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। ট্রেনের সামনের দিকে এবং পেছনে দুটি পৃথক গার্ড ব্রেক থাকে। আরএনবি সদস্যরা তা পাহারা দিতেন। সিদ্ধান্ত হয়েছে সামনের গার্ড ব্রেকটি তালাবদ্ধ রাখা হবে।

ট্রেন চালানোর সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত কর্মী তথা পরিচালক, লোকোমাস্টার (চালক), সহকারী লোকোমাস্টার, সাব লোকোমাস্টাররা রানিং স্টাফ হিসেবে গণ্য হন। তারা দিনে ১০০ মাইলের বেশি ট্রেন পরিচালনা করলে এক দিনের বেতনের সমপরিমাণ মাইলেজ ভাতা পান, যার ৭৫ শতাংশ পেনশনে যোগ হয়। পরে আদালতের রায়ে ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক (টিটিই), অ্যাটেন্ড্যান্টসরা রানিং স্টাফের স্বীকৃতি পেয়েছেন। খরচ কমাতে সরকার মাইলেজ ভাতার সুবিধা বাতিল করেছে। তবে রানিং স্টাফদের আন্দোলনে তা পুনর্বহালের প্রক্রিয়া চলছে। আরএনবিও একই সুবিধা চাইছে। মাইলেজ না পেলেও ট্রেনে দায়িত্বের জন্য মূল বেতনের অনুপাতে ভাতা পেতেন আরএনবি সদস্যরা।

গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে আন্তঃনগর ট্রেন থেকে আরএনবিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগে প্রতিটি ট্রেনে একজন হাবিলদারের নেতৃত্বে দু-তিনজন করে আরএনবি সিপাহি থাকত। অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী বলেন, বিভিন্ন সময় আরএনবি সদস্য বিষয়ে কথা উঠেছে। তারা কিছু অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটিয়েছে। তাই এই বাহিনীর সদস্যদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তবে ঠিক কী কারণে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা বোধগম্য নয় বলে দাবি করেছেন আরএনবির পূর্বাঞ্চলীয় চিফ কমান্ডেন্ট মো. জহিরুল ইসলাম। বাহিনীতে দুই হাজার সদস্য থাকার কথা থাকলেও এখন আছে মাত্র ৮০০। 

আরও পড়ুন>> দেশে নতুন জঙ্গি সংগঠন, করছিল হামলার পরিকল্পনা

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট কার্যালয়ের চাহিদায় ২০০৬ সালের ২২ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনে আরএনবি সদস্য মোতায়েন করা হয়। একজন লোকোমাস্টার ঢাকা-ময়মনসিংহ-মোহনগঞ্জ রুটের আন্তঃনগর হাওর এক্সপ্রেসের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ট্রেনটিতে প্রতি যাত্রায় অন্তত শপাঁচেক বিনাটিকিটের যাত্রী থাকেন। পুলিশ, আরএনবি এবং রানিং স্টাফরা এসব যাত্রী তোলেন। যাত্রীপ্রতি ২০০ টাকা আদায় করলেও প্রতি যাত্রায় লাখ টাকা উপরি আয় হয়। পুলিশ, আরএনবি এবং রানিং স্টাফ মিলিয়ে একটি ট্রেনে ২০ জনের বেশি থাকে না। ফলে জনপ্রতি দিনে আয় ৫ হাজার টাকা। খরচ কমাতে অ্যাটেনড্যান্টস সরিয়ে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ঠিকাদারের মাধ্যমে অনবোর্ড সেবা দিতে যেসব বেসরকারি কর্মী রাখা হয়েছে, তারাও ভাগ পান। ভাগ পান রেলের কর্মকর্তারাও। উপরি আয়ের জন্যই আরএনবিসহ সবাই ট্রেনে দায়িত্ব পালন করতে চায়।


আরও খবর



মহাসড়কের চার ডাকাত অস্ত্রসহ ফেনীতে আটক

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাজিব মাসুদ, ফেনী

Image

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দারসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ৭ ফেনীর সদস্যরা। এ সময় তাদের নিকট থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ জব্দ করা হয়।

আজ শনিবার দুপুর ১টায় র‌্যাব-৭, ফেনী ক্যাম্পের অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মাদ সাদেকুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিং কালে সাংবাদিকদের উপরোক্ত তথ্য নিশ্চিত করেন।

র‌্যাবের অধিনায়ক জানান, কতিপয় দুষ্কৃতিকারী ডাকাত দল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ আশেপাশের জেলার বিভিন্ন স্থানে ডাকাতির কারণে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এ ধরনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে, এক পর্যায়ে র‌্যাব জানতে পারে- ডাকাত দল একটি পিকআপ যোগে শনিবার ভোরে আগ্নেয়াস্ত্র ও ডাকাতির মালামালসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামের দিক থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছে। এ সংবাদ পেয়ে র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের জোরারগঞ্জ থানার বারৈয়ারহাট এলাকায় একটি অস্থায়ী চেক পোস্ট স্থাপন করে। ভোর ৫টার দিকে একটি সন্দেহভাজন পিকআপকে থামার সংকেত দিলে সেটি না থামিয়ে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

র‌্যাব সদ্যসরা পিকআপটিকে ধাওয়া করে জোরারগঞ্জ থানার খিলমুরারী গ্রামের বাসিন্দা হক সাব ওরফে মাদক সম্রাট (২৩), একই থানার হিংগুলী গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম ওরফে রনি (২৪) নারায়নগঞ্জের চরপাড়ার বাসিন্দা চাঁন মিয়া (২৮) এবং সুনামগঞ্জের আকতা পাড়ার বাসিন্দা সিজিল মিয়া ওরফে সোহাগকে (৩০) আটক এবং তাদের দেখানো ও তথ্য মতে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি কার্টুজ, ৩৪ টা অটোরিকশার ব্যাটারি, ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে। শেষে পিকআপটি জব্দ ও উপরোক্ত ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, গ্রেফতার আসামিদের প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে জানা যায়, ডাকাত দলটি মহাসড়ক ও আন্তঃজেলা ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। তারা মহাসড়কে ডাকাতি করে মালামাল ঢাকায় বিক্রি করে থাকে। মহাসড়কে চলাচলকারী পথচারীকে আটক করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ছিনতাই ও ডাকাতি করে বলে তারা স্বীকার করেন।

গ্রেফতার ৪ ডাকাতের মধ্যে হক সাব প্রকাশ মাদক সম্রাটের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ ও সীতাকুন্ড থানায় ডাকাতি, মাদক, চুরি, হত্যার চেষ্টা ও অস্ত্র আইনসহ ২০টি মামলা এবং সাইফুল ইসলাম ওরফে রনির বিরুদ্ধে জোরারগঞ্জ থানায় চুরি, হত্যার চেষ্টাসহ ৪টি মামলা রয়েছে। তাদেরকে সংশিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নিউজ ট্যাগ: ফেনী ডাকাত

আরও খবর



উদ্বোধনের অপেক্ষায় আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি সপ্তাহেই আখাউড়া-আগরতলা রেলপথটি উদ্বোধনের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি এই রেলপথ উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

প্রস্তুতির অংশ হিসেবে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করে রেলওয়ের একটি প্রতিনিধি দল। এ সময় নেতৃত্ব দেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. ইয়াছিন। 

আরও পড়ুন>> হিলিতে গুদামে পচে নষ্ট হচ্ছে পেঁয়াজ

প্রতিনিধি দলে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) শহীদুল ইসলাম, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন, আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েল গেজ ডাবললাইন প্রকল্পের পরিচালক মো. সুবক্তগীনসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের প্রারম্ভিক স্টেশন আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্র্যাক কারে করে ভারত সীমান্তবর্তী শিবনগর পর্যন্ত ঘুরে দেখেন।

পরিদর্শন শেষে প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিয়া বলেন, প্রকল্পের ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। শিগগিরই এটি উদ্বোধন হবে। কিছু কাজ বাকি আছে, তা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হবে। রেলপথটি দিয়ে প্রথমে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করবে। এর মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য আরও বাড়বে।

আরও পড়ুন>> গোয়ালন্দে কেমিক্যাল কারখানায় আগুন

উল্লেখ্য, মোট ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েল গেজ রেলপথের বাংলাদেশ অংশে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার। পুরো অংশেই বসানো হয়েছে রেললাইন। তবে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন ভবন এবং স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের কাজ এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি।


আরও খবর